ভয়ঙ্কর ডেঙ্গু হাসিনা বিদায় নিয়েছে, আরেক ডেঙ্গু হাজির: রিজভী
ভয়ঙ্কর ডেঙ্গু শেখ হাসিনা বিদায় নিয়েছেন। আরেক ডেঙ্গু হাজির হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) ঢাকার জুরাইনে বিক্রমপুর প্লাজার সামনে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভয়ঙ্কর ডেঙ্গু শেখ হাসিনা বিদায় নিয়েছেন। আরেক ডেঙ্গু হাজির হয়েছে। এলাকায় অনেক জলাবদ্ধতা রয়েছে। শেখ হাসিনার উদ্দেশ্য জনসেবা ছিল না, তার উদ্দেশ্য ছিল জনগণের টাকা মার আর বিদেশে পাচার করো। ম্যান পাওয়ার সিন্ডিকেট করে আওয়ামী সিন্ডিকেটবাজরা হাজার কোটি টাকা মেরে দিয়েছে। শেখ হাসিনা কিংবা তার পরিবারের বিরুদ্ধে কথা বললে তাদের কারাগারে পাঠানো হতো।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, প্রতি রাতে কারওয়ান বাজারে ৫০ কোটি টাকার চাঁদাবাজি হয়, সেখানে নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে স্বাভাবিক। আপনারা কী করেন? এতেদিনেও সিন্ডিকেট ভাঙতে পারছেন না। জনগণতো বলবেই, শেখ হাসিনার সময়ে জিনিসপত্রের দাম বাড়তো এখনও বাড়ছে। তফাৎটা কী? প্রাকৃতিক মহামারি ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি সালাহ উদ্দিন আহমেদ, বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম ও সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা কাকন।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি সভাপতি তানভীর আহমেদ রবিন।
ইশরাক হোসেন বলেন, জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার বিপ্লবে যে দেড় হাজার শহীদ হয়েছেন তাদের স্মরণ করছি। ২০১৯ সালে ডেঙ্গু মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছিল। সে সময় হাজার হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল। তখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে পরামর্শ দিয়েছিল সে সময় হাসিনা সরকার তা পালন করেনি ফলে ডেঙ্গু বারবার ফিরে আসছে।
এসময় তিনি সিটি করপোরেশন, সচিবালয় ও সুপ্রিমকোর্টে স্বৈরাচারের দোসররা বসে আছে তাদের সরানো ও ২২, ২৩ ও ২৪তম বিসিএসে নিয়োগপ্রাপ্তদের নিয়োগ বাতিলের দাবি জানান।
জনগণের স্বাস্থ্য সেবায় লিফলেট ঘরে ঘরে পৌছে দেওয়ার আহবান জানান ডা. রফিকুল ইসলাম।
তানভীর আহমেদ রবিন সভাপতির ভাষণে বলেন, এলাকাটি অত্যন্ত জনবহুল। ডেঙ্গুর হটস্পট। কারণ এলাকার মানুষ জলাবদ্ধতায় ভুগছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে স্থায়ীভাবে এলাকার জলাবদ্ধতা দূর করে ডেঙ্গুমুক্ত করা হবে।
বিশেষ অতিথির ভাষণে সালাহ উদ্দীন আহমেদ বলেন, জিয়াউর রহমানের মতো নেতা আর বাংলাদেশে হবে না। জিয়া এ এলাকার অলিগলি ঘুরে ঘুরে জলাবদ্ধতা দেখেছেন। জলাবদ্ধতা দূর করতে খালেদা জিয়া সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার জাইকার প্রজেক্ট হাতে নিয়েছিলেন, কিন্তু শেষ করতে পারেননি। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এ এলাকার জলাবদ্ধতা স্থায়ীভাবে দূর করবে বলে জানান।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে ব্যর্থ হিসেবে উল্লেখ করে তার পদত্যাগ দাবি করেন তিনি।