আম্পায়ারিংয়ের ঘরোয়া কেলেঙ্কারির আর্ন্তজাতিক উন্মোচন!



এম.এম. কায়সার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪,কম
ঘরোয়া ক্রিকেটের বাজে আম্পায়ারিং এবার দেখা গেল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে

ঘরোয়া ক্রিকেটের বাজে আম্পায়ারিং এবার দেখা গেল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘরোয়া ক্রিকেটে পক্ষপাতমুলক আম্পায়ারিং, পাতানো ম্যাচের কেলেঙ্কারি প্রায় সময়ে চাপা পড়ে যায়। দেশের পত্রপত্রিকা, অনলাইন মিডিয়া, টিভি চ্যানেল এসব কেলেঙ্কারি নিয়ে জোর প্রতিবাদ এবং সত্য উন্মোচনে বড় ভুমিকা রাখে। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটের এতসব কেলেঙ্কারি আর্ন্তজাতিক নজর সবসময় পায় না। এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে দেশি আম্পায়ারদের চরম কিছু ভুল সিদ্ধান্ত ঘরোয়া ক্রিকেটের কেলেঙ্কারিকে আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে বেমালুমভাবে ফাঁস করে দিলো।

লেগসাইডে ছয়জন ফিল্ডার রাখার ভুল। সাকিব কট বিহাইন্ড হলেন, কিন্তু আম্পায়ার নির্দেশ দিলেন ওয়াইড বল; আরেকটি ভুল। এভিন লুইসের একহাত সামনে ব্যাটে বল লাগলো, আম্পায়ার বললেন এলবিডডব্লু; ভুল! পপিংক্রিজের দাগের ভেতরে পা, আম্পায়ার জানালেন নো বল। এক ওভারে টানা দুই বলেই একই ঘটনা। দু’বারই রিপ্লেতে পরিস্কার-ওটা নো বল নয়। আট মিনিট খেলা বন্ধ। খেলা শুরুর জন্য ম্যাচ রেফারিকে মাঠে নামতে হয়। এহেন কেলেঙ্কারির দায়ভার পুরোটাই দেশি আম্পায়ারদের। সুনির্দিষ্ট করে নামটা বললে আম্পায়ার তানভীর আহমেদ এবং গাজী সোহেলের। দুজনেই এই সিরিজে এমন হাস্যকর কিছু ভুল করেছেন যা তাদের আম্পায়ারিংয়ের যোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভুল ও নির্দেশিত এবং পক্ষপাতমুলক আম্পায়ারিং কেলেঙ্কারির ঝুঁড়ির ময়লা এখন আর্ন্তজাতিক পরিসরেও উন্মোচিত হয়ে গেল। 

আম্পায়ারিংয়ে ভুল, নতুন কোন ঘটনা নয়। তবে সেই আম্পায়ারিং যখন যোগ্যতার প্রশ্নের মুখে পড়ে, সন্দেহের পথ তৈরি করে, তখন সেটা অবশ্যই বড় ঘাটতি। পরিস্কার ভাষায় যাকে বলে-দায়িত্বহীন আম্পায়ারিং। এই আম্পায়াররা ঘরোয়া ক্রিকেটে সারাজীবন আম্পায়ারিংয়ে প্রচুর ভুল করেছেন। ইচ্ছেকৃতভাবে নো বল, ওয়াইড বল কল করে গেছে। কর্তার ইচ্ছেয় কর্মসাধন করেছেন। তেমনভাবে কখনোই তাদের এমনসব ভুলের কোন হিসেব-নিকেষই নেয়া হয়নি। যখন যা ইচ্ছে হয়েছে এই আম্পায়াররা সেটাই করেছেন। বিভিন্ন ক্লাবের বড় কর্মকর্তা এবং বোর্ডের দায়িত্বে থাকাদের কাছ থেকে প্রশয় পেয়েই এই আম্পায়াররা তাদের ভুল সিদ্ধান্তকেই ‘সঠিক’ বলে চালিয়ে দেয়াকে কুঅভ্যাস বানিয়ে ফেলেন!

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের শেষ ম্যাচে আম্পায়ার তানভীর আহমেদের যোগ্যতার প্রশ্ন আসছে এই কারণে যে, একটা ভুল করার পর ঠিকই পরের ভুলেই সেই একই ভুল তিনি করেছেন! যদিও প্রথম ভুলের পরই তাকে জানিয়ে দেয়া হয়েছিলো যে তিনি বড় ভুল করেছেন। কিন্তু সেটা থেকে মোটেও কোন শিক্ষা নিতে পারেননি তানভীর। পরের বলেই আবার সেই আগের ভুল করলেন। অর্থাৎ তিনি তো শিখলেনই না! ভুল থেকে যিনি শিখতে পারেন না, উল্টো একের পর এক ভুল করেই যান; তার যোগ্যতা নিয়ে তো প্রশ্ন উঠবেই।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/23/1545555266485.jpg

ঘরোয়া ক্রিকেটে কর্তার ইচ্ছেয় আঙ্গুল তুলে দেয়ার অভ্যাসের দাস হয়ে যাওয়া এমনসব আম্পায়াররা আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটেও দাসত্ব থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি। মাঠে হাস্যকর ভুলগুলো সেই দাসত্বেরই দাগ!

১৮ বছর ধরে টেস্ট ক্রিকেট খেলছে বাংলাদেশ। অথচ দেশের আম্পায়ারিং সেক্টর সবচেয়ে অবহেলা এবং যেনতেন ভাবে চলছে। সেই ভিক্টোরিয়ান আমল থেকেই যিনি আম্পায়ারিং বোর্ড বা পরিষদের দায়িত্বে ছিলেন, সেই তিনিই এখন পর্যন্ত চেয়ারের পেছনে তোয়ালে ঝুলিয়ে বসে থাকেন! এতই মধু এখানে যে নতুন কাউকে জায়গা দিতেই নারাজ আম্পায়ারিং কমিটির পন্ডিতরাজরা!
যার ফলাফল এখনো আইসিসি’র এলিট প্যানেলে কোন বাংলাদেশী আম্পায়ারের জায়গাই হয়নি! অথচ জিম্বাবুয়েরও আর্ন্তজাতিক ম্যাচ রেফারি আছে! আর্ন্তজাতিক আম্পায়ারিংয়ে বাংলাদেশের মর্যাদার ক্রমমান শূণ্যের কোটায়।

-দায়টা কার?

সার্বিক অর্থে দায়টা ক্রিকেট বোর্ডের। একটা টেস্ট খেলুড়ে দেশের ক্রিকেট শুধুমাত্র জাতীয় দল দিয়ে হয় না। শুধুমাত্র জাতীয় দলের দিকে সব মনোযোগ ঢেলে আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে সামনে বাড়লে সেই দেশের পরিণতি কেনিয়ার মতো হতে বাধ্য।

ব্যাখাটা এমন। বাংলাদেশ আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে এমন ভাল ফল করছে তার মুল কারণ আমাদের এই জেনারেশন কয়েকজন তুমুল প্রতিভাবান ও পরিশ্রমী ক্রিকেটার পেয়েছে। জাতীয় দলের সাফল্যের সিংহভাগই আসছে তাদের পারফরমেন্সের কল্যানে। কেউ যদি মনে করেন এটাই সাফল্য গল্পের সবকিছু, তাহলে তিনি বোকার স্বর্গে বাস করছেন।

দেশকে সাফল্য এনে দেয়া এই চার-পাঁচজন ক্রিকেটার তো অনন্তকাল ক্রিকেট খেলবেন না। বা দেশকে সেবা দিতে পারবেন না। তাই আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটের পরিমন্ডলে যদি এগিয়ে যেতে হয়, তাহলে সামগ্রিকভাবে এগিয়ে যেতে হবে। শরীরের কোন একটা অংশ যদি হঠাৎ করে বড় হয়ে যায় তখন সেটাকে স্বাভাবিক বৃদ্ধি ভাবার কোন কারণ নেই। বরং তখন দুঃশ্চিন্তা ছড়ায়। একটা উদাহরণ দেই। চারদিকে সমানভাবে বৃদ্ধি না হয়ে যদি দেখা গেলো শরীরের হাতটা শুধু বিশাল লম্বা হয়ে গেছে, অথবা পা লম্বা হয়ে গেছে। বাকি অংশ শুকনো খটখটে! তখন সেই বৃদ্ধিকে কি কেউ স্বাভাবিক বলবেন? বরং বলবেন-বিঁধঘুটে! দেশের ক্রিকেটের অবস্থা এখন সেই পর্যায়ে পৌছে গেছে। জাতীয় দল ভাল করছে। সাফল্য পাচ্ছে। স্বর্নালি কিছু প্রজন্মের কৃতিত্বে সাফল্য আসছে। সেটা দেখে কর্তারা বুক ফুলিয়ে বলছেন-আহা কি সুন্দর! বাহবা কি চমৎকার! জাতীয় দল হচ্ছে দেশের ক্রিকেটের চেহারা। সাফল্যের চর্বিতে সেই চেহারা এখন ঝলমলো চিকনাই। কিন্তু শরীরের অন্যান্য অংশে যে অযোগ্যতা ও অনিয়মের ভাইরাস জটিল রোগশোক বাঁধিয়ে দিচ্ছে। সেই ভাইরাসের অন্যতম নাম ঘরোয়া ক্রিকেটের পক্ষপাতমুলক আম্পায়ারিং।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/23/1545555283505.jpg

ঘরোয়া ক্রিকেটের দুনম্বরি আম্পায়ারিংকে গা সওয়া অভ্যাস বানিয়ে ফেলেছেন ক্রিকেট কর্তারা। প্রত্যক্ষভাবেই তারা আম্পায়ারিংয়ের চুরি-চামারিকে প্রশয় দিয়েছেন। মাঠের আম্পায়ারকে দুনম্বরি করতে নির্দেশটা তো তারাই দিচ্ছেন। এসব নিয়ে যে মিডিয়ায় রিপোর্ট হচ্ছে না, তা কিন্তু নয়। কিন্তু সেই রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পর দুদিন খানিকটা চেঁচামেচি হয়, তৃতীয়দিন সেটা ধামাচাপা। সবকিছু ভুলে যাওয়া।

উদারহণ তো হাতের কাছেই!

কিছুদিন আগে ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগের শেষ ওভারে যে ঘটনা ঘটলো সেটা কোনমতেই ক্রিকেট না। সেটা ক্রিকেটকে গলাটিপে খুন করার সামিল! ফতুল্লার মাঠে ম্যাচ জিততে শেষ ওভারে অগ্রণী ব্যাংকের প্রয়োজন ৪ রান। হাতে জমা ৩ উইকেট। ৫২ রান নিয়ে ব্যাট করছেন দলের ব্যাটসম্যান তৌহিদ তারেক। শেষ ওভার শুরুর আগে তৌহিদকে বাউন্ডারি লাইনে ডেকে নিলেন অগ্রণী ব্যাংকের ক্রিকেট কর্মকর্তা। বললেন-ম্যাচটা ছেড়ে দিতে হবে। তৌহিদ রাজী হলেন না। মাঠে ফিরে আম্পায়ারকে তৌহিদ বললেন-তিনি অসুস্থ বোধ করছেন। ব্যাট করতে পারবেন না। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়লেন তৌহিদ। তার জায়গায় ব্যাট করতে নামলেন শহিদুল ইসলাম। ছয় বলে জিততে চাই ৪ রান। সহজ টার্গেট। কিন্তু শহিদুল সেই ওভারের সবকটি বল বøক করলেন। মেডেন দিলেন! রান নেয়ার কোন চেষ্টাই করলেন না! প্রতিপক্ষ ওল্ডডিওএইচএস ৩ রানে ম্যাচ জিতলো।

এটাকে কি আপনি ক্রিকেট খেলা বলবেন? পরিস্কার দৃষ্টিতে এটা প্রতারণা। জোচ্চুরি। ইচ্ছে করে ম্যাচ হারা। পাতানো ম্যাচ। এত বড় অপরাধের ঘটনা ঘটলো। পত্রিকায় ফলাও করে রিপোর্ট হলো। অথচ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে টুঁ শব্দ নেই।

কারণ ক্লাব কর্তারাই যে বোর্ডের বড় চেয়ারে আসীন!

   

তানজিম দারুণ বোলিং করেছে: রোহিত

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের দিনের মূল নায়ক মূলত টাইগার পেসার তানজিম হাসান সাকিব। তিনি একাই বলতে গেলে নেপালের টপ অর্ডারকে ধ্বসিয়ে দিয়েছেন, হয়েছেন ম্যাচসেরাও। তার প্রশংসা করলেন নেপালের অধিনায়ক রোহিত পোডেলও।

এদিন ৪ ওভার বল করে মাত্র ৭ রান খরচে ৪টি উইকেট শিকার করেছেন সাকিব। এর মধ্যে দুটি মেইডেন ওভারও আছে। অন্যান্য খেলোয়াড়রা ভূমিকা পালন করলেও সাকিবই আজকে জয়ের মূল কারিগর এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে রোহিত বলেছেন, 'আমার মনে হয় তানজিম দারুণ বোলিং করেছে। সে আমাদের উড়িয়ে দিয়েছে। নতুন বলে সে দারুণ করেছে। উইকেট খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল। সে ভালো জায়গায় বল করেছে। সে আমাদের কাজটা কঠিন করে দিয়েছে। আমাদের মধ্যে তেমন কিছুই হয়নি। সে আমার দিকে তেড়ে এসে বলছিল মেরে দেখাও। আমি বলেছি যাও বল করো।'

বাংলাদেশের জয়ে অভিনন্দন জানিয়ে টাইগার বোলারদের প্রশংসার পাশাপাশি তিনি নিজের দলের বোলিং বিভাগ নিয়েও সন্তুষ্ট আছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'বোলিং ইউনিট হিসেবে আমরা পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই দারুণ বোলিং করেছি। ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে তেমনটা করতে পারিনি। বাংলাদেশ আজকে দারুণ বোলিং করেছে। আমরা খুবই বাজে ব্যাটিং করেছি। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না। আমাদের টপ অর্ডার ব্যাটাররা দায়িত্ব নিতে পারেনি। এটা আমাদের ব্যর্থতা।'

;

সুপার এইটে যে যার প্রতিপক্ষ

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটের সাত দলের নাম নিশ্চিত হওয়াই ছিল। আজ (সোমবার) সকালে শেষ দল হিসেবে সুপার এইটের টিকিট পেল বাংলাদেশ। নেপালকে হারানোর সুবাদে গ্রুপপর্ব পার করার গৌরব অর্জন করলেন নাজমুল শান্তরা।

গ্রুপ-ডি থেকে ডি-২ হিসেবে সুপার এইটে জায়গা করে নিল টাইগাররা। বিশ্বকাপ আসরটি এবার শুরু হয়েছিল সর্বোচ্চ ২০টি দল নিয়ে। যেখান থেকে নিজেদের খেলা, পারফরম্যান্স ও যোগ্যতা দিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ড পর্যন্ত টিকে রইল আটটি দল। চারটি গ্রুপ থেকে শীর্ষে থাকা দুটি করে দল খেলবে সুপার এইটে।

সুপার এইটের আট দলকে ভাগ করা হয়েছে দুটি গ্রুপে। তারা নিজেদের মধ্যে একটি করে ম্যাচ খেলবে। অর্থাৎ সেমিফাইনালের আগে বাংলাদেশের চলতি বিশ্বকাপে আরও অন্তত ৩টি ম্যাচ খেলতে হচ্ছে, বাকি দলগুলোর ক্ষেত্রেও হিসেবটা একই। সুপার এইটের এই দুই গ্রুপ থেকে শীর্ষের দুটি করে দল খেলবে সেমিফাইনালের মঞ্চে।

সুপার এইটের গ্রুপ এ-তে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে টাইগারদের খেলতে হবে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে। এই তিন দলের মধ্যে অন্তত দুই দলকে হারালে সেমিতে যাওয়ার বেশ ভালো সম্ভাবনা আছে শান্তদের। গ্রুপ বি-তে আছে ইংল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকা।

তবে ফর্ম ও শক্তিমত্তা বিবেচনায় তিনটি দলই বেশ কঠিন প্রতিপক্ষ বলে মনে করছেন সমর্থকরা। কিন্তু নিজেদের প্রতি আস্থা আছে অধিনায়ক, কোচ ও দলের প্রত্যেক ক্রিকেটারের। ভালো কিছুর আশাতেই আছেন সবাই।

গ্রুপ এ- বাংলাদেশ, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তান

গ্রুপ বি- ইংল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকা

বাংলাদেশের ম্যাচ-

২১ জুন সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে - অ্যান্টিগায় প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া

২২ জুন রাত ৮টা ৩০ মিনিটে - অ্যান্টিগায় প্রতিপক্ষ ভারত

২৫ জুন সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে - সেন্ট ভিনসেন্টে প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান

সুপার এইটের ম্যাচসূচিঃ

১৯ জুনঃ   যুক্তরাষ্ট্র - দক্ষিণ আফ্রিকা (রাত ৮.৩০টা,অ্যান্টিগা)

২০ জুনঃ   ইংল্যান্ড - ওয়েস্ট ইন্ডিজ (সকাল ৬.৩০টা, সেন্ট লুসিয়া)
              আফগানিস্তান - ভারত (রাত ৮.৩০টা, বার্বাডোজ)

২১ জুনঃ   অস্ট্রেলিয়া - বাংলাদেশ (সকাল ৬.৩০টা, অ্যান্টিগা)
              ইংল্যান্ড - দক্ষিণ আফ্রিকা (রাত ৮.৩০টা, সেন্ট লুসিয়া)

২২ জুনঃ   যুক্তরাষ্ট্র - ওয়েস্ট ইন্ডিজ (সকাল ৬.৩০টা, বার্বাডোজ)
              ভারত - বাংলাদেশ (রাত ৮.৩০টা, অ্যান্টিগা)

২৩ জুনঃ   আফগানিস্তান - অস্ট্রেলিয়া (সকাল ৬.৩০টা, সেন্ট ভিনসেন্ট)
              যুক্তরাষ্ট্র - ইংল্যান্ড (রাত ৮.৩০টা, বার্বাডোজ)

২৪ জুনঃ   ওয়েস্ট ইন্ডিজ - দক্ষিণ আফ্রিকা (সকাল ৬.৩০টা, অ্যান্টিগা)
              অস্ট্রেলিয়া - ভারত (রাত ৮.৩০টা, সেন্ট লুসিয়া)

২৫ জুনঃ   আফগানিস্তান - বাংলাদেশ (সকাল ৬.৩০টা, সেন্ট ভিনসেন্ট)

;

রেকর্ডের পাতায় তানজিম সাকিবের নাম

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নেপালকে হারানোর মাধ্যমে আজ গ্রুপপর্বের লড়াই শেষ করল বাংলাদেশ। বোলারদের নৈপুণ্যে নেপালকে দেওয়া মাত্র ১০৭ রানের লক্ষ্যও আটকে দিল টাইগাররা। বিশেষ করে বাংলাদেশের পেসাররা এদিন ছিলেন অপ্রতিরোধ্য।

ইদের আনন্দ বাড়িয়ে তোলার এই জয়ের দিনের মূল নায়ক টাইগার পেসার তানজিম হাসান সাকিব। বল হাতে নিজের সেরাটাই করে দেখিয়েছেন তিনি। ৪ ওভার বল করে মাত্র ৭ রান খরচে চারটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট শিকার করেছেন সাকিব, যেখানে আবার ছিল দুইটি মেইডেন ওভার। নেপালের টপ অর্ডারকে একাই গুঁড়িয়ে দিয়েছেন ডানহাতি এই পেসার।

দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের এই দিনে বাংলাদেশ দল এবং সাকিব গড়েছেন একের অধিক রেকর্ড। চলুন সে কীর্তিগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

১০৬

পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পূর্ণ ২০ ওভারের ম্যাচে এটিই ছিল যেকোনো দলের সফলভাবে সবচেয়ে কম রানে বিপক্ষ দলকে আটকে দেওয়া। এর আগের রেকর্ডটি ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার দখলে, গেল সপ্তাহে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের বিপক্ষে তারা ১১৩ রান ডিফেন্ড করেছিল।

৪-২-৭-৪

এবারের বিশ্বকাপে পুরো ৪ ওভার বল করা বোলারদের মধ্যে এটিই সবচেয়ে ভালো বোলিং স্পেল। সব মিলিয়েও এটিই রেকর্ড।

২ মেইডেন

সাকিবের করা দুইটি মেইডেন ওভারও বিশ্বকাপের রেকর্ড। বাংলাদেশের প্রথম ও সব মিলিয়ে ষষ্ঠ বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টির বিশ্ব আসরে এক ম্যাচে দুটি মেইডেন নিলেন তিনি।

২১ ডট

তানজিম হাসান সাকিবের আজকের ম্যাচে করা ২১টি ডট বল পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলায় যেকোনো বোলার হিসেবে সবচেয়ে বেশি।

যৌথভাবে তানজিম সাকিব এবং মুস্তাফিজুর রহমান নেপালের বিপক্ষে ৭ রান করে দিয়েছেন, যা পুরুষদের টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে কম রান। এতে রিশাদ হোসেনের সাথে এই দুইজনের নামও যোগ হলো, এই বছরের শুরুতে হিউস্টনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে রিশাদ এই কীর্তি গড়েছিলেন।

৮৫

বাংলাদেশের বিপক্ষে নেপালের মোট ৮৫ রান সংগ্রহ করে পুরুষদের টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর, যেখানে দল অলআউট হয়েছে। এর আগে ২০২১ সালে নরওয়ের জার্মানির বিরুদ্ধে সর্বনিম্ন ৭৬ রানে এবং ক্যামেরুনও ২০২২ সালে ঘানার বিপক্ষে ৭৬ রানে অলআউট হয়েছিল।

১০৬

নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের করা ১০৬ রান পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আইসিসির পূর্ণ সহযোগী সদস্য হিসেবে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। এর আগে ২০১৪ সালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ইংল্যান্ড সর্বনিম্ন ৮৮ রানে অলআউট হয়।

এছাড়াও বাংলাদেশের ১০৬ রানে অলআউট হওয়া পুরুষদের টি-টোয়েন্টিতে আইসিসির পূর্ণ সহযোগী সদস্য দল হিসেবে পঞ্চম-নিম্নতম। ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হংকংয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের আগের সর্বনিম্ন অলআউট ছিল ১০৮ রানে।

;

আমরা বিশ্বাস করেছি যে জিতব: শান্ত

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অবশেষে নেপালকে হারিয়েই চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইট নিশ্চিত করল বাংলাদেশ। এই জয়ের ফলে দেশে ক্রিকেটপ্রেমীদের এবং সকল টাইগার সমর্থকদেরই ইদের আনন্দ যেন দ্বিগুণ হয়ে গেল। নেপালের বিপক্ষে ২১ রানের এই থ্রিলিং জয়ের পর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত জানিয়েছেন দলের খেলোয়াড়দের মনের অবস্থা। প্রকাশ করেছেন যে তারা কতটা আনন্দিত!

এত কম রান ডিফেন্ড করে ম্যাচ জিতে খুব স্বাভাবিকভাবেই বেশ খুশি দলের ক্রিকেটাররা। বল হাতে নিজেদের সেরাটাই যেন মাঠে ঢেলে দিয়েছেন টাইগার বোলাররা। শুরুতে ব্যাট হাতে বেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়ে দলীয় ১০৬ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৮৫ রানেই সবকটি উইকেট হারায় নেপাল।

ম্যাচ পরবর্তী সাক্ষাৎকারে অধিনায়ক শান্ত বলেছেন, 'আমরা যেভাবে এই রাউন্ডে খেলেছি খুব খুশি। আশা করি আমাদের বোলিং পারফরম্যান্স এভাবে ঠিক রাখব। আমরা খুব বেশি রান করেছি তা না তবে আমরা বিশ্বাস করেছি যে আমরা জিততে পারব। ম্যাচে আমরা যেভাবে বোলিং করেছি, আমরা জানতাম উইকেট নিতে পারব এবং এই রানে জিততে পারব।'

ফিল্ডার ও বোলারদের আলাদাভাবে প্রশংসা করেছেন তিনি, 'ফিল্ডাররাও ভালো করেছে। আমাদের সবকিছুই ঠিক হয়েছে, পেস বোলাররা সত্যিই দারুণ করেছে। এই ফরম্যাটে বোলিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ, আশা করি তারা এমনই থাকবে। এই ধরনের টুর্নামেন্টে মোমেন্টাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ, আশা করি আমরা এটিকে পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারব।'

বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে দল বেশ ভালো ফর্মে থাকলেও ব্যাট হাতে একদমই ছন্দে নেই টাইগার ব্যাটাররা, বিশেষ করে অধিনায়ক নিজেই। অতি শীঘ্রই এই রানখরা কাটিয়ে উঠে ফর্মে ফিরবেন টাইগার ব্যাটাররা, এমনটাই আশা করেন তিনি।

;