আফগানিস্তানকে উড়িয়ে বিশ্বকাপে শুভসূচনা বাংলাদেশের
বল হাতে ম্যাচটা হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছিল বোলাররা। আফগানদের হারিয়ে বিশ্বকাপের মিশন শুরু করতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল মাত্র ১৫৭ রান। লক্ষ্যটা ছোট হলেও বাংলাদেশের শুরুটা হয়নি ভালো। ২৭ রানেই হারায় দুই ওপেনারকে। উঁকি দিচ্ছিল শঙ্কা। সেই শঙ্কা অবশ্য দূর করেছেন অলরাউন্ডার মেহেদী মিরাজ ও নাজমুল শান্ত। বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতেও আফগানদের বিপক্ষে ঢাল হয়ে দাঁড়ান মিরাজ। খেলেন সাহসী সহ শট।
ভাগ্য নাকি সাহসীদের সঙ্গে থাকে। মিরাজ বোধয় সেই সুবাদেই একের পর এক সুযোগ পেলেন। আউট হওয়ার আগে ফিফটি তুলে দলকে জয়ের ভিত গড়ে দিয়ে গেলেন। সেই ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে ৯২ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় তুলেছে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টে যা বাংলাদেশের প্রথম জয়।
ধর্মশালায় এদিন আফগানদের দেওয়া ১৫৮ রানের জবাবে দলীয় ১৯ রানের মাথায় রান আউটের ফাঁদে পড়ে তানজিদ তামিম। এরপর ফজলহক ফারুকীর বলে স্টাম্প ভাঙলে সাজঘরে ফিরতে হয় আরেক ওপেনার লিটন দাসকেও। ২৭ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে খানিকটা চাপেই পড়ে বাংলাদেশ।
এরপর মিরাজের ব্যাটে সেই চাপ কাটিয়ে আফগানদের উল্টো চাপে রাখে বাংলাদেশ। নাজমুল শান্ত ও মিরাজের ৯৭ রানের তৃতীয় উইকেট জুটিতে পেয়ে যায় জয়ের রসদ। অবশ্য এদিন আফগানদের বেশ কবার সুযোগ দিয়েছিল মিরাজ। যদিও সেই সুযোগ লুফে নিতে পারেনি দলটির ফিল্ডারর। সুযোগ কাজে লাগিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি আদায় করে বাংলাদেশকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন মিরাজ।
এরপর অবশ্য ৫৭ রানে নাভীন-উল-হকের বলে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে তাকে। তবে ততক্ষণে জয়ের খুব কাছে চলে গিয়েছে বাংলাদেশ। এরপর বাকি পথটুকু অধিনায়ক সাকিব ও মুশফিককে নিয়ে পারি দিয়েছেন শান্ত। ৮৩ বলে ৫৯ রানের ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন এই ব্যাটার।
এর আগে ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২০২৩ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। একাদশে আছেন আটজন ব্যাটার। তানজিদ হাসান তামিম, তাওহীদ হৃদয় ও শরিফুল ইসলাম খেলছেন ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ।
ব্যাট করতে নেমে আশাজাগানিয়া শুরু করেছিল আফগানরা। তবে সেটিকে দীর্ঘায়িত হতে দেননি টাইগার বোলাররা। শেষের ৪৬ রানে যোগেই আট উইকেট হারিয়েছে রশিদ-নবীরা। ৩৭ দশমিক ২ ওভারে ১৫৬ রানেই গুটিয়ে যায় তারা।