আম্পায়ারিংয়ের ঘরোয়া কেলেঙ্কারির আর্ন্তজাতিক উন্মোচন!



এম.এম. কায়সার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪,কম
ঘরোয়া ক্রিকেটের বাজে আম্পায়ারিং এবার দেখা গেল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে

ঘরোয়া ক্রিকেটের বাজে আম্পায়ারিং এবার দেখা গেল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘরোয়া ক্রিকেটে পক্ষপাতমুলক আম্পায়ারিং, পাতানো ম্যাচের কেলেঙ্কারি প্রায় সময়ে চাপা পড়ে যায়। দেশের পত্রপত্রিকা, অনলাইন মিডিয়া, টিভি চ্যানেল এসব কেলেঙ্কারি নিয়ে জোর প্রতিবাদ এবং সত্য উন্মোচনে বড় ভুমিকা রাখে। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটের এতসব কেলেঙ্কারি আর্ন্তজাতিক নজর সবসময় পায় না। এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে দেশি আম্পায়ারদের চরম কিছু ভুল সিদ্ধান্ত ঘরোয়া ক্রিকেটের কেলেঙ্কারিকে আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে বেমালুমভাবে ফাঁস করে দিলো।

লেগসাইডে ছয়জন ফিল্ডার রাখার ভুল। সাকিব কট বিহাইন্ড হলেন, কিন্তু আম্পায়ার নির্দেশ দিলেন ওয়াইড বল; আরেকটি ভুল। এভিন লুইসের একহাত সামনে ব্যাটে বল লাগলো, আম্পায়ার বললেন এলবিডডব্লু; ভুল! পপিংক্রিজের দাগের ভেতরে পা, আম্পায়ার জানালেন নো বল। এক ওভারে টানা দুই বলেই একই ঘটনা। দু’বারই রিপ্লেতে পরিস্কার-ওটা নো বল নয়। আট মিনিট খেলা বন্ধ। খেলা শুরুর জন্য ম্যাচ রেফারিকে মাঠে নামতে হয়। এহেন কেলেঙ্কারির দায়ভার পুরোটাই দেশি আম্পায়ারদের। সুনির্দিষ্ট করে নামটা বললে আম্পায়ার তানভীর আহমেদ এবং গাজী সোহেলের। দুজনেই এই সিরিজে এমন হাস্যকর কিছু ভুল করেছেন যা তাদের আম্পায়ারিংয়ের যোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভুল ও নির্দেশিত এবং পক্ষপাতমুলক আম্পায়ারিং কেলেঙ্কারির ঝুঁড়ির ময়লা এখন আর্ন্তজাতিক পরিসরেও উন্মোচিত হয়ে গেল। 

আম্পায়ারিংয়ে ভুল, নতুন কোন ঘটনা নয়। তবে সেই আম্পায়ারিং যখন যোগ্যতার প্রশ্নের মুখে পড়ে, সন্দেহের পথ তৈরি করে, তখন সেটা অবশ্যই বড় ঘাটতি। পরিস্কার ভাষায় যাকে বলে-দায়িত্বহীন আম্পায়ারিং। এই আম্পায়াররা ঘরোয়া ক্রিকেটে সারাজীবন আম্পায়ারিংয়ে প্রচুর ভুল করেছেন। ইচ্ছেকৃতভাবে নো বল, ওয়াইড বল কল করে গেছে। কর্তার ইচ্ছেয় কর্মসাধন করেছেন। তেমনভাবে কখনোই তাদের এমনসব ভুলের কোন হিসেব-নিকেষই নেয়া হয়নি। যখন যা ইচ্ছে হয়েছে এই আম্পায়াররা সেটাই করেছেন। বিভিন্ন ক্লাবের বড় কর্মকর্তা এবং বোর্ডের দায়িত্বে থাকাদের কাছ থেকে প্রশয় পেয়েই এই আম্পায়াররা তাদের ভুল সিদ্ধান্তকেই ‘সঠিক’ বলে চালিয়ে দেয়াকে কুঅভ্যাস বানিয়ে ফেলেন!

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের শেষ ম্যাচে আম্পায়ার তানভীর আহমেদের যোগ্যতার প্রশ্ন আসছে এই কারণে যে, একটা ভুল করার পর ঠিকই পরের ভুলেই সেই একই ভুল তিনি করেছেন! যদিও প্রথম ভুলের পরই তাকে জানিয়ে দেয়া হয়েছিলো যে তিনি বড় ভুল করেছেন। কিন্তু সেটা থেকে মোটেও কোন শিক্ষা নিতে পারেননি তানভীর। পরের বলেই আবার সেই আগের ভুল করলেন। অর্থাৎ তিনি তো শিখলেনই না! ভুল থেকে যিনি শিখতে পারেন না, উল্টো একের পর এক ভুল করেই যান; তার যোগ্যতা নিয়ে তো প্রশ্ন উঠবেই।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/23/1545555266485.jpg

ঘরোয়া ক্রিকেটে কর্তার ইচ্ছেয় আঙ্গুল তুলে দেয়ার অভ্যাসের দাস হয়ে যাওয়া এমনসব আম্পায়াররা আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটেও দাসত্ব থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি। মাঠে হাস্যকর ভুলগুলো সেই দাসত্বেরই দাগ!

১৮ বছর ধরে টেস্ট ক্রিকেট খেলছে বাংলাদেশ। অথচ দেশের আম্পায়ারিং সেক্টর সবচেয়ে অবহেলা এবং যেনতেন ভাবে চলছে। সেই ভিক্টোরিয়ান আমল থেকেই যিনি আম্পায়ারিং বোর্ড বা পরিষদের দায়িত্বে ছিলেন, সেই তিনিই এখন পর্যন্ত চেয়ারের পেছনে তোয়ালে ঝুলিয়ে বসে থাকেন! এতই মধু এখানে যে নতুন কাউকে জায়গা দিতেই নারাজ আম্পায়ারিং কমিটির পন্ডিতরাজরা!
যার ফলাফল এখনো আইসিসি’র এলিট প্যানেলে কোন বাংলাদেশী আম্পায়ারের জায়গাই হয়নি! অথচ জিম্বাবুয়েরও আর্ন্তজাতিক ম্যাচ রেফারি আছে! আর্ন্তজাতিক আম্পায়ারিংয়ে বাংলাদেশের মর্যাদার ক্রমমান শূণ্যের কোটায়।

-দায়টা কার?

সার্বিক অর্থে দায়টা ক্রিকেট বোর্ডের। একটা টেস্ট খেলুড়ে দেশের ক্রিকেট শুধুমাত্র জাতীয় দল দিয়ে হয় না। শুধুমাত্র জাতীয় দলের দিকে সব মনোযোগ ঢেলে আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে সামনে বাড়লে সেই দেশের পরিণতি কেনিয়ার মতো হতে বাধ্য।

ব্যাখাটা এমন। বাংলাদেশ আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে এমন ভাল ফল করছে তার মুল কারণ আমাদের এই জেনারেশন কয়েকজন তুমুল প্রতিভাবান ও পরিশ্রমী ক্রিকেটার পেয়েছে। জাতীয় দলের সাফল্যের সিংহভাগই আসছে তাদের পারফরমেন্সের কল্যানে। কেউ যদি মনে করেন এটাই সাফল্য গল্পের সবকিছু, তাহলে তিনি বোকার স্বর্গে বাস করছেন।

দেশকে সাফল্য এনে দেয়া এই চার-পাঁচজন ক্রিকেটার তো অনন্তকাল ক্রিকেট খেলবেন না। বা দেশকে সেবা দিতে পারবেন না। তাই আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটের পরিমন্ডলে যদি এগিয়ে যেতে হয়, তাহলে সামগ্রিকভাবে এগিয়ে যেতে হবে। শরীরের কোন একটা অংশ যদি হঠাৎ করে বড় হয়ে যায় তখন সেটাকে স্বাভাবিক বৃদ্ধি ভাবার কোন কারণ নেই। বরং তখন দুঃশ্চিন্তা ছড়ায়। একটা উদাহরণ দেই। চারদিকে সমানভাবে বৃদ্ধি না হয়ে যদি দেখা গেলো শরীরের হাতটা শুধু বিশাল লম্বা হয়ে গেছে, অথবা পা লম্বা হয়ে গেছে। বাকি অংশ শুকনো খটখটে! তখন সেই বৃদ্ধিকে কি কেউ স্বাভাবিক বলবেন? বরং বলবেন-বিঁধঘুটে! দেশের ক্রিকেটের অবস্থা এখন সেই পর্যায়ে পৌছে গেছে। জাতীয় দল ভাল করছে। সাফল্য পাচ্ছে। স্বর্নালি কিছু প্রজন্মের কৃতিত্বে সাফল্য আসছে। সেটা দেখে কর্তারা বুক ফুলিয়ে বলছেন-আহা কি সুন্দর! বাহবা কি চমৎকার! জাতীয় দল হচ্ছে দেশের ক্রিকেটের চেহারা। সাফল্যের চর্বিতে সেই চেহারা এখন ঝলমলো চিকনাই। কিন্তু শরীরের অন্যান্য অংশে যে অযোগ্যতা ও অনিয়মের ভাইরাস জটিল রোগশোক বাঁধিয়ে দিচ্ছে। সেই ভাইরাসের অন্যতম নাম ঘরোয়া ক্রিকেটের পক্ষপাতমুলক আম্পায়ারিং।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/23/1545555283505.jpg

ঘরোয়া ক্রিকেটের দুনম্বরি আম্পায়ারিংকে গা সওয়া অভ্যাস বানিয়ে ফেলেছেন ক্রিকেট কর্তারা। প্রত্যক্ষভাবেই তারা আম্পায়ারিংয়ের চুরি-চামারিকে প্রশয় দিয়েছেন। মাঠের আম্পায়ারকে দুনম্বরি করতে নির্দেশটা তো তারাই দিচ্ছেন। এসব নিয়ে যে মিডিয়ায় রিপোর্ট হচ্ছে না, তা কিন্তু নয়। কিন্তু সেই রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পর দুদিন খানিকটা চেঁচামেচি হয়, তৃতীয়দিন সেটা ধামাচাপা। সবকিছু ভুলে যাওয়া।

উদারহণ তো হাতের কাছেই!

কিছুদিন আগে ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগের শেষ ওভারে যে ঘটনা ঘটলো সেটা কোনমতেই ক্রিকেট না। সেটা ক্রিকেটকে গলাটিপে খুন করার সামিল! ফতুল্লার মাঠে ম্যাচ জিততে শেষ ওভারে অগ্রণী ব্যাংকের প্রয়োজন ৪ রান। হাতে জমা ৩ উইকেট। ৫২ রান নিয়ে ব্যাট করছেন দলের ব্যাটসম্যান তৌহিদ তারেক। শেষ ওভার শুরুর আগে তৌহিদকে বাউন্ডারি লাইনে ডেকে নিলেন অগ্রণী ব্যাংকের ক্রিকেট কর্মকর্তা। বললেন-ম্যাচটা ছেড়ে দিতে হবে। তৌহিদ রাজী হলেন না। মাঠে ফিরে আম্পায়ারকে তৌহিদ বললেন-তিনি অসুস্থ বোধ করছেন। ব্যাট করতে পারবেন না। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়লেন তৌহিদ। তার জায়গায় ব্যাট করতে নামলেন শহিদুল ইসলাম। ছয় বলে জিততে চাই ৪ রান। সহজ টার্গেট। কিন্তু শহিদুল সেই ওভারের সবকটি বল বøক করলেন। মেডেন দিলেন! রান নেয়ার কোন চেষ্টাই করলেন না! প্রতিপক্ষ ওল্ডডিওএইচএস ৩ রানে ম্যাচ জিতলো।

এটাকে কি আপনি ক্রিকেট খেলা বলবেন? পরিস্কার দৃষ্টিতে এটা প্রতারণা। জোচ্চুরি। ইচ্ছে করে ম্যাচ হারা। পাতানো ম্যাচ। এত বড় অপরাধের ঘটনা ঘটলো। পত্রিকায় ফলাও করে রিপোর্ট হলো। অথচ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে টুঁ শব্দ নেই।

কারণ ক্লাব কর্তারাই যে বোর্ডের বড় চেয়ারে আসীন!

   

হতাশাজনক বিশ্বকাপ শেষে সাকিবের জন্য নতুন দুঃসংবাদ

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না সাকিব আল হাসানের। দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপ খেলতে নামা সাকিব টানতে পারলেন না দলকে। উল্টো আসরজুড়ে ব্যর্থতার বোঝা চাপিয়ে দিলেন দলের ওপর। তাতে ব্যর্থ হলো দলও।

সুপার এইটে বাংলাদেশ জায়গা করে নিলেও জয় পায়নি কোনো ম্যাচেই। আর এই তিন ম্যাচেই ফ্লপ সাকিব। যার প্রভাব পড়েছে তার অলরাউন্ডার র‌্যাঙ্কিংয়েও। তিন ধাপ পিছিয়ে সাকিব এবার নেমে গেছেন ৬ নম্বরে। আইসিসির সাপ্তাহিক র‌্যাঙ্কিং হালনাগাদে দেখা গেছে এই চিত্র।

আগের সপ্তাহে ৫ নম্বরে নামার পর গত সপ্তাহে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে অপরাজিত ৬৪ রানের একটা ইনিংস খেলে র‌্যাঙ্কিংয়ে ২ ধাপ এগিয়ে তিন নম্বরে স্থানে উঠে এসেছিলেন সাকিব। এবার ফের পিছিয়ে পড়লেন তিনি। যা এ যাবত কালে সাকিবের সবচেয়ে বাজে র‌্যাঙ্কিং!

সুপার এইটের সবশেষ তিন ম্যাচে সাকিব করেছেন মাত্র ১৯ রান। বল হাতে ভারতের বিপক্ষে ১ উইকেট তুলতে খরচ করেছেন ৩৭ রান। সবশেষ আফগানদের বিপক্ষে ম্যাচে বল হাতে ১৯ রান খরচ করেছেন তবে ব্যাট হাতে পাননি রানের দেখা, গোল্ডেন ডাকের লজ্জায় ডুবেছেন।

যার প্রভাবটাই এবার পড়ল র‌্যাঙ্কিংয়ে। সাকিবের বর্তমান রেটিং ২০৬। এ তালিকায় শীর্ষে উঠেছেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। তার পয়েন্ট ২২২। তিন ধাপ অবনতি হয়েছে মার্কাস স্টয়নিসের। ৪ ধাপ এগিয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া।

;

ভারত-ইংল্যান্ড সেমিতে বৃষ্টি বাধা দিলে কী হবে ফলাফল?

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড যখন গ্রুপপর্বে ও সুপার এইটের নানান সমীকরণ মোকাবেলা করে সেমির টিকিট নিশ্চিত করল, সেখানে ভারত বেশ আগে থেকেই আছে দারুণ ছন্দে এবং মানসিকভাবে স্বস্তিতে। কারণ এখন পর্যন্ত চলতি আসরে একটি ম্যাচও হারেনি রোহিত শর্মার দল। 

দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচে বাংলাদেশ সময় আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড ও ভারত। ২০২২ আসরের পর এবারও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমির মঞ্চে লড়বে এই দু'দল। এই ম্যাচে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে অনেকটাই। তবে এই ম্যাচে নেই কোনো রিজার্ভ ডে! এতে ম্যাচ যদি মাঠে না গড়ায়, সেখানে ফলাফল আসবে কীসের ভিত্তিতে?

ম্যাচটি শুরু হবে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায়। আবহাওয়া পূর্বাভাস জানানোর ওয়েবসাইট আকুওয়েদারের সূত্রমতে, গায়ানায় সকালে বৃষ্টির সম্ভাবনা ৮৮ শতাংশ এবং বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা ১২ শতাংশ। এতেই ম্যাচে বৃষ্টি বাগড়া দেওয়ার সম্ভাবনা ব্যাপক। এদিকে রিভার্ভ ডে না থাকলেও ম্যাচের জন্য অতিরিক্ত ২৫০ মিনিট বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে সেই সময়ও যদি বৃষ্টির কারণে পেরিয়ে যায়, তখন ম্যাচের ফলাফল যাবে সুপার এইট পর্বের সমীকরণ অনুসারে। 

বৃষ্টিতে ম্যাচের মূল সময়সহ অতিরিক্ত সময়ও যদি পেরিয়ে যায় তাহলে ফাইনালে জায়গা করে নিবে ভারত। কেননা সুপার এইটে গ্রুপ ‘ওয়ান’ থেকে তারা তিনটি ম্যাচই জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পৌঁছেছে সেমিতে। এদিকে ইংল্যান্ড তিনটি ম্যাচের মধ্যে দুটিতে জিতে সেমিতে পৌঁছেছে রানার্স-আপ হয়ে। এতে সুপার এইটের এই সমীকরণে এগিয়ে আছে ভারত এবং বৃষ্টিতে পুরো ম্যাচ পরিত্যক্ত হলে ভারত খেলবে ফাইনালে। 

এদিকে প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ম্যাচটি শুরু হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৬টায়। এই ম্যাচের জন্য আবার আছে রিজার্ভ ডে। বৃষ্টির কারণে প্রোটিয়া-আফগানদের এই ম্যাচটি যথাসময়ে শুরু না হলে সেটি মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকালে।

;

কোপা আমেরিকায় যত রেকর্ড গড়েছেন মেসি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লিওনেল মেসির নামের পাশে লেখা আছে অগণিত সাফল্য ও কীর্তি। কত রেকর্ড যে মেসির ক্যারিয়ার জুড়ে তিনি গড়েছেন তার সঠিক হিসেব সম্ভবত তিনি নিজেও জানেন না। সবশেষে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ট্রফি তুলে ধরে তো তিনি নিজের ফুটবলীয় ক্যারিয়ারকে পূর্ণতা দিয়েছেন।

বর্তমানে কোপা আমেরিকা আসর চলমান থাকায় আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন মেসি। ইতিমধ্যে গ্রুপপর্বে নিজেদের দুটি ম্যাচ খেলে ফেলেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। জুনের ২০ তারিখে কানাডার বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ের পর আজ (বুধবার) চিলির সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে ১-০ গোলের জয় ছিনিয়ে নিয়েছে আলবিসেলেস্তেরা। এ-গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে ২৯ জুন পেরুর মুখোমুখি হবে লিওনেল স্কালোনির দল।

২০২১ সালে প্রথমবারের মতো কোপা আমেরিকার শিরোপা এবং নিজের ক্যারিয়ারে প্রথম আন্তর্জাতিক ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিলেন মেসি। এবারও শিরোপার জন্যই খেলছে পুরো দল। কোপা আমেরিকার মঞ্চেও লিওনেল মেসির আছে একাধিক রেকর্ড। চলুন সেগুলো জেনে নেওয়া যাক।

সবচেয়ে বেশি ম্যাচে মাঠে নামা

চলতি আসরে কানাডার বিপক্ষে ম্যাচটির মাধ্যমে মেসি তার ক্যারিয়ারের ৩৫তম কোপা আমেরিকার ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন, যা ইতিহাসে যেকোনো ফুটবলার হিসেবে সর্বোচ্চ। এর আগে সর্বোচ্চ ৩৪টি ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন চিলির সের্হিও লিভিংস্টোন।

প্রথম আর্জেন্টাইন হিসেবে সর্বোচ্চ আসর

আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় মেসি যিনি কোপা আমেরিকার সাতটি ভিন্ন আসরে খেলেছেন। ভেনেজুয়েলায় অনুষ্ঠিত ২০০৭ সালের কোপা আমেরিকা টুর্নামেন্টের পর থেকে তিনি প্রতিটি আসরেই জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন। এই টুর্নামেন্টে এবার তার সপ্তমবার উপস্থিত থাকার মাধ্যমে তিনি হেক্টর স্কারোন, মিটন মেলগার এবং কার্লোস বোর্জার সাথে তৃতীয় সর্বোচ্চবার কোপা আসর খেলা আর্জেন্টাইন ফুটবলার। শুধুমাত্র অ্যাঞ্জেল রোমানো এবং অ্যালেক্স আগুইনাগা আটবার করে এই টুর্নামেন্ট খেলেছেন।

এছাড়াও কোপা আমেরিকার মঞ্চে আরও কিছু রেকর্ডের খুব কাছে আছেন মেসি, হয়ত চলতি আসরেই সেগুলোও নিজের ঝুলিতে জমা করে ফেলবেন। যেমন-

চিলিতে ২০১৫ সালে এবং ব্রাজিলে ২০২১ সালের কোপা আসরে টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। এবারও যদি আসরের সেরা হিসেবে নির্বাচিত হন তাহলে তিনটি ভিন্ন আসরে সেরা ফুটবলার হওয়ার বিরল কীর্তি গড়বেন তিনি।

বর্তমানে মেসির মোট আন্তর্জাতিক গোল ১০৮টি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ১৩০টি। আন্তর্জাতিক গোলের রেকর্ডে পৌঁছানোর জন্য যদিও মেসি এখনো রোনালদোর থেকে ২২ গোল পিছিয়ে আছেন, তবে শীঘ্রই এই তালিকার দুইয়ে উঠতে পারেন মেসি। অবসরপ্রাপ্ত ইরানের ফুটবলার আলী দাইয়ের আন্তর্জাতিক গোলসংখ্যা ১০৯টি। চলতি আসরে আর মাত্র দুটি গোল করলে পারলেই মেসি পেছনে ফেলবেন আলীকে।

চলতি কোপা আমেরিকায় মেসি যদি যেকোনো ম্যাচে একটি হ্যাটট্রিক করতে পারেন, তাহলে তালিকাভুক্ত দশ জন ফুটবলারদের সঙ্গে লেখা হবে মেসির নামও, যারা কোপা আমেরিকায় অন্তত দুইবার হ্যাটট্রিক করেছেন।

;

চলে গেলেন ডিএলএসের জনক ডাকওয়ার্থ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই যুগ আগে ক্রিকেটে ম্যাচের মধ্যে বৃষ্টি এলে পরিসংখ্যান মেলাতে লেগে যেত গোলযোগ। সেখানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) যেই পদ্ধতি ব্যবহার করত তা নিয়ে অনেকেরই ছিল অসন্তোষ। এতেই টনি লুইসকে নিয়ে বৃষ্টি বাঁধায় ম্যাচের পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ শুরু করেন ফ্র্যাঙ্ক ডাকওয়ার্থ। এবং তাদের সেই পদ্ধতি ১৯৯৯ সাল থেকে মেনে নেয় আইসিসি। পরবর্তীতে  বেশ কিছু দিন আগে আরও কিছু পরিবর্তন এনেছেন অস্ট্রেলিয়ান পরিসংখ্যানবিদ স্টিভেন স্টার্ন। যার ফলে এটিকে এখন বল হয় ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতি বা সংক্ষেপে ডিএলএস। 

ডিএলএস পদ্ধতির গোড়াপত্তন অবশ্য ডাকওয়ার্থের হাতেই। ডাকওয়ার্থ ১৯৯২ সালে রয়্যাল স্ট্যাটিস্টিকাল সোসাইটির এক কনফারেন্সে একটি গবেষণাপত্র ছাপান, তার নাম ছিল ‘অ্যা ফেয়ার রেজাল্ট ইন ফাউল ওয়েদার’। সেখান থেকেই এটির শুরু। ডিএলএসে এই সহ-উদ্ভাবক ডাকওয়ার্থ আর নেই। গত শুক্রবার মারা গেছেন ৮৪ বছর বয়সে। 

তার মৃত্যুতে এক বিবৃতিতে শোক জানিয়েছে রয়্যাল স্ট্যাটিস্টিকাল সোসাইটি। সেখানে তারা লিখেছে, ‘ফ্র্যাঙ্ককে আমরা আমাদের এই পরিমণ্ডলে আরএসএস নিউজের সম্পাদক হিসেবে তার অবদানের জন্য মনে রাখব। আর ক্রিকেট তাকে মনে রাখবে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতির সহ-উদ্ভাবক হিসেবে।’

বৃষ্টি আইন নিয়ে ডাকওয়ার্থের আগ্রহ ১৯৯২ বিশ্বকাপের দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার সেমিফাইনাল ম্যাচের পর থকে। সে ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে ১৩ বলে ২২ রানের লক্ষ্য ছিল শেষ দিকে। এরপর বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ায় ১ বলে ২২ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়। তা দেখেই একটা ন্যায্য ফলাফলের জন্য কাজ করতে থাকেন ডাকওয়ার্থ। এই গবেষণার পর টনি লুইসের সঙ্গে মিলে পদ্ধতিটায় আরও কিছু পরিবর্তন আনা হয়। এই পদ্ধতিটা ১৯৯৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে প্রয়োগ করা হয়। সে বছরই আইসিসি এই পদ্ধতি মেনে নেয়।

;