এনসিএলের সেই মুরাদকেই কিউই সিরিজে চান হাথুরুসিংহে 



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে প্রথমবারের মতো ডাক পেয়েছেন স্পিনার হাসান মুরাদ। এনসিএলে নিজের সেরা সময় পার করা এই ক্রিকেটার এখন জাতীয় দলের জার্সিতে মাঠে নামার অপেক্ষায়। এনসিলের গত দুই আসরেরই সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিনি। তবে যুব বিশ্বকাপ জয়ী এই ক্রিকেটারের কাছে বাড়তি কিছু চাইছেন না বাংলাদেশের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। তাকে তার স্বাভাবিক খেলাতেই মনোযোগ দিতে বলছেন সাবেক শ্রীলঙ্কার এই ক্রিকেটার।

সিরিজের প্রথম টেস্ট আগামী ২৮ নভেম্বর। সেটিকে সামনে রেখে দুই দল ইতিমধ্যে অবস্থান করছে সিলেটে। সেই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে আজ (রোববার) হাথুরুসিংহে বলেন, হাসান মুরাদের কাছে আমার বার্তা থাকবে, এক্স ফ্যাক্টর হওয়ার দরকার নেই। গত দুই এনসিএলে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হয়েছ। ওখানে যা করেছ, এখানেও তাই করো।’

সাকিব না থাকলেও দলে আছেন একাধিক স্পিনার। তাই এই ক্ষেত্রে স্বাগতিকদের এগিয়ে রাখছেন প্রধান কোচ।

‘তাইজুল, মিরাজ অনেক অভিজ্ঞ। তাইজুলের সম্ভবত ২০০টা টেস্ট উইকেট আছে। সে অবশ্যই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিবে, সঙ্গে মিরাজও আছে। তরুণ মুরাদ, নাঈম হাসান আছে। আমি মনে করি, এই কন্ডিশনে স্পিনাররা বড় ভূমিকা পালন করবে।'

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মুরাদের অভিষেক ২০২১ সালে। সেখানে এখন পর্যন্ত ২৫ ম্যাচে নিয়েছেন ১২১ উইকেট। এবার পালা জাতীয় দলের হয়ে নিজেক মেলে ধরার।

   

শেষ মুহূর্তের গোলে বায়ার্নকে জিততে দিল না রিয়াল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউরোপিয়ান ক্লাসিকো। বায়ার্ন মিউনিখ আর রিয়াল মাদ্রিদের লড়াইটার অনানুষ্ঠানিক নাম এমনই। তবে শেষ কয়েক বছরে তা একেবারে একপেশেই বানিয়ে ফেলেছে রিয়াল। দুই দলের শেষ ছয় বারের দেখায় পাঁচ জয়, আর ড্র একটা। সে জুজু ভাঙার ৭ মিনিটের দূরত্বে চলে গিয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখ। তবে ঠিক সেই সময় গোল করে বায়ার্নকে জিততে দেয়নি রিয়াল। ২-২ গোলের ড্র নিয়ে ছেড়েছে মাঠ।

শেষ ছয় ম্যাচে হার নেই। রিয়াল গত রাতে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনাতেও খেলেছে ফেভারিটের মতো। প্রতিপক্ষের মাঠে এগিয়ে গিয়েছিল শুরুতে। টনি ক্রুসের পাস থেকে তার গোল রিয়ালকে এগিয়ে দেয় ১-০ গোলে। 

প্রথমার্ধটা নির্বিঘ্নে পেরোলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই রিয়াল পিছিয়ে পড়ে। ৫৩ মিনিটে লেরয় সানের দুর্দান্ত এক গোলে সমতা ফেরায় বায়ার্ন। এর চার মিনিটের মাথায় প্রতিপক্ষ বিপদসীমায় ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি যায় বায়ার্নের পক্ষে। তা থেকে গোল করেন হ্যারি কেইন।

এরপর সময় চলে যাচ্ছিল, রিয়াল গোলের দেখা পাচ্ছিল না আর। তখন মনে হচ্ছিল চার মিনিটের ওই ঝড়েই বুঝি ভেঙে-চুরে যাবে বায়ার্নের কাছে ১০ বছর ধরে রিয়ালের না হারার দম্ভ। 

তবে ৮৩ মিনিটে দৃশ্যটা বদলে যায়। ভিনিসিয়াসের পেনাল্টি থেকে ২-২ গোলে সমতা ফেরায় রিয়াল। 

এই ড্রয়ের ফলে রিয়াল মাদ্রিদ আর বায়ার্ন মিউনিখের এই লড়াইয়ের ভাগ্য ঝুলেই রইল। আগামী সপ্তাহে রিয়ালের মাঠে হবে তার নিষ্পত্তি।

;

টিভিতে আজ দেখবেন যেসব খেলা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্রিকেট
আইপিএল
চেন্নাই সুপার কিংস–পাঞ্জাব কিংস
রাত ৮টা, স্টার স্পোর্টস ১ গাজী টিভি ও টি স্পোর্টস

ফুটবল
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ
সেমিফাইনাল, ১ম লেগ
বরুসিয়া ডর্টমুন্ড–পিএসজি
রাত ১টা, সনি স্পোর্টস টেন ২

সৌদি কিংস কাপ
সেমিফাইনাল
আল নাসর–আল খালিজ
রাত ১২টা, সনি স্পোর্টস টেন ১

টেনিস
মাদ্রিদ ওপেন
রাত ৮টা, সনি স্পোর্টস টেন ৫

;

বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে হেরে বিপদ বাড়ল বাংলাদেশের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির একটা বড় অংশই গিয়েছে বৃষ্টির পেটে। তবু ফল হয়েছে ম্যাচের। ডিএলএস পদ্ধতিতে বাংলাদেশ ম্যাচটা হেরে গেছে ১৯ রানে। এই হারে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। তবে ব্যাট হাতে মোটেই সুবিধা করতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ওপেনার মুর্শিদা খাতুন এক প্রান্ত আগলে শেষ ওভার পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকলেও অন্য প্রান্তে চলেছে আসা-যাওয়ার মিছিল।

১১ ব্যাটারের মধ্যে চার অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন মোটে চার ব্যাটার। তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪৬ রান এসেছে মুর্শিদার ব্যাটে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রান করেছেন এই ম্যাচ দিয়ে একাদশে প্রবেশ করা রিতু মনি।

ভারতীয় বোলারদের মধ্যে ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন রাধা যাদব।

জবাব দিতে নেমে বৃষ্টিতে ম্যাচ থেমে যাওয়ার আগে ৫.২ ওভারে ১ উইকেটে ৪৭ রান তুলে ফেলে ভারত। ২৪ বলে ৫ চার এবং ২ ছয়ে ৪১ রানে ব্যাট করছিলেন দায়ালান হেমলতা।

এরপরই শুরু হয় বৃষ্টি। বাংলাদেশ ইনিংসের সময়ও বৃষ্টি বাগড়া দিয়েছিল। তবে সে যাত্রায় খুব বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। তবে ভারতীয় ইনিংসের ষষ্ট ওভারে শুরু হওয়া বৃষ্টি আর থামেনি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের নিয়মানুযায়ী যেহেতু দুই দলই অন্তত পাঁচ ওভার ব্যাটিং করেছে, তাই নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর ডিএলএস মেথডে ম্যাচের ফল ঘোষণা করে দেয়া হয়।

৫.২ ওভারে পার স্কোর ছিল ২৮ রান। পার স্কোরের চেয়ে ১৯ রান এগিয়ে থেকে জয়ী হয় ভারত।

;

এটাই তাহলে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল?



এম. এম. কায়সার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বকাপ দল গঠন করতে কি নির্বাচকদের খুব কঠিন কোনো পরিশ্রম করতে হচ্ছে? খুব বেশি চিন্তা করতে হচ্ছে?

ত্তর হচ্ছে না, টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশ দল গঠন নিয়ে নির্বাচকদের তেমন বাড়তি কোনো চিন্তাই করতে হচ্ছে না। দল প্রায় গড়া হয়ে গেছে আগেভাগেই। এক বা দুজনকে নিয়ে সামান্য কিছু চিন্তা ছাড়া বাকি অন্তত ১৩/১৪ জনের নামের পাশে নির্বাচকরা টিকমার্ক বসিয়ে দিয়েছেন। 

বিশ্বকাপের দলকে যদি আপনি ব্যাটার, অলরাউন্ডার, স্পিনার এবং পেস বোলার-এই চার ক্যাটাগরিতে ভাগ করেন তাহলেই তালিকার ১৫ জনের শতকরা ৯৯ ভাগ নাম পেয়ে যাবেন। 

চলুন সেই হিসেব মেলাই।

প্রথমেই ব্যাটারদের প্রসঙ্গ। ওপেনিংয়ে লিটন দাস ও তানজিম হাসান তামিম থাকছেন সেই বিষয়টা নিশ্চিত। অধিনায়ক তো বাংলাদেশ আগেই ঘোষণা করেছে। সেই সূত্রে নাজমুল হোসেন শান্তর জায়গা দলে গ্যারান্টেড অনেক আগেই। ফর্ম এবং এই ফরম্যাটে খেলার দক্ষতায় তাওহিদ হৃদয় মিডল অর্ডারে আরেকটি অটোমেটিক চয়েজ। 

ব্যাটার হিসেবে বাকি পছন্দের তালিকায় থাকছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলি অনিক। অভিজ্ঞতা এবং বর্তমান ফর্মের প্রেক্ষিতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বিশ্বকাপে যাচ্ছেন সন্দেহতীতভাবেই। জাকের আলি অনিক বিপিএল এবং শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে অভিষেক সিরিজে যে পারফরমেন্স দেখিয়েছেন তাতে নির্বাচকদের গুডবুকে তার লেখা হয়ে গেছে আগেভাগেই। আরেক ব্যাটার হিসেবে আফিফ হোসেন ধ্রুব নাকি পারভেজ হোসেন ইমন এই নিয়ে কিছুটা বিশ্লেষণে রয়েছেন নির্বাচকরা। তবে অভিজ্ঞতা, ম্যাচ উইনিং পারফরম্যান্স, বোলিং দক্ষতা এবং প্রিমিয়ার ক্রিকেটে সর্বশেষ ম্যাচে ম্যাচ জেতানো ইনিংস বিশ্বকাপের ১৫ জনের তালিকায় আফিফ হোসেনকে এগিয়ে রাখছে। তরুণ পারভেজ হোসেন ইমনকে আরেকটি বিশ্বকাপের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। খুব সম্ভবত এই বিশ্বকাপে তার জায়গা হচ্ছে রিজার্ভ তালিকায়। 

অলরাউন্ডার কোটায় যথারীতি সবার আগে নাম সাকিব আল হাসানের। আরেকটি বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা যোগ হচ্ছে সাকিবের ক্যারিয়ারে। স্পিন কোটায় থাকছেন অফ স্পিনার শেখ মেহেদী ও রিশাদ হোসেন। লেগ স্পিনার নিয়ে কোনো বিশ্বকাপে খেলতে না পারার দুঃখ এবার বাংলাদেশ ভুলতে যাচ্ছে রিশাদ হোসেনের অর্ন্তভুক্তিতে। বাড়তি সুবিধা হলো শেখ মাহেদি এবং রিশাদ হোসেন দুজনেই মারকুটে ব্যাটিংটাও ভালোই জানেন। শেখ মেহেদীর তো আবার টপ অর্ডার এবং মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করার অভিজ্ঞতাও রয়েছে।

পেস বোলিং অলরাউন্ডার কোটায় মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের নাম তালিকার শীর্ষে। তবে সমস্যা ছিল তার ইনজুরি। প্রিমিয়ার ক্রিকেটে তার বোলিং ও পারফরম্যান্স বেশ কড়া নজরে রেখেছিলেন নির্বাচকরা। ইনজুরি নিয়ে বাড়তি কোনো সমস্যায় আর পড়েননি সাইফুদ্দিন। বিশ্বকাপ দলে তার অর্ন্তভুক্তির অন্যতম উপাত্ত হলো বিপিএলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। শেষের দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রায় প্রতি ম্যাচেই দেড়শ-দু’শর ওপর স্ট্রাইকরেটে রান তুলেছেন তিনি। ডেথ ওভারে বোলিংয়েও তার পারফরম্যান্স ছিল নজরকাড়া।

পেস বোলিং বিভাগে শরিফুল ইসলামকে এখন বাংলাদেশ দলের ‘নেতা’ মানা হয়। এই মর্যাদা অর্জন করেছেন শরিফুল তার পারফরম্যান্স দিয়েই।  পেছনের কয়েক বছরে তিনি দলের অন্যতম ধারাবাহিক পারফর্মার। প্রায় প্রতিটি ম্যাচে তাকে পরিকল্পনায় রেখেই বোলিং একাদশ সাজানো হয়। শরিফুল নিশ্চিতভাবেই যাচ্ছে আমেরিকা বিশ্বকাপে। জাতীয় দলে মুস্তাফিজুর রহমানের সাম্প্রতিক ফর্ম ঠিক আহামরি মানের কিছু না। কিন্তু এবারের আইপিএলে তার বোলিং পারফরম্যান্স এবং ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট শিকারের কৌশল বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলে তার জায়গাটা নিশ্চিত করেছে। তাসকিন আহমেদের জায়গা নিয়েও কোনো সংশয় নেই। তরুণ পেসার তানজিম হাসান তামিম গতি এবং সঠিক নিশানার জন্য বিশ্বকাপ দলের পরিকল্পনায় রয়েছেন। 

হিসেব মিলল বিশ্বকাপ দলের? 

সাত ব্যাটার। চার অলরাউন্ডার। চারজন বোলার। এই পনেরো নিয়েই বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল। 

বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলের প্রেডিকশন

লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনীক, আফিফ হোসেন ধ্রুব, সাকিব আল হাসান, শেখ মাহেদি, রিশাদ হোসেন, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব ও তাসকিন আহমেদ।

;