ধনাঞ্জয়াকে ফেরালেন সাকিব, চাপে শ্রীলঙ্কা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সাকিব আল হাসান

সাকিব আল হাসান

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণি জাদুতে আরও একটি উইকেট নিলেন সাকিব আল হাসান। ক্রিকেট মহাতারকা এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে ফেলেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে। তারকা এ অলরাউন্ডারকে হারিয়ে চাপে পড়ে গেছে অতিথি শ্রীলঙ্কা।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৮ ওভার শেষে ১০২ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে সফরকারী শ্রীলঙ্কা। উইকেটে আছেন এখন আসেন বান্দারা ও দাসুন শানাকা।

উইকেট শিকারীর তালিকায় নাম লেখান মেহেদী হাসান মিরাজও। প্রথম ম্যাচে বল হাতে আলো ছড়ানো তারকা এ স্পিনারের এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে শিকার হন কুশল মেন্ডিস। ফেরার আগে লঙ্কান দলীয় স্কোরে তিনি যোগ করেন ১৫ রান।

তার আগে স্পিন জাদু দেখান সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার বিদায় করে দেন পাথুম নিসানকাকে। ২০ রান নিয়ে তিনে নামা নিসানকা ক্যাচ তুলে দেন তামিম ইকবালের হাতে। উইকেট পান মুস্তাফিজুর রহমানও। তারকা এ টাইগার পেসার ফেরালেন দানুশকা গুনাথিলাকাকে। ২৪ রান করে মুস্তাফিজের বলে সাকিব আল হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন এ লঙ্কান ওপেনার।

আর শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইন-আপে প্রথম আঘাত হানেন শরিফুল ইসলাম। তরুণ এ পেসার অভিষেক ম্যাচের তৃতীয় ওভারেই পান উইকেটের দেখা। শরিফুলের বলে তামিম ইকবালের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লঙ্কান ক্যাপ্টেন কুশল পেরেরা। ওপেনিংয়ে নেমে তিনি সংগ্রহ করেন ১৪ রান।

ব্যাটিংয়ের সময় মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের হেলমেটে আঘাত করে বল। তরুণ এ অলরাউন্ডার চলে গেছেন হাসপাতালে। তার কনকাশন বদলি হিসেবে লঙ্কানদের বিপক্ষে বোলিং করে যাচ্ছেন এখন তাসকিন আহমেদ।

মুশফিকুর রহিমের অসাধারণ সেঞ্চুরিতে মিরপুরে টস জিতে শুরু ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ গড়েছে ২৪৬ রানের পুঁজি।

   

অপরাজিত থাকার রেকর্ড ধরে রাখল লেভারকুসেন



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বুন্দেসলিগার শিরোপা নিশ্চিত হয়েছে আরও আগেই। লিগ জয়ের উদযাপনও অনেকাংশেই শেষ করে রেখেছে বায়ার লেভারকুসেন। তবে এবার ইতিহাস গড়ার দিকেই যেন নজর তাদের। গতরাতে স্টুটগার্ডের সঙ্গে ২-২ গোলের সমতায় ম্যাচ শেষ করে এমনটাই আভাস দিয়েছে লেভারকুসেন।

এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই কিছুটা চাপে ছিল স্বাগতিকরা। ফলস্বরূপ প্রথমার্ধে একের অধিক আক্রমণের শিকার হয় তারা। যদিও গোল দিতে ব্যর্থ হয় স্টুটগার্ড। তবে বিরতির পর মাঠে নেমেই দশ মিনিটের ব্যবধানে দুটি গোল হজম করে বসে লেভারকুসেন।

তবে পরপর কয়েক ম্যাচে নিজেদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিয়ে ম্যাচে ফেরত এসেছে লেভারকুসেন এই নজির তো আছেই। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। ৬১তম মিনিটে দলের হয়ে প্রথম গোলটি করেন আমিনে আডলি। ম্যাচের শেষ বাঁশি যেকোনো সময়ে বেজে উঠবে, হার নিয়ে মাঠ ছাড়বে লেভারকুসেন তা যখন অনেকেই নিশ্চিত, ঠিক তখনই চমক দেখাল তারা!

যোগ করা সময়ে (৯৬ তম মিনিটে) সমতাসূচক গোলটি দিয়ে পুরো গ্যালারিতে উল্লাসের জন্ম দেন রবার্ট আন্ড্রিক। এই ড্রয়ের সঙ্গে লেভারকুসেনের চলতি মৌসুমে অপরাজিত থাকার রেকর্ডটিও তারা ধরে রাখল। লিগের আর মাত্র তিনটি ম্যাচ বাকি জাবি আলোনসোর দলের। এর একটি ম্যাচও না হেরে শেষ করতে পারলেই লেভারকুসেন গড়বে ইতিহাস।

;

মেসির জোড়া গোল ও অ্যাসিস্টে জিতল মায়ামি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইন্টার মায়ামির হয়ে যে ম্যাচেই মাঠে নেমেছেন, তাদের জয়ে ভূমিকা রেখেছেন। প্রায় প্রতি ম্যাচেই দলের হয়ে গোল করছেন অথবা করাচ্ছেন লিওনেল মেসি। গতরাতে মেজর লিগ সকারের ম্যাচে নিউ ইংল্যান্ডকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে ইন্টার মায়ামি, যেখানে জোড়া গোল আদায় করা ছাড়াও একটি গোলে অ্যাসিস্টও করেছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী এই মহাতারকা।

এদিন ম্যাচের একদম শুরুতেই ধাক্কা খেয়ে বসে ইন্টার মায়ামি। প্রথম মিনিটেই গোল হজম করে তারা। এরপর পরিস্থিতি সামাল দিয়ে আক্রমণের সুযোগ তৈরি করতে থাকে মায়ামি, একের পর এক বেশকিছু আক্রমণ চালায় মেসির দল। তবে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পাচ্ছিল না তারা।

৩১তম মিনিটে মায়ামির হয়ে প্রথম গোলটি করেন মেসি। বিরতির পর যেন আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে গোলাপী জার্সিধারীরা। ৬৭তম মিনিটে সাবেক বার্সা সতীর্থ সার্হিও বুস্কেটসের দুর্দান্ত এক পাস থেকে নিখুঁত ফিনিশ করেন মেসি, পেয়ে যান ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল।

ম্যাচের শেষভাগে যেয়ে ৮৩ তম মিনিটে মায়ামির হয়ে ব্যবধান বাড়ান বেঞ্জামিন ক্রেমাসকি। তবে মেসি একাই গোল করবেন কিন্তু সতীর্থ কাউকে দিয়ে গোল করাবেন না সে ঘটনা বিরল। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার মিনিট দুয়েক আগে পুরোনো বন্ধু লুইস সুয়ারেজকে বাড়িয়ে দেন বল, ঠান্ডা মাথায় শট নিয়ে বল জালে জড়ান উরুগুইয়েন তারকা স্ট্রাইকার।

মেসি নৈপুণ্যে আরও একটি জয় তুলে নিল ইন্টার মায়ামি। এই জয়ের পর মেজর লিগ সকারের পয়েন্ট টেবিলের ইস্টার্ন কনফারেন্সে শীর্ষে আছে মায়ামি। ১১ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট তাদের।

;

লক্ষ্ণৌকে হারিয়ে শীর্ষেই রাজস্থান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘরের মাঠে শীর্ষে থাকা রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে শনিবার রাতে খেলতে নেমেছিল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। যেখানে নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে লক্ষ্ণৌ, ৭ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে রাজস্থান তাদের শীর্ষস্থান দাপটের সঙ্গেই ধরে রাখল।

এদিন টসে জিতে শুরুতে লক্ষ্ণৌকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় রাজস্থান। শুরুতেই স্বাগতিকদের ওপেনার কুইন্টন ডি কক ফিরে গেলেও ব্যাট হাতে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন অধিনায়ক কে এল রাহুল। ৪৮ বলে ৭৬ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। এছাড়াও দিপাক হুদার ৩১ বলে ৫০ রানের ইনিংসটিও দলের রানের পাল্লা ভারি করতে সহায়তা করেছে। নির্ধারিত ওভার শেষে লক্ষ্ণৌয়ের দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৯৬ রানে।

জবাবে ব্যাট হাতে নেমে সাবলীল খেলা দেখাতে থাকেন রাজস্থানের দুই ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল ও জশ বাটলার। তবে দলীয় ৬০ রানে ভাঙ্গে এই জুটি। এরপর উইকেটে নামা অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসন বরাবরের মতো গতরাতেও ছিলেন দুর্দান্ত। শেষ পর্যন্ত ব্যাট হাতে টিকে থেকে খেলেছেন ৩৩ বলে অপরাজিত ৭১ রানের অসাধারণ ইনিংস। তাকে সঙ্গ দিয়েছেন ধ্রুব জুরেল, করেছেন ৩৪ বলে ৫২ রান।

ব্যাটিং নৈপুণ্যে শেষে এক ওভার বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রাজস্থান। এই জয়ের পর ৯ ম্যাচে ১৬ পয়েন্টের সঙ্গে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান নিজেদের দখলেই রাখল তারা। দুইয়ে থাকা কলকাতার সঙ্গে রাজস্থানের পয়েন্টের ব্যবধান ৬। অপরদিকে ৯ ম্যাচে ৫ জয়ে ১০ পয়েন্টের সঙ্গে টেবিলের চারে আছে লক্ষ্ণৌ।

;

সমতায় শেষ হলো পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড সিরিজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচে কিউইদের বিপক্ষে ৯ রানের জয় তুলে নিয়ে ২-২ সমতায় সিরিজ শেষ করল পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ায় এই সিরিজে কোনো দলই এগিয়ে থেকে এককভাবে জিততে পারল না, তাই ট্রফি ভাগাভাগি করেই শেষ হলো সিরিজ।

চার ম্যাচ শেষে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল পাকিস্তান। তাই লাহোরের মাঠে পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ বাঁচানোর জন্য জয় ছাড়া বিকল্প ছিল না স্বাগতিকদের কাছে।

এদিন টসে জিতে শুরুতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। ব্যাট হাতে অধিনায়ক বাবর আজম দেখান নিজের নৈপুণ্য। নির্ধারিত ওভার শেষে পাকিস্তানের দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান।

জবাবে ব্যাট হাতে নেমে সাবলীল ভঙ্গিতে খেলতে থাকে কিউইরা। তবে পাকিস্তানি বোলারদের তোপের মুখে কিছুক্ষণ পরই হিমশিম খেতে থাকে সফরকারীরা। শাহিন আফ্রিদি একাই তুলে নেন চার উইকেট। শেষে চার বল বাকি থাকতেই নিউজিল্যান্ডের সকল ব্যাটার সাজঘরে ফেরত যাওয়ায় খুব কাছে যেয়েও হারের স্বাদ পেতে হয় কিউইদের।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

পাকিস্তানঃ ১৭৮/৫ (২০ ওভার); বাবর ৬৯, ফখর ৪৩; ওরুর্ক ১-২৫, সোধি ১-৩০

নিউজিল্যান্ডঃ ১৬৯/১০ (১৯.২ ওভার); সেইফার্ট ৫২, ক্লার্কসন ৩৮*; আফ্রিদি ৪-৩০, উসামা ২-২১

ফলাফলঃ পাকিস্তান ৯ রানে জয়ী

প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচঃ শাহিন আফ্রিদি

প্লেয়ার অফ দ্য সিরিজঃ শাহিন আফ্রিদি

সিরিজঃ ২-২ সমতা

;