চার বছরের জন্য নিষিদ্ধ হলেন ভারতের দ্রুততম মানবী

  • স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতীয় স্প্রিন্টার দ্যুতি চন্দ। ছবি : সংগৃহীত

ভারতীয় স্প্রিন্টার দ্যুতি চন্দ। ছবি : সংগৃহীত

ডোপ পরীক্ষায় ধরা পড়েছেন ভারতের দ্রুততম নারী অ্যাথলিট দ্যুতি চন্দ। যে কারণে, বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) তাকে চার বছরের নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে, গত ৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে তার নির্বাসনের মেয়াদ।

ডিএনএ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ডোপ পরীক্ষার জন্য গত ৫ ও ২৭ ডিসেম্বর ভারতীয় স্প্রিন্টার দ্যুতি চন্দের যে নমুনা নেওয়া হয়েছিল, তাতে নিষিদ্ধ ওষুধের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞাপন

অ্যান্টি ডোপিং ডিসিপ্লিনারি প্যানেলের (এডিডিপি) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘একজন অ্যাথলিট নিষিদ্ধ কিছু গ্রহণ করেছিলেন। এমন গুরুতর গাফিলতি বা অপরাধ হালকাভাবে নেওয়া যায় না। নিষিদ্ধ ওষুধটি যে তিনি অজান্তে বা অনিচ্ছাকৃতভাবে খেয়ে ফেলেছিলেন, তাও প্রমাণ করতে পারেননি দ্যুতি।’

এডিডিপির প্রধান চৈতন্য মহাজন বলেছেন, ‘সবকিছু খতিয়ে দেখা হয়েছে। ডোপিং বিরোধী আইন অনিচ্ছাকৃতভাবে লঙ্ঘন হয়েছে এমন কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি অ্যাথলিট। নিজের দাবি প্রমাণসহ উপস্থাপন করতে পারেননি তিনি। প্রথমত, অভিযুক্ত অ্যাথলিট কোনও চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ না করে নিজের ফিজিও থেরাপিস্টের সঙ্গে আলোচনা করে ওষুধ খেয়েছিলেন। দ্বিতীয়ত, অভিযুক্ত অ্যাথলিক ওষুধ খাওয়ার আগে তার উপাদান সম্পর্কে নিশ্চিত হননি। তৃতীয়ত, ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি (ওয়াডা) সর্বশেষ নিষিদ্ধ ওষুধের যে তালিকা প্রকাশ করেছে, তার সঙ্গে ফিজিও থেরাপিস্টের দেওয়া ওষুধ মিলিয়ে নেননি।’

বিজ্ঞাপন

জানা ড়েছে, ন্যাশনাল অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সির (নাডা) নিয়মের ২.১ এবং ২.২ ধারা লঙ্ঘন করায় দ্যুতিকে চার বছরের জন্য নির্বাসিত করা হয়।

২০২২ সালের ডিসেম্বরে দুইবার দ্যুতির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেছিল নাডা। দুইবারই তার নমুনায় নিষিদ্ধ অ্যানাবলিক স্টেরয়েড পাওয়া যায়। তখনই তাকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

তবে ২১ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন করতে পারবেন ২৬ বছরের এই ক্রীড়াবিদ। এশিয়ান গেমসে একাধিক পদকজয়ী অ্যাথলিট নির্বাসনের বিরুদ্ধে আবেদন করার কথা জানিয়েছেন।

তার আইনজীবী পার্থ গোস্বামী বলেছেন, ‘যে নিষিদ্ধ ওষুধ খাওয়ার কথা বলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত। তাছাড়া যে সময় ওষুধ খাওয়া হয়েছিল, তখন কোনও প্রতিযোগিতা ছিল না। তাই বিশেষ কোনও উদ্দেশ্যে ওষুধ খাওয়া হয়েছিল, তার কোনও প্রমাণ নেই। দ্যুতি শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির সুবিধা কোনও প্রতিযোগিতায় নেননি। দ্যুতি একাধিকবার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশকে গর্বিত করেছেন। এক দশকের বেশি সময় অসংখ্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। অন্তত ১০০ বার ডোপ পরীক্ষা দিয়েছেন দ্যুতি। কখনও এমন ঘটনা ঘটেনি। সব ক্ষেত্রেই উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। তাই নির্বাসনের শাস্তি মওকুফের জন্য আবেদন করা হবে।’

২০২১ সালে ১১.১৭ সেকেন্ডে ১০০ মিটার দৌড় শেষ করেছিলেন দ্যুতি। যা ভারতে এখনও পর্যন্ত নারীদের জাতীয় রেকর্ড। চার বছরের নির্বাসনের ফলে দ্যুতি আগামী বছর অলিম্পিক্সেও অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।