দাপুটে জয়ে বিশ্বকাপ শুরু প্রোটিয়াদের



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি:সংগৃহীত

ছবি:সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease
লক্ষ্যটা কঠিন। জিততে হলে রীতিমতো বিশ্বকাপের রেকর্ড রান চেজ করতে হবে। তাতে কি-জয় পরাজয় তো ম্যাচেরই অংশ। আগে তো লড়াইটা করা চায়। বুকে সাহস রাখা চায়। হারার আগে হার মানেনি শ্রীলঙ্কাও। যেন দক্ষিণ আফ্রিকার রান পাহাড় ডিঙাতেই মাঠে নেমেছে দ্বীপ দেশটি। যদিও শেষ পর্যন্ত তাদের হারতে হয়েছে ১০২ রানের বড় ব্যবধানে।

এদিনম্যাচ জিততে ইতিহাস গড়তে হতো লঙ্কানদের। টপকাতে হতো প্রোটিয়াদের ৪২৮ রানের পাহাড়। সেই লক্ষ্যে শুরুতে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরের পথ ধরতে হয় ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কাকে। তবে অন্য প্রান্তে রানের চাকা সচল রেখেছিলেন কুসাল মেন্ডিস। তার ব্যাটেই স্বপ্ন দেখছিল লঙ্কানরা। অপর প্রান্তে কুসাল পেরেরা ৭ রানে ফিরলেও প্রতিপক্ষের বোলারদের তুলোধুনো করেছেন মেন্ডিস। ফেরার আগে ৪২ বলে ৮ ছক্কা ও ৪ চারে করে গেছেন ৭৬ রান। 

এরপর তার দেখানো পথেই হেঁটেছে লঙ্কানদের বাকি ব্যাটাররা। সামারাবিক্রমা ও ধনঞ্জয় মাঝে থিতু হয়ে ফিরলেও লঙ্কানদের আশার প্রদীপ জ্বেলে রেখেছিলেন চারিথ আসালাঙ্কা। তবে ৬৫ বলে ৪ ছক্কা ও ৮ চারে ৭৯ রান করে তিনি ফিরলে হোঁচট খায় লঙ্কানরা। জয় থেকে ১৯৭ রান দূরে থাকতেই লঙ্কানরা হারিয়ে বসে টপ অর্ডারের স্বীকৃত ৬ ব্যাটারকে। এরপর আর ঘুরে দাঁড়ানো হয়নি লঙ্কানদের। দেখা হয়নি জয়ের স্বপ্নও। 

অধিনায়ক দাসুন শানাকার ৬৮ রান ও বাকিদের লড়াই কেবল হারের ব্যবধান কমিয়েছে। লঙ্কানদের ইনিংস থেমেছে ৪৪.৫ ওভারে ৩২৬ রানে। 

এর আগে দিল্লিতে এদিন বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে বল করতে নেমে শুরু পেলেও সেটা ধরে রাখতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। সময়ের সঙ্গে জুটি গড়ে ভয়ঙ্কর হতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ব্যাটার কুইন্টন ডি কক ও রাসি ফন ডার ডুসেন। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দু’জনে মিলে যোগ করেন ২০৪ রান। দু’জনেই সেঞ্চুরি হাঁকান। ডি কক ১০০ ও ডুসেন ১০৮। এই দুই ব্যাটারের পর এইডেন মার্করাম এসে ৪৯ বলে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ইতিহাসের দ্রুততম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলকে নিয়ে যান রান পাহাড়ের চূড়ায়। শেষদিকে ডেভিড মিলারের জড়ো ৩৯ রানে নির্ধারিত ওভারে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ৪২৮ রান। বিশ্বকাপের ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর।
   

ফুলহ্যামকে এক হালি দিয়ে শীর্ষে ম্যানসিটি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা নিয়ে সেয়ানে সেয়ানে লড়াই হচ্ছে ম্যানচেস্টার সিটি এবং আর্সেনালের মধ্যে। সে লড়াইয়ে এবার একটু হলেও এগিয়ে গেল পেপ গার্দিওলার দল। ফুলহ্যামকে ৪-০ গোলে হারিয়ে ৮৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠে এল তারা। সিটির সমান ৩৬ ম্যাচ খেলা আর্সেনালের পয়েন্ট ৮৩।

ফুলহ্যামের মাঠ ক্রেভেন কটেজে ম্যাচের শুরু থেকেই প্রভাব বিস্তার করে খেলে ম্যানচেস্টার সিটি। ১৩ মিনিটে ক্রোয়েশিয়ান ডিফেন্ডার ইয়োসকো ভারদিওলের গোলে এগিয়ে যায় তারা। মিডফিল্ডার কেভিন দে ব্রুইনার সঙ্গে পাস আদান-প্রদান করে নিচু শটে ফুলহ্যাম গোলকিপার বার্নড লেনোকে পরাস্ত করেন তিনি।

এই গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যায় সিটিজেনরা। দ্বিতীয়ার্ধে ঘরের মাঠে ঘুরে দাঁড়ানো তো দূরের কথা, উল্টো আরও তিনটি গোল হজম করে বসে ফুলহ্যাম।

৫৯ মিনিট বার্নার্দো সিলভার পাস ধরে সিটির লিড দ্বিগুণ করেন মৌসুমের শেষভাগে দারুণ ছন্দে থাকা ইংলিশ মিডফিল্ডার ফিল ফোডেন। ৭১ মিনিটে আবার গোলের কারিগর বনে যান সিলভা। এবার তার অনিন্দ্যসুন্দর ক্রস খুঁজে নেয় ব্যাক পোস্টে থাকা ভারদিওলকে। সেখান থেকে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল করতে বেগ পেতে হয়নি এই ক্রোয়াটের।

৮২ মিনিটে বদলি হিসেবে নামা আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড হুলিয়ান আলভারেজ যোগ করা সময়ে আরও একবার জাল খুঁজে নিয়ে ফুলহ্যামের কফিনে শেষ পেরেক ঠোকেন। এই গোলের মিনিটখানেক আগে অবশ্য ১০ জনের দলের পরিণত হয় ফুলহ্যাম। দুই হলুদে পাওয়া লাল কার্ডে মাঠ ছাড়তে হয় ডিফেন্ডার ইসা দিওপকে।

;

অলিম্পিক বাছাই খেলতে কাঠমান্ডুতে রামহিম-হৃদয়রা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুয়ারে প্যারিস অলিম্পিক। সেখানে অংশ নেয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে খেলতে হবে বাছাই প্রতিযোগিতায়। সে লক্ষ্যে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক অলিম্পিক বাছাই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে নেপালের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছেন দেশের শীর্ষ চার পুরুষ ও নারী টেবিল টেনিস তারকা।

আগামী ১৩-১৫ অনুষ্ঠিতব্য এই টুর্নামেন্টে পুরুষ বিভাগে বাংলাদেশের শীর্ষ দুই টেবিল টেনিস তারকা রামহিম লিওন বম ও মুহতাসিম আহমেদ হৃদয় এবং নারী বিভাগে দুই শীর্ষ টেবিল টেনিস তারকা সাদিয়া রহমান মৌ ও সোনাম সুলতানা সোমা অংশ নেবেন। তাদের সফরসঙ্গী হয়েছেন ম্যানেজার সাইফুল আলম বাপ্পি এবং কোচ মোহাম্মদ আলী।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত সরাসরি অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জন করায় ও ভুটান নাম এন্ট্রি না করায় পাঁচ দলকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে বাছাই পর্ব। দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চল থেকে একজন করে পুরুষ ও নারী খেলোয়াড় প্যারিস অলিম্পিকে খেলার সুযোগ পাবেন।

প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ ছাড়াও অংশ নেয়া অন্য দেশগুলো হচ্ছে- স্বাগতিক নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ। প্রতিযোগিতা শুধু একক ফরম্যাটে হবে। প্রথমে দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে লিগভিত্তিক এবং পরে উভয় গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন-রানার্সআপদের সেমিফাইনাল এবং তারপর ফাইনাল।

প্রায় ২০ দিন ধরে নিবিড় আবাসিক ক্যাম্পের মাধ্যমে নিজেদের বাছাইয়ের জন্য প্রস্তুত করেছেন রামহিম-সাদিয়ারা। ভারতীয় কোচ মিহির ঘোষ এবং দুই ভারতীয় প্রশিক্ষণ সহযোগী অয়ন পাল ও আবীর রায়ের তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষণ নেন তারা।

টুর্নামেন্ট শেষে আগামী ১৬ মে দেশের ফেরার কথা রয়েছে বাংলাদেশ দলের।

;

টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিচ্ছেন অ্যান্ডারসন



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০০৯ সালে সবশেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন, ২০১৫ সালের পর আর ওয়ানডেও খেলা হয়নি তার। এবার টেস্ট ক্রিকেটকেও বিদায় বলে দিচ্ছেন ইংল্যান্ড কিংবদন্তি পেসার জেমস অ্যান্ডারসন। আগামী জুলাইতে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট দিয়েই বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন তিনি।

আজ (শনিবার) এক বিবৃতিতে অবসরের ঘোষণা দিয়ে অ্যান্ডারসন জানান, ‘লর্ডসে (ইংলিশ ক্রিকেট) গ্রীষ্মের প্রথম ম্যাচটাই হবে আমার শেষ টেস্ট। ২০ বছর ধরে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা এবং শৈশবের প্রিয় খেলা খেলতে পারার অনুভূতি অসাধারণ।’

তরুণদের জন্য জায়গা ছেড়ে দেয়ার কথা জানিয়ে সাদা পোশাকে ইংল্যান্ডের সর্বকালের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি অ্যান্ডারসন যোগ করেন, ‘আমি যেভাবে একসময় নিজের স্বপ্নকে সত্যি করার সুযোগ পেয়েছিলাম, এখন অন্যদের সে সুযোগ করে দিতে আমার সরে যাওয়ার এটাই সঠিক সময়।’

এখন পর্যন্ত ১৮৭ টেস্টে মাঠে নেমে ৭০০ উইকেট শিকার করছেন অ্যান্ডারসন। টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে তার চেয়ে বেশি উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন কেবল দুইজন- শ্রীলঙ্কার মুত্তিয়া মুরালিধরন (৮০০ উইকেট) ও অস্ট্রেলিয়া প্রয়াত স্পিনার শেন ওয়ার্ন (৭০৮)।

ক্রিকেট ছাড়ার পর কী করে সময় কাটবে, বিদায়ী বিবৃতিতে সেটাও বলেছেন ৪২ বছর বয়সী অ্যান্ডারসন, ‘নতুন সব চ্যালেঞ্জের জন্য মুখিয়ে আছি। আরও বেশি বেশি গলফ খেলব।’

;

তিন ম্যাচ হাতে রেখেই বসুন্ধরার শিরোপা উৎসব



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘরের মাঠে মোহামেডানের কাছে হেরেছিল বসুন্ধরা কিংস। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত লিগে সেটাই বসুন্ধরার একমাত্র হার। মোহামেডানের মাঠে সেই হারের মধুর প্রতিশোধ নিয়ে টানা পঞ্চমবারের মতো লিগ শিরোপা জয়ের উৎসব করল তারা। ১-২ গোলের হারে লিগের ১৫তম ম্যাচে এসে থামল মোহামেডানের অপরাজেয় যাত্রা।

ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দাপট দেখিয়ে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে বসুন্ধরা। প্রথম বাঁশি থেকে দাপটের পুরস্কার ১৮ মিনিটে পেয়ে যায় তারা। মোহামেডানের দুর্বল রক্ষণের সুযোগ নিয়ে খুব সহজেই নিজেদের মধ্যে পাস আদান-প্রদান করেন মোরসালিন ও রবসন। বক্সের ভেতর রবসনের পাস ধরে ডান পায়ের সহজ ফিনিশে বসুন্ধরাকে ম্যাচে প্রথম এগিয়ে দেন দরিয়েলতন।

বিরতির আগে গোলের আরও সুযোগ এলেও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি বসুন্ধরা। সমতায় ফেরার সুযোগ লুফে নিতে পারেনি মোহামেডানও।

তবে বিরতির পর আর হেলায় সুযোগ হারায়নি বসুন্ধরা। ৫২ মিনিটে মোরসালিনের দারুণ এক কর্নার থেকে জোরালো হেডের মাধ্যমে বসুন্ধরার লিড দ্বিগুণ করেন সেই দরিয়েলতন। এই মৌসুমে প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে বেশকিছু ম্যাচ জিতলেও বসুন্ধরাকে দুই গোল দিয়ে কামব্যাক করা চাট্টিখানি কথা নয়।

৬৬ মিনিটে দুই সতীর্থে ওয়ান-টু পাস খেলে দারুণ প্লেসিং শটে মোহামেডানের মিনহাজ রাকিব ব্যবধান কমিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত স্নায়ু নিয়ন্ত্রণে রেখে স্কোরলাইন ২-১ এই আটকে রাখে বসুন্ধরা। নির্ধারিত এবং যোগ করা সময় বেশ কয়েকটি দুর্দান্ত সেভে বসুন্ধরার জয়ে বড় অবদান রাখেন দলটির গোলকিপার মেহেদী হাসান শ্রাবণ।

২০১৮-১৯ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে অভিষেকের পর থেকে টানা পঞ্চমবার লিগ শিরোপা জিতে আবাহনীর সঙ্গে ব্যবধান কমিয়ে এনেছে তারা। ছয় শিরোপা জিতে সর্বোচ্চ লিগ জয়ের রেকর্ড এখনো আবাহনীর দখলে।

;