'কারাগারে থেকেও গায়েবী মামলার আসামি বিএনপি নেতারা'

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ফাইল ছবি

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ফাইল ছবি

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, কারাগারে থেকেও পুলিশের গায়েবী মামলার আসামি হচ্ছেন বিএনপির নেতারা।

তিনি বলেন, হাইকোর্টের সামনে মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ১৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারও আছেন। যে কিনা বহুদিন ধরে জেলে আছেন। গত ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাফিজ কারাগারে অথচ তাকেও আসামি করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, হাইকোর্ট এলাকায় বেওয়ারিশ মোটর সাইকেলে আগুন দিয়ে পুড়ানোর পরও মোটরসাইকেলগুলোর মালিকদের খুঁজে পায়নি পুলিশ। মোটরসাইকেল তিনটির মালিকানা কেউ দাবি করেনি। এই আগুনের ঘটনা উদ্দেশ্যমূলক। অথচ মামলা হয়েছে বিএনপির ১৩৫ জন নেতার নামে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, অবৈধ সরকারের চারিদিকে অন্ধকার ঘনিয়ে আসছে দেখে তারা আবারো অস্থির হয়ে গেছে। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আবারো উদ্ভট, বানোয়াট, আজগুবি মামলার প্লাবন বইয়ে দিচ্ছে। সরকারের মত পুলিশরাও এখন গায়েবী তথ্য উৎপাদনের কারখানায় পরিণত হয়েছে। গত এক সপ্তাহে সিনিয়র নেতাদের নামে একের পর এক মামলা দিয়েই যাচ্ছে। মৃত ব্যক্তি, কারাবন্দী নেতাদেরও গায়েবী মামলার পাইকারি আসামি করা হচ্ছে। সরকার বর্তমানে নতুন কোনো ইস্যু পাচ্ছে না। তাই আগের মত আবার আগুনের খেলা শুরু করেছে।

গতকাল বেগম জিয়াকে আদালতের জামিন না দেয়ার সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনার ডিক্টেশনে এটর্নি জেনারেল সেটি লিপিবদ্ধ করে আদালতকে দিয়ে বাস্তবায়ন করতে বাধ্য করেছেন। সর্বোচ্চ আদালতে একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং গুরুতর অসুস্থ ৭৫ বছর বয়সী একজন মহিয়সী নারীকে জামিন না দেওয়া সাম্প্রতিক কালের সেরা নিষ্ঠুরতা। এটি শুধু দেশের ইতিহাসে নয়, সারাবিশ্বে এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা বলে মনে করেন তিনি।