লিভারপুলের হতাশার ড্রয়ে উত্তাপ ছড়াল ক্লপ-সালাহর ঝগড়া



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মোহাম্মদ সালাহ মাঠে নামার ঠিক আগে লিভারপুলের ডাগআউটে দেখা গেল এক বিচিত্র দৃশ্য। বিদায়ী কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের সঙ্গে বচসায় লিপ্ত সালাহ। বাকবিতণ্ডা এতটাই চরমে পৌঁছে যে এক পর্যায়ে ডারউইন নুনিয়েজ এবং জো গোমেজ সালাহকে নিবৃত্ত করেন। লিভারপুলের মাঠের দুর্যোগের একটা প্রতীকী দৃশ্য হিসেবেই ধরা দেয় সালাহ-ক্লপের এই বচসার ঘটনা। শিরোপার দৌড় থেকে ক্রমেই ছিটকে পড়া লিভারপুল আজ ড্র করেছে ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে, ২-২ গোলে।

ওয়েস্ট হ্যামের মাঠে প্রথমার্ধটা পিছিয়ে থেকেই শেষ করতে হয়েছিল লিভারপুলকে। ৪০ মিনিটে লুইস দিয়াজ ওয়েস্ট হ্যামের পোস্ট কাঁপানোর মিনিট তিনেক পরেই গোল পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। লুকাস পাকেতার নেয়া শর্ট কর্নার থেকে বল আয়ত্তে নিয়ে বক্সের ভেতর ক্রস বাড়ান মোহাম্মদ কুদুস। সে ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে ওয়েস্ট হ্যামকে এগিয়ে দেন জ্যারড বোয়েন।

সে গোলে পিছিয়ে থাকা লিভারপুল বিরতির পরপরই সমতা ফেরায়। দারুণ একটা আক্রমণ থেকে রবার্টসনের উদ্দেশে বল বাড়ান দিয়াজ। দ্রুততার সঙ্গে শট নিয়ে লিভারপুলকে ম্যাচে ফেরান স্কটিশ ফুলব্যাক রবার্টসন।

৬৫ মিনিটে লন্ডন স্টেডিয়ামকে স্তব্ধ করে দিয়ে এগিয়ে যায় লিভারপুল। কোডি গাকপোর ভলি শট ওয়েস্ট হ্যাম ডিফেন্ডার অ্যাঞ্জেলো ওগবনার গায়ে লেগে গোলের দিকে চলে যায়। গোলকিপার আলফসে আরিওলা সেটা ঠেকাতে গিয়েও পারেননি।

তবে এই লিড ধরে রাখতে পারেনি লিভারপুল। বুদ্ধিদীপ্ত ফ্রি হেডারে ৭৭ মিনিটে ওয়েস্ট হ্যামকে সমতায় ফেরান মিখাইল আন্টোনিও। শেষ বাঁশি পর্যন্ত এই সমতা বজায় থাকলে হতাশা নিয়েই লন্ডন থেকে ফিরতে হয় ক্লপের লিভারপুলকে।

এই ড্রয়ের ফলে শীর্ষে থাকা আর্সেনালের (৭৭) চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলেও ২ পয়েন্ট কম নিয়ে তিনে লিভারপুল (৭৫)। আর দুইয়ে লিভারপুলের চেয়ে দুই ম্যাচ কম খেলা ম্যানচেস্টার সিটি (৭৬)।

   

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার চেয়ে হারলে বেশি লাভ ডর্টমুন্ডের!



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শিরোনাম ভুল পড়েননি আপনি, ঘটনা আসলেই তাই। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা নিজেদের ঘরে আনার চেয়ে রিয়াল মাদ্রিদের ঘরে গেলে বেশি ‘লাভবান’ হবে এই জার্মান ক্লাব।

জার্মান দৈনিক রুর নাখরিখটেন জানাচ্ছে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতলে ২ কোটি ইউরো প্রাইজমানি পাবে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। কিন্তু যদি হেরে যায় তাহলে তাদের পকেটে ঢুকবে আড়াই কোটি ইউরো। 

কীভাবে?

চলতি মৌসুমে ডর্টমুন্ড ছেড়ে রিয়ালে পাড়ি জমিয়েছে ইংলিশ তারকা জুড বেলিংহ্যাম। প্রায় ১০৩ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে তাকে দলে ভিড়িয়েছে লস ব্লাঙ্কোসরা, সঙ্গে ক্লাবে তার বিভিন্ন অর্জন সাপেক্ষে মোটা অঙ্কের বোনাসের প্রতিশ্রুতিও দেয়া আছে।

রুর নাখরিখটেনের খবর, বেলিংহ্যামের দলবদলের চুক্তিতে উল্লেখ আছে রিয়ালের জার্সিতে যদি এই মিডফিল্ডার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতেন তাহলে আড়াই কোটি ইউরো বোনাস পাবে ডর্টমুন্ড। এছাড়াও যদি চ্যাম্পিয়ন্স অফিসিয়ান মৌসুম সেরা দলে সুযোগ হয় বেলিংহ্যামের, তাহলে আরও ২০ লাখ ইউরো পাবে ডর্টমুন্ড।

তাই আর্থিকভাবে ডর্টমুন্ডের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার চেয়ে হারাটাই বেশি ‘লাভজনক’।

আগামী ১ জুন বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টায় লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স ফাইনালে মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ ও ডর্টমুন্ড। ১৫তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপার জন্য ঝাঁপাবে রিয়াল, আর ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমের পর দ্বিতীয়বার ইউরোপীয় শ্রেষ্ঠত্বের স্বাদ পেতে চাইবে জার্মান জায়ান্ট ডর্টমুন্ড।

;

বিশ্বকাপের আগে কোচ চায় ভারত, আবেদন করতে পারবেন দ্রাবিড়ও!



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের অন্যতম খ্যাতনামা ক্রিকেটার রাহুল দ্রাবিড়কে প্রধান কোচের ভূমিকায় বসিয়ে যান তখনকার বোর্ড প্রধান সৌরভ গাঙ্গুলী। ২০২১ সালের নভেম্বরে ভারতের প্রধান কোচের ভূমিকায় বসার পর একমাত্র এশিয়া কাপ ব্যতীত আর কোনো শিরোপা এনে দিতে পারেননি তিনি। স্বাভাবিকভাবেই তাই তার সঙ্গে নতুন করে আর চুক্তিতে যেতে চাচ্ছে না ভারত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেই নতুন কোচ নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে বিসিসিআই।

সবশেষ ভারত বিশ্বকাপেই মেয়াদ শেষ হয়েছিল দ্রাবিড়ের। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সামনে নতুন করে আর কাউকে নিয়োগ দেয়নি ভারত। দ্রাবিড়কে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত রেখে দেওয়া হয়। সেই বিশ্বকাপের পরই মেয়াদ শেষ তার। তখন নতুন কোচ চায় ভারতের। আর সেই কাজটি এগিয়ে রাখতে চাইছে বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ। তবে নতুন মেয়াদের দ্রাবিড়ের কোচ হওয়ার সুযোগ আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

জয় শাহ বলেন, ‘আমরা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কোচ নিয়োগের আবেদনের জন্য আহ্বান জানাব। কেননা, রাহুলের মেয়াদ জুনেই শেষ হচ্ছে। তবে তিনি যদি আবেদন করতে চান, তাহলে তিনিও করতে পারেন।’ প্রধান কোচের সহকারী হবে কারা সেটি নিয়েও ভেবে রেখেছে বিসিসিআই। নতুন প্রধান কোচের সঙ্গে আলোচনা করেই কোচিং স্টাফের বাকি সদস্যদের চূড়ান্ত করতে চায় বিসিসিআই।

নতুন কোচ হিসেবে বিদেশী কারো আসার সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দিচ্ছেন না জয় শাহ। তিনি বলেন, ‘নতুন কোচ দেশীয় হবেন না বিদেশী কেউ হবেন তা আমরা এখনই বলতে পারছি না। ওটা ক্রিকেট অ্যাডভাইজরি কমিটির ওপর নির্ভর করছে।’ ভিন্ন ভিন্ন ফরম্যাটের জন্য ভিন্ন কোচের ইঙ্গিতও দিচ্ছে বিসিসিআই।

;

শান্তদের নজর এবার হোয়াইটওয়াশে



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজটা চট্টগ্রামেই নিশ্চিত করে ঢাকায় ফিরেছে শান্ত-হৃদয়রা। শুরুর তিন ম্যাচের তিনটিতেই জিতে ব্যবধানটা এখন ৩-০। এতে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে স্বাগতিকদের লক্ষ্য এবার হোয়াইটওয়াশে, দেশের প্রেক্ষাপটে যেটিকে অনেক বাংলাওয়াশ নামেই চেনে। 

সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ ঢাকায়, মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে। যেখানে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে আজ (শুক্রবার) মাঠে নামবে দুই দল। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায়। 

এদিকে সিরিজের শেষ দুই ম্যাচের দলে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান ও সৌম্য সরকার। এতে জায়গা হারিয়েছেন সিরিজে কোনো ম্যাচ না খেলা পারভেজ হোসেন ইমন ও আফিফ হোসেন, শেষ দুই ম্যাচে বিশ্রাম পেয়েছেন পেসার শরিফুল ইসলাম। 

সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে যথাক্রমে ৮ ও ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে জিতেছেন বাংলাদেশ। পরের তৃতীয় ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে ১৬৬ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দাঁড় করায় স্বাগতিকরা। সেখানে আরও একবার জিম্বাবুয়ের টপ-অর্ডারদের ব্যর্থতার দিনে টেল-অ্যান্ডাররা দেখান দৃঢ়তা। এতে একসময় হারের শঙ্কা জাগলেও শেষ পর্যন্ত ৯ রানে জিতে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজটা নিজেদের করেন নেয় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। 

দলে পরিবর্তন আসার এদিন একাদশে একাধিক পরিবর্তনের রয়েছে সম্ভাবনা। আগের তিন ম্যাচে ছন্দহীন ব্যাটিংয়ে জায়গা হারাতে পারেন লিটন দাস, তার পরিবর্তে একাদশে দেখা মিলতে পারে সৌম্য সরকারের। এদিকে সাকিবসহ মুস্তাফিজকেও দেখা যেতে পারে একাদশে। এতে জায়গা হারাতে পারেন তানভীর ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব। 

চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী অনিক, রিশাদ হোসেন, সাইফ উদ্দিন, তাসকিন আহমেদ মুস্তাফিজুর রহমান। 

;

কিউইদের বিশ্বকাপ দলে জায়গা না পেয়ে অবসরের ঘোষণা মানরোর 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০১৬ সালের জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে স্রেফ ১৪ বলে ফিফটি হাঁকিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের কলিন মানরো। যা কিউইদের স্বল্প ফরম্যাটে ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কম বলে ফিফটির কীর্তি এবং বিশ্ব দরবারের যেটি যৌথভাবে চতুর্থ দ্রুততম। পরে ২০১৮ সালে ওয়ানডেতে ৪৭ বলে করেছিলেন সেঞ্চুরি। যেটি সেই সময়ে কোনো কিউই ব্যাটারের দ্রুততম ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল।  

বিশ্বজুড়ে ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও নিয়মিত মুখ তিনি। তবে ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই সবার নজরকাড়া এই বাঁহাতি ব্যাটার আন্তর্জাতিক সবশেষ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে খেলেছেন আন্তর্জাতিক ম্যাচে। আগামী মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে চার বছর চার মাস পর জাতীয় দলের ফেরার আশায় ছিলেন মানরো। তবে দুই সপ্তাহ আগে ঘোষণা করা কিউইদের বিশ্বকাপ দলে জায়গা হয়নি তার। আর এতেই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানার ঘোষণা দিলেন এই ৩৭ বছর বয়সী ক্রিকেটার। 

বিশ্বকাপের দল ঘোষণার আগে নিউজিল্যান্ড কোচ গ্যারি স্টিড জানিয়েছিলেন, দল বাছাইয়ের আলোচনায় আছে মানরো। তবে শেষ পর্যন্ত দলে জায়গা হয়নি তার। 

১টি টেস্ট, ৫৭টি ওয়ানডে ও ৬৫টি মিলিয়ে কিউইদের হয়ে মোট ১২৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন মানরো। ২০১২ সালে শুরু হওয়া ক্যারিয়ারটা শেষ করলেন এক যুগ পরে এসে। নিজের বিদায়ী ঘোষণায় মানরো বলেন, ‘ব্ল্যাক ক্যাপদের হয়ে খেলাটা আমার ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় অর্জন। সেই জার্সি পরার চেয়ে অন্য কিছুতে আমি এতো গর্ববোধ করিনি।’

জাতীয় দলে ফেরার আশায় অনেকদিন ধরেই ছিলেন তিনি। বিশ্বকাপ দলে জায়গা না পেয়ে কোনো আক্ষেপের কথা শোনাননি, তবে অবসর নেওয়ার সঠিক সময়টা এখনই বলে মনে করছেন মানরো।, ‘যদিও জাতীয় দলের হয়ে অনেক দিন খেলা হয়নি। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি টিটোয়েন্টির ফর্ম দিয়ে জাতীয় দলে ফেরার আশা আমি কখনোই ছাড়িনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে এই অধ্যায়টা আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে দেওয়ার এখনই সঠিক সময়।’ 

তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ৩০১০ রান করেছেন মানরো। যার মধ্যে ১৯টি ফিফটি ছাড়াও আছে তিনটি সেঞ্চুরি। সেই তিনটি সেঞ্চুরিই হাঁকিয়েছেন টি-টোয়েন্টিতে। এমনকি কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির মালিকও তিনিই। মানরো ২০১৪ ও ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ছাড়াও খেলেছেন ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে। সেবার নাটকীয় ফাইনাল হেরে রানার্স-আপ হয়েছিল নিউজিল্যান্ড। 

;