ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায় না আ.লীগ



সেন্ট্রাল ডেস্ক ২

  • Font increase
  • Font Decrease
সরকার চায় সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। এক্ষেত্রে বিএনপিকে বাদ দিয়ে ফাঁকা মাঠে গোল দেয়ার কোনো চিন্তা আওয়ামী লীগের নেই বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। রোববার সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। এসময় তিনি আরও বলেন, রাজনীতিতে আক্রমণ থাকবে। কিন্তু, ব্যক্তিগত আক্রমণ কখনো শোভনীয় নয়। আওয়ামী লীগ চায় সবাই নির্বাচনে আসুক। কিন্তু যারা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের কথা বলছেন, তাদের মুখের বিষে নির্বাচনের মাঠ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ দল ও জোটের প্রার্থীর মনোনয়ন বিষয়ে ওয়াদুল কাদের বলেন, নির্বাচনী এলাকায় যাদের অবস্থান ভাল থাকবে, তারাই দলীয় মনোনয়ন পাবেন।
   

রাজনীতিবিদরাই দুর্নীতি ধামাচাপা দিয়ে রেখেছে: জিএম কাদের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের/ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, ধুমধাম করে দুর্নীতিবাজদের মুখোশ উন্মোচনের কাজ আগেও দেখেছি, শেষ পর্যন্ত কী হবে তা আমরা জানি না। ক্যাসিনো নিয়ে যাদের ধরা হয়েছিলো তারা এখন বহাল তবিয়তে আছে।

বুধবার (২৬ জুন) জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

জিএম কাদের বলেন, সাধারণ মানুষের ধারণা, সরকারে থেকেই রাজনীতিবিদরা দুর্নীতির পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। সরকারি ক্ষমতা অপব্যবহার করে দুর্নীতির পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়েছে। সরকার এতো ক্ষমতাবান হয়ে গেছে, তারা জবাবদিহিতার স্তম্ভগুলো পাশ কাটিয়ে যেতে পারছে। জবাবদিহিতা না থাকার কারণেই দেশে অর্থনৈতিক মন্দা, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, নিরাপত্তার অভাব এবং ভালো দেশের আশা থেকে মানুষ নিরাশ হচ্ছে।

তিনি বলেন, দুদকের কর্মকাণ্ড নিয়ে জনমনে সন্দেহ আছে। আমরা দেখেছি দুদক সবসময় বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের দিকে বেশি দৃষ্টি দেয়। অনেক বড় রুই-কাতলা সরকারের সঙ্গে থাকছেন, সরকারের আনুকূল্য পাচ্ছেন, তাদের দিকে দুদকের দৃষ্টি কম। সাধারণ মানুষের ধারণা, দুদক ক্ষমতাসীনদের ধরে ধরে ক্লিন সার্টিফিকেট দেয়।

তিনি আরও বলেন, রাজনীতিবিদরা দেশের সব কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দেবেন, এটাই স্বাভাবিক। রাজনীতিবিদদের হাতেই দেশের স্টিয়ারিং হুইল থাকে।রাজনীতিবিদরা যেদিকে দেশকে নিয়ে যাবেন, দেশ সে দিকেই যাবে। রাজনীতিবিদরা চাইলেই আমলারা দুর্নীতিবাজ হতে পারে। রাজনীতিবিদরা চাইলেই ব্যবসায়ীরা রাজনীবিদ হয়ে দুর্নীতিবাজ হতে পারে। এটা প্রতিদিন বেড়েই চলছে। উদ্ধার পেতে হলে রাজনীতিবিদদের দিকেই দৃষ্টি দিতে হবে। কাউকেই আইনের ঊর্ধ্বে অবস্থান দেওয়া ঠিক না। আইনের শাসন অর্থ কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।

সরকারের দায়িত্ব ছিলো এটা নিশ্চিত করা, যত ক্ষমতাধরই হোক সবাইকে আইনের আওতায় থাকতে হবে। দুর্নীতি হঠাৎ করে দেখা গেছে কিংবা হঠাৎ করে শুরু হয়নি। রাজনীতিবিদরাই দীর্ঘদিন ধরে দেশের দুর্নীতি ধামাচাপা দিয়ে রেখেছে। রাজনীতিবিদরাই দুর্নীতিকে সহায়তা করেছে। আমলাদের দুর্নীতি থেকে রাজনীতিবিদরাই মুনাফা নিয়েছে বলে মন্তব্য করেন জিএম কাদের।

জিএম কাদের মনে করেন, দুর্নীতি রোধ করতে হলে রাজনীতিবিদদের টার্গেট করতে হবে। কাউকেই আইনের ঊর্ধ্বে রাখা যাবে না। আইনের শাসন নিশ্চিত হলেই জবাবদিহিতা ও সুশাসন নিশ্চিত হবে। আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার ভিত্তিক রাষ্ট্রের জন্যই দেশের মানুষ জীবন দিয়েছিলো। আমরা চাই সরকার দুর্নীতি রোধ করতে কাজ করবে, এটাই স্বাধীনতার চেতনা।

;

গৌরনদী পৌরসভা উপ-নির্বাচনে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশালের গৌরনদী পৌরসভা উপ-নির্বাচনে ৯নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুম সরদারকে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

বুধবার (২৬ জুন) কাসেমাবাদ হাই মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এসময় পাল্টা হামলায় প্রতিপক্ষের সোহান খানকে পিটিয়ে আহত হয়।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কাসেমাবাদ হাই মার্কেট থেকে কয়েকজন সঙ্গী নিয়ে ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে যাচ্ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা মাসুম। এসময় সোহান খান ও মিদুল সরদারের নেৃতত্বে মোবাইল ফোন মার্কার বহিরাগত সমর্থক রাসেল রাঢ়ী, রাজিব রাঢ়ীসহ ১০/১২ জন নারিকেল গাছ মার্কার সমর্থক মাসুমকে কুপিয়ে জখম করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

;

‘বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের ট্রেন যাওয়াকে ট্রানজিট না করিডোর বলে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ভারতের ট্রেন বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারত যাবে। এটাকে কী ট্রানজিট বলে ? এটাকে বলে করিডোর। যে ট্রেন করিডোর দেওয়া হয়েছে সেখানে যদি অস্ত্র যায়? সেনাবাহিনী যায়? আপনি তল্লাশী করতে পারবেন? বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারত এখন সেভেন সিস্টার্সের রাস্তা করতে চায়।

বুধবার (২৬ জুন ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত 'আজিজ-বেনজির-মতিউরদের অবিশ্বাস্য দুর্নীতি, মরিচের দাম বিস্ময়করভাবে বৃদ্ধি ও প্রধানমন্ত্রীর দাসখত দেওয়ার ভারত সফর' এর প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেছেন।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এবারের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সরকার ভারতের কাছে সমস্তকিছু সমর্পন করে এসেছেন। ৭ জানুয়ারি ভোট করতে পারতো? ২০১৪ সালে ভোট করতে পারতো? পারতো না। ভারত নাক গলিয়েছে তাই পেরেছে। ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক কিন্তু এই সরকার ক্ষমতায় থাকতে দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার কী বাধ্যবাধকতা ছিল যে তাকে ১৫ দিনের মধ্যে আবার ভারত যেতে হলো ? কিছু পাওয়ার জন্যে ? তিনি বলেছেন যা পেয়েছি তা বলে শেষ করা যাবে না। আমাদের প্রধান দাবি কি ছিল, যে ভারত আমাদের পানি দেয় না। ৫৪টা নদী আছে ভারত থেকে বাংলাদেশে ঢুকেছে। যখন কোন নদীর পানি আরেকটা দেশে ঢুকবে তখন তা অবারিত থাকবে, কেউ বাধা দিতে পারবে না। ভারত গঙ্গায় বাধা দিয়েছে যেদিক দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে, তিস্তায় বাঁধ দিয়েছে যেখান দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে। তারপরই পানি আটকে গেল। তিস্তার পানি আমার প্রাপ্য এটা আমাকে দিতে হবে, এই কথা কী আপনারা বলেছেন ? বড় বড় যে কথা বলেন। এগুলো নিয়ে কোন আলোচনা হয়েছে? আমাদের প্রধানমন্ত্রী তিস্তার পানির দাবি ছেড়ে দিয়ে এসেছেন।

মান্না বলেন, মতিউর যেদিন গেল সেদিনের আগে পর্যন্ত তার নামে কোন মামলা, নিষেধাজ্ঞা নেই। যাওয়ার পরে বিদেশ যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা দিল। সবগুলো আওয়ামী লীগ করে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই তো চুরি করে, ডাকাতি করে প্রধানমন্ত্রী। চোর, ডাকাত ছাড়া তো প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারে না। আবার বলে, এতো লোভ মানুষের। আপনার আশপাশে যারা থাকে তাদের লোভ নাই?

বাংলাদেশ এখন বিশ্বে একটা লুটপাটকারীদের দেশে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, ভোট ছাড়া এমপি আনার মানুষ খুন করেছিল তাও তাকে আওয়ামী লীগ নমিনেশন দিয়েছিল। ইন্টারপোল তাকে লাল তালিকাভুক্ত করেছিল। আওয়ামী লীগ এখন ধর্ষণ, লুট করে যারা তাদের দল। আওয়ামী লীগ একসময় স্বাধীনতার লড়াই করেছিল, তাও ভালোমতো করে নাই। তাদের নেতারা কলকাতার বড় বড় হোটেলে গিয়ে লুকিয়ে ছিল।

তিনি বলেন, একজন গরিব কৃষক ৩০ হাজার টাকা লোন নিয়ে পরিশোধ করতে না পারলে তাকে থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু পুলিশ, আর্মি প্রধানরা হাজার কোটি টাকা লুট করে কেউ দেখলো না? আজিজ, বেনজিরের পাসপোর্ট আটকে রাখা হলো না কেন? সরকার এদের রক্ষা করছে।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, মরিচের দাম ইদের আগে ৪শ' হয়েছিল। শেখ হাসিনার আমলে মরিচ, পেয়াজের এতোই ঝাল অথচ প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দিয়ে বেড়াচ্ছেন আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন দেশের মানুষ কিছু পায়। আজিজ, বেনজিররা পায়। যারা রিকশা, ভ্যান চালায় তারা কিছু পায় না। জিনিসের দাম এতোই বেশি যে পকেটভর্তি টাকা নিয়ে গেলেও বাজারের ব্যাগ ভরে না।

এসময় মানববন্ধনে নাগরিক ঐক্যের অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ২৯ জুন বিএনপির সমাবেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নয়াপল্টনে সমাবেশ/ছবি: সংগৃহীত

নয়াপল্টনে সমাবেশ/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ২৯ জুন নয়াপল্টনে সমাবেশ করবে দলটি।

বুধবার (২৬ জুন) নয়াপল্টনে যৌথসভা করে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো। সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নতুন এসব কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

একই দাবিতে ১ জুলাই সব মহানগর ও ৩ জুলাই জেলা শহরে সমাবেশ করবে বিএনপি।

এসব কর্মসূচিতে দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি দেশের সাধারণ মানুষের প্রতিও সমাবেশে যোগ দিতে আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।

;