ক্রীড়া উন্নয়নে সৌদির সঙ্গে জোট বাঁধলেন পাপন
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কটা দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশি প্রবাসীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক প্রবাসীদের অবস্থান এই দেশটিতে। এর বাইরেও প্রতি বছর ধর্মীয় কারণে দেশটি পা রাখেন হাজারো বাংলাদেশি। এবার এই পুরনো সম্পর্কটাকে কাজে লাগিয়েই যুব ও ক্রীড়া উন্নয়নে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ। বুধবার সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলানের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন।
দুপুরে সচিবালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে বন্ধু প্রতিম দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সহযোগিতামূলক সম্পর্ককে আরো মজবুত করতে ব্যবসা-বাণিজ্য, জনশক্তি রপ্তানি ও ধর্মীয় সহযোগিতার পাশাপাশি যুব ও ক্রীড়ার উন্নয়নেও দুই দেশ একযোগে কাজ করার আগ্রহের কথা জানান।
বাংলাদেশকে সৌদি আরবের ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, সৌদি আরব সব সময় বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। দ্বিপাক্ষিক যৌথ অর্থনৈতিক বিভিন্ন বিষয়সমূহ যেমন বাণিজ্য থেকে শুরু করে জনশক্তি, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায়ও বন্ধু প্রতিম দুই দেশ আন্তরিকভাবে কাজ করছে। সৌদি সরকার যুব ও ক্রীড়ার উন্নয়নের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে চায়। বাংলাদেশ স্পোর্টস এ অনেক ভালো করছে। বিশেষ করে ক্রিকেট বিশ্বে বাংলাদেশ শক্তিশালী দল। ক্রিকেটের উন্নয়নে বাংলাদেশ সৌদি আরবকে সহযোগিতা করতে পারে। একইভাবে সৌদি আরবও বাংলাদেশকে ফুটবল, আর্চারি, ব্যাডমিন্টনে সহযোগিতা করতে পারে। যার ফলে উভয় দেশের জনগণই উপকৃত হবে। সৌদি সরকার বাংলাদেশে ক্রীড়া সামগ্রী প্রস্তুত শিল্পেও বিনিয়োগে আগ্রহী বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
সৌদি রাষ্ট্রদূতের প্রস্তাবনাকে স্বাগত জানিয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী বলেন, আমরা সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিকেট, নারী ফুটবল, আর্চারিসহ অন্যান্য খেলাধুলাতে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছি। বর্তমানে বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড এর সুবিধা ভোগ করছে। দেশের মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশই যুব সমাজ। দেশের এ বিশাল সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে আধুনিক বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরিত করছে। এ সকল দক্ষ ও প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত জনশক্তি বাংলাদেশ সরকার সৌদি আরবে রফতানি করছে। যারা উভয় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
যুব ও ক্রীড়ার উন্নয়নে উভয় দেশের মধ্যে অচিরেই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হলে ক্রীড়ার উন্নয়নে উভয় দেশের দক্ষ অভিজ্ঞ খেলোয়াড় কোচ ও কর্মকর্তা বিনিময়ের মাধ্যমে উভয় দেশ উপকৃত হবে। পারস্পারিক অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে। সৌদি উন্নয়ন সহায়তা ফান্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন স্পোর্টস অবকাঠামো নির্মাণ করা যাবে। এছাড়াও যুব বিনিময় কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হবে। যুবকদের প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি ক্রীড়া, বিনোদন ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করার উপর গুরুত্বারোপ করা হবে।