আর্জেন্টিনার আলভারেসের জোড়া গোলে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন সিটি 



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি। এদিকে লাতিন আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের ক্লাব ফ্লুমিনেন্স। তবে লড়াইটা ঠিক হয়ে উঠলো না। ম্যাচ হলো একপেশে। ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্লুমিনেন্সকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে শিরোপা জিতেছে পেপ গুয়ার্দিওলার দল। 

ক্লাব বিশ্বকাপে প্রথমবারে এসেই বাজিমাত ঘটাল সিটি। চতুর্থ ইংলিশ দল হিসেবে ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতল সিটিজেনরা। 

গতকাল (শুক্রবার) রাতে কিং আব্দুল্লাহ স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুর মিনিটেই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড হুলিয়ান আলভারেসের গোলে এগিয়ে যায় সিটি। ম্যাচজুড়ে ব্রাজিলিয়ান চ্যাম্পিয়নদের পাত্তায় দেয়নি তারা। 

২৭তম মিনিটে নিজেদের জালে বল জড়িয়ে বসেন ফ্লুমিনেন্স ডিফেন্ডার নিনো। দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুটি গোল পায় ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা। ৭২তম মিনিটে ফিল ফোডেনের গোলের পর আরও শেষ দিকে আরও একটি গোল করেন আলভারেস। 

২৩ বছর বয়সেই যেন পরিপূর্ণ আলভারেস। ২০২২ বিশ্বকাপ আসরে প্রথমবারে খেলতে এসেই জেতে শিরোপা। এরপর ক্লাবের হয়ে চলমান বছরে জিতেছেন পাঁচটি শিরোপা। 

   

চোটগ্রস্ত পাথিরানাকে নিয়েই বিশ্বকাপের দল ঘোষণা শ্রীলঙ্কার



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে দারুণ খেলছিলেন মাতিশা পাথিরানা। তবে মাঝ পথে হ্যামস্ট্রিং চোটে পড়ায় আসর শেষ না করেই দেশে ফিরতে হয়েছে তাকে। সেই চোট এখনও সারিয়ে উঠতে পারেননি তিনি। তবে চোট না সারিয়ে উঠলেও তাকে বিশ্বকাপে নিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত লঙ্কানদের ১৫ সদস্যের দলে জায়গা হয়েছে তার।

বিশ্বকাপে লঙ্কানদের নেতৃত্ব দেবেন ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গা। তার ডেপুটি হিসেবে থাকবেন চারিথ আসালাঙ্কা। এর বাইরে অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও দাসুন শানাকাকে রেখেছে শ্রীলঙ্কা। দল থেকে বাদ পড়েছেন কুশল প্যারেরা ও আকিলা ধনঞ্জয়া। ১৫ সদস্যের বাইরে ভ্রমণ রিজার্ভ হিসেবে ৪ জনকে রেখেছে শ্রীলঙ্কা। তারা হলেন অসিথা ফার্নান্দো, বিজয়কান্ত বিয়াস্কান্ত, ভানুকা রাজাপাকসে, জানিথ লিয়ানাগে

এবারের বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা তাদের প্রথম ম্যাচ খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। সেই ম্যাচটি হবে আগামী ৩ জুন। শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ম্যাচ ৮ জুন। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার পরের দুই ম্যাচের প্রতিপক্ষ নেপাল ও নেদারল্যান্ডস।

শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপ স্কোয়াড: ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গা (অধিনায়ক), চারিথ আসালাঙ্কা (সহ-অধিনায়ক), কুসল মেন্ডিস, পথুম নিসাঙ্কা, কামিন্দু মেন্ডিস, সাদিরা সামারাবিক্রমা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, দাসুন শানাকা, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, মহেশ থেকশান, দুনিথ ভাল্লালাগে, দুষ্মন্ত চামেরা, নুয়ান তুষারা, মাতিশা পাথিরানা, দিলশান মাদুশঙ্কা।

ভ্রমণ রিজার্ভ: অসিথা ফার্নান্দো, বিজয়কান্ত বিয়াস্কান্ত, ভানুকা রাজাপাকসে, জানিথ লিয়ানাগে

;

হার দিয়ে শুরু এবং শেষ, মাঝে কেবলই হতাশা



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ভারতের বিপক্ষে ১ টা জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে তো সিরিজেও ভাগ বসিয়েছিল নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। এবার তাই প্রত্যাশা ছিল খানিক বেশি। এই সিরিজের আগে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা অর্জন করায়; ভাবা হচ্ছিল, ভারতের বিপক্ষে এবার প্রতিদান দেবে জ্যোতির দল।

সেই ভাবনা অবশ্য শেষ পর্যন্ত ভাবনাতেই থেকে গিয়েছে, বাস্তবে ধারা দেয়নি। ভারতের মেয়েদের বিপক্ষে হার দিয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর পর হার দিয়েই শেষ করেছে বাংলাদেশ। পুরো সিরিজে জিততে পারেনি একটি ম্যাচও। অর্জনের ঝুলি ফাঁকা হলেও হতাশার ঝুলিটা ফুলেফেপে একাকার। বিশ্বকাপের আগে ফুটে উঠেছে বেশকিছু দুর্বলতাও। সেই দুর্বলার বড় অংশ জুড়ে রয়েছে ব্যাটিং ও ফিল্ডিং।

সিরিজে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে ভারতের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে রেকর্ড রান তাড়া করতে হতো বাংলাদেশকে। টপকাতে হতো ১৫৬ রানের পাহাড়। লক্ষ্য তাড়ায় নেহায়েত মন্দ করেনি বাংলাদেশ। সিরিজের সবচেয়ে বেশি ১৩৫ রান করলেও শেষ পর্যন্ত হারতে হয়েছে ২২ রানের ব্যবধানে।

ভারতের বিপক্ষে পুরো সিরিজেই দেখা গেছে বাংলাদেশি ব্যাটারদের অসহায়ত্ব। একমাত্র ফর্মে ছিলেন অধিনায়ক জ্যোতি। তিনিও শেষ পর্যন্ত ভেসেছেন বাকিদের ব্যর্থতার মিছিলে। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ফিফটি পেলেও বাকি ম্যাচগুলোতে নিজেকে হারিয়ে খুঁজেছেন তিনি। শেষ ম্যাচে এসে অবশ্য রানের দেখা পেয়েছেন রিতু মনি। তার ৩২ বলে করা ৩৮ রানেই হারের ব্যবধানটা কমিয়ে আনতে পেরেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে ২১ বলে ২০ রান করেন রুবায়া হায়দার। ১১ বলে ১৬ রান আসে স্বর্ণার ব্যাট থেকে। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে ২৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন রাধা যাদব।

;

জামালকে ২ কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ ফিফার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বর্তমানে খেলছেন আর্জেন্টিনার তৃতীয় বিভাগের ক্লাব সোল দা মায়োতে। তবে দেড় বছরের চুক্তি থাকলেও যোগ দেওয়ার কিছুদিন পরেই ক্লাব ছেড়ে চলে এসেছিলেন তিনি। সেই ক্লাবে কোনো বেতন না পাওয়ায় চুক্তি ভঙ্গ করেই ফেরত আসেন তিনি।

ফিফার কাছে তার বকেয়া বেতন চেয়ে আবেদন করেছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। এতদিন ছিলেন রায় ঘোষণার অপেক্ষায়। অবশেষে গতকাল বুধবার ফিফার ফুটবল ট্রাইব্যুনালের তরফ থেকে জামালের পক্ষেই এসেছে রায়। যাতে বলা আছে, সোল দে মায়োকে মোট ১ লক্ষ ৬২ হাজার ৯৮০ ডলার (বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ১ কোটি ৯০ লক্ষ ২৯৮০ টাকার সমান) পরিশোধ করতে হবে।

আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে এই অর্থ জামালকে পরিশোধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আর্জেন্টাইন ক্লাবটিকে। যদিও ক্লাবটির কাছে ১০ দিন সময় আছে আপিল করার জন্য। এখানে উল্লেখ্য যে, ফিফাকে নিজেদের পক্ষে কোনো অফিশিয়াল ডকুমেন্টস সোল দে মায়ো দেখাতে পারেনি।

বর্তমানে আবাহনীতে খেলা জামাল এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আমি অনেক আশা নিয়ে সেখানে খেলতে গিয়েছিলাম। কিন্তু ওরা এমনটা করতে ভাবতে পারিনি। আমি তাই চুক্তি ছিন্ন করে ফেরত চলে আসি। আমার পক্ষে রায় পেয়ে আমি খুব খুশি।‘

;

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের চাই ১৫৭



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের মেয়েদের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম চারটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচটি হয়ে উঠেছে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর। সেই ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নিগার সুলতানা জ্যোতিদের সামনে ১৫৭ রানের কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে ভারত।

মান বাঁচানোর ম্যাচে এদিন বোলিংয়ে শুরুতে সাফল্য পেলেও পরে সেটা ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। দলীয় ২৫ রানে ভারত প্রথম উইকেট হারালেও দলকে টেনে তুলেন স্মৃতি মান্ধানা। তাদের বড় সংগ্রহের ভিত গড়ার সুযোগ করে দিয়েছে বাংলাদেশি ফিল্ডাররাও। পুরো সিরিজ জুড়ে ভোগানো বাংলাদেশি ফিল্ডাররা ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারেনি সিরিজের শেষ বেলাতেও। পুরো ম্যাচে বেশ কিছু সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করার সঙ্গে গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়েও ছিল ছন্নছাড়া।

ফিল্ডারদের এমন ভুল রান তোলার বড় সুযোগ হিসেবে লুফে নিয়েছে ভারতীয় ব্যাটাররা। মান্ধানা ২৫ বলে ৩৩ রান করে ফেরার পর হেমলতা ফিরে যান ২৮ বলে ৩৭ রান করে। অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরের ব্যাট থেকে এসেছে ২৪ বলে ৩০ রান। এরপর মাঝে দ্রুত কিছু উইকেট পড়লে রানের গতি কমে ভারতের।

তবে বড় সংগ্রহের পথ থেকে শেষ পর্যন্ত ভারতে সরাতে পারেনি বাংলাদেশি বোলাররা। দায়িত্ব নিয়ে দলকে টেনে তুলেছেন রিচা ঘোষ। মাঝে দ্রুত উইকেট পড়লেও তিনি পুষিয়ে দিয়েছেন সেটা। ১৭ বলে ২৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহটাকে নিয়ে গেছেন ৫ উইকেটে ১৫৬ তে। যা এই সিরিজে দলীয় সর্বোচ্চ রান।

;