বার্নাব্যুতে হারের পর টুখেল বললেন, 'প্রতারণার শিকার হয়েছি'

  • স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ঘরের মাঠে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বায়ার্ন মিউনিখকে ২-১ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এতে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ ব্যবধানে জয় তুলে নিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করল স্প্যানিশ জায়ান্টরা।

গতরাতে ম্যাচে প্রথম গোলটি আসে বায়ার্নের আলফোনসো ডেভিসের পা থেকে, ৬৮তম মিনিটে। এরপর ৮৮তম মিনিট পর্যন্ত এগিয়েই ছিল জার্মান জায়ান্টরা। বলদি হিসেবে নামা জোসেলুর গোলে ম্যাচের শেষ মুহুর্তে এসে সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা। ঠিক তার পরমুহুর্তেই আরও একবার বায়ার্নের জালে বল জড়ান তিনি। চোখের পলকে ম্যাচে দখল চলে যায় বায়ার্নের কাছ থেকে রিয়ালের পক্ষে।

বিজ্ঞাপন

যোগ করা সময়ের খেলা তখন শেষের দিকে, বায়ার্নের ডিফেন্ডার ডি লিট রিয়ালের জালে বল জড়িয়েই ফেলেছিলেন, ঠিক তখনই অফসাইডের বাঁশি বাজিয়ে পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান। ডি লিটের গোলটিও যার ফলে বাতিল হয়। এমনকি দেখা হয়না ভিএআরও।

রেফারির এই সিদ্ধান্ত নিয়ে মাঠেই শুরু হয় বিতর্ক। প্রতিবাদ জানান বায়ার্ন কোচ থমাস টুখেল ও খেলোয়াড়রাও। গোলটি হলে খেলা গড়াত অতিরিক্ত সময়ে, যেখানে ম্যাচে ফেরত আসলেও হয়ত আসতে পারত বায়ার্ন। ম্যাচ শেষে রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন তুখেল।

বিজ্ঞাপন

টিএনটি স্পোর্টসকে টুখেল বলেছেন, ‘বাজে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লাইনসম্যান ও রেফারি। এই সিদ্ধান্তের কারণে প্রতারণার শিকার হয়েছি বলে মনে হচ্ছে। দারুণ লড়াই হয়েছে, আমরা মাঠে সবটুকু দিয়েছি। ফাইনালের খুব কাছেও পৌঁছে গিয়েছিলাম। কিন্তু এখন রিয়াল মাদ্রিদকে শুভকামনা জানাতে হচ্ছে।’

ক্ষোভ ঝেড়ে তিনি আরও বলেছেন, ‘ম্যাচের পর লাইন্সম্যান নিজের ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে। কিন্তু এখন তাতে কোনো লাভ হবে না। রেফারি সাইমন মার্সিনিয়াক ক্ষমা চেয়েছেন, কিন্তু আমাদের জন্য এই সিদ্ধান্ত হজম করা কঠিন। কারণ এটি খুব খারাপ সিদ্ধান্ত ছিল, নিয়মের বিরুদ্ধে।‘

সংবাদ সম্মেলনে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে বায়ার্ন কোচের কন্ঠে, ‘ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর অজুহাত দিয়ে লাভ নেই। আপনি সেরা বলেই আপনাকে মাঠে রেফারির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আপনাকেও অবশ্যই সেই মানের হতে হবে। আপনার কাছে সেরাটাই আমরা প্রত্যাশা করি।‘

টিএনটি স্পোর্টসকে ডি লিট বলেছেন, ‘আমার মনে হয় আমার সবাই নিয়ম জানি। অফসাইড হয়েছে কি না, সেটা পরিষ্কার না হলে খেলা চালিয়ে যেতে হবে। এটাই নিয়ম! আমার কাছে এটাকে অনেকটা লজ্জার মনে হয়েছে। হোসেলুও গোল করার সময় প্রায় অফসাইড ছিল, কিন্তু তখন তারা খেলা চালিয়ে গেছে। তাহলে আমাদের বেলায় কেন নয়?’

আলোচনা-সমালোচনা যাই হোক না কেন, সেমিফাইনালে হেরে বায়ার্নের শিরোপার স্বপ্ন ইতোমধ্যেই শেষ। আগামী ১ জুন ওয়েম্বলিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ। নিজেদের ১৫তম ইউসিএল শিরোপা তুলে ধরতে মরিয়া তারা।