বিএনপির প্রস্তাব নিয়ে বসছে যুক্তফ্রন্ট-গণফোরাম



মুজাহিদুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ঢাকা: আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো না হলেও স্পষ্ট যে, বিএনপির পক্ষ থেকে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের একটি প্রস্তাব যুক্তফ্রন্ট, গণফোরামসহ ২০ দলীয় জোটের বাইরে থাকা অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে ইতোমধ্যে পৌঁছেছে। বিএনপি কৌশলগত কারণে বিষয়টি প্রকাশ করেনি বলছে দলের সিনিয়র নেতারা।

জানা গেছে, চলতি মাসের ১১ আগস্ট ও ১৩ আগস্ট দুদিনের জরুরি বৈঠকে জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় ১০ দফা প্রস্তাব চুড়ান্ত করে।

বিএনপির দেয়া প্রস্তাবগুলো নিয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা সমালোচনা শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে। দু-একটি দল এটিকে ইতিবাচকভাবে দেখলেও অনেকে দেখছেন ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে।

বিএনপির ১০ দফা প্রস্তাবের প্রথম দফায় রয়েছে- ’বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজনৈতিক নেতাকর্মীর নি:শর্ত মুক্তি, সাজা বাতিল ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার নিশ্চিত করা।’

যেহেতু বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাবন্দি আছেন সেহেতু তার মুক্তি বৃহত্তর ঐক্য প্রক্রিয়ার মূল দাবি হতে পারে না এমন কথাও বলছেন কেউ কেউ।

দীর্ঘদিন ধরে ঐক্য প্রক্রিয়ার কথা শোনা গেলেও কার্যত দেখা যায়নি এসব উদ্যোগের। বিশেষ করে নির্বাচনের আগেই কেবল ঐক্য প্রক্রিয়ার বিষয়টি গুরুত্ব পায়। তেমনিভাবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাবন্দি হওয়ার পর জোরে শোরেই বৃহত্তর ঐক্য প্রক্রিয়ায় সর্বশক্তি দিয়ে মাঠে নামে দলটি। নির্বাচন যতই সামনে আসছে ততই আলোচনার তোড়জোড় বাড়ছে।

ঐক্য কিসের ভিত্তিতে হবে? তার ধরণ কেমন হবে? এ নিয়ে নানা কল্পনা জল্পনার মাঝে বিএনপির ১০ দফা কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে রাজনীতির মেরুকরণে।

সূত্র বলছে, বৃহত্তর ঐক্য প্রক্রিয়ায় বিএনপির প্রস্তাবের সঙ্গে অনেকটা একমত হলেও দু একটি বিষয়ে দ্বিমত রয়েছে যুক্তফ্রন্টের।

এ বিষয়ে নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক ও যুক্তফ্রন্ট্রের সমন্বয়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ক্ষমতার ভারসাম্যের ভিত্তিতে ঐক্য হতে হবে। কিন্তু তা কিভাবে হবে আলোচনা করে নিশ্চিত হতে হবে। কোন দল ব্যক্তি কিংবা গোষ্ঠী এককভাবে ক্ষমতায় না আসতে পারে। সেজন্য আমরা বলছি ভারসাম্যের ভিত্তিতে ঐক্য হতে হবে। এবং তার যে নিশ্চয়তা সেটা আগেই জানাতে হবে।

সম্প্রতি, এক আলোচনা সভায় বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছিলেন, ’দেশে এমন একটি সরকারকে ক্ষমতায় আনতে হবে যারা দু পক্ষকেই সামলাতে পারবে। কেউ যদি অনিয়ম করো, মানুষ হত্যা করো তাহলে তোমরা গোল্লায় যাও। আমরা তোমাদের সঙ্গে নেই।’ এছাড়াও তিনি  ভারসাম্যের ভিত্তিতে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করে কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের কথা বলেছিলেন।

এদিকে, বিএনপির পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত ১০ দফাকে বলা হচ্ছে ‘ঐক্য প্রক্রিয়ার এক্সারসাইজ’। প্রয়োজন অনুসারে এটিকে সংযোজন ও বিয়োজন করা হতে পারে। সবার মতামতের উপর ভিত্তি করে চূড়ান্ত করা হবে।

জানা গেছে, বিএনপির দেয়া প্রস্তাবগুলো নিয়ে পর্যালোচনায় বসতে যাচ্ছে বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট বদরুদ্দোজা চৌধুরী, গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তবে আসম আব্দুর রবের থাকার বিষয়টি নিয়ে তেমন কিছু জানা যায়নি।

বিএনপির পক্ষ থেকে পাঠানো প্রস্তাবের শিরোনামে উল্লেখ রয়েছে, ‘বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে নিম্ন উল্লেখিত দাবিগুলোর ভিত্তিতে আমরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারি।’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজনৈতিক নেতাকর্মীর নিশঃর্ত মুক্তি, সাজা বাতিল ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার নিশ্চিত করা। একটি গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। সব রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অবসান। রাষ্ট্রকে দলীয়করণের ধারায় বদলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আইনের শাসনের প্রতিষ্ঠা। রাষ্ট্রকে ক্ষমতার গ্রহণযোগ্য ভারসাম্য।

এছাড়াও রয়েছে, স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ক্ষমতা নিশ্চিত করা। দুর্নীতি প্রতিরোধে দায়িত্বরত প্রতিষ্ঠানগুলোকে যথাযথভাবে কার‌্যকর করা। দুর্নীতি প্রতিরোধে দায়িত্বরত প্রতিষ্ঠানকে যথাযথভাবে কার‌্যকর করা। সব নাগরিকের মৌলিক মানবাধিকারের নিশ্চয়তা। সর্বনিম্ন আয়ের নাগরিকদের মানবিক জীবন নিশ্চিত করে আয়ের বৈষম্যের অবসান ও রাষ্ট্রের সর্বস্তরে সুশাসন প্রতিষ্ঠা।

   

সাংবাদিকতার নামে অপসাংবাদিকতার ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান কাদেরের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

সাংবাদিকতার নামে অপসাংবাদিকতা ও ভুয়া লোক যাতে মহান এ পেশাকে অসম্মান করতে না পারে সেজন্য সাংবাদিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (২৬ মে) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সাংবাদিকতার নামে, সাংবাদিকের নামে লেখা নেই, পড়া নেই, সংবাদ বোঝে না, এর ধারেকাছেও নেই- এমন অনেকেই দেখি সরকারি অফিসে গিয়ে বসে থাকে। এরা সত্যিকারের সাংবাদিক নয়। এই ভুয়া সাংবাদিকের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, কোন সাংবাদিক যাতে হেনস্থার শিকার না হয় সে ব্যাপারে আমরা সতর্ক রয়েছি।

আওয়ামী লীগ সরকার সমালোচনার বিরোধী নয় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সমালোচনা শুদ্ধ করে। সমালোচনা আমরাও করি। কিন্তু তা গঠনমূলক হওয়া প্রয়োজন।

এ সময় ফিলিস্তিনের গাজায় শিশু হত্যা, নারী হত্যা ও গণহত্যার সংবাদ কাভার করতে গিয়ে নিহত ১০৮ সাংবাদিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

;

বর্তমান সরকার অনেক সমস্যার মধ্যে আছে: মান্না



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান সরকার অনেক সমস্যার মধ্যে আছে বলে মন্তব্য করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, শেখ হাসিনার তৈরি করা সাবেক সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। এখন অপেক্ষা করেন, কিছুদিন পর শেখ হাসিনাও স্যাংশন খাবে।

শ‌নিবার (২৫ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মোটরচালক দলের আয়োজনে ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা ও সাজানো মামলা প্রত্যাহারসহ সকল রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তির’ দাবিতে প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচিতে তি‌নি এসব কথা বলেন।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক প্রধান (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ কত ধরনের দুর্নীতি করেছে। এখন হাইকোর্ট তার সবকিছু বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। বেনজীরের অবৈধ সম্পদ নিয়ে দুদক আগেই তদন্ত করতে চেয়েছিল, হাইকোর্টের নির্দেশের সেই তদন্ত বন্ধ হয়ে গেল এটা কার নির্দেশ ছিল জনগণ জানতে চায়।

তিনি বলেন, একজন এমপির বিরুদ্ধে খুন ধর্ষণের মামলা ছিল, সে আবার এমপি হয়। আবার সেই এমপি কিভাবে খুন হলো।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে জেলের তালা ভাঙতে হবে, তবেই খালেদা জিয়া মুক্ত হবে তাছাড়া মুক্ত হবে না।

সংগঠনের সভাপতি সেলিম রেজা বাবুর সভাপ‌তিত্বে কর্মসুূচিতে আরও উপ‌স্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, বিএনপি'র সহ প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম,গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি আ ন ম খলিলুর রহমান ভিপি ইব্রাহিম। ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আজমল হোসেন পাইলট প্রমুখ।

;

‘আজিজ-বেনজীরকে দিয়ে অসংখ্য অমানবিক কাজ করিয়েছে সরকার’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাবেক সেনাপ্রধান (অব.) আজিজ আহমেদ এবং সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদকে দিয়ে অসংখ্য অমানবিক কাজ করিয়েছে সরকার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শনিবার (২৫ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে লুটপাট, অব্যবস্থাপনা ও সঠিক পরিকল্পনার অভাবে যাত্রাপথে দুঘর্টনায় মৃত্যুর ভয়াবহতা ও জনদুর্ভোগ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আলোচনা সভার আয়োজন করে এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার বাংলাদেশ-এ্যাব ঢাকা সেন্টার।

সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, আজকে দেশে শেখ হাসিনাকে একচেটিয়াভাবে ক্ষমতায় থাকার জন্য কাজ করেছেন সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ। তিনি ২০১৮ সালের মিডনাইট নির্বাচনের আর্কিটেকচার তথা স্থপতি। এভাবে তাকে দিয়ে অসংখ্য অমানবিক কাজ করিয়েছেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় থাকার সকল প্রোটেকশন দিয়েছেন সাবেক সেনাপ্রধান।

অন্যদিকে পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীরের ব্যাংক হিসাব জব্দ এবং অবৈধ সম্পদ বন্ধের নির্দেশ আইওয়াশ ছাড়া কিছুই নয় বলে মনে করেন রিজভী। তিনি বলেন, কদিন পর দেখবেন যে আরেকটি ঘটনা ঘটিয়ে জনদৃষ্টি সেদিকে নিয়ে যাবে। কারণ বেনজীরকে দিয়েও অসংখ্য অমানবিক কাজ করিয়েছে সরকার।

তিনি আরও বলেন, আসলে সরকার চাচ্ছে জাতিকে একটি শৃঙ্খলে আবদ্ধ করতে। আজকে দেশের নাগরিকদের সকল অধিকার হরণ করা হয়েছে। মানুষ যেন একটি বেড়ার মধ্যে বাস করছে। তাদের নিঃশ্বাস নেওয়ার সুযোগ নেই। আমাদের উচিত জনগণের কাছে যাওয়া।

এ্যাব ঢাকা সেন্টারের সিনিয়র সহসভাপতি প্রকৌশলী মো. মোতাহার হোসেনের সভাপতিত্বে এবং প্রকৌশলী শাহীন হাওলাদারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং এ্যাবের সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, এ্যাবের মহাসচিব প্রকৌশলী আলমগীর হাসিন আহমেদ, এ্যাব রুয়েটের সেন্টারের সহসভাপতি প্রকৌশলী এসএম আব্দুর রাজ্জাক, প্রকৌশলী মো. হানিফ, রুহুল আমিন প্রমুখ। এসময় প্রকৌশলী কামরুল হাসান খান সাইফুল, গোলাম রহমান রাজীব, প্রকৌশলী আসিফ হোসেন রচিসহ আনেক প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন। এতে মুল প্রতিপাদ্য উপস্থাপন করেন এ্যাব ঢাকা সেন্টার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. মাহাবুব আলম প্রমুখ।

;

দুর্নীতির আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদেরও বিচার করতে হবে: ১২ দলীয় জোট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

শুধু কয়েকজন ব্যক্তি ও কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিচার করলে হবে না বরং যারা দুর্নীতিবাজদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ও মদদ দেন তাদেরও বিচার করতে হবে।

শ‌নিবার (২৫ মে জাতীয়) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে ‘সীমাহীন লুটতরাজ, দুঃশাসন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, মূল্যস্ফীতি ও আর্থিক অনিয়মের প্রতিবাদ’ শীর্ষক এক বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃ‌ন্দরা এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক মন্ত্রী এবং জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, অতি সম্প্রতি দেশে অনেক ঘটনা ঘটেছে। সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ ও সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীরের অন্যায়-দুর্নীতির ঘটনা সবাই জানেন। কিন্তু আমার প্রশ্ন শুধু তাদের বিচার করলে হবে না। তাদেরকে যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় তাদেরও বিচার করতে হবে। সেজন্য সবাইকে রাজপথে নামতে হবে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটানো সম্ভব। আমি বিশ্বাস করি আমাদের আন্দোলন সফল হবে ইনশাআল্লাহ।

১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ ও অসহায়। তারা এই ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে রক্ষা পেতে চায়। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই সরকারের পতন ঘটানোর লক্ষ্যে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। কোনো দেশের তাবেদারি মেনে নেওয়া হবে না। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করছি।

বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, আজকে বাংলাদেশ ডুবন্ত নৌকায় আসিন। চারিদিকে হাহাকার। আজকে আমাদের গর্বের প্রতিষ্ঠান সেনাবাহিনীকে পঙ্গু করা হচ্ছে। বাহিনীর সাবেক প্রধান আজিজ দুর্নীতির দায়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন। পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীরের দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। মাদক ব্যবসায়ীরা সংসদ সদস্য হচ্ছেন। তাদের দুর্নীতির দায় তো সরকারের ওপর বর্তায়।

তিনি বলেন, আজকে দশ শতাংশের বেশি মূল্যস্ফীতি। ডলার ও রিজার্ভ সংকটের কারণে এটি হয়েছে। এর মধ্যেই রিজার্ভ চুরি হয়েছে। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আমরা ফ্যাসিস্ট ও ভোট ডাকাত আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করতে চাই। একইসঙ্গে প্রতিবেশী দেশের ভেজাল পণ্য বয়কট এবং চলমান আন্দোলনে সকলকে শরিক হওয়ার আহ্বান জানান এহসানুল হুদা।

১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটুর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন , জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নবাব আব্বাস আলী খান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রধান প্রমুখ।

;