আইসিসি বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশে সাকিব-মুস্তাফিজ-মুশফিক



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও মুস্তাফিজুর রহমান

সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও মুস্তাফিজুর রহমান

  • Font increase
  • Font Decrease

আইসিসি বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি দলে বাংলাদেশ থেকে জায়গা পেয়েছেন মাত্র একজন। তিনি আর কেউ নন তারকা পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। তবে আইসিসি বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশে রয়েছে টাইগারদের আধিপত্য।

আইসিসি'র বর্ষসেরা এক দিনের ক্রিকেট দলে জায়গা দখল করেছেন তিন টাইগার ক্রিকেটার- অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ও স্টার ফাস্ট বোলার মুস্তাফিজুর রহমান।

গত বছর বাংলাদেশের জার্সি গায়ে ৯টি ওয়ানডে খেলে সাকিব ৩৯.৫৭ গড়ে রান সংগ্রহ করেছেন ২৭৭। বল হাতে দাপট দেখানো বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার ১৭.৫২ গড়ে শিকার করেন ১৭ উইকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতিও জমা পড়ে সাকিবের থলিতে।

ডেথ বোলিংয়ে মুস্তাফিজুর রহমানের পারফরম্যান্স ছিল চোখ ধাঁধিয়ে দেয়ার মতো। দুরন্ত বোলিংয়ে ১০ ম্যাচে ২১.৫৫ গড়ে মুস্তাফিজ নেন ১৮ উইকেট। ওভার প্রতি খরচ করেন মাত্র ৫.০৩ রান।

ওয়ানডেতে ব্যাটিং পারফরম্যান্সে ধারাবাহিক ছিলেন মুশফিকুর রহিম। সাকিবের সমান ৯টি একদিনের ম্যাচ খেলে একটি শতকসহ ৫৮.১৪ গড়ে তোলেন ৪০৭ রান।

ওয়ানডে একাদশে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন পাকিস্তানের দুজন ক্রিকেটার। অধিনায়ক হিসেবে দলে রাখা হয়েছে বাবর আজমকে। সঙ্গে একাদশে রয়েছেন তারই স্বদেশী মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান ফখর জামান।

দলটিতে আরও আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার জানেমান মালান ও রসি ফন ডার ডুসেন, শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও দুষ্মন্ত চামিরা এবং আয়ারল্যান্ডের সিমি সিং ও পল স্টার্লিং।

আইসিসি বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশ: পল স্টার্লিং (আয়ারল্যান্ড), জানেমান মালান (দক্ষিণ আফ্রিকা), বাবর আজম (অধিনায়ক, পাকিস্তান), ফখর জামান (পাকিস্তান), রসি ফন ডার ডুসেন (দক্ষিণ আফ্রিকা), সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ), মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক, বাংলাদেশ), ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (শ্রীলঙ্কা), সিমি সিং (আয়ারল্যান্ড), দুশমন্ত চামিরা (শ্রীলঙ্কা) ও মুস্তাফিজুর রহমান (বাংলাদেশ)।

   

একাধিক ‘অপ্রত্যাশিত’ রেকর্ডে ইউনাইটেডের নাম



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে সোমবার রাতে ক্রিস্টাল প্যালেসের কাছে এক হালি গোল হজম করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। লজ্জাজনক এই হারের রাতে একের অধিক ‘অস্বস্তিকর’ রেকর্ডেও নাম উঠল এরিক টেন হাগের দলের।

এই হারের পর লিগ পয়েন্ট টেবিলের আটে নেমে এসেছে রেড ডেভিলরা। ৩৫ ম্যাচ শেষে ১৬ জয়ের সঙ্গে ৫৪ পয়েন্ট তাদের। এমনকি চলতি মৌসুম শেষে কোচ এরিক টেন হাগকে বরখাস্ত করা হবে কিনা এই বিষয়েও দেখা দিয়েছে শঙ্কা।

গতরাতের ম্যাচে হতাশাজনক এই হারের পর কোচ বলেছেন, ‘এটা পরিষ্কার যে আমাদের পারফরম্যান্স খুব নিম্নমানের ছিল। আমরা যেভাবে খেলতে চেয়েছিলাম সেভাবে কিছুই হয়নি।‘

হারের পর হতাশ ইউনাইটেডের খেলোয়াড়রা

 

ক্রিস্টাল প্যালেসের সঙ্গে হারের পর বেশকিছু অস্বস্তিকর পরিসংখ্যানের সম্মুখীন হয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। নিজেদের প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে চলতি মৌসুমেই সবচেয়ে বেশি ১৩ ম্যাচে হারের মুখ দেখল তারা।

লিগ পয়েন্ট টেবিলে কখনোই সাতের নিচে থেকে মৌসুম শেষ করতে হয়নি ইউনাইটেডকে। চলতি মৌসুমে এখন অষ্টম স্থানে আছে তারা। যদিও তাদের হাতে এখনও তিন ম্যাচ বাকি আছে। সেগুলোতে জয় পেলে অবস্থানের উন্নতি হতে পারে রেড ডেভিলদের।

ক্রিস্টাল প্যালেসের সঙ্গে ৪-০ গোলের এই হারটিই চলতি মৌসুমে ইউনাইটেডের সবচেয়ে বড় ব্যবধানের হার। এছাড়াও ২০২৩-২৪ মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে মোট ৮১টি গোল হজম করেছে তারা, যা ১৯৭৬-৭৭ মৌসুমের পর সর্বোচ্চ।

১৯৮৯-৯০ মৌসুমের পর কখনোই ঋণাত্মক গোল ব্যবধানে থেকে লিগ শেষ করেনি ম্যানইউ। বর্তমানে ৩৫ ম্যাচ শেষে তাদের গোল পার্থক্য -৩।

;

মুস্তাফিজের পর পাথিরানাকেও হারিয়ে হতাশ চেন্নাই



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে দারুণ সূচনা করেছিলেন টাইগার পেসার মুস্তাফিজুর রহমান এবং শ্রীলঙ্কার মাথিশা পাথিরানা। দুইজনই ছিলেন একাদশের গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। তাদের বোলিং তোপে প্রায় প্রতি ম্যাচেই কুপোকাত হয়েছে বিপক্ষ দলের ব্যাটাররা।

গত ১ মে চেন্নাইয়ের হয়ে নিজের শেষ ম্যাচটি খেলে দেশে ফেরত এসেছেন মুস্তাফিজ। এরপর পাথিরানাই ছিলেন চেন্নাইয়ের বোলিং ভরসার অন্যতম নাম। দিন তিনেক আগে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়ে নিজ দেশে ফেরত যান পাথিরানাও। চোট সারিয়ে উঠে চেন্নাইয়ের হয়ে আসরের শেষ ম্যাচগুলোতে দল তাকে পাবে এমন কিঞ্চিত আশায় ছিল সমর্থকরা।

তবে নতুন দুঃসংবাদ চেন্নাই টিম ম্যানেজমেন্টের কপালের ভাঁজ বাড়াচ্ছে। এবার নিশ্চিতভাবেই জানা গেল চলতি আইপিএলে আর ফেরার কোনো সম্ভাবনাই নেই পাথিরানার। নিজেই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণাটি দিয়েছেন এই লঙ্কান পেসার।

নিজ দেশে বসে নিজের অফিশিয়াল এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে সংক্ষিপ্ত পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘বিদায় নেয়াটা কঠিন। এখন চেন্নাইয়ের ড্রেসিংরুমে আইপিএল শিরোপা দেখাই আমার একমাত্র ইচ্ছা। চেন্নাই থেকে যে ভালোবাসা পেয়েছি, দল থেকে যে আশীর্বাদ পেয়েছি তার জন্য সকলকে কৃতজ্ঞতা।‘

আইপিএলের এবারের আসরটা দারুণ কেটেছে পাথিরানার। ৬ ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের উইকেটশিকারীদের তালিকায় উপরের দিকেই আছে তার নাম। পয়েন্ট তালিকায় চেন্নাই সুপার কিংস বর্তমানে আছে তিনে। ১১ ম্যাচে ৬ জয়ের সঙ্গে ১২ পয়েন্ট তাদের। প্লে-অফে খেলার সম্ভাবনা বেশ দারুণভাবেই ধরে রেখেছে ধোনির দল।

;

দুই অভিজ্ঞ মুখ নিয়ে স্কটিশদের বিশ্বকাপ দল ঘোষণা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করল স্কটল্যান্ড। যেখানে দুইজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে স্কোয়াডে রাখা হয়েছে। তারা হলেন মাইকেল জোনস ও ব্র্যাড হোয়েল। ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দলে ছিলেন তারা।

এবার অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রিচি ব্যারিংটনের ওপর। গত আসরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে ক্রিকেট মহলে বেশ সাড়া ফেলেছিল স্কটল্যান্ড। এবার আরও বড় লক্ষ্য নিয়েই টুর্নামেন্ট শুরু করবে তারা। নিজেদের পারফরম্যান্সকে ছাড়িয়ে আরও ভালো কিছুই করে দেখাতে উদ্বুদ্ধ এই দল।

এবারের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড, নামিবিয়া, ওমান এবং অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে 'বি' গ্রুপে আছে স্কটল্যান্ড। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ৪ জুন বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে তাদের। এরপর যথাক্রমে ৬ জুন নামিবিয়া, ৯ জুন ওমান এবং ১৫ জুন অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে তারা।

স্কটল্যান্ডের বিশ্বকাপ স্কোয়াডঃ

রিচি ব্যারিংটন (অধিনায়ক), ম্যাথিউ ক্রস, ব্রাড কুরি, ক্রিস গ্রেভস, ওলই হ্যারিস, জ্যাক জার্ভিস, মাইকেল জোনস, মাইকেল লাস্ক, ব্রেন্ডন ম্যাকমুলেন, জর্জ মুনসে, সাফিয়ান শরিফ, ক্রিস সোলে, চার্লি টিয়ার, মার্ক ওয়াট ও ব্রাড হোয়েল।

;

লিটন দেশের অন্যতম সেরা ব্যাটার, বললেন সুজন



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে, বিশেষ করে ভারত বিশ্বকাপ থেকে যেসব আলোচনা-সমালোচনা হয়ে আসছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ব্যাটিং। বোলিং ও ফিল্ডিং বিভাগ নিয়ে বড় রকমের অভিযোগ না থাকলেও টাইগারদের ব্যাটিং দুর্দশা হয়ে আসছে প্রচুর অভিযোগ।

জিম্বাবুয়ের সঙ্গে চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের পর অধিনায়ক নাজমুল শান্তও অকপটে স্বীকার করেছেন এ কথা। দলের বোলারদের নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ না পেলেও ব্যাটারদের উন্নতি করতে হবে বলে মেনে নিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক। দলের দুর্ভোগ পোহানোর অন্যতম প্রধান কারণ মূলত ব্যাটিং বিভাগ, এমনটা মনে করেন কোচ এবং সমর্থকরাও।

ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন উঠলেই সবার আগে যার নাম আসে তিনি হলেন লিটন দাস। ওপেনার হিসেবে দলের জন্য রানের যে ভীতটা গড়ে দিয়ে যাওয়ার কথা সেটা একদমই করে দেখা পারছেন না তিনি। টি-টোয়েন্টি ম্যাচ কিংবা ওয়ানডে, কোনো ফরম্যাটেই আশানুরূপ রান আসছে না লিটনের ব্যাট থেকে। এমনকি বিশ্বকাপ দলে তার জায়গা পাওয়া নিয়েও উঠছে নানা প্রশ্ন ও আশঙ্কা।

লিটনের এমন বাজে ফর্মের পরও তার পাশে দাঁড়িয়ে এবার মুখ খুললেন বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন। গতকাল সোমবার মিরপুরে গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘লিটন প্রথম ম্যাচে রান করেনি, কালও (রবিবার দ্বিতীয় ম্যাচে) খুব বেশি রান করেছে বলব না। সে বিশ্বকাপ দলে থাকবে কিনা এমন অনেক প্রশ্ন দেখলাম মিডিয়াতে। এগুলো তো হওয়া উচিৎ না। লিটন দেশের অন্যতম সেরা ব্যাটার। ওর অফ ফর্ম থাকতেই পারে। ক্রিকেটে ফর্ম ভাল-খারাপ দুটিই আছে। হয়ত লিটন এখন একটু অফ ফর্মে আছে। বাংলাদেশকে সার্ভিস দেওয়ার জন্য সে মাত্র এক ইনিংস দূরে।'

লিটনকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও হচ্ছে তুমুল সমালোচনা ও ট্রল। এ প্রসঙ্গে সুজন বলেন, ‘দল নিয়ে বেশি নাড়াচাড়া, ঘাটাঘাটি, কথাবার্তা বলা, এগুলার জন্য দেশে খেলা হলে ছেলেরা আরও বেশি চাপে থাকে। নিউজিল্যান্ড একটা ম্যাচ হারলে আমি দেখি না ওদের দেশের মানুষ তেমন প্রতিক্রিয়া দেয়। আমরা যদি হারি বা খারাপ খেলি, তখন বলা হয় লিটন পারছে না, লিটনের নাম ঠনঠন দাস হয়ে যায়। লিটন এখন অনেক অভিজ্ঞ। তাকে তার মতো খেলতে দেওয়া উচিৎ। ওর খেলা ওকেই চিন্তা করতে হবে।‘

বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন আশা করেন শুধু লিটন না, দলের সকলেই ফর্মে থাকুক ও আসন্ন বিশ্বকাপে ভালো কিছু করে দেখাক, ‘চ্যালেঞ্জ থাকবেই। কিন্তু আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, লিটন তাড়াতাড়ি ফর্মে ফিরে আসুক। সবাই সেরা ফর্মে থাকুক, ভালো খেলুক। টি-টোয়েন্টি খেলতে হলে এখন সাহস নিয়েই খেলতে হবে। রান হলো কি হলো না, ফর্ম আছে কি না, এসব ভেবে লাভ নাই। হাত খুলে না খেললে বড় ইনিংস খেলা মুশকিল।‘

;