বক্সিং চ্যাম্পিয়ন সুরকৃষ্ণ চাকমার বিকশিত পথ চলা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বক্সিং চ্যাম্পিয়ন সুরকৃষ্ণ চাকমা

বক্সিং চ্যাম্পিয়ন সুরকৃষ্ণ চাকমা

  • Font increase
  • Font Decrease

দর্শকরা মাত্রই নড়েচড়ে বসেছে একটা জমজমাট ম্যাচ উপভোগের জন্য। প্রথম রাউন্ডে বেশ কয়েকবার থাইল্যান্ডের চ্যাম্পিয়ন বক্সার আনান পংখেট-কে পরাস্ত করেছেন বাংলাদেশের সুরকৃষ্ণ চাকমা। দ্বিতীয় রাউন্ড শুরু হওয়ার কিছু সময়ের মধ্যেই অসাধারণ দক্ষতায় প্রতিপক্ষের তলপেটে পাঞ্চ। তাতেই কাবু পংখেট। ছয় রাউন্ডের ম্যাচ হলেও প্রতিপক্ষ নাস্তানাবুদ দ্বিতীয় রাউন্ডেই।

রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের বলরুমে এভাবেই বাজিমাত করেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা বক্সার সুরকৃষ্ণ চাকমা। লাল–সবুজের পতাকা হাতে রিংয়ে তার দীপ্ত পদচারণা মুখরিত হয়ে ওঠে দর্শকদের বাংলাদেশ–বাংলাদেশ স্লোগানে।

‘বেক্সিমকো এক্সবিসি ফাইট নাইটে’ প্রত্যাশার শতভাগ পূরণ করেছেন ২৯ বছর বয়সী দেশের উদীয়মান এই বক্সার।

এবারই প্রথম ছয় রাউন্ডের খেলায় অংশ নিয়েছেন সুরকৃষ্ণ। এ নিয়ে ছিলেন কিছুটা টেনশনেও। ‘আমি ভেবেছিলাম বক্সিং রিংয়ে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হব। তবে যথাযথভাবে প্রতিপক্ষকে এক পাঞ্চেই ঘায়েল করতে পেরেছি। আর এই পাঞ্চ আয়ত্ব করার জন্য কয়েক হাজার বার অনুশীলন করেছি আমি, বলেন সুরকৃষ্ণ।

বক্সিংয়ে শুধু দুই হাত দিয়ে প্রতিপক্ষকে আঘাত করলেই হবে না, মানসিকভাবেও নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। এ বিষয়ে সুরকৃষ্ণ বলেন, ‘আমার ফিলিপাইনি কোচ মানসিক প্রস্তুতিটা ভালোভাবেই রপ্ত করিয়েছেন। আমি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে চাই —এই জেদ ও ইচ্ছেটা তিনিই আমার মনের মধ্যে গেঁথে দিয়েছেন। এখন আমার লক্ষ্য আট রাউন্ডের বক্সিং প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া।’

সুরকৃষ্ণ চাকমার চ্যাম্পিয়ন হয়ে ওঠার গল্পটা ছিল সংগ্রামময়। গ্রামের অন্য কিশোরের মতো তিনিও ফুটবল আর ক্রিকেট নিয়েই মেতে ছিলেন। তবে বড় হয়ে ফুটবলার বা ক্রিকেটার নয়, ভিন্নধর্মী খেলা বক্সিং নিয়ে এক নতুন পথ তৈরি করে চলেছেন তিনি। পেশাদার বক্সিংয়ে ইতিমধ্যে বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করেছেন বাংলাদেশের নাম। বাংলাদেশের পেশাদার বক্সার সুরকৃষ্ণ চাকমা সাউথ এশিয়ান প্রো বক্সিং চ্যাম্পিয়ন।

কেন বেছে নিলেন বক্সিং? সুরকৃষ্ণ বলেন, ‘২০০৭ সালে আমি যখন বিকেএসপিতে ভর্তি হই, তখন ফুটবলের জন্য চেষ্টা করেছিলাম। ছোটবেলায় রাঙামাটিতে ফুটবল খেলতাম। খেলাধুলা মানেই বুঝতাম ফুটবল বা ক্রিকেট। বক্সিং সম্পর্কে কিছুই জানা ছিল না। বিকেএসপিতে ফুটবলে চেষ্টা করে যখন সুযোগ পাইনি তখন বক্সিংয়ে আসলাম। ফুটবলের পাশাপশি মার্শাল আর্টও আমাকে টানত। তাই বক্সিংকেই ভালোবাসতে শুরু করে দিই।’

বিশ্বখ্যাত বক্সার মোহাম্মদ আলি তার পছন্দের এবং অনুপ্রেরণার নাম। বাংলাদেশের পেশাদার বক্সিংয়ের যাত্রাপথ মসৃণ নয়। তবু অনুপ্রেরণায়, স্বপ্নে, প্রচেষ্টায় ভিন্নধর্মী এই খেলায় বিকশিত হয়ে উঠছেন একটু একটু করে। মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশের ব্র্যান্ড এনডোর্সার হয়েছেন তিনি।

বিকাশের চিফ মার্কেটিং অফিসার মীর নওবত আলী বলেন, সুর কৃষ্ণ চাকমা একজন অসাধারণ প্রতিভাবান খেলোয়াড়। প্রচেষ্টা আর সাধনায় তিনি পেশাদার বক্সিং এর জগতে নিজের এবং বাংলাদেশের নাম লিখিয়েছেন। তার অর্জনের ঝুলিতে ইতিমধ্যে যোগ হয়েছে অনেক অর্জন। সামনের দিনে সুর এর প্রতিভা বিকাশ এর সুযোগ তৈরি করতে আমরা তার সাথে যুক্ত হয়েছি। বাংলাদেশের কোটি মানুষের দৈনন্দিন লেনদেন সহজ ও নিরাপদ করে তাদের জীবন উন্নয়নে কাজ করছে বিকাশ। সুর তার পথচলায় বিকাশ ব্যবহারে পেয়েছেন স্বাচছন্দ্য। তার খেলার জগতেকেও স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তুলতেই আমাদের এই যৌথ পথ চলা ।

এমনই বড়–ছোট নানান উদ্যোগে বিশ্ব বক্সিংয়ে বাংলাদেশকে আরও শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন সুরকৃষ্ণ।

এরই মাঝে তার হাত ধরেই আন্তর্জাতিক পেশাদার বক্সিং সাউথ এশিয়ান প্রফেশনাল বক্সিং ফাইট নাইট—দ্য আল্টিমেট গ্লোরি প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। সুরকৃষ্ণ চাকমা প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক পেশাদার বক্সিংয়ে বাংলাদেশের হয়ে স্বর্ণপদক জয় করেছেন।

বাংলাদেশে পেশাদার বক্সিংয়ের চর্চা ছিল না, সুরকৃষ্ণ চাকমাকে দিয়ে সেটার শুরু। সুযোগটা কীভাবে এল? সুরকৃষ্ণ জানান, ২০১৪ সালে এসএ গেমসে সোনাজয়ী বক্সার আবদুর রহিমকে হারিয়ে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হন তিনি। এরপর কমনওয়েলথ গেমসের দলে ডাক পান। ২০১৫ সালে লন্ডন থেকে আসেন কিক-বক্সিংয়ের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আলী জ্যাকো। তিনি ফেডারেশনে ট্রায়ালের ব্যবস্থা করেন। শেষ পর্যন্ত সুরকৃষ্ণ একাই সুযোগ পান এবং লন্ডনে যান। লন্ডনে বিখ্যাত পিকক জিমে ছয় মাস অনুশীলন করেছেন তিনি। পেশাদার বক্সার হওয়ার ভিতটা তখনই মজবুত হয়। নামকরা অনেক বক্সার আসতেন সেখানে। সবাই তাঁকে দেখে উৎসাহ দিতেন। এরপর ২০১৮ সালে সুরকৃষ্ণকে পাঠানো হয় ভারতে। হরিয়ানার একটা একাডেমিতে ছয় মাস অনুশীলন করেন তিনি। বক্সিং ফাউন্ডেশনের অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশে এমন একটা ইন্টারন্যাশনাল বক্সিং টুর্নামেন্ট হবে। সেই টুর্নামেন্টে সুরকৃষ্ণ তাক লাগিয়ে দেন সবাইকে।

এই সংগ্রামময় যাত্রায় পরিবারের সহাযোগিতা কেমন পেয়েছেন? সুরকৃষ্ণ বলেন, আমার বাবা খেলোয়াড় ছিলেন। তাই খেলাধুলা নিয়ে কোনো বাধা ছিল না। ছোটবেলাতেই বাবা মারা যাওয়ার আমার পরিবার আর্থিকভাবে তেমন সচ্ছল নয়। মা, মামা, কাকা মিলে তাই আমাকে বিকেএসপিতে ভর্তি করে দেন। বিকেএসপির খরচ, পরিবারের খরচ—সবকিছু মামারাই দিয়েছেন।

খেলাধুলার পাশাপাশি সংগ্রামী সুরকৃষ্ণ চাকমা পড়াশোনাও চালিয়ে গেছেন নিজের আগ্রহে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন তিনি।

   

জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ গড়ায় ছাপ রাখতে চান রাজা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথমবারের মতো ২০টি দল নিয়ে বসতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেই বিশ্বকাপে কানাডা-উগান্ডার মতো দলের জায়গা হলেও হয়নি জিম্বাবুয়ের। যা অধিনায়ক হিসেবে বেশ পোড়ায় সিকান্দার রাজাকে। সেই ক্ষতে প্রলেপ হতে পারে আসন্ন বাংলাদেশ সিরিজ। যেখানে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিজেদের করতে চায় সফরকারীরা। সেই সঙ্গে জিম্বাবুয়ের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটা বার্তা দিতে চায় তারা। ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে রাজা জানিয়েছেন এমন কথায়।

নিজেদের মাটিতে উগান্ডার কাছে হেরে বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। আর সেটি যে বাকি জীবন পোড়াবে রাজাকে তা স্বীকার করে রাজা বলেন, ‘ওই ঘটনাটা সব সময়ই বেদনাদায়ক হয়ে থাকবে। শুধু এখন নয়, যখন আমরা অবসর নেব, তখনো। শুধু আমরা যারা খেলছি তাদের জন্য নয়, যারা ম্যানেজমেন্টে আছে, তাদের জন্যও বিশ্বকাপে না যাওয়াটা সমান বেদনাদায়ক। শুধু এখন নয়, এই অনুভূতি আমাদের আরও অনেক দিন বয়ে বেড়াতে হবে।’

রাজার বর্তমান বয়সটা ৩৮। তার মতোই বর্তমান দলের অনেকেই অবস্থান করছেন ক্যারিয়ারের গোধূলি লগ্নে। তবে ক্রিকেটকে বিদায় বলার আগে সকলে মিলে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎটা গড়ে দিয়ে যেতে চান তিনি। যা নিয়ে রাজা বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল বিশ্বকাপে যাওয়া। সেটা হয়নি। তবে জিম্বাবুয়েতে যে ছেলেমেয়েরা ক্রিকেট খেলে, যারা ক্রিকেট খেলে ক্যারিয়ার গড়তে চায়, তাদের প্রতি আমাদের বিরাট দায়িত্ব আছে। আমাদের বড় ক্যানভাসে দেখতে হচ্ছে বিষয়টা। অনুপ্রেরণার কথা বললেন, ওই ছেলেমেয়েরা, ওই পরিবার, আমার দেশ এবং আমাদের দেশে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করাই আমাদের অনুপ্রেরণার জন্য যথেষ্ট। আমরা চাইব আরও অনেক ক্রিকেটার তৈরি করতে এবং নিজেদের একটা ছাপ রেখে যেতে।’

;

সাকিবের ব্যাটে বঙ্গ’র স্টিকার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সময়ের বিবর্তনে এই নামটাই যেন পরিণত হয়েছে ব্র্যান্ডে। দেশের অন্যতম এই তারকার ব্যাটের এবার স্টিকার পার্টনার হলেন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ। এই চুক্তি হিসেবে আগামী ২ বছরের জন্য সাকিবের ব্যাটে দৃশ্যমানভাবে থাকবে বঙ্গ’র স্টিকার।

আগামীকাল থেকে দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শুরু হতে যাচ্ছে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সেই সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচের দলে সাকিব না থাকলেও শেষ দুই ম্যাচে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। এতে সব ঠিকঠাক থাকলে এই সিরিজ দিয়েই সাকিবের সঙ্গে যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে বঙ্গ’র।

‘ব্যাট স্টিকার পার্টনার’ হলো ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ। এই পার্টনারশীপ এর অংশ হিসাবে, জনপ্রিয় এই ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এর লোগো বিভিন্ন ক্রিকেট ম্যাচের সময় শাকিবের ব্যাটে দৃশ্যমানভাবে ২ বছর পর্যন্ত প্রদর্শিত হবে, যেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে আগামী জিম্বাবুয়ের সিরিজ, যা ৩রা মে থেকে শুরু হবে।

এ প্রসঙ্গে বঙ্গ’র প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আহাদ মোহাম্মদ বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটা গৌরবময় ইভেন্ট। সাকিব আল হাসান বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে বড় তারকা । তার ব্যাটের ‘স্টিকার পার্টনার’ হিসেবে আমরা যুক্ত হতে পেতে আনন্দিত। বঙ্গ বরাবরই শ্রেষ্ঠত্ব আর সৃষ্টিশীলতায় বিশ্বাসী। আমরা তাই সবসময় চেষ্টা করি

আমাদের সীমানা ভেঙে অভিনব কিছু আনতে যাতে আমরা দর্শকদের স্পেশাল ফিল করাতে পারি। দেশের সেরা খেলোয়াড়ের সাথে এই পার্টনারশিপ আমাদের সেই লক্ষ্যেরই একটি প্রতিফলণ।‘

অন্যদিকে এই পার্টনারশিপ নিয়ে সাকিব বলেন, ‘বঙ্গ এই মুহুর্তে দেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি নাম। বিশেষ করে ওদের সাম্প্রতিক বিভিন্ন কন্টেন্টগুলো দেশের বিনোদন জগতের এক নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে। আর আমরা সবাই জানি ক্রিকেট শুধুমাত্র একটি খেলাই নয়, কোটি কোটি মানুষের জন্য এক বিনোদনের মাধ্যমও। তাই বঙ্গ-এর মতো বিনোদন প্ল্যাটফর্মের সাথে আমাদের এই বন্ধুত্ব আশা করি এই বিনোদনের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে।‘

বঙ্গ বাংলাদেশের প্রথম ও বৃহত্তম ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম। ১৫ হাজারেরও বেশি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, ডাবিংকৃত কন্টেন্ট, নাটক, টিভি শো, সিরিজসহ বিশাল তাদের লাইব্রেরি। সম্প্রতি তারা প্রথমবারের মতো বিশ্ববিখ্যাত বিজনেস রিয়ালিটি শো ‘শার্ক ট্যাংক’-এর বাংলাদেশি সংষ্করণ তাদের প্লাটফর্মে সম্প্রচার  শুরু করেছে।  

এছাড়া পার্টনারশিপ নিয়ে বঙ্গ কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সাকিব আল হাসানকে নিয়ে আরো কিছু আকর্ষনীয় খবর আসতে চলেছে।

;

জিম্বাবুয়েকে হালকাভাবে নিচ্ছেন না শান্ত



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সবশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ হেরেছিলো ২-১ ব্যবধানে। সেটাও অবশ্য ২০২২ এর আগস্টে। অর্থাৎ এক বছর নয় মাস আগে। তবে এই সময়ে এসেছে অনেক পরিবর্তন। মাঝে একটা বিশ্বকাপও গিয়েছে। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেনি বাংলাদেশ। তবে তাদের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়েই বাংলাদেশ শুরু করবে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি।

বিশ্বকাপে না থাকলেও জিম্বাবুয়েকে একেবারেই হালকাভাবে নিচ্ছেন না স্বাগতিক ক্যাপ্টেন নাজমুল শান্ত। দুই দলের পার্থক্য দেখছেন না খুব একটা।

‘টি-টোয়েন্টিতে বড় দল, ছোট দল নেই। আপনি যেটা বললেন, জিম্বাবুয়ে উগান্ডার কাছে হেরে গেছে। এই জিম্বাবুয়ে কিন্তু কিছুদিন আগে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে। ওই রকম চিন্তা করলে খুব বেশি পার্থক্য মনে হয় না। এখানে ম্যাচটা আমরা কীভাবে খেলছি, কীভাবে প্রস্তুত হচ্ছি, নিজেদের আত্মবিশ্বাস কীভাবে গড়ে তুলছি। এতটুকু বলতে পারি, সিরিজটা এত সহজ হবে না। অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সিরিজই হবে। কারণ, তারাও অনেক ভালো দল।‘

বিশ্বকাপ না খেললেও জিম্বাবুয়েকে সমীহ করছে বাংলাদেশ। এই সিরিজকে দেখছেন কয়েকজনের জন্য বিশ্বকাপে নিজেদের জায়গা মজবুতের শক্ত ভিত্তি হিসেবে। তবে শান্ত মনে করছেন এই সিরিজে খুব একটা পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রয়োজন পড়ছে না। সিরিজ জেতা আর ঠিকঠাক প্রস্তুতিটাই আপাতত শান্তর প্রধান লক্ষ্য।

‘প্রথমত অধিনায়ক হিসেবে এই সিরিজটা জিততে চাই। এটাই প্রথম লক্ষ্য। আর প্রস্তুতি তো অবশ্যই, ওটা আমাদের মাথায় থাকবে। প্রস্তুতি নিতে গিয়ে যে আমরা খেলাটা হালকাভাবে দেখবো কিংবা অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবো তা–ও না। পরীক্ষা–নিরীক্ষার প্রয়োজন হবে না। এ কারণে যে ১৫টা প্লেয়ার এখানে আছে, সবার এই দলকে হারানোর সামর্থ্য আছে। প্রস্তুতি বলবো না। আমি বলবো সুন্দর প্রস্তুতি এবং কোন কোন জায়গায় ভালো প্রস্তুতি নিয়ে যেনো আমরা বিশ্বকাপে যেতে পারি।‘

শান্ত জিম্বাবুয়েকে যতটা শক্তভাবে নিচ্ছেন রাজা-উইলিয়ামস-বার্লরা আসলেই কী তাই? বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে উগান্ডার কাছে হেরে কাটতে পারেনি বিশ্বকাপের টিকিট। বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতলে বরং সেটাই হবে অঘটন।

;

৭ উইকেটের সহজ জয়ে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ ভারতের 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

১১৮ রানের লক্ষ্যটা ছিল সহজের কাতারেই। তবে তা পুরোদস্তুর মামুলি বানিয়ে দিলেন ভারতের দুই ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা ও শেফালি ভার্মা। তাদের সাবলীল ব্যাটিংয়ে ওপেনিং জুটিতেই আসে ৯১ রান। বাকি ২৭ রান তুলতে আরও ২ উইকেট হারালেও সফরকারীদের জয়ের পথে সেটি তেমন একটা বাঁধা সৃষ্টি করতে পারেনি। ১০ বল হাতে রেখে শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটের অনায়াস জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ভারত নারী ক্রিকেট দল। 

টানা তিন ম্যাচেই সহজ এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি দুই ম্যাচ হাতে রেখেই ৩-০ ব্যবধানে জিতে নিল হারমানপ্রীতের দল। 

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১১৭ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় বাংলাদেশের মেয়েরা। 

লড়াকু সেই সংগ্রহের ভিতে জ্যোতিদের জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়েছে ভারতের ব্যাটিং ইনিংসের শুরুর ১০ ওভারেই । সেখানেই বিনা উইকেটে ৮৪ রান তুলে ফেলে শেফালি ও মান্ধানা। পরে দলীয় ৯১ রানের মাথায় ফিফটি পেরিয়ে দলীয় সর্বোচ্চ ৫১ রান তোলা শেফালিকে ফেরান রিতু মনি। 

সেখান থেকে জয়ের জন্য ৭৪ বলে স্রেফ ২৭ রানের প্রয়োজন ছিল ভারতের। এতে আরও এগেই লক্ষ্য পৌঁছানোর কথা থাকলেও দুই স্পিনার নাহিদা আক্তার ও রাবেয়া খানের কিছুটা লড়াই চালানো স্পেলে লক্ষ্যে পৌঁছাতে ১৯তম ওভার পর্যন্ত পাড়ি দিতে হয় সফরকারীদের। 

এর আগে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার দিলারা আক্তারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু পায় বাংলাদেশ। মুর্শিদা খাতুনকে নিয়ে ওপেনিং জুটিতেই ৪৬ রান তোলেন দিলারা। তবে দারুণ শুরুর পর ৮ বলে ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন এই দুই ওপেনার। পাওয়ার প্লের পর সপ্তম ওভারের তৃতীয় বলে রান আউটে কাটা পড়ে ফেরেন মুর্শিদা। এরপরের ওভারেই দারুণ শুরু পাওয়া দিলারাকে ফেরান রেনুকা সিং। ২৭ বলে ৫ চারের মারে ৩৯ রান করছেন এই ডানহাতি ব্যাটার। 

পরে সোবহানা মোস্তারিকে নিয়ে সেই ধাক্কা সামলে এগোন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। তবে ১৪তম ওভারে ফের রান আউটের ধাক্কা। সেখানে ১৫ রান করে ফেরেন সোবহানা। এবং দলীয় ১০৮ রানে মাথায় ফেরেন জ্যোতিও। ৩৬ বলে তিনি করেন ২৮ রান। দিলারা-সোবহানা-জ্যোতি বাদে এদিন ২২ গজে নামা বাকি ৬ ব্যাটারের কেউই পেরোতে পারেননি ১০ রানের গণ্ডি। ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন রাধা যাদব।  

দাপুটে জয়ে নিজেদের ব্যাটিং ইনিংসে ৩৮ বলে ৮ চারের মারে ৫১ রান করা শেফালি জেতেন ম্যাচসেরার খেতাব। 

সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড: (তৃতীয় টি-টোয়েন্টি)

বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল: ১১৭/৮ (২০ ওভার) (দিলারা ৩৯, নিগার ২৮; রাধা ২/২২, শ্রেয়াঙ্কা ১/২৪)

ভারত নারী ক্রিকেট দল: ১১৮/৩ (১৮.২ ওভার) (শেফালি ৫১, মান্ধানা ৪৭; রিতু ১/১০, রাবেয়া ১/২৪)

ফলাফল: ভারত ৭ উইকেটে জয়ী

সিরিজ: ভারত ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে

ম্যাচসেরা: শেফালি ভার্মা

;