স্মার্ট ক্রীড়াঙ্গন গড়ার লক্ষ্যে ক্রীড়া মিলনমেলা

  • বার্তা২৪ স্পোর্টস
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

মহান বিজয় দিবস সামনে রেখে আগামীতে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ স্মার্ট ক্রীড়াঙ্গন’ গড়ার লক্ষ্যে শনিবার (৯ ডিসেম্বর) গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম সংলগ্ন শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্সে বসেছিল ক্রীড়াঙ্গনের রথী-মহারথীদের মিলনমেলা। জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগঠক, খেলোয়াড়, সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড়, ক্রীড়া সংগঠক সবাই মিলিত হয়েছেন এক ছাতাতলে। প্রাণোচ্ছল পরিবেশে ছিল পুরো কমপ্লেক্স জুড়ে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে আগামীতে স্মার্ট ক্রীড়াঙ্গন গড়ার লক্ষ্যে এ ক্রীড়া মিলনমেলার আয়োজন।

বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদ এবং বাংলাদেশ ক্রীড়া ফেডারেশন ফোরাম- এই তিন সংগঠনের আয়োজনে হয়েছে এই মিলনমেলা। অনুষ্ঠানে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি ও ক্রীড়াঙ্গনে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন এবং অর্জনের কথা তুলে ধরেন বক্তারা। এই ক্রীড়া মিলনমেলার পৃষ্ঠপোষকতায় ছিল সাইফ পাওয়ার টেক লিমিটেড। ক্রীড়া মিলনমেলায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের সভাপতি চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিন।

বিজ্ঞাপন

উপস্থিত ছিলেন আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থী আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ-ক্রীড়া সংগঠক মোজাফফর হোসেন পল্টু, বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ক্রীড়াবান্ধব কর্পোরেট সাইফ পাওয়ার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমিন, বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা, ক্রীড়া সংগঠক ফোরামের মহাসচিব আশিকুর রহমান মিকু, বর্ষীয়ান ক্রীড়া সংগঠক আসাদুজ্জামান কোহিনূর, এক সময়কার মাঠ কাঁপানো ফুটবলার আব্দুল গাফফার, আশরাফ উদ্দিন চুন্নুসহ বিভিন্ন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে শেষ প্রান্তে এসে মিলনমেলার আকর্ষণ বাড়িয়ে তোলেন ঢালিউড নায়ক ফেরদৌস আহমেদ। বক্তাদের আলোচনা শেষে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবান এবং পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বর্তমান সরকারের সাফল্য বিশেষ করে ক্রীড়াঙ্গনে যে গত ১৫ বছরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে সেসবের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন। মিলনমেলায় সাইফ পাওয়ারটেকের কর্ণধার তৃণমূল ফুটবল উন্নয়নের রূপকার তরফদার রুহুল আমিন বলেন, ‘মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট ক্রীড়াঙ্গন এই স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদ, বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ জাতীয় ফেডারেশন ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত আজকের এই ক্রীড়া সম্মেলন মিলনমেলা। ১৫ বছর আগে বাংলাদেশ কোথায় ছিল; আজকে কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে। গেল ১৫ বছরের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে আমাদের অর্থনীতির অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ একদিন দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বাংলাদেশ লিড দেবে। এর সরকারের আমলে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, টানেল নির্মাণ উন্নয়নের সবচেয়ে বড় উদাহরণ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন ক্রীড়াবান্ধব রাষ্ট্রনায়ক। তিনি বৈষম্যহীন ক্রীড়াঙ্গন গঠনে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিলেন। সেই ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’

বিজ্ঞাপন

তরফদার রুহুল আমিন আরো যোগ করেন, ‘স্বাধীনতা পরবর্তী পথভ্রষ্ট যুব সমাজের আলোর দিশারী হয়ে এসেছিলেন আধুনিক ক্রীড়ার প্রবক্তা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র ক্যাপ্টেন শেখ কামাল। তিনি আবাহনী প্রতিষ্ঠা করে ফুটবলের আধুনিকায়ন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু পরিবার ক্রীড়াতে সর্বদা অবদান রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে যাত্রাকে এগিয়ে নিচ্ছেন। আজকের বাংলাদেশের ক্রিকেটে যুব বিশ্বকাপ জয়, নারীদের সাফ জয়, ভলিবলে সেন্ট্রাল এশিয়ান জোনে চ্যাম্পিয়ন এসবই হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষ নেতৃত্ববলে। স্কুল পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ চালু করে তৃণমূলের খেলোয়াড় তুলে আনার কাজটাও নিয়মিত করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনও।’