প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ২৮ রানের জয়



এম. এম. কায়সার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
হাসি-খুশি বাংলাদেশ দল

হাসি-খুশি বাংলাদেশ দল

  • Font increase
  • Font Decrease

২৫০-২৬০ রানকে এই উইকেটে ভাল স্কোর বলছিলেন মাশরাফি। তার দল করলো আরো বড় রান, ২৭১। সেই রান তাড়া করতে নেমে জিম্বাবুয়ে যা করল; তার নাম ২৮ রানের হার! ২৪৩ রানেই শেষ জিম্বাবুয়ের ইনিংসের দৌড়। বাংলাদেশ ম্যাচ জিতল ২৮ রানে। একটাই সান্তনা তাদের পুরো ৫০ ওভার খেলতে পারা হলো!

লড়াই হবে। জিম্বাবুয়ে পুরো শক্তি নিয়ে এসেছে। সেরাদের নিয়েই সিরিজে নেমেছে। বাংলাদেশের কন্ডিশন এবং উইকেট তাদের বেশ চেনাজানা। সিরিজ শুরুর আগে জিম্বাবুয়েকে ঘিরে এমনতর ইতিবাচক সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু মাঠের ক্রিকেটে নামা জিম্বাবুয়েকে দেখে মনে হলো ব্যাটিংয়ের মৌলিক নীতিই যেন ভুলে গেছে এই দলটি।

এই ম্যাচে লড়াই, প্রতিদ্বন্দিতা, উত্তেজনা-ইত্যকার কিছু খোঁজা হাস্যকর শোনায়। শক্তিমান বাংলাদেশের সামনে জিম্বাবুয়েকে বড্ড বেশি অসহায় দেখালো সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে। যদিও শেষের দিকে এসে শন উইলিয়ামস ও কাইল জারভিস ধুমধাম হাঁকিয়ে জিম্বাবুয়ের হারের ব্যবধান খানিকটা কমান।

উত্তেজনা-আনন্দের যা কিছু ঝিলিক তার সবকিছু মিললো শুধু ম্যাচের প্রথমভাগে; বাংলাদেশের ইনিংসে। আরেকটু নির্দিষ্ট করে বললে ইমরুল কায়েস ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের ব্যাটে। একপ্রান্তের ব্যাটসম্যানরা চটজলদি ডাগআউটে ফিরে আসছেন। আর অন্যপ্রান্তে ইমরুল কায়েস দক্ষতার সঙ্গে ইনিংসকে সামনে বাড়াচ্ছেন। শুরুর ছয় উইকেটের পতন পর্যন্ত বাংলাদেশের ইনিংসে এমন দৃশ্যেরই দেখা মিললো। সপ্তম উইকেটে সাইফুদ্দিন যোগ দিয়ে ইমরুলের অবদানে নিজের নামও যোগ করেন। শুরুতেই অবশ্য স্লিপে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন সাইফুদ্দিন। কিন্তু টিভিতে রিপ্লে দেখে থার্ড আম্পায়ার রড টাকার জানান-সাইফুদ্দিন নটআউট! ওটা ক্লিন ক্যাচ ছিল না।

ইফুদ্দিনের ঘুরে দাড়ানোর সেই শুরু। শেষ ওভারে যখন আউট হলেন ততক্ষনে তুলে নিয়েছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম হাফসেঞ্চুরি। ইমরুলের সঙ্গে সাইফুদ্দিনের সপ্তম উইকেট জুটিতে বাংলাদেশ যোগ করে ১২৭ রান। দাপুটে এই সময়টায় নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন ইমরুল কায়েস। ১১৮ বলে ৩ ছক্কা ও ৮ বাউন্ডারিতে সেঞ্চুরি পুরো করার পর ইমরুল বাকি সময়টায় টি-টুয়েন্টি স্টাইলে ব্যাট চালান। পরের ২২ বলে হাঁকান ৪০ রান! তার ১৪০ বলে ১৪৪ রানের ইনিংসে ১৩টি বাউন্ডারি এবং ৬টি ছক্কা! ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে এক ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান রেকর্ডের (১৪৪) মালিকানায় মুশফিকের সঙ্গে এখন ইমরুল যৌথভাবে দাবিদার। ১৫৪ রান নিয়ে তালিকার শীর্ষে আছেন তামিম ইকবাল।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/21/1540139086321.jpg

ফর্ম নেই-এই অভিযোগে এশিয়া কাপের দলে জায়গা পাননি ইমরুল কায়েস। কিন্তু টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে তামিম ইনজুরিতে পড়লে এবং মাঝপথে ওপেনারদের বেহাল দশা দেখে হঠাৎ ‘এসওএস’ পাঠিয়ে দেশ থেকে তাকে ডেকে আনা হয়। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ছয় নম্বরে অপরিচিত ব্যাটিং পজিশনে খেলতে নেমেই সেই ম্যাচে অপরাজিত ৭২ রানে হাসে ইমরুল কায়েসের ব্যাট। আর মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই ১৪৪ রানের বিশাল সেঞ্চুরির ইনিংস সামনের অনেকদিন ওপেনিং পজিশনে তার থাকার নিশ্চয়তা দিচ্ছে।

সামনে বছরের বিশ্বকাপের একাদশেও সম্ভবত ইমরুলের এই সেঞ্চুরি তাকে আগাম জায়গা করে দিলো! ৩০ ওভারে ১৩৯ রানে ৬ উইকেট হারানো বাংলাদেশ এই ম্যাচে বড়জোর আর কতদুর যেতে পারবে-এমন একটা শঙ্কা ছড়িয়ে পড়ে ডাগআউটে, এমনকি প্রেসবক্সেও! তবে ২২ গজে থাকা ইমরুলের ব্যাট নির্ভরতা দিল। সেই শক্তিতেই বাংলাদেশের ইনিংস পৌছে গেল ২৭১ রানের বড় সঞ্চয়ে।

৩০ বছর বয়সে সবচেয়ে ‘বর্ষীয়ান’ বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে অভিষিক্ত হওয়া ফজলে রাব্বী মাহমুদ ব্যাটসম্যান হিসেবে এই ম্যাচকে খুব দ্রুতই ভুলে যেতে চাইবেন। অভিষেকে অনেক ‘বিখ্যাত’ ক্রিকেটারের মতো তিনিও শূণ্য রানে আউট! বোলিংয়েও যখন এলেন ততক্ষনে বাংলাদেশ ম্যাচ জয়ের কাছাকাছি প্রায়। ৩ ওভারে ১৬ রানের বোলিংকে আহামরি কিছু বলার উপায় নেই। এই ম্যাচে ফিল্ডিংকেই কেবল নিজের আনন্দময় সময় হিসেবে ভাবতে পারেন ফজলে রাব্বী। সরাসরি থ্রোতে ডোনাল্ড ত্রিপানোকে রানআউটের পুরো একক কৃতিত্ব তার।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/21/1540139107678.jpg

রান তাড়ায় নামা জিম্বাবুয়ের ভালো’টা হলো শুধু ওপেনিংয়ে। প্রথম উইকেট জুটিতে ৪৮ রানের পর জিম্বাবুয়ের ইনিংসের বাকি সময়টায় যা দেখা গেল, তা শুধু ব্যাটসম্যানদের আসা আর যাওয়া! নাজমুল ইসলাম অপু ও মেহেদি হাসান মিরাজের স্পিন এবং মুস্তাফিজের পেসের সামনে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের অসহায়ত্ব দেখে গ্যালারির দর্শকরাও সহমর্মিতা জানালো; জিম্বাবুয়ের উইকেট পড়ছে, কিন্তু তেমন বেশি হাততালি কই! ৩৬ ওভারে ১৪৬ রানে জিম্বাবুয়ের ৬ উইকেট পতনের পর এই ম্যাচের অপেক্ষা রইল একটাই-বাংলাদেশ জিতছে কত রানে?

সেই অপেক্ষা শেষ করতে জিম্বাবুয়ে একটু বেশি সময় নিলো শুধু, এই যা!

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২৭১/৮ (৫০ ওভারে, লিটন ৪, ইমরুল ১৪৪, ফজলে রাব্বী ০, মুশফিক ১৫, মিঠুন ৩৭, মাহমুদউল্লাহ ০, মেহেদি মিরাজ ১, সাইফুদ্দিন ৫০, মাশরাফি ২*, মুস্তাফিজ ১*, জারভিস ৪/৩৭, চাতারা ৩/৫৫)
জিম্বাবুুয়ে: ২৪৩/৯ (৫০ ওভারে মাসাকাদজা ২১, জুওয়াউ ৩৫, টেইলর ৫, আরভিন ২৪, সিকান্দার রাজা ৭, শন উইলিয়ামস ৫০* পিটার মুরস ২৬, ত্রিপানো ২, মাভুতা ২০, জারভিস ৩৭, চাতারা ২*, মেহেদি মিরাজ ৩/৪৬, নাজমুল ইসলাম অপু ২/৩৮, মুস্তাফিজ ১/২৯)
ফল: বাংলাদেশ ২৮ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা: ইমরুল কায়েস। দ্বিতীয় ম্যাচ: ২৪ অক্টোবর, চট্টগ্রাম।

   

ভারত-ইংল্যান্ড সেমিতে বৃষ্টি বাধা দিলে কী হবে ফলাফল?

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড যখন গ্রুপপর্বে ও সুপার এইটের নানান সমীকরণ মোকাবেলা করে সেমির টিকিট নিশ্চিত করল, সেখানে ভারত বেশ আগে থেকেই আছে দারুণ ছন্দে এবং মানসিকভাবে স্বস্তিতে। কারণ এখন পর্যন্ত চলতি আসরে একটি ম্যাচও হারেনি রোহিত শর্মার দল। 

দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচে বাংলাদেশ সময় আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড ও ভারত। ২০২২ আসরের পর এবারও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমির মঞ্চে লড়বে এই দু'দল। এই ম্যাচে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে অনেকটাই। তবে এই ম্যাচে নেই কোনো রিজার্ভ ডে! এতে ম্যাচ যদি মাঠে না গড়ায়, সেখানে ফলাফল আসবে কীসের ভিত্তিতে?

ম্যাচটি শুরু হবে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায়। আবহাওয়া পূর্বাভাস জানানোর ওয়েবসাইট আকুওয়েদারের সূত্রমতে, গায়ানায় সকালে বৃষ্টির সম্ভাবনা ৮৮ শতাংশ এবং বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা ১২ শতাংশ। এতেই ম্যাচে বৃষ্টি বাগড়া দেওয়ার সম্ভাবনা ব্যাপক। এদিকে রিভার্ভ ডে না থাকলেও ম্যাচের জন্য অতিরিক্ত ২৫০ মিনিট বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে সেই সময়ও যদি বৃষ্টির কারণে পেরিয়ে যায়, তখন ম্যাচের ফলাফল যাবে সুপার এইট পর্বের সমীকরণ অনুসারে। 

বৃষ্টিতে ম্যাচের মূল সময়সহ অতিরিক্ত সময়ও যদি পেরিয়ে যায় তাহলে ফাইনালে জায়গা করে নিবে ভারত। কেননা সুপার এইটে গ্রুপ ‘ওয়ান’ থেকে তারা তিনটি ম্যাচই জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পৌঁছেছে সেমিতে। এদিকে ইংল্যান্ড তিনটি ম্যাচের মধ্যে দুটিতে জিতে সেমিতে পৌঁছেছে রানার্স-আপ হয়ে। এতে সুপার এইটের এই সমীকরণে এগিয়ে আছে ভারত এবং বৃষ্টিতে পুরো ম্যাচ পরিত্যক্ত হলে ভারত খেলবে ফাইনালে। 

এদিকে প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ম্যাচটি শুরু হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৬টায়। এই ম্যাচের জন্য আবার আছে রিজার্ভ ডে। বৃষ্টির কারণে প্রোটিয়া-আফগানদের এই ম্যাচটি যথাসময়ে শুরু না হলে সেটি মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকালে।

;

কোপা আমেরিকায় যত রেকর্ড গড়েছেন মেসি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লিওনেল মেসির নামের পাশে লেখা আছে অগণিত সাফল্য ও কীর্তি। কত রেকর্ড যে মেসির ক্যারিয়ার জুড়ে তিনি গড়েছেন তার সঠিক হিসেব সম্ভবত তিনি নিজেও জানেন না। সবশেষে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ট্রফি তুলে ধরে তো তিনি নিজের ফুটবলীয় ক্যারিয়ারকে পূর্ণতা দিয়েছেন।

বর্তমানে কোপা আমেরিকা আসর চলমান থাকায় আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন মেসি। ইতিমধ্যে গ্রুপপর্বে নিজেদের দুটি ম্যাচ খেলে ফেলেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। জুনের ২০ তারিখে কানাডার বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ের পর আজ (বুধবার) চিলির সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে ১-০ গোলের জয় ছিনিয়ে নিয়েছে আলবিসেলেস্তেরা। এ-গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে ২৯ জুন পেরুর মুখোমুখি হবে লিওনেল স্কালোনির দল।

২০২১ সালে প্রথমবারের মতো কোপা আমেরিকার শিরোপা এবং নিজের ক্যারিয়ারে প্রথম আন্তর্জাতিক ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিলেন মেসি। এবারও শিরোপার জন্যই খেলছে পুরো দল। কোপা আমেরিকার মঞ্চেও লিওনেল মেসির আছে একাধিক রেকর্ড। চলুন সেগুলো জেনে নেওয়া যাক।

সবচেয়ে বেশি ম্যাচে মাঠে নামা

চলতি আসরে কানাডার বিপক্ষে ম্যাচটির মাধ্যমে মেসি তার ক্যারিয়ারের ৩৫তম কোপা আমেরিকার ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন, যা ইতিহাসে যেকোনো ফুটবলার হিসেবে সর্বোচ্চ। এর আগে সর্বোচ্চ ৩৪টি ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন চিলির সের্হিও লিভিংস্টোন।

প্রথম আর্জেন্টাইন হিসেবে সর্বোচ্চ আসর

আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় মেসি যিনি কোপা আমেরিকার সাতটি ভিন্ন আসরে খেলেছেন। ভেনেজুয়েলায় অনুষ্ঠিত ২০০৭ সালের কোপা আমেরিকা টুর্নামেন্টের পর থেকে তিনি প্রতিটি আসরেই জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন। এই টুর্নামেন্টে এবার তার সপ্তমবার উপস্থিত থাকার মাধ্যমে তিনি হেক্টর স্কারোন, মিটন মেলগার এবং কার্লোস বোর্জার সাথে তৃতীয় সর্বোচ্চবার কোপা আসর খেলা আর্জেন্টাইন ফুটবলার। শুধুমাত্র অ্যাঞ্জেল রোমানো এবং অ্যালেক্স আগুইনাগা আটবার করে এই টুর্নামেন্ট খেলেছেন।

এছাড়াও কোপা আমেরিকার মঞ্চে আরও কিছু রেকর্ডের খুব কাছে আছেন মেসি, হয়ত চলতি আসরেই সেগুলোও নিজের ঝুলিতে জমা করে ফেলবেন। যেমন-

চিলিতে ২০১৫ সালে এবং ব্রাজিলে ২০২১ সালের কোপা আসরে টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। এবারও যদি আসরের সেরা হিসেবে নির্বাচিত হন তাহলে তিনটি ভিন্ন আসরে সেরা ফুটবলার হওয়ার বিরল কীর্তি গড়বেন তিনি।

বর্তমানে মেসির মোট আন্তর্জাতিক গোল ১০৮টি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ১৩০টি। আন্তর্জাতিক গোলের রেকর্ডে পৌঁছানোর জন্য যদিও মেসি এখনো রোনালদোর থেকে ২২ গোল পিছিয়ে আছেন, তবে শীঘ্রই এই তালিকার দুইয়ে উঠতে পারেন মেসি। অবসরপ্রাপ্ত ইরানের ফুটবলার আলী দাইয়ের আন্তর্জাতিক গোলসংখ্যা ১০৯টি। চলতি আসরে আর মাত্র দুটি গোল করলে পারলেই মেসি পেছনে ফেলবেন আলীকে।

চলতি কোপা আমেরিকায় মেসি যদি যেকোনো ম্যাচে একটি হ্যাটট্রিক করতে পারেন, তাহলে তালিকাভুক্ত দশ জন ফুটবলারদের সঙ্গে লেখা হবে মেসির নামও, যারা কোপা আমেরিকায় অন্তত দুইবার হ্যাটট্রিক করেছেন।

;

চলে গেলেন ডিএলএসের জনক ডাকওয়ার্থ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই যুগ আগে ক্রিকেটে ম্যাচের মধ্যে বৃষ্টি এলে পরিসংখ্যান মেলাতে লেগে যেত গোলযোগ। সেখানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) যেই পদ্ধতি ব্যবহার করত তা নিয়ে অনেকেরই ছিল অসন্তোষ। এতেই টনি লুইসকে নিয়ে বৃষ্টি বাঁধায় ম্যাচের পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ শুরু করেন ফ্র্যাঙ্ক ডাকওয়ার্থ। এবং তাদের সেই পদ্ধতি ১৯৯৯ সাল থেকে মেনে নেয় আইসিসি। পরবর্তীতে  বেশ কিছু দিন আগে আরও কিছু পরিবর্তন এনেছেন অস্ট্রেলিয়ান পরিসংখ্যানবিদ স্টিভেন স্টার্ন। যার ফলে এটিকে এখন বল হয় ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতি বা সংক্ষেপে ডিএলএস। 

ডিএলএস পদ্ধতির গোড়াপত্তন অবশ্য ডাকওয়ার্থের হাতেই। ডাকওয়ার্থ ১৯৯২ সালে রয়্যাল স্ট্যাটিস্টিকাল সোসাইটির এক কনফারেন্সে একটি গবেষণাপত্র ছাপান, তার নাম ছিল ‘অ্যা ফেয়ার রেজাল্ট ইন ফাউল ওয়েদার’। সেখান থেকেই এটির শুরু। ডিএলএসে এই সহ-উদ্ভাবক ডাকওয়ার্থ আর নেই। গত শুক্রবার মারা গেছেন ৮৪ বছর বয়সে। 

তার মৃত্যুতে এক বিবৃতিতে শোক জানিয়েছে রয়্যাল স্ট্যাটিস্টিকাল সোসাইটি। সেখানে তারা লিখেছে, ‘ফ্র্যাঙ্ককে আমরা আমাদের এই পরিমণ্ডলে আরএসএস নিউজের সম্পাদক হিসেবে তার অবদানের জন্য মনে রাখব। আর ক্রিকেট তাকে মনে রাখবে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতির সহ-উদ্ভাবক হিসেবে।’

বৃষ্টি আইন নিয়ে ডাকওয়ার্থের আগ্রহ ১৯৯২ বিশ্বকাপের দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার সেমিফাইনাল ম্যাচের পর থকে। সে ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে ১৩ বলে ২২ রানের লক্ষ্য ছিল শেষ দিকে। এরপর বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ায় ১ বলে ২২ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়। তা দেখেই একটা ন্যায্য ফলাফলের জন্য কাজ করতে থাকেন ডাকওয়ার্থ। এই গবেষণার পর টনি লুইসের সঙ্গে মিলে পদ্ধতিটায় আরও কিছু পরিবর্তন আনা হয়। এই পদ্ধতিটা ১৯৯৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে প্রয়োগ করা হয়। সে বছরই আইসিসি এই পদ্ধতি মেনে নেয়।

;

দেশের উদ্দেশ্যে আজ রওনা দিবেন শান্তরা, পৌঁছাবেন শুক্রবার সকালে

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে খেলার অনেকটাই কাছে ছিল বাংলাদেশ। সুপার এইটে নিজেদের শুরুর দুই ম্যাচ হারলেও তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে আফগানদের বিপক্ষে ম্যাচে এই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল নাজমুল হোসেন শান্তর দলের। আসরের শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে থাকা আফগানদের ১১৫ রানেই আটকে দেয় মুস্তাফিজ-রিশাদরা। পরের সেমিতে যেতে সেই লক্ষ্যে ১২ ওভার ১ বলে পৌঁছাতে হতো লিটন-সাকিবদের। পরের সেটি করতে ব্যর্থ হন ব্যাটাররা এবং শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি আইনে ম্যাচটাও ৮ রানে হেরে যায় তারা। 

এই হার দিয়েই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম এই আসর থেকে বিদায় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। বিশ্বকাপের ঠিক আগে যুক্তরাষ্ট্র সিরিজসহ লম্বা এই সফর শেষে আজ (বুধবার) দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিবে বাংলাদেশ দল। শুক্রবার সকাল আটটায় বাংলাদেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে তাদের।  

বার্তা২৪-কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশে ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ডেপুটি মিডিয়া ম্যানেজার জাহিদ চৌধুরী। 

চলতি আসরে গ্রুপপর্ব ও সুপার এইট মিলিয়ে সাত ম্যাচে তিনটিতে জয় পায় বাংলাদেশ, যার সবগুলোই গ্রুপপর্বে। ব্যাট হাতে ৭ ম্যাচে ২২ ছুঁইছুঁই গড় ১২৮.৫৭ স্ট্রাইক রেটে সর্বোচ্চ ১৫৩ রান করেছেন তাওহিদ হৃদয়। দলের বাকি ব্যাটারদের পারফর্ম ছিল পুরোদস্তুর ছন্নছাড়া। তবে শুরু থেকেই হতাশ করেনি দলের বোলিং বিভাগ। ৭ ম্যাচে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৪টি উইকেট নিয়েছেন রিশাদ হোসেন, যা এখন পর্যন্ত আসরের চতুর্থ সর্বোচ্চ। 

;