শ্রীলঙ্কার কাছে ২১ রানে হার বাংলাদেশের



বার্তা২৪ স্পোর্টস
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাকিস্তানের কাছে ৭ উইকেটের বড় হারে এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্ব শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের। ফাইনালের সম্ভাবনা ভালোভাবে টিকিয়ে রাখতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে তাই জয় ছিল অনিবার্য। তবে ঘরের মাঠে স্বাগতিকদের সঙ্গে লড়াইটা ঠিক জমল না। আরও একবার ব্যাটিং ব্যর্থতার খেসারত দিয়ে হারতে হল টাইগারদের। সুপার ফোরে টানা দুই হারের পরও কাগজে-কলমে শেষ হয়ে যায়নি বাংলাদেশের সম্ভাবনা। তবু এখান থেকে ফাইনালের স্বপ্ন দেখাটা হয়ত একটু বাড়াবাড়িই হবে!

কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে ২১ রানে হারিয়ে দিয়েছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। এর মধ্য দিয়ে টানা ১৩ ওয়ানডে জয়ের কীর্তি গড়েছে দাসুন শানাকার দল। অস্ট্রেলিয়ার পর টানা ওয়ানডে জয়ের দিক দিয়ে এখন এককভাবে দ্বিতীয় স্থানটি লঙ্কানদের।

প্রেমাদাসায় টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ। বোলাররা লঙ্কানদের ২৫৭ রানে আটকে দিয়ে তাদের কাজটা ঠিকঠাক সেরেছিলেন। তবে এই টার্গেটেও ব্যাটাররা খাবি খেলেন। এবারের এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কা এবং সুপার ফোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দুটিতেও ব্যাটারদের পারফরম্যান্স হতাশার জন্ম দেয়। মাঝে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে ব্যাটাররা তাদের সেরাটা দিয়েছিলেন, সে ম্যাচে ফলও পক্ষে এসেছিল।

শ্রীলঙ্কাকে ২৫৭ রানে আটকে দেয়ার পর বাংলাদেশের শুরুটা মন্দ হয়নি। প্রথম ১০ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৭ রান তোলে বাংলাদেশ। পরের দশ ওভারে পাল্টে যায় দৃশ্যপট। এই সময়ে ৩৭ রান তুলতেই টপ অর্ডারের চার ব্যাটারকে হারায় বাংলাদেশ।

পঞ্চম উইকেটে তাওহিদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে ৭২ রানের জুটি গড়েন মুশফিকুর রহিম। তবে ব্যক্তিগত ২৯ রানে তেড়েফুঁড়ে খেলতে গিয়ে মুশফিক উইকেট বিলিয়ে দিলে আবারও বিপদে পড়ে বাংলাদেশ।

হৃদয় তবু লড়াই চালিয় যান, তুলে নেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি। তবে সঙ্গীর অভাবে একসময় তার প্রতিরোধও ভেঙে পড়ে। ৯৭ বলে ৭ চার এবং ১ ছয়ে ৮২ রানে থামে হৃদয়ের ইনিংস। শেষ উইকেটে নাসুম আহমেদ এবং হাসান মাহমুদের ১২ বলে ২০ রানের ক্যামিও জুটিতে আশার পারদ চড়লেও শেষতক তাতে শুধু হারের ব্যবধানই কমেছে।  

আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর একই মাঠে ভারতের বিপক্ষে সুপার ফোরে নিজেদের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে সাকিব আল হাসানের দল।

   

ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচ এখন পাকিস্তানের



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অনেকটা অনুমেয়ই ছিল পাকিস্তানের কোচ হতে যাচ্ছেন জেসন গিলেস্পি ও গ্যারি কার্স্টেন। এরপরও দেশটা পাকিস্তান বলেই শেষ ঘোষণা না আসা পর্যন্ত শঙ্কা থাকেই। অবশেষে সেই শঙ্কায় দূর হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড পিসিবি।

অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি পেসার জেসন গিলেস্পিকে টেস্ট কোচ করা হয়েছে। অন্যদিকে সাদা বল অর্থাৎ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ২০১১ সালে ভারতকে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতানো দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ গ্যারি কার্স্টেনকে। অন্যদিকে সদ্য শেষ হওয়া নিউজিল্যান্ড সিরিজে সাময়িকভাবে দায়িত্ব সামলানো আজহার মাহমুদকে সব ফরম্যাটেই সহকারী কোচ হিসেবে রাখা হয়েছে। আর এই তিন জনকেই আগামী দুই বছরের জন্য নিয়োগ দিয়েছে পিসিবি।

আসছে জুন মাসেই বসবে টি-টোয়েন্টির বিশ্ব আসর। আর সেই আসরের আগেই পাকিস্তান দলের ইংল্যান্ড সফরে দলের দায়িত্ব নেবেন কার্স্টেন। যেখানে তার অধীনে ২২ মে চারটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে পাকিস্তান। যা হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চূড়ান্ত প্রস্তুতি। এরপর সেখান থেকে সরাসরি বিশ্বকাপে বিমান ধরবে পাকিস্তান দল। অন্যদিকে পাকিস্তানের টেস্ট কোচ হিসেবে গিলেস্পির যাত্রা শুরু হবে আগস্টে। যেখানে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুটি টেস্ট খেলবে পাকিস্তান দল।

এই তিন কোচের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পিসিবি প্রধান মহসিন নকভি বলেন, ‘তাদের তিন জনেরই দুর্দান্ত রেকর্ড আছে। আমি তাদের পাকিস্তান ক্রিকেট পরিবারে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। জেসনের কোচিং ক্যারিয়ার দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় পর্যায়েই সাফল্যের ছিল। তাকে খেলোয়াড়দের উন্নয়ন এবং দলের পারফরম্যান্সের উপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে গ্যারির কোচিং ক্যারিয়ার বেশ সমৃদ্ধ। তার জয়ী মানসিকতা, সেই সঙ্গে তরুণ প্রতিভা বিকাশ করার ক্ষমতা রয়েছে। খেলার সর্বোচ্চ স্তরে সাফল্য অর্জন করেছে সে, তাকে ক্রিকেটের সবচেয়ে সম্মানিত এবং ডিমান্ডেবল কোচদের একজন করে তোলেছে।’

;

লিগ শিরোপা জেতার অপেক্ষা বাড়ল পিএসজির



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্রেঞ্চ লিগের নিচের সারির দল লে হাভ্রের সঙ্গে টেবিল টপার পিএসজির ম্যাচ, তাও আবার পিএসজির ঘরের মাঠে। এই ম্যাচে দাপটের সঙ্গে জয় তুলে নিবে স্বাগতিকরা, তা দেখা ছিল সময়ের অপেক্ষা মাত্র। তবে সবাইকে অবাক করে পিএসজিকে রুখে দিল লে হাভ্রে, ৩-৩ গোলের সমতায় শেষ হলো ম্যাচ।

চলতি মৌসুমের ফ্রেঞ্চ লিগ শিরোপা নিশ্চিতই বলা যায় পিএসজির। তবে এই ম্যাচে পূর্ণ পয়েন্ট আদায় করতে পারলেই আনুষ্ঠানিকভাবে লিগ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা যেত লুইস এনরিকের দলকে। তবে হতাশাজনক এই ড্রয়ের পর সেই অপেক্ষা আরেকটু বাড়ল তাদের।

এদিন ম্যাচের ১৯তম মিনিটে প্রথম গোল হজম করে পিএসজি। মিনিট দশেক পরে তা শোধ করেন ব্র্যাডলি বারকোলা। বিরতির আগে আবারও এগিয়ে যায় লে হাভ্রে।

বিরতির পরই দেম্বেলের পরিবর্তে দলকে উদ্ধার করতে মাঠে নামেন কিলিয়ান এমবাপে। ৬১তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ায় সফরকারীরা। ম্যাচ হাত থেকে ছুটে যেতে থাকায় গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে পিএসজি। ৭৯তম মিনিটে পিএসজির হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন হাকিমি। এক গোলে পিছিয়ে থেকেই হারতে যাচ্ছে পিএসজি বেশিরভাগ দর্শকরা তাই ধরে নিয়েছিল।

তবে যোগ করা সময়ের শেষ মুহুর্তে এসে দলের হয়ে সমতাসূচক গোলটি করেন স্প্যানিশ স্ট্রাইকার গনসালো রামোস। ফলে ৩-৩ গোলে ড্র করে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়ে পিএসজি। এই ড্রয়ের পর ৩১ ম্যাচে ৭০ পয়েন্টের সঙ্গে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ্বেই আছে এমবাপেরা। তবে কাগজে-কলমে এখনো দুইয়ে থাকা মোনাকোর লিগ জয়ের সম্ভাবনা আছে বলে আনুষ্ঠানিকভাবে পিএসজিকে বিজয়ী ঘোষণা করা যাচ্ছে না।

;

অপরাজিত থাকার রেকর্ড ধরে রাখল লেভারকুসেন



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বুন্দেসলিগার শিরোপা নিশ্চিত হয়েছে আরও আগেই। লিগ জয়ের উদযাপনও অনেকাংশেই শেষ করে রেখেছে বায়ার লেভারকুসেন। তবে এবার ইতিহাস গড়ার দিকেই যেন নজর তাদের। গতরাতে স্টুটগার্ডের সঙ্গে ২-২ গোলের সমতায় ম্যাচ শেষ করে এমনটাই আভাস দিয়েছে লেভারকুসেন।

এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই কিছুটা চাপে ছিল স্বাগতিকরা। ফলস্বরূপ প্রথমার্ধে একের অধিক আক্রমণের শিকার হয় তারা। যদিও গোল দিতে ব্যর্থ হয় স্টুটগার্ড। তবে বিরতির পর মাঠে নেমেই দশ মিনিটের ব্যবধানে দুটি গোল হজম করে বসে লেভারকুসেন।

তবে পরপর কয়েক ম্যাচে নিজেদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিয়ে ম্যাচে ফেরত এসেছে লেভারকুসেন এই নজির তো আছেই। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। ৬১তম মিনিটে দলের হয়ে প্রথম গোলটি করেন আমিনে আডলি। ম্যাচের শেষ বাঁশি যেকোনো সময়ে বেজে উঠবে, হার নিয়ে মাঠ ছাড়বে লেভারকুসেন তা যখন অনেকেই নিশ্চিত, ঠিক তখনই চমক দেখাল তারা!

যোগ করা সময়ে (৯৬ তম মিনিটে) সমতাসূচক গোলটি দিয়ে পুরো গ্যালারিতে উল্লাসের জন্ম দেন রবার্ট আন্ড্রিক। এই ড্রয়ের সঙ্গে লেভারকুসেনের চলতি মৌসুমে অপরাজিত থাকার রেকর্ডটিও তারা ধরে রাখল। লিগের আর মাত্র তিনটি ম্যাচ বাকি জাবি আলোনসোর দলের। এর একটি ম্যাচও না হেরে শেষ করতে পারলেই লেভারকুসেন গড়বে ইতিহাস।

;

মেসির জোড়া গোল ও অ্যাসিস্টে জিতল মায়ামি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইন্টার মায়ামির হয়ে যে ম্যাচেই মাঠে নেমেছেন, তাদের জয়ে ভূমিকা রেখেছেন। প্রায় প্রতি ম্যাচেই দলের হয়ে গোল করছেন অথবা করাচ্ছেন লিওনেল মেসি। গতরাতে মেজর লিগ সকারের ম্যাচে নিউ ইংল্যান্ডকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে ইন্টার মায়ামি, যেখানে জোড়া গোল আদায় করা ছাড়াও একটি গোলে অ্যাসিস্টও করেছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী এই মহাতারকা।

এদিন ম্যাচের একদম শুরুতেই ধাক্কা খেয়ে বসে ইন্টার মায়ামি। প্রথম মিনিটেই গোল হজম করে তারা। এরপর পরিস্থিতি সামাল দিয়ে আক্রমণের সুযোগ তৈরি করতে থাকে মায়ামি, একের পর এক বেশকিছু আক্রমণ চালায় মেসির দল। তবে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পাচ্ছিল না তারা।

৩১তম মিনিটে মায়ামির হয়ে প্রথম গোলটি করেন মেসি। বিরতির পর যেন আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে গোলাপী জার্সিধারীরা। ৬৭তম মিনিটে সাবেক বার্সা সতীর্থ সার্হিও বুস্কেটসের দুর্দান্ত এক পাস থেকে নিখুঁত ফিনিশ করেন মেসি, পেয়ে যান ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল।

ম্যাচের শেষভাগে যেয়ে ৮৩ তম মিনিটে মায়ামির হয়ে ব্যবধান বাড়ান বেঞ্জামিন ক্রেমাসকি। তবে মেসি একাই গোল করবেন কিন্তু সতীর্থ কাউকে দিয়ে গোল করাবেন না সে ঘটনা বিরল। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার মিনিট দুয়েক আগে পুরোনো বন্ধু লুইস সুয়ারেজকে বাড়িয়ে দেন বল, ঠান্ডা মাথায় শট নিয়ে বল জালে জড়ান উরুগুইয়েন তারকা স্ট্রাইকার।

মেসি নৈপুণ্যে আরও একটি জয় তুলে নিল ইন্টার মায়ামি। এই জয়ের পর মেজর লিগ সকারের পয়েন্ট টেবিলের ইস্টার্ন কনফারেন্সে শীর্ষে আছে মায়ামি। ১১ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট তাদের।

;