জাতীয় পার্টির বিভাগীয় সাংগঠনিক কমিটি গঠন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
জাতীয় পার্টির পতাকা

জাতীয় পার্টির পতাকা

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম বেগবান ও গতিশীল করতে পৃথক বিভাগীয় সাংগঠনিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের সাংগঠনিক আদেশে এসব টিমের অনুমোদন দিয়েছেন।

টিমগুলো সংশ্লিষ্ট বিভাগের অন্তর্গত সব জেলা সফর করে জেলা পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক ও আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে দলীয় সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও গতিশীল, বেগবান ও নেতৃত্বের মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে ভূমিকা পালন করবে।

কমিটির কার্যভার গ্রহণের এক মাসের মধ্যে সাংগঠনিক কার্যাদি সম্পন্ন করবে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এলাকার সাংগঠনিক অবস্থান অবগত করবে কেন্দ্রকে। এ ছাড়া জেলা-উপজেলা পর্যায়ে পার্টির গ্রুপিং নিরসনকে মুখ্য দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা বিভাগীয় টিম
ঢাকা বিভাগের কমিটির আহ্বায়ক প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক ভিপি আলমগীর সিকদার লোটন। সদস্যরা হলেন—প্রেসিডিয়াম সদস্য হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, ভাইস চেয়ারম্যান জহিরুল আলম রুবেল।

রাজশাহী বিভাগীয় টিম
প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. শেখ সিরাজুল ইসলামকে আহ্বায়ক, সদস্য সচিব করা হয়েছে প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রশিদ সরকারকে। এ টিমের সদস্যরা হলেন—ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর রহমান এমপি, যুগ্ম মহাসচিব এস.এম. ইয়াসির।

বরিশাল বিভাগীয় টিম
আহ্বায়ক করা হয়েছে লঞ্চ মালিক সমিতির নেতা প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন প্রেসিডিয়াম সদস্য এমরান হোসেন মিয়া। সদস্যরা হলেন—নাসরিন জাহান রতনা এমপি, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক মহাসিনুল ইসলাম হাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আহসান শাহজাদা।

রংপুর বিভাগীয় টিম
জাপার দুর্গখ্যাত এই বিভাগের টিমের আহ্বায়ক করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের সন্তান প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন মো. আজম খান। সদস্যরা হলেন—প্রেসিডিয়াম সদস্য রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, প্রেসিডিয়াম সদস্য শিল্পপতি এস এম ফখর উজ জামান জাহাঙ্গীর, কেন্দ্রীয় সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ এমপি।

খুলনা বিভাগীয় টিম
আহ্বায়ক প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়। সদস্যরা হলেন—প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ দিদার বখ্ত, উপদেষ্টা হাসান সিরাজ সুজা, যুগ্ম মহাসচিব মনিরুল ইসলাম মিলন।

সিলেট বিভাগীয় টিম
আহ্বায়ক করা হয়েছে প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপিকে। সদস্য সচিব প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মামুনুর রশীদ, সদস্য হিসেবে রয়েছেন প্রেসিডিয়াম সদস্য এটিইউ তাজ রহমান, যুগ্ম মহাসচিব হাসিবুল ইসলাম জয়, নির্বাহী সদস্য পীর ফজলুর রহমান মেজবাহ এমপি।

অন্যান্য সব বিভাগে সাংগঠনিক টিম ঘোষণা দেওয়া হলেও চট্টগ্রাম বিভাগের টিম ঘোষণা দেওয়া হয়নি। গত জুনের শেষ সপ্তাহে জাতীয় পার্টির বিভাগীয় সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বেশির ভাগ নেতা সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য বিভাগীয় সাংগঠনিক টিম গঠনের প্রস্তাব দেন। নেতারা তখন অনেকেই পার্টির তৃণমূলের নাজুক অবস্থার কথা তুলে ধরেছিলেন। তারা বলেছিলেন, ‘হায়ার ফায়ারে পার্টি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা টাকা শ্রম দিয়ে দল পরিচালনা করি। আর ভোটের সময় নেতা হায়ার করে প্রার্থী করা হয়। আমরা চাই এখনই প্রার্থী চুড়ান্ত করে দেওয়া হোক। তারা তাদের নির্বাচনী এলাকায় দলকে সংগঠিত করবে।’

ওই সভাতেই পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের সাংগঠনিক টিম গঠনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। মাঝে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যূতে বিষয়টি কিছুটা পিছিয়ে পড়ে। যারা পার্টির নির্দেশনা না মেনে সভায় অনুপস্থিত আছেন তাদের বিরুদ্ধে ওই সভায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। যৌক্তিক কারণ দেখাতে ব্যর্থ হলে তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলেও হুঁশিয়ার করা হয়। কিন্তু সেই ঘোষণা ঘোষণাই থেকে যায়। এমনকি সভায় অনুপস্থিত একাধিক নেতা সাংগঠনিক টিমের দায়িত্ব পেয়েছেন।

   

‘জনগণকে রক্ষা নয়, তারেককে শাস্তি দেওয়াই সরকারের মূল লক্ষ্য’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জনগণকে রক্ষা করা নয়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে শাস্তি দেওয়াই সরকারের মূল লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

সোমবার (২৭ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে দেশের অনেক মানুষ, সম্পদ ও জনপদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এই নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। দেশে যখন এই চরম সংকট, উপকূলীয় এলাকায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আর পত্রিকায় দেখলাম দেশের প্রধানমন্ত্রীর আসনে যিনি বসে আছেন, তাকে আমরা বলতে শুনলাম খারাপ একটি শব্দ ব্যবহার করে, তারেককে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। দেশ যখন দুর্যোগে, তখন দেশের মানুষকে বাঁচানো প্রধান কাজ না। জনগণের সম্পদ রক্ষা গুরুত্বপূর্ণ কাজ না। তাদের কাছে একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা।

তিনি আরও বলেন, তারেক রহমানের ওপর মূল রাগের কারণ হচ্ছে, তারেক রহমান আজ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনকে বেগবান করেছে, জোরদার করেছে। দেশের ইতিহাসে তারেক রহমান দেশের ডান, বাম, সমাজতান্ত্রিক, ইসলামপন্থি সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্রের পক্ষে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলেছে।

ঢাকা জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার শাহ মাইনুল হোসেন বিল্টুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাড. রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটো প্রমুখ।

;

বিএনপি নেতাদের কারাগারে নিলে সরকার আনন্দ পায়: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি নেতাদের কারাগারে নিলে সরকার ঈদের চেয়ে বেশি আনন্দ পায় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

সোমবার (২৭ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি একথা বলেন।

রিজভী আরও বলেন, অবৈধ সরকার আরও একটি কাজ করে মহা আনন্দ লাভ করেন সেটি হলো জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করতে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার অনেকদিন ধরে বন্দি করে রেখেছেন। তাকে চিকিৎসাও নিতে দিচ্ছেন না। তার না মিলছে মুক্তি, না মিলছে উন্নত চিকিৎসা।

তিনি বলেন, যাদেরকে আপনি (শেখ হাসিনা) এমপি বানিয়েছেন তারাই তো টাকা পাচার করেছে। তাদেরই প্রতিপক্ষ কলকাতায় কয়েক টুকরা করে কোন খালে বিলে ফেলেছে এখন খুঁজে পাচ্ছেন না। এরা এমপি হয় কি করে? এর দায় তো আপনার (প্রধানমন্ত্রী)।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, গতকাল আপনি বললেন তারেক রহমানকে নিয়ে এসে বিচার বাস্তবায়ন করা হবে, এর আগেও অনেকবার বলেছেন। তারেক রহমানকে দেশে নিয়ে এসে বিচার বাস্তবায়ন করবেন তার আগে আপনার বিচার হয়ে যায় কিনা দেখেন।

ঢাকা জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার শাহ মাইনুল হোসেন বিল্টুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটো প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

;

ঘূর্ণিঝড় রিমালে মানুষের পাশে থাকবে ছাত্রলীগ

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ঘূর্ণিঝড় রিমালে মানুষের পাশে থাকবে ছাত্রলীগ

ঘূর্ণিঝড় রিমালে মানুষের পাশে থাকবে ছাত্রলীগ

  • Font increase
  • Font Decrease

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় 'রিমালে' আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়াবে বলে জানিয়েছে ছাত্রলীগ।

রোববার (২৬ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অতীতে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়কালীন সময়ে, শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করে, অগ্নিকাণ্ড বা ভবন ধসে উদ্ধারকাজ চালিয়ে, মহামারি করোনাকালীন সময়ে অসহায়-অসুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে, কৃষকের ধান কেটে নিরাপদে ঘরে পৌঁছে দিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সমাজ ও মানুষের প্রতি তার কর্তব্য নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছে।

সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় 'রিমাল'-এ রূপ নিয়েছে, যা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বা সুপার সাইক্লোনে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থান করছে। ২৬ শে মে গভীর রাতে কিংবা ২৭ শে মে ভোরের মধ্যে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, বরগুনাসহ উপকূলবর্তী এলাকায় তীব্রভাবে আঘাত হানবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আঘাত হানার সময় এর কেন্দ্রের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার হতে পারে। এছাড়াও এ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সারা দেশব্যাপী অতি ভারী বৃষ্টি, প্রবল দুর্যোগ, বজ্রবৃষ্টি এবং সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরিশাল, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারসহ উপকূলীয় অঞ্চলে জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হতে পারে। প্রবল বৃষ্টির ফলে ভূমিধস হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ঘূর্ণিঝড় প্রবণ এলাকার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে, সচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়ে, মাইকিং করে, শুকনো ও রান্না করা খাবার, খাবার স্যালাইন ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করে, ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধারকাজ পরিচালনা করে, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ঘরবাড়ি স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে সংস্কার করে, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ এবং স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদান করে পাশে থাকার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানানো হয়।

বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার অগ্রদূত, পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ বৈশ্বিক পুরস্কার 'চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ' এ ভূষিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ বৈশ্বিক রোল মডেলে পরিণত হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুর্যোগে পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রাণহানি কমিয়ে আনা, আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, দুর্যোগে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যন্ত্রপাতি সংগ্রহ, বজ্রপাত নিরোধক কর্মসূচি, গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগ সহনীয় গৃহ নির্মাণ, সময়োপযোগী আইন প্রণয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগজনিত ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসের ওপর গুরুত্বারোপ করে 'বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০' প্রণয়ন ইত্যাদি কর্মকাণ্ড বাংলাদেশকে দুর্যোগ সহনশীল রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলেছে।

যার ফলে জাতিসংঘ কর্তৃক বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় 'জনসেবা পদক' লাভ করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রাষ্ট্র গঠন আন্দোলন থেকে শুরু করে শিক্ষার অধিকার এবং দেশমাতৃকার প্রতিটি প্রয়োজনে ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যে গৌরবান্বিত ইতিহাস মানবতার সেবায় আত্মনিয়োগের মাধ্যমে তা আরও মহিমান্বিত হবে, এটিই আমাদের সংকল্প।

;

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে না: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বা সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

রোববার (২৬ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির তিন দশক পূর্তি অনুষ্ঠানে বিএনপির পক্ষ থেকে কেক কাটা ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন ।

শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে রিজভী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাংবাদিকদের জন্য সুখকর বিষয় নয়। সাংবাদিকদের জন্য এই আইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করে না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এমন একটি আইন, যে আইন থেকে সহজেই রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, দেশে যখন মানুষের ভোটাধিকার থাকে না, মানুষের কথা বলার অধিকার থাকে না, এমন সময়ে সাংবাদিকদের ভয়ের মধ্যে কাজ করতে হয়। আর বর্তমানে দেশে সে অবস্থা বিরাজমান।

তিনি আরও বলেন, সরকার এবং সংবাদপত্রের মালিকদের চাপে স্বাধীন সাংবাদিকতা এখন আর বাংলাদেশে নাই। কালো টাকার মালিকরা এখন বেশিরভাগ গণমাধ্যমের মালিক।

তিনি বলেন, যারা মুক্তচিন্তার মানুষ, তারা তাদের মতামত ব্যক্ত করতে গিয়ে কারাবন্দি হয়েছেন। এমন একটি আইন দেশে বিদ্যমান। এমন পরিস্থিতিতে সংবাদপত্রের পথচলা দুঃসাধ্যের বিষয়।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সৈয়দ শুক্কুর আলী শুভ, সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন, বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, ডিইউজের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, ডিআরইউর সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, রফিকুল ইসলাম আজাদ, ডিইউজের সহসভাপতি রাশেদুল হক, রফিক মোহাম্মদ, ডিআরইউ বহুমুখী সমিতির সভাপতি আবুল হোসেনসহ সংগঠনের সাবেক নেতা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

;