রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে কোন হঠকারী সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না: মির্জা ফখরুল

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

রাষ্ট্রপতি অপসারণ ইস্যুতে সরকারকে কোন হঠকারী সিদ্ধান্ত না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার (২৭ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর শেরে-বাংলা নগর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এই মন্তব্য করেন।

বিজ্ঞাপন

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রপতি অপসারণের বিষয়ে হুট করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। সাংবিধানিক নিয়মে সবকিছু করতে হবে।  

নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা এর আগেও বলেছিলাম গণঅভ্যুত্থানের ফসলকে ঘরে তোলার জন্য বাংলাদেশের বিপ্লবকে সঙ্গত করতে হয় তাহলে জাতীয় ঐক্য ও কোনরকম হঠকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবেনা, সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। তার জন্য সংস্কার শেষে যত দ্রুত সম্ভব নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। মানুষের ভোটের অধিকারের মাধ্যমেই তাদেরকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে। এর বাইরে আর কোনো সুযোগ নেই।

নির্বাচন বিলম্বিত হলে কোন ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা করছেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা বারবার বলছি যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন করা দরকার। একটি সাংবিধানিক রাজনৈতিক শক্তির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। 

এসময় তিনি অভ্যুত্থানের ফল যেন নষ্ট না হয় সেজন্য জাতীয় ঐক্য দরকার বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখানে আজকে শপথ নিয়েছি আমাদের যে স্বাধীনতা সেটা যেকোন মূল্য রক্ষা করবো। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সংগ্রাম শেষে গত ৫ আগস্ট দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছে। এই সংগ্রামে যুবদলের ভূমিকা নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য। 

তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন অসুস্থ তা স্বত্তেও আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে যুবদল আগেরও চেয়েও অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে। এই দেশের সার্বভৌমত্বের রক্ষার জন্য ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সফল পরিণতিতে তার ভূমিকা অক্ষুণ্ণ থাকবে। বাংলাদেশের যারা ভালো চাইনায় তাদের প্রতিহত করার জন্য যুবদল অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।    

রাষ্ট্রপতি অপসারণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আপনাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এই বিষয়ে বিএনপির অবস্থান কি জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপির যে সর্বোচ্চ ফোরাম রয়েছে সেই ফোরামে আলোচনা হবে আলোচনা শেষে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করবো।

যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্নার সভাপত্বিতে শ্রদ্ধা নিবেন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, দলটির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ ভুলু, চেয়ারপারসন উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ যুবদলের কেন্দ্রীয় মহানগর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।