অজি পেসে দিশেহারা ভারত
স্পিন বিষে অজিদের নীল করেছিল ভারত। অস্ট্রেলিয়াকে আটকে দিয়েছিল ১৯৯ রানে। অস্ট্রেলিয়া বল হাতে সেই জবাবটা দিচ্ছে পেসে। ৫ রানের মাথায় ভারতের তিন টপ-অর্ডারকে সাজঘরের পথ ধরিয়েছে তারা।
লক্ষ্যটা ছোট হলেও চেন্নাইয়ে এই মাঠে কাজটা যে সহজ হবে না সেটা মাঠে নেমেই টের পেয়েছে ভারত। দলীয় ২ রানের মাথায় ভারতের দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে স্বস্তি এনে দেন অজিদের দুই পেসার মিচেল স্টার্ক ও জস হ্যাজেলউড। এরপর উইকেটে আসা শ্রেয়াস আইয়ারকেও রানের খাতা খুলতে দেননি হ্যাজেলউড। এই দুই পেসার গতির ঝড় তুলে ভারতীয় ব্যাটারদের কাবু করে রেখেছেন।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৫ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১২ রান। উইকেটে থিতু হতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুল।
এর আগে চেন্নাইয়ে এদিন টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। রানের খাতা না খুলেই সাজঘরের পথ ধরতে হয়েছে মিচেল মার্শের। এরপর অবশ্য স্মিথকে নিয়ে শুরুর ধাক্কা ভালোভাবেই সামলে নিয়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। তবে ব্যক্তিগত ৪১ রানে ফিরতে হয় তাকে।
এরপর মার্নাস লাবুশেনকে নিয়ে বিশ্বকাপের প্রথম অর্ধ শতকের পথে হাঁটছিলেন স্মিথ। তবে শেষ পর্যন্ত ৪৬ রানে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে তাকে। ফেরার আগে ৬৪ গড়ে ব্যাট চালিয়ে চাপ বাড়িয়েছেন তিনি।
এরপরও তিনি যতক্ষণ মাঠে ছিলেন ততক্ষণই আশা ছিল অজিদের। স্মিথ ফিরতেই যেন ধস নামে অজিদের ব্যাটিং লাইনআপে। দ্রুতই ফিরে যান থিতু হওয়া লাবুশেন ও সদ্য উইকেটে পা রাখা অ্যালেক্স ক্যারি।
ম্যাক্সওয়েল চাপ সামলাতে এসে কিছুটা সময় নিচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাকেও ফিরতে হয়েছে ১৫ রানে। হাল ধরতে পারেননি ক্যামেরুন গ্রিন ও অধিনায়ক প্যাট কামিন্সও। ভারতীয় স্পিন আগ্রাসনের বিপরীতে খুব বেশি সময় উইকেটে টিকতে পারেননি কেউই।
শেষদিকে টেলেন্ডাররা হাল ধরলেও শেষ পর্যন্ত অল-আউট হতে হয়েছে অজিদের। তবে মিচেল স্টার্কের ব্যাটে ঠিকই মান বেঁচেছে অজিদের। ৪৯.৩ ওভারে অল আউট হওয়ার আগে স্টার্কের ২৮ রানের সুবাধে ভারতকে ২০০ রানের টার্গেট দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।