গ্রুপ পর্ব থেকেই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিদায়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
পেনাল্টি থেকে গোল করেন লুকা মডরিচ

পেনাল্টি থেকে গোল করেন লুকা মডরিচ

  • Font increase
  • Font Decrease

নেশনস লিগের শিরোপা ধরে রাখার মিশন শেষ হয়ে গেছে ফ্রান্সের। ঘরের মাঠে অতিথি ক্রোয়েশিয়ার কাছে ১-০ গোলে ধরাশায়ী হয়েছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এই হারের কারণে আগামী বছর ফাইনালসে খেলতে পারবে না ফরাসিরা। 

১৯৯৮ সালের পর দীর্ঘ ২৪ বছরের খরা কাটিয়ে ফ্রান্সের বিপক্ষে জয় পেল ক্রোয়েশিয়া। সেই সঙ্গে ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে ফরাসিদের কাছে হারের মধুর প্রতিশোধ নিলো ক্রোয়াটরা।

ইব্রাহিমা কোনেট ফাউল করেন অ্যান্তে বুদিমিরকে। সুবাদে পেনাল্টি পেয়ে যায় সফর ক্রোয়েশিয়া। সুযোগটা কাজে লাগিয়ে ম্যাচে একমাত্র জয়সূচক গোলটি উপহার দেন লুকা মডরিচ।

ইউরোপের মেজর লিগের শীর্ষ চার গোল স্কোরারের মধ্যে তিন জনই ফ্রান্সের। করিম বেনজেমা, কাইলিয়ান এমবাপ্পে ও ক্রিস্টোফার এনকুনকু। ত্রয়ী আক্রমণাত্মক ফুটবলারের কেউ গোল করতে পারেনি।

চার ম্যাচে দুই ড্র ও দুই হারে দুই পয়েন্ট নিয়ে কোচ দিদিয়ের দেশামসের দল গ্রুপ ওয়ানের তলানিতে থেকে বিদায় নিয়েছে এবারের আসর থেকে।

সেপ্টেম্বরে শেষ দুই রাউন্ডের ম্যাচ খেলবে ফ্রান্স। সেখানে খারাপ সময় কাটিয়ে ভালো করতে না পারলে লিগ বি তে নেমে যেতে পারে তারা। 

   

শেষ মুহূর্তের গোলে পয়েন্ট খোয়াল আবাহনী



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলের শিরোপার দৌড়ে আবাহনী নেই বললেই চলে। শীর্ষে থাকা বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে তাদের পয়েন্টের পার্থক্য ১১। এছাড়া দুই নম্বর মোহামেডানও একেবারে মন্দ খেলছে না। আবাহনীর জন্য এখন তাই চ্যালেঞ্জ একটা সম্মানজনক অবস্থানে থেকে লিগ শেষ করা। কিন্তু আজ (শুক্রবার) পুলিশের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে সে লক্ষ্যে একটা হোঁচট খেলো আকাশি-হলুদরা।

অথচ গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে শুরুটা দুর্দান্ত হয় আবাহনীর। নবম মিনিটে বক্সের ডান প্রান্ত থেকে আবাহনীর এনামুল গাজীর ক্রস ঠিকঠাক ক্লিয়ার করতে পারেননি পুলিশের ডিফেন্ডার আবদুল্লায়েভ। বল চলে যায় বাম প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢোকা কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্টের পায়ে। নিখুঁত শটে বল জালে পাঠিয়ে আবাহনীকে এগিয়ে দেন এই ফরোয়ার্ড।

প্রথমার্ধের বাকি সময় আরও ভালো কিছু সুযোগ এলেও সেসব লুফে নিতে ব্যর্থ হয় আবাহনী। পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যাওয়া পুলিশ দ্বিতীয়ার্ধে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপায়। তবে দুর্বল ফিনিশিংয়ে পরম আরাধ্য গোল খুঁজে পাচ্ছিল না।

শেষ পর্যন্ত ৮৭ মিনিটে আবাহনীর গোলকিপার ভুলে গোলের দেখা পেয়ে যায় পুলিশ। এম এস বাবলুর বক্সের বাইরে থেকে নেয়া শটে আবাহনী গোলকিপার শহীদুল আলম সোহেলের দুই পায়ের ফাঁক গলে বল পৌঁছে যায় জালে।

শেষ মুহূর্তের গোলে হতাশায় পুড়তে হয় আবাহনীকে। ১৫ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনেই রয়েছে তারা। সমান সংখ্যক ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ অবস্থানে পুলিশ।

;

উড়ন্ত শুরুর পর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগের তিন ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটিং সমর্থকদের স্বস্তি দিতে পারেনি। তবে সৌম্য সরকার চোট থেকে ফিরে ওপেনিংয়ে কিছুটা আশ্বস্ত করেছেন বাংলাদেশকে। তানজিদ তামিমও ব্যাটে সুর খুঁজে পেয়েছেন। সমর্থকরাও তাদের শতরানের জুটিতে বড় স্কোরের আশায় বুক বেঁধেছিলেন। কিন্তু এই দুই ওপেনার বাদে দলের অন্য ব্যাটারদের চূড়ান্ত ব্যর্থতায় ১৯.৫ ওভারে ১৪৩ রানে অলআউট হতে হয়েছে বাংলাদেশকে।

মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে তানজিদ তামিম এবং সৌম্য সরকারের বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিংয়ে দুরন্ত শুরু পায় বাংলাদেশ। ১১ ওভারেই ১০০ রান জমা হয় স্কোরবোর্ডে। ফিফটি তুলে নেন তানজিদ। ত্রিশোর্ধ্ব ইনিংস আসে সৌম্যর ব্যাটে। তাদের আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লে’তে ৫৭ রান তোলে বাংলাদেশ।

আগের তিন টি-টোয়েন্টিতে তানজিদের সঙ্গে ইনিংস শুরু করেছিলেন লিটন। তবে তাদের রসায়ন যে ওপেনিংয়ে একেবারেই জমছে না, তা আজ সৌম্যর সঙ্গে তানজিদের বোঝাপড়াতে পরিষ্কার।

১২তম ওভারে লুক জংওয়ের বল কাভারের উপর দিয়ে খেলতে গিয়ে পয়েন্টে জোনাথান ক্যাম্পবেলের ক্যাচ হন তানজিদ। ফেরার আগে ৩৭ বলে ৭ চার ও এক ছক্কায় ৫২ রান করেন। সেই ওভারে ৩৪ বলে ৪১ রান করা সৌম্যও সাজঘরের পথ ধরেন।

দুই ওপেনার বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দিলেও হঠাৎ ধসে সে সম্ভাবনা নস্যাৎ হয়। গত দুই ম্যাচের ম্যাচসেরা তাওহিদ হৃদয় (১২) ও ৩০০ দিন পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামা সাকিব আল হাসান (১) তিন বলের মধ্যে আউট হয়ে যান।

টি-টোয়েন্টি স্ট্রাইকরেটের কারণে সমালোচিত হওয়া অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আরও একবার ব্যর্থ হয়েছেন ব্যাট হাতে। ৭ বলে ২ রান করে ব্রায়ান বেনেটের বলে সাকিবের মতো তিনিও স্টাম্প বাঁচাতে পারেননি। বিনা উইকেটে শতরানের ঘর ছোঁয়া বাংলাদেশ এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ে ১৪৩ রানে পৌঁছাতেই সব উইকেট খুইয়ে বসে স্বাগতিকরা।

জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট পান জংওয়ে। ৬৪ উইকেট নিয়ে এখন টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি এই পেসার।

;

তানজিদ-সৌম্যর ব্যাটে বাংলাদেশের দুরন্ত শুরু



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতেও আগে ব্যাট করতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় অবশ্য খুব একটা স্বস্তি পায়নি দল। তবে আজ (শুক্রবার) দুই ওপেনার তানজিদ তামিম এবং সৌম্য সরকার মিলে শতরানের জুটি গড়ে তুলেছেন।

লিটন দাস ফর্মের কারণে একাদশে জায়গা পাননি। দলে এসেই সরাসরি ওপেনিংয়ে লিটনের জায়গা নিয়েছেন। হাঁটুর চোট থেকে সেরে ওঠার পর মাঠে নেমে কিছুটা ধীরগতিতে খেলে নিজেকে মানিয়ে নিচ্ছেন সৌম্য।

তবে অন্যপ্রান্ত ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন তানজিদ। জিম্বাবুয়ের বোলারদের ছাতু বানিয়ে ৩৪ বলে তুলে নিয়েছেন ফিফটি।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুই ওপেনার মিলে ১১ ওভারে স্কোরবোর্ডে জমা করেছেন ১০০ রান। ৩৬ বলে ৭ চার ও এক ছক্কায় ৫২ রানে ব্যাট করছেন তানজিদ। ৩০ বলে বলে সমান দুটি করে চার-ছক্কায় সৌম্যর রান ৩৪।

;

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে নেই লিটন



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই ম্যাচ হাতে রেখেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশ। তাই এখন বাকি দুটি ম্যাচ বিশ্বকাপের ভাবনা মাথায় রেখেই খেলবে বাংলাদেশ, করবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। সে দুই ম্যাচের প্রথমটিতে টস হেরে আগে ব্যাট করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।

চট্টগ্রামে সিরিজ জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে ঢাকায় ফিরেছে বাংলাদেশ। মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে আজ (শুক্রবার) তিন পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

বাজে ফর্মে ঘুরপাক খাওয়া লিটন দাস একাদশে জায়গা হারিয়েছেন। তার স্থলে চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরছেন সৌম্য সরকার। এছাড়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে বিশ্রাম দেয়া হয়েছে। তাদের জায়গায় দলে ঢুকেছেন শেষ দুই টি-টোয়েন্টির স্কোয়াডে ফেরা সাকিব আল হাসান এবং মুস্তাফিজুর রহমান।

বাংলাদেশ একাদশ

সৌম্য সরকার, তানজিদ তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলি, রিশাদ হোসেন, তানভীর ইসলাম, তানজিম সাকিব ও মুস্তাফিজুর রহমান

জিম্বাবুয়ে একাদশ

তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ব্রায়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), জোনাথান ক্যাম্পবেল, ক্লাইভ মাদান্দে, রায়ান বার্ল, লুক জংওয়ে, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, ফারাজ আকরাম, ব্লেসিং মুজারাবানি ও রিচার্ড এনগারাভা

;