রাজার মৃত্যুতে কাঁদছে ফুটবল বিশ্ব



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এক কিংবদন্তির বিদায়। ফুটবলের রাজা পেলে সম্পর্কে এই বিশেষণ ব্যবহার করা যায় নিশ্চিন্তে। তিনটি বিশ্বকাপজয়ী পেলে শুধুমাত্র ফুটবল তারকা নন, তিনি ক্রীড়াবিশ্বের এক অনন্য নাম। যুগের পর যুগ যাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছে। সেই মহাতারকা বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) গভীর রাতে মারা গেছেন। পেলের মৃত্যুতে শোকাহত পুরো ফুটবল বিশ্ব।

বিশ্বখ্যাত আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি বলেছেন, শান্তিতে বিশ্রাম নাও। সেই সঙ্গে মেসি পোস্ট করেছেন তার এবং পেলের দু’টি ছবি। সঙ্গে পেলের গোলের পর উচ্ছ্বাসের ছবি।

পর্তুগালের অন্যতম গ্রেট ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো বলেছেন, আমার গভীর সমবেদনা ব্রাজিলের জন্য, বিশেষ করে এডসন আরান্টেস ডো নাসিমেন্তোর পরিবারের প্রতি। চিরকালের রাজা পেলের বিদায়ে পুরো ফুটবল বিশ্ব এখন যে ব্যথা গ্রহণ করছে তা প্রকাশ করার জন্য যথেষ্ট হবে না। কোটি কোটি মানুষের জন্য অনুপ্রেরণা, গতকাল, আজ এবং চিরকালের জন্য একটি রেফারেন্স। তাকে কখনও ভোলা যাবে না। তার স্মৃতি চিরদিন বেঁচে থাকবে আমাদের ফুটবলপ্রেমী সবার মাঝে। রাজা পেলে শান্তিতে থাকুন।

নেইমার স্বদেশি গ্রেটকে নিয়ে মন্তব্য করেছেন, আমি আগে বলতাম ফুটবল শুধু একটা খেলা ছিল। পেলে সব বদলে দিয়েছে। সে ফুটবলকে শৈল্পিক বিনোদনে পরিণত করেছে। ফুটবল ও ব্রাজিলের মর্যাদা তুলে ধরেছে। ধন্যবাদ রাজাকে। সে চলে গেছে। কিন্তু তার যাদু রয়ে গেছে। পেলে চিরকালের জন্য।

ফ্রান্সের তারকা ফুটবলার পেলের মৃত্যুর পর লেখেন, ফুটবলের রাজা বিদায় নিয়েছেন, তবে তাকে ভোলা যাবে না। শান্তির ঘুম ঘুমাও রাজা।

পোলিশ তারকা রবার্ত লেভানদোভস্কি বলেছেন, শান্তিতে থাকুন চ্যাম্পিয়ন। স্বর্গে নতুন তারকা আসছে। ফুটবল বিশ্ব একজন নায়ককে হারালো।

ব্রাজিলিয়ান সাবেক তারকা রবার্তো কার্লোস বলেছেন, আপনি আমাদের জন্য যা করেছেন তার জন্য ফুটবল বিশ্ব আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছে।

দীর্ঘ দিন ধরেই অসুখে ভুগছিলেন পেলে। বিশ্বকাপের মাঝেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। অন্ত্রের ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন পেলে। ২২ ডিসেম্বর ক্যানসারের প্রকোপ হঠাৎ বেড়ে যায়। ডাক্তারদের পরামর্শ মেনে বাড়ি ফেরা হয়নি। বড়দিনে এ বছর হাসপাতালেই কাটিয়েছিলেন পেলে।

লিটনের নান্দনিক ব্যাটিং আর সাকিবের ঘূর্ণিতে বাংলাদেশের সিরিজ জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লিটন দাস ও রনি তালুকদারের নান্দনিক ব্যাটিংয়ে শুরু, মাঝে বাংলাদেশকে টেনেছেন তাওহিদ হৃদয় ও সাকিব আল হাসান। পুরো ম্যাচে চোখে লেগে থাকার মতো ব্যাটিং করেছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। এমন দিনে বোলাররাও বিলিয়ে দিয়েছেন নিজেদের সেরাটা, বিশেষ করে সাকিব। বাঁহাতি এই স্পিনারের বল খেলার যেন কোনো উপায়ই খুঁজে পাচ্ছিলেন না আয়ারল্যান্ডের ব্যাটাররা। শেষ পর্যন্ত উপায় খুঁজেও পায়নি তারা। সাকিবের ঘূর্ণিতে রীতিমতো আসা যাওয়ার মিছিলে ছিলেন সফরকারীরা। শেষ দিকে কার্টিস ক্যাম্ফার হাফ সেঞ্চুরি করলেও সেটা কেবল তাদের হারের ব্যবধান কমিয়েছে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ডকে ৭৭ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতল বাংলাদেশ।

চট্টগ্রামে বড় রান তাড়ায় ইনিংসের প্রথম বলেই নিজেদের অধিনায়ককে হারায় আয়ারল্যান্ড। তাসকিন আহমেদের অফ স্টাম্পের বল তাড়া করতে গিয়ে আউট হন পল স্টার্লিং। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে লিটন দাস ক্যাচ লুফে নিলে শূূন্য রানেই ফিরে যেতে হয় আইরিশ অধিনায়ক। দ্বিতীয় ওভারে বোলিং এসে প্রথম বলেই উইকেট তুলে নেন সাকিব।

বাঁহাতি এই স্পিনারের শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে হাঁটু গেড়ে পুল খেলতে চেয়েছিলেন লরকান টাকার। তবে শেষ মুহূর্তে ব্যাট থামিয়ে দেয়ায় বল ব্যাটে লেগে রনির হাতে চলে যায়। ফলে ফিরতে হয় টাকারকে। তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে দুই ছক্কা দেন নাসুম আহমেদ। তবে পরের ওভারে বোলিংয়ে এসে আরও একবার প্রথম বলেই উইকেট পান সাকিব।

বাংলাদেশের অধিনায়কের আর্ম বলে বোল্ড হয়েছেন রস টেলর। সেই ওভারের শেষ বলে সাকিব নিয়েছেন আরও এক উইকেট। সাকিবের নিচু হওয়া ডেলিভারিতে এজ হয়ে লিটনের গ্লাভসে ধরা পড়েন ডেলানি। প্রতি ওভারে উইকেট নেয়ার ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন নিজের তৃতীয় ওভারেও। সাকিবের স্ট্রেইট ডেলিভারিতে সুইপ করতে চেয়েছিলেন জর্জ ডকরেল। তবে ব্যাটে-বলে করতে পারেননি তিনি।

জোরালো আবেদন করলে আউট দেন অনফিল্ড আম্পায়ার তানভীর আহমেদ। তবে ততক্ষণাৎ রিভিউ নেন ডকরেল। রিপ্লেতে দেখা যায় বল মিডল স্টাম্পে হিট করতো। ফলে রিভিউ নিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি ডকরেলের। একই ওভারের শেষ বলে আরও এক উইকেট নিয়েছেন সাকিব। বাঁহাতি এই স্পিনারকে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন হ্যারি টেক্টর।

তাতে পঞ্চাশ পেরোনোর আগেই ৬ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। আর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয়বারের মতো ৫ উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়েছেন সাকিব। প্রথমবার বাংলাদেশি হিসেবে একাধিকবার ৫ উইকেট নেয়ার রেকর্ডটা এখন তার দখলে। এদিন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেয়া বোলারদের তালিকায় টিম সাউদিকে ছাড়িয়ে গেছেন তিনি। বর্তমানে সাকিবের উইকেট ১৩৬টি।

সাকিব-তাসকিনদের সঙ্গে উইকেট নেয়ার মিছিলে যোগ দেন হাসান মাহমুদও। ডানহাতি এই পেসারের বলে আউটসাইড এজ হয়ে লিটনের গ্লাভসে ক্যাচ দেন মার্ক অ্যাডায়ার। নিজের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে ফিন হ্যান্ডকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেছেন তাসকিন। ৫০ করা ক্যাম্ফারকেও ফিরিয়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত সফরকারীরা থামে ১২৫ রানে।

এর আগে লেগ স্পিনার গ্যারেথ ডেলানিকে দিয়ে বোলিং শুরু করেছিল আয়ারল্যান্ড। প্রথম ওভারে কোনো বাউন্ডারি হজম না করলেও ৮ রান দিয়েছিলেন ডেলানি। পরের ওভারে মার্ক অ্যাডায়ারকে দুই চার মেরেছেন রনি ও লিটন। সময় যত বেড়েছে বাংলাদেশের দুই ওপেনার ততই আক্রমণাত্বক হয়েছেন। তাতে মাত্র ৩.৩ ওভারে দলের পঞ্চাশ পেরোয় বাংলাদেশ। ১৭ ওভারের ম্যাচ হওয়ায় এদিন পাওয়ার প্লে ছিল ৫ ওভার।

সেখানে ব্যাটিং-তাণ্ডব চালিয়ে লিটন ও রনি মিলে তুলেছেন ৭৩ রান। যেখানে বেশিরভাগ রানই এসেছে লিটনের ব্যাট থেকে। আইরিশ বোলারদেরে তুলোধুনো করতে থাকা লিটন বেন হোয়াইটের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ১৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেছেন। টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে বাংলাদেশের হয়ে যা দ্রুততম। এর আগে ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করা মোহাম্মদ আশরাফুলের হাফ সেঞ্চুরি ছিল ২০ বলে।

এদিন ১৬ বছরের পুরোনো সেই রেকর্ড ভেঙেছেন লিটন। এদিকে হোয়াইটের আউট সাইড লেগ স্টাম্পের ডেলিভারিতে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে লিটন চার মারলে একশ পূর্ণ হয় বাংলাদেশের। নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো উদ্বোধনী জুটিতে একশ ছুঁয়েছে স্বাগতিকরা। শুধু তাই নয় সেই চারে ছাড়িয়ে গেছেন নাইম শেখ ও সৌম্য সরকারের করা ১০২ রানের উদ্বোধনী জুটির রেকর্ড।

৮ বছর পর জাতীয় দলে ফিরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৩৮ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন রনি। টানা দুই হাফ সেঞ্চুরি করার সুযোগ ছিল ৩২ বছর বয়সি এই ওপেনারের। তবে তাকে সেটা করতে দিলেন না হোয়াইট। ডানহাতি এই স্পিনারকে লং অন দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে অ্যাডায়ারেরে হাতে ধরা পড়েন ২২ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলা রনি। তাতে ভাঙে বাংলাদেশের রেকর্ড ১২৪ রানের উদ্বোধনী জুটি।

আগের ম্যাচে শেষের দিকে ব্যাটিং করলেও এদিন তিনে নেমেছেন সাকিব আল হাসান। হোয়াইটের বলে লং অন দিয়ে চার মেরে প্রথম বলেই রানের খাতা খোলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। দারুণ ব্যাটিংয়ে ক্যারিয়ার সেরা ৭৩ রানের ইনিংস পেরিয়ে গেলেও প্রথমবার সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি লিটনের। খানিকটা তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে আউট হয়েছেন ডানহাতি এই ওপেনার।

হোয়াইটের ওয়াইড তাড়া করতে গিয়ে আউটসাইড এজ হয়ে উইকেটকিপারের গ্লাভসে ক্যাচ দেন ৪১ বলে ক্যারিয়ার সেরা ৮৩ রান করা লিটন। এরপর তাওহিদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে ঝড়ো ব্যাটিং করতে থাকেন সাকিব। মাত্র ২৪ বলে পঞ্চাশ পেরিয়েছে তাদের দুজনের জুটি। শেষ ওভারে অ্যাডায়ারের স্লোয়ার ডেলিভারিতে টপ এজ হয়ে ফিরে গেছেন ১৩ বলে ২৪ রান করা হৃদয়। এদিকে সাকিব অপরাজিত ছিলেন ২৪ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ - ২০২/৩ (১৭ ওভার) (লিটন ৮৩, রনি ৪৪, সাকিব ৩৮*, হৃদয় ২৪)

আয়ারল্যান্ড- ১২৫/৯ (১৭ ওভার) (ক্যাম্ফায়ার ৫০; সাকিব ৫/২২)

;

লিটন-রনির চোখ জুড়ানো ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের ২০২



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আয়ারল্যান্ড বোলারদের তুলোধুনো করে ১৭ ওভারের ম্যাচেও দুইশ টপকেছে বাংলাদেশ। টি-টুয়েন্টিতে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়া লিটন দাস সেঞ্চুরির সুযোগ হাতছাড়া করেছেন। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে নির্ধারিত ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২০২ রান তুলেছে বাংলাদেশ।

ওপেনিং জুটিতে বাংলাদেশ গড়েছে নতুন রেকর্ড। রনি তালুকদারকে নিয়ে লিটন ঝড় তোলেন শুরুতেই। মাত্র ৩.১ ওভারে ফিফটি পূর্ণ করে বাংলাদেশ। ৭.১ ওভারে ১০০ রানে পৌঁছায় স্বাগতিকরা।

মাত্র ১৮ বলে ব্যক্তিগত পঞ্চাশে পৌঁছান লিটন। ২০০৭ সালে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০ বলে ফিফটি করেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ১৬ বছর পর সেই রেকর্ড ভাঙেন ক্ল্যাসিক এই ব্যাটার। ৪১ বলে ১০টি চার ও ৩টি ছয়ে ৮৩ রান করে আউট হন বেন হোয়াইটের বলে।

টি-টুয়েন্টিতে যেকোনো উইকেটে সর্বোচ্চ ১৩২ রানের জুটি ছিল বাংলাদেশের। সেটির কাছে গিয়ে রনি সাজঘরে ফেরেন। ২৩ বলে ৪৪ রান করেন আগের ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০১২ সালে ঘরের মাঠে সর্বোচ্চ রানের জুটিটি গড়েছিলেন তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সেটির দ্বারপ্রান্তে গিয়ে থামলেন লিটন দাস ও রনি তালুকদার। তার আগে ছোট ফরম্যাটে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটির রেকর্ড গড়েছেন দুজনে।

টি-টুয়েন্টিতে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নাঈম শেখ ও সৌম্য সরকারের ১০২ রানের ওপেনিং জুটির রেকর্ড ভেঙেছেন লিটন ও রনি। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টুয়েন্টিতে ১২৪ রানের ওপেনিং জুটি গড়েছেন তারা।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বৃষ্টির কারণে ম্যাচের দৈর্ঘ্য ৩ ওভার কমিয়ে ১৭ ওভারে আনা হয়েছে। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার লিটন ও রনি। তৌহিদ হৃদয় ১৩ বলে ২৪ রান করেন। বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ২৪ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন।

 

;

সিরিজ জয়ের মিশনে দুপুরে মাঠে নামছে বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সময়টা দারুণ কাটছে বাংলাদেশের। তারই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ম্যাচেই সফরকারী আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর বাংলাদেশ।

দুপুর ২টায় শুরু হওয়া ম্যাচটি টি স্পোর্টস চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

প্রথম ম্যাচে বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশ ২২ রানে হারায় আয়ারল্যান্ডকে। প্রথমে ব্যাট করে ১৯ দশমিক ২ ওভারে ৫ উইকেটে ২০৭ করে বাংলাদেশ। বৃষ্টির বাঁধায় ইনিংস শেষ করতে পারেনি টাইগাররা। ওই দিন নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২১৫ রানের রেকর্ড ভাঙার সুযোগ ছিল টাইগারদের সামনে।

বৃষ্টি আইনে ৮ ওভারে জয়ের জন্য ১০৪ রানের নতুন টার্গেট পায় আয়ারল্যান্ড। জবাবে ৮ ওভারে ৫ উইকেটে ৮১ রান করে ম্যাচ হারে আইরিশরা।

প্রথম ম্যাচের পারফরমেন্সে এটা অত্যন্ত পরিষ্কার যে, আক্রমণাত্মক ধরনের ক্রিকেট খেলতে কোন প্রকার ছাড় দেবে না বাংলাদেশ দল।

প্রথম ম্যাচ শেষে সাকিব আল হাসান জানান, নিজেদের ইচ্ছে অনুযায়ী আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে পেরেছে দল। তিনি বলেন, আমরা এটাই চাই। এক বা দুইজনের পক্ষে সবসময় অবদান রাখা কঠিন। এই ধরনের অলরাউন্ড পারফরমেন্স চাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা নিশ্চিত নই উইকেট কতটা কাজে আসবে, কিন্তু আমরা শুরু থেকে ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করি।

প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত ইনিংসের সুবাদে টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মত ম্যাচ সেরা হন রনি। প্রথম ম্যাচে ফিল্ডিংয়ের সময় ঘাড়ের ইনজুরিতে পড়ায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে অবশ্য অনিশ্চিত রনি।

দ্বিতীয় ম্যাচে রনি খেলতে না পারলেও দুঃশ্চিন্তার কারণ নেই বাংলাদেশের। এই মুর্হূতে বাংলাদেশের হাতে যথেষ্ট দক্ষতাসম্পন্ন খেলোয়াড় রয়েছে।

এই সিরিজের আগে, তিন ম্যাচের সিরিজে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। শক্তিশালী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের কারণে আয়ারল্যান্ডের মত দলকে হারানোর ব্যাপারে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী টাইগাররা। আইরিশদের বিপক্ষে প্রথমটিতে জিতে টানা চার ম্যাচে জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ। যা এই ফরম্যাটে যৌথভাবে সর্বোচ্চ জয়ের নজির টাইগারদের। দ্বিতীয় ম্যাচ জিতলেই নয়া রেকর্ড গড়বে সাকিব-লিটনরা।

বাংলাদেশের দুর্দান্ত ক্রিকেট নৈপুণ্যে অসহায় ও বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে আয়ারল্যান্ড।

এ দিকে সিরিজে ঘুড়ে দাঁড়িয়ে টিকে থাকার ব্যাপারে আশাবাদি আয়ারল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক পল স্টার্লিং।

বাংলাদেশ দল

সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), লিটন দাস, রনি তালুকদার, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন ও জাকের আলী অনিক।

আয়ারল্যান্ড দল

পল স্টার্লিং (অধিনায়ক), মার্ক অ্যাডায়ার, রস অ্যাডায়ার, কার্টিস ক্যাম্পার, গ্যারেথ ডেলানি, জর্জ ডকরেল, গ্রাহাম হুম, ম্যাথিউ হামফ্রেস, ব্যারি ম্যাকার্থি, কনর অলফার্ট, হ্যারি টেক্টর, লরকান টাকার, বেন হোয়াইট ও ক্রেইগ ইয়ং।

;

রনি-লিটনের তাণ্ডব, বাংলাদেশের বড় সংগ্রহের পথে বৃষ্টির বাধা



স্পোর্টস ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে রনি তালুকদার, লিটন দাস এবং শামীম পাটোয়ারীর অসাধারণ ব্যাটিংয়ে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯.২ ওভারে ৫ উইকেটে ২০৭ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ আছে।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই আগ্রাসী ভঙ্গিমায় খেলতে থাকেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার- লিটন ও রনি। প্রথম ওভারেই হ্যারি টেক্টরকে ছক্কা হাঁকান লিটন, সেই ওভারে আসে ১১ রান।

দ্বিতীয় ওভারে মার্ক অ্যাডায়ারকে ছক্কা হাঁকান রনি। সেই ওভারে লিটন আরেকটি চার হাঁকালে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে যোগ হয় আরও ১৪ রান। আইরিশ বোলারদের ওপর এ দিন একটু বেশিই চড়াও হন রনি।

পাওয়ার প্লে'র শেষ ওভারে অ্যাডায়ারকে তিনটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান তিনি। সেই ওভারে ২০ রানের সুবাদে পাওয়ার প্লে'তে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় বিনা উইকেটে ৮১ রান। সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছিলেন লিটনও। যদিও হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেননি তিনি।

অষ্টম ওভারে ব্যক্তিগত ৪৭ রানে বিদায় নেন ড্যাশিং এই ওপেনার। ২৩ বলে খেলা ইনিংসটিতে ছিল চারটি চার ও তিনটি ছক্কার মার। ক্রেইগ ইয়ংয়ের স্লোয়ার বল বুঝতে পারেননি লিটন। মিড অফে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। সহজ ক্যাচ মিস করেননি আইরিশ দলপতি পল স্টার্লিং।

প্রথম ৫০ রান পেতে বাংলাদেশের সময় লাগে ২৫ বল। আর পরের ৫০ পার করতে বাংলাদেশ খেলে ২৮ বল। লিটন ফিরলেও ঝড় থামাননি রনি। মাত্র ২৪ বলে নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি।

তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান বাড়াতে থাকেন নাজমুল হোসেন শান্তও। যদিও ১৩ বলে ১৪ রান করে ফিরে যান শান্ত। হ্যারি টেক্টরের বলে স্টাম্পিং হয়ে ফিরে যান তিনি। এরপর শামীমও হাত চালান রনির সঙ্গে।

১৪তম ওভারে বিদায় নেন রনি। ফেরার আগে ৩৮ বলে সাতটি চার এবং তিনটি ছক্কায় ক্যারিয়ার সেরা ৬৭ রান করেন তিনি। গ্রাহাম হিউমের অফ কাটারে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন রনি। এর এক ওভার পর বিদায় নেন শামীমও।

ফেরার আগে ২০ বলে ৩০ রান করেন তিনি। অ্যাডায়ারের স্লোয়ারে এক্সট্রা কাভারে ক্যাচ তুলে দেন শামীম। এই ক্যাচটিও লুফে নেন স্টার্লিং। ১৭২ রানে চার উইকেট হারানোর পর সাকিব আল হাসানের ব্যাটে দুইশ পার করে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।

সাকিব ২০ এবং মেহেদী হাসান মিরাজ ৫ রানে ব্যাটিংয়ে আছেন। ১৯.২ ওভারের পর বৃষ্টি নামলে খেলা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন আম্পায়াররা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর-

বাংলাদেশ- ২০৭/৫ (১৯.২ ওভার) (লিটন ৬৭, লিটন ৪৭, শামীম ৩০; ইয়ং ২/৪৫)।

;