শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে জয়ের ধারায় ফিরল টাইগাররা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সতীর্থদের সঙ্গে উইকেট উদযাপনে ব্যস্ত মেহেদী হাসান মিরাজ

সতীর্থদের সঙ্গে উইকেট উদযাপনে ব্যস্ত মেহেদী হাসান মিরাজ

  • Font increase
  • Font Decrease

জয় খরায় ভুগছিলেন টাইগাররা। গত দশ ম্যাচ ধরে জয় বঞ্চিত ছিলেন তারা। টেস্ট, ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি তিন সংস্করণেই ব্যর্থতার গল্প লিখে যাচ্ছিল ক্রিকেটাররা। সন্দেহ নেই এ নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে ছিলেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। প্রথম ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কাকে ৩৩ রানে হারিয়ে সেই দুঃস্বপ্নটা ছেড়ে ফেলল তামিম ইকবালরা। অস্বস্তির খোলস ভেঙে বেরিয়ে দেশের দামাল ছেলেরা ভাসল জয়ের রঙিন উচ্ছ্বাসে। দুরন্ত এ জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল টাইগাররা।

শুরুতে ব্যাট হাতে দাপট দেখান তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৬ উইকেটের বিনিময়ে দলকে উপহার দেন ২৫৭ রানে লড়াকু পুঁজি। পরে বোলাররা সারেন বাকি কাজটা। বল হাতে স্পিন বিষ ছড়িয়ে দিনটি নিজের করে নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। একাই শিকার করেন চার উইকেট। সফরকারী শ্রীলঙ্কাকে ধসিয়ে দিতে তার দুরন্ত স্পিন বোলিং পারফরম্যান্সই ছিল যথেষ্ট। সঙ্গে পেস বোলিংয়ে তোপ দাগান মুস্তাফিজুর রহমান নেন তিন উইকেট। তাতেই জয়টা ধরা দিল বহু দিন পর।

তবে বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে স্বাগতিক শিবিরে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। সপ্তম উইকেটে দাসুন শানাকার সঙ্গে ৪৭ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ব্যাট হাতে নিজের ভয়ানক রূপ দেখাতে থাকেন হাসারাঙ্গা। পরে অষ্টম উইকেটে ইসুরু উদানার সঙ্গে ৬২ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ প্রায় বেরই করে ফেলেছিলেন লঙ্কান এ তারকার অলরাউন্ডার। তাকে সেঞ্চুরি বঞ্চিত করে বাংলাদেশের জয়ে দারুণ ভূমিকা রাখেন তরুণ পেসার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। হাসারাঙ্গা ক্রিজে টিকে থাকলে ভিন্ন কিছুই হতে পারত। তবে সে শঙ্কা আর বাধা উতড়ে গেছে টাইগাররা।

৬০ বল খরচায় ৩ বাউন্ডারি ও ৫ ছক্কায় ৭৪ রানের চমৎকার এক ইনিংস খেলে সাইফউদ্দিনের বলে আফিফের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন হাসারাঙ্গা। লঙ্কানদের হয়ে এটাই ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস। হাসারাঙ্গার দুরন্ত ফিফটিতে ৪৮.১ ওভারে ২২৪ রানে গুটিয়ে যায় লঙ্কানরা। ক্যাপ্টেন কুশল পেরেরা দলীয় স্কোরে যোগ করেন ৩০ রান।

ম্যাচ সেরা মুশফিকুর রহিম: ৮৪

তার আগে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪০তম হাফ-সেঞ্চুরিকে শতকে রূপ দিতে পারেননি ম্যাচসেরা মুশফিক। ৮৭ বলে ৪ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৮৪ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলে বিদায় নেন তিনি। তিন অঙ্কের জাদকুরী অঙ্ক থেকে তাকে বঞ্চিত করেন লক্ষ্মণ সান্দাকান। তার বলে মুশফিকের ক্যাচ তুলে নেন ইসুরু উদানা। তবে ফেরার আগে মুশফিক পঞ্চম উইকেটে ১০৯ রানের পার্টনারশিপ গড়েন মাহমুদউল্লাহ’র সঙ্গে।

মুশফিক বিদায় নিলেও দাপুটে ব্যাটিংয়ে তার সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ফিফটি হাঁকান। এটি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২৪তম ফিফটি। ৭৬ বলে ২ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় দলীয় স্কোরে ৫৪ রান যোগ করে ফিরেন অলরাউন্ডার রিয়াদ। ২৭* রানে অপরাজিত থেকে যান ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নামা তরুণ অলরাউন্ডার আফিফ হোসেন।

১৪ হাজার রানের ক্লাবে নাম লিখেছেন তামিম ইকবাল

দুর্বার ব্যাটিংয়ে চমৎকার এক ফিফটি হাঁকানোর পর ব্যাট হাতে উইকেটে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তামিম ইকবাল। ৭০ বল খরচায় ৬ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৫২ রান সংগ্রহ করে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে পা দিয়ে ফেরেন এ তারকা ওপেনার। রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি। তবে ক্রিকেটের তিন সংস্করণ মিলিয়ে ১৪ হাজার রান সংগ্রহের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তামিম। একদিনের ক্রিকেটে এটি তার ৫১তম হাফ-সেঞ্চুরি।

পরের বলে মিঠুনকে শূন্য রানে আউট করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে ছিলেন ধনাঞ্জয়া। ২৩তম ওভারের শেষ দুই বলে উইকেট দুটি নেন ধনাঞ্জয়া। কিন্তু মুশফিকের দৃঢ়তায় সেটা আর সম্ভব হয়নি। ধনাঞ্জয়ার পরের ওভারের প্রথম বলে এক রান নেন মুশফিক। তবে তিনটি উইকেট পান ধনাঞ্জয়া।

পঞ্চম উইকেটে ১০৯ রানের পার্টনারশিপ গড়েন মাহমুদউল্লাহ-মুশফিক

পছন্দের তিন নম্বর ব্যাটিং পজিশনে ব্যাট হাতে নেমেও বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান আলো ছড়াতে পারেননি। প্রিয় দলকে উপহার দিতে পারেননি বড় ইনিংস। দানুশকা গুনাথিলাকার বলে পাথুম নিসানকার হাতে ক্যাচ দিয়ে মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার আগে সাকিব দলীয় স্কোরে যোগ করেন মাত্র ১৫ রান। তবে বল হাতে এক উইকেট নিয়ে স্বীকৃত ক্রিকেটে ১০০০ উইকেট শিকারের মাইলফলক ছুঁয়েছেন এ ক্রিকেট মহাতারকা।

শ্রীলঙ্কাকে ধরাশায়ী করে ১০ পয়েন্ট পেল বাংলাদেশ। আইসিসি বিশ্বকাপ সুপার লিগে চার নম্বরে উঠে গেল বাংলাদেশ। সাত ম্যাচে চার জয়ে টাইগারদের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে এখন ৪০ পয়েন্ট। শীর্ষ তিনে থাকা ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহও লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের সমান। তবে নেট রান রেটে এগিয়ে তারা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ২৫৭/৬, ৫০ ওভার (মুশফিক ৮৪, তামিম ৫২, মাহমুদউল্লাহ ৫৪, আফিফ ২৭*, সাকিব ১৫ ও সাইফউদ্দিন ১৩*; ধনাঞ্জয়া ৩/৪৫)।

শ্রীলঙ্কা: ২২৪/১০, ৪৮.১ ওভার (হাসারাঙ্গা ৭৪, পেরেরা ৩০, মেন্ডিস ২৪, গুনাথিলাকা ২১, উদানা ২১ ও শানাকা ১৪; মিরাজ ৪/৩০, মুস্তাফিজ ৩/৩৪, সাইফউদ্দিন ২/৪৯ ও সাকিব ১/৪৪)।

ফল: বাংলাদেশ ৩৩ রানে জয়ী।

ম্যাচসেরা: মুশফিকুর রহিম।

সিরিজ ফল: তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে।

   

মুম্বাইয়ের দুঃখ বাড়িয়ে দিল্লির রোমাঞ্চকর জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আরেকটি অবিশ্বাস্য রান তাড়া প্রায় দেখেই ফেলেছিল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। তবে দিল্লি ক্যাপিটালসের দেয়া ২৫৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ১০ রান দূরে থামায় আর তা হয়নি।

দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে দিল্লি-মুম্বাই ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চলেছে ব্যাটারদের রাজত্ব। যেটাকে এবারের আইপিএলের থিম বললেও ভুল হবে না। দিল্লির ওপেনার জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাগার্কের তাণ্ডবে শুরু হয়েছিল ম্যাচ। ২৭ বলে ৮৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে দিল্লিকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন এই অজি ব্যাটার।

ট্রিস্টান স্টাবস, শাই হোপরা তার দেখানো পথেই ধুন্ধুমার ব্যাটিং করেছেন। ২৫ বলে ৬ চার এবং ২ ছয়ে ৪৮ রানে অপরাজিত ছিলেন স্টাবস, আর ৫ ছক্কায় ৪১ রান করে থামেন হোপ। তাদের মারকাটারি দিল্লির রান পৌঁছে যায় ২০ ওভারে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২৫৭ পর্যন্ত।

জবাব দিতে নেমে মুম্বাইয়ের শুরুটা হয় তুলনামূলক ধীরগতির। পাওয়ার প্লে’তে ৬৫ রান তুলতেই সাজঘরে ফেরেন রোহিত শর্মা, ঈশান কিষাণ ও সূর্যকুমার যাদব।

এরপর মুম্বাইয়ের ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া ও তিলক বর্মা। তাদের ৩৯ বলে ৭১ রানের ঝোড়ো জুটিতে রান তাড়ায় ছন্দ খুঁজে পায় মুম্বাই। হার্দিক ২৯ বলে ৪৬ রান করে ফেরার পর টিম ডেভিডের সঙ্গেও আরেকটা ভালো জুটি গড়ে তোলেন তিলক। তাদের জুটিতে আসে ৭০ রান। মুম্বাইয়ের সমর্থকরাও আশায় বুক বাঁধেন।

তবে ১৮তম ওভারে মুকেশ কুমারের বলে ৩৭ রান করা ডেভিড লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়লে কাজটা কঠিন হয়ে যায়। সমান চারটি করে চার-ছয়ে ৩২ বলে ৬৩ রান তোলা তিলক রানআউট হলে জয়ের স্বপ্ন আরও ফিকে হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৪৭ রানে ক্ষান্ত হয় মুম্বাইয়ের প্রচেষ্টা।

এই জয়ে ১০ ম্যাচ থেকে ১০ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে উঠে এসেছে দিল্লি। আর ৯ ম্যাচে ষষ্ঠ হার নিয়ে নয় নম্বরেই ধুঁকছে মুম্বাই।

;

লিভারপুলের হতাশার ড্রয়ে উত্তাপ ছড়াল ক্লপ-সালাহর ঝগড়া



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মোহাম্মদ সালাহ মাঠে নামার ঠিক আগে লিভারপুলের ডাগআউটে দেখা গেল এক বিচিত্র দৃশ্য। বিদায়ী কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের সঙ্গে বচসায় লিপ্ত সালাহ। বাকবিতণ্ডা এতটাই চরমে পৌঁছে যে এক পর্যায়ে ডারউইন নুনিয়েজ এবং জো গোমেজ সালাহকে নিবৃত্ত করেন। লিভারপুলের মাঠের দুর্যোগের একটা প্রতীকী দৃশ্য হিসেবেই ধরা দেয় সালাহ-ক্লপের এই বচসার ঘটনা। শিরোপার দৌড় থেকে ক্রমেই ছিটকে পড়া লিভারপুল আজ ড্র করেছে ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে, ২-২ গোলে।

ওয়েস্ট হ্যামের মাঠে প্রথমার্ধটা পিছিয়ে থেকেই শেষ করতে হয়েছিল লিভারপুলকে। ৪০ মিনিটে লুইস দিয়াজ ওয়েস্ট হ্যামের পোস্ট কাঁপানোর মিনিট তিনেক পরেই গোল পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। লুকাস পাকেতার নেয়া শর্ট কর্নার থেকে বল আয়ত্তে নিয়ে বক্সের ভেতর ক্রস বাড়ান মোহাম্মদ কুদুস। সে ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে ওয়েস্ট হ্যামকে এগিয়ে দেন জ্যারড বোয়েন।

সে গোলে পিছিয়ে থাকা লিভারপুল বিরতির পরপরই সমতা ফেরায়। দারুণ একটা আক্রমণ থেকে রবার্টসনের উদ্দেশে বল বাড়ান দিয়াজ। দ্রুততার সঙ্গে শট নিয়ে লিভারপুলকে ম্যাচে ফেরান স্কটিশ ফুলব্যাক রবার্টসন।

৬৫ মিনিটে লন্ডন স্টেডিয়ামকে স্তব্ধ করে দিয়ে এগিয়ে যায় লিভারপুল। কোডি গাকপোর ভলি শট ওয়েস্ট হ্যাম ডিফেন্ডার অ্যাঞ্জেলো ওগবনার গায়ে লেগে গোলের দিকে চলে যায়। গোলকিপার আলফসে আরিওলা সেটা ঠেকাতে গিয়েও পারেননি।

তবে এই লিড ধরে রাখতে পারেনি লিভারপুল। বুদ্ধিদীপ্ত ফ্রি হেডারে ৭৭ মিনিটে ওয়েস্ট হ্যামকে সমতায় ফেরান মিখাইল আন্টোনিও। শেষ বাঁশি পর্যন্ত এই সমতা বজায় থাকলে হতাশা নিয়েই লন্ডন থেকে ফিরতে হয় ক্লপের লিভারপুলকে।

এই ড্রয়ের ফলে শীর্ষে থাকা আর্সেনালের (৭৭) চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলেও ২ পয়েন্ট কম নিয়ে তিনে লিভারপুল (৭৫)। আর দুইয়ে লিভারপুলের চেয়ে দুই ম্যাচ কম খেলা ম্যানচেস্টার সিটি (৭৬)।

;

স্কুল ক্রিকেটের সেরা ১৫ জন পেলেন শিক্ষাবৃত্তি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বছর দুয়েক আগে জাতীয় স্কুল ক্রিকেটের সেরা ১৫ ক্রিকেটারকে শিক্ষাবৃত্তি দেয়ার উদ্যোগ নেয় প্রাইম ব্যাংক। সে ধারাবাহিকতায় এবারও বিসিবির স্কুল ক্রিকেটের সবচেয়ে প্রতিভাবান ১৫ ক্রিকেটারের হাতে শিক্ষাবৃত্তি তুলে দিয়েছে তারা।

আজ (শনিবার) ২০২২-২৩ মৌসুমের সেরা ১৫ ক্রিকেটারকে শিক্ষাবৃত্তি হিসেবে ৬০ হাজার টাকা তুলে দেন প্রাইম ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজিম এ. চৌধুরী। বৃত্ত প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিসিবির পরিচালক ও গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন ও পরিচালক ফাহিম সিনহা।

স্কুল ক্রিকেটের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য প্রাইম ব্যাংককে ধন্যবাদ জানিয়ে খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘স্কুল ক্রিকেটে অনেক প্রতিভা আছে। আমরা তাদেরকে তুলে এনে পরিচর্যা করি। তাদের মধ্যে থেকে কয়েকজনকে বয়সভিত্তিক দলে পাচ্ছি। এছাড়া বাকিরা কিন্তু বিভাগীয় দলগুলোতে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে খেলছে।' 

দেশের ক্রিকেটের অন্যতম বড় পরিসরের আয়োজন স্কুল ক্রিকেটের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ২০১৫ সাল থেকে যুক্ত হয়েছে প্রাইম ব্যাংক। দেশের প্রায় ১২ হাজার শিশু-কিশোর ক্রিকেটারকে নিয়ে আয়োজিত হয় স্কুল ক্রিকেট।

;

বুমরাদের ধুলায় মিশিয়ে রানপাহাড়ে দিল্লি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলে রানের ফোয়ারা ছুটছে। টি-টোয়েন্টিতে যেখানে কিছুদিন আগেও দুইশ রানকে বড়সড় সংগ্রহ ভাবা হত, সেই দুইশ রান বা তারও বেশি আড়াইশ ছাড়ানো স্কোরও এখন হাতে মোয়া। গত রাতেই যেমন টি-টোয়েন্টিতে ২৬২ রানের বিশ্বরেকর্ড রানতাড়ার কীর্তি দেখাল পাঞ্জাব কিংস। এবার নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়ল দিল্লি। ঘরের মাঠে বুমরাদের ধুলায় মিশিয়ে ৪ উইকেটে ২৫৭ রানের পাহাড় গড়েছে তারা।

দিল্লীর অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টসে জিতে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় মুম্বাই। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই ঝড় তোলে দিল্লীর দুই ওপেনার জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাগার্ক ও অভিষেক পোরেল। দুজনের মধ্যে মুম্বাইয়ের বোলারদের উপর বেশি চড়াও হন ফ্রেজার-ম্যাগার্ক। ইনিংসের প্রথম ওভারেই লুক উডকেই ছাতু বানিয়ে ১৯ রান তোলেন তিনি।

মাত্র ১৫ বলেই অর্ধশত রানের মাইলফলকে পৌঁছান। তার তাণ্ডবে পাওয়ার প্লে’তে বিনা উইকেটে ৯২ রান স্কোরবোর্ডে জমা করে দিল্লি।

ফ্রেজার-ম্যাগার্ক যখন দুর্দান্ত গতিতে ছুটছেন তিন অঙ্কের দিকে, তখন তার সামনে অভিজ্ঞ স্পিনার পীযুষ চাওলা। তার গুগলিতে ডিপ মিডউইকেটে থাকা মোহাম্মদ নবীর হাতে ধরা পড়েন ফ্রেজার-ম্যাগার্ক। ফেরার আগে ২৭ বলে ১১ চার এবং ৬ ছক্কায় ৮৪ রান আসে তার ব্যাটে।

ফ্রেজার-ম্যাগার্ক সাজঘরের পথ ধরার পর কিছুটা শ্লথ হয় দিল্লীর রান তোলার গতি। নবীর করা দশম ওভারের চতুর্থ বলে স্টাম্পড হন অন্য ওপেনার অভিষেক (৩৬)।

তবে তিনে নামা ক্যারিবিয়ান ব্যাটার শাই হোপের ব্যাটে আবার ছন্দ খুঁজে পায় তারা। ১৭ বলে ৫ ছক্কায় ৪১ রান করেন তিনি। শেষদিকে ট্রিস্টান স্টাবসের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে আড়াইশ ছাড়িয়ে যায় দিল্লীর সংগ্রহ। ২৫ বলে ৬ চার এবং ২ ছয়ে ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন স্টাবস।

মুম্বাইয়ের বোলারদের মধ্যে ৪ উইকেট ভাগাভাগি করে নিয়েছেন নবী, জশপ্রীত বুমরা, পীযুষ এবং লুক উড।

;