জয়ের রূপকল্পেই ঠিক সময়ে ৪র্থ শিল্পবিপ্লবে বাংলাদেশ: তথ্যমন্ত্রী

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের রূপকল্পেই বাংলাদেশ ঠিক সময়ে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে যুক্ত হয়েছে। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাস্তবায়িত হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশ।’

সোমবার (২৭ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টার জন্মদিন উপলক্ষে ‘মুজিব থেকে সজীব’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচনকালে তিনি একথা বলেন। তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা: মুরাদ হাসান, গ্রন্থটির প্রকাশক জয়ীতা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী সাংবাদিক ইয়াসিন কবীর জয় ও প্রচ্ছদশিল্পী শাহরিয়ার খান বর্ণ এসময় বক্তব্য রাখেন। গ্রন্থটির সম্পাদক কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ও পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত অনলাইনে যোগ দেন।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক অবৈতনিক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্পকার, যে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাস্তবে রূপায়িত হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব অর্থাৎ দেশ-সমাজকে ডিজিটালাইজ করা, রোবটিক্স প্রযুক্তি প্রভৃতির প্রয়োগে যোগ দেবার জন্যেই শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নের কথা বলেছিলেন। কারণ প্রথম তিন শিল্পবিপ্লবে আমরা যুক্ত হতে দেরি করেছি। প্রথম শিল্প বিপ্লব বাষ্পীয় ইঞ্জিন আবিষ্কারের প্রায় ১০০ বছর পর, দ্বিতীয় শিল্প বিপ্লব বিদ্যুৎ আবিষ্কারের বেশ কয়েক দশক পর এবং তৃতীয় শিল্প বিপ্লব কম্পিউটার আবিষ্কারেরও বেশ পরে আমরা সেটির সাথে যুক্ত হয়েছিলাম।’

ডিজিটাল বাংলাদেশের শ্লোগান যেখানে আমরা দিয়েছি ২০০৮ সালে, সেখানে ডিজিটাল ভারতের শ্লোগান এসেছে ২০১৪ সালে, এমনকি যুক্তরাজ্যও আমাদেরও কয়েক বছর পর ডিজিটাল দেশ রচনার শ্লোগান দিয়েছিল, বলেন তথ্যমন্ত্রী। অর্থাৎ প্রথম তিনটি শিল্প বিপ্লব আমাদের এই জনপদ পিছিয়ে থাকলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্যপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের মতো আন্তর্জাতিকখ্যাতি সম্পন্ন প্রযুক্তিবিদ ও ভবিষ্যৎদ্রষ্টার কাছ থেকে ধারণা আসার কারণে আমরা ঠিক সময়ে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে বাংলাদেশকে সম্পৃক্ত করতে সক্ষম হয়েছি, বলেন ড. হাছান মাহমুদ।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজকে যখন করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে আমরা আগের মতো চলাচল করতে পারছি না, তখন ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা করা যে কত প্রয়োজন ছিল, সেটি আমরা অনুধাবন করতে পারছি। শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ক্লাস করছে, অনলাইনে ব্যবসা-বাণিজ্য হচ্ছে, ই-ফাইলিংয়ের মাধ্যমে দাপ্তরিক কাজ হচ্ছে। আর ডিজিটাল বাংলাদেশ নাগরিকসেবা একেবারে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা: মুরাদ হাসান তার বক্তৃতায় সজীব ওয়াজেদের প্রতি জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘সজীব ওয়াজেদ জয় যেমন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কারিগর হিসেবে কাজ করেছেন, তেমনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তেও একনিষ্ঠভাবে কাজ করে চলেছেন। আমরা তার সাথে রয়েছি।’

বিজ্ঞাপন

তথ্যমন্ত্রী এসময় ‘মুজিব থেকে সজীব’ গ্রন্থের প্রকাশক, সম্পাদক ও প্রচ্ছদ ও অঙ্গসজ্জাকারসহ এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, জয়ীতা প্রকাশনী দু’টি বই প্রকাশ করার মধ্যদিয়ে এই জন্মদিনকে আরো অর্থবহ করেছে বলে আমি মনে করি। উল্লেখ্য, ১১২ পৃষ্ঠার এ গ্রন্থে দেড় শতাধিক সংবাদচিত্র স্থান পেয়েছে। সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫০তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘সজীব ওয়াজেদ জয় : সমৃদ্ধ আগামীর প্রতিচ্ছবি’ শিরোনামে আরো একটি গ্রন্থ প্রকাশ করেছে জয়ীতা প্রকাশনী।