আগের দিনই অস্ট্রেলিয়ার হারটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। তবে সেটা কখন, তা নিয়ে দ্বিমত থাকতে পারে। ৫৩৪ রানের লক্ষ্য পাওয়ার পরই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল বলা যেতে পারে, আধুনিক ক্রিকেটে যে তার কাছাকাছি রানও কেউ করতে পারেনি চতুর্থ ইনিংসে। কিংবা আপনি বলতে পারেন ১২ রানে ৩ উইকেট খুইয়েই নিশ্চিত হয়েছিল বিষয়টা।
সে যাই হোক, আজ স্রেফ আনুষ্ঠানিকতাটাই বাকি ছিল। ভারত সেটাও সেরে ফেলেছে। অজিদের অলআউট করেছে ২৩৮ রানে। আর তাতেই ২৯৫ রানের বিশাল এক জয় এসে ধরা দিয়েছে তাদের হাতে।
তিন উইকেট খুইয়ে বসলেও অস্ট্রেলিয়া আজ প্রতি আক্রমণই করে বসে সকালে। শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। মোহাম্মদ সিরাজের বলে পুল করতে গিয়েছিলেন আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটার উসমান খাজা। তখন মোটে দিনের দ্বিতীয় ওভার চলছে। তাতে তিনি ব্যর্থ হলেন, ক্যাচ চলে যায় ঋষভ পান্তের হাতে। খাজার ইনিংস শেষ হয় ৪ রানে।
এরপর উইকেটে আসেন ট্রাভিড হেড। তার সঙ্গে স্মিথের জুটি জমে গিয়েছিল রীতিমতো। দুজন মিলে পঞ্চম উইকেটে ৬২ রান যোগ করেন দলের স্কোরবোর্ডে। তবে তাদের এই জুটিও ভাঙেন মোহাম্মদ সিরাজ। তার বলে স্মিথ উইকেটের পেছনে ঋষভ পন্তকে ক্যাচ দেন স্মিথ।
তবে শুরু থেকেই পাল্টা আক্রমণের মেজাজে ছিলেন হেড। মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি অস্ট্রেলিয়ার সিংহভাগ বল খেলেছেন, করেছেন এই সেশনে তাদের সিংহভাগ রানও। ৭২ বলে তিনি ৭টি চার মেরেছেন, করেছেন ৬৩ রান।
দ্বিতীয় সেশনের শুরুটা আরও ভালো হয়েছিল তাদের। হেড আর মার্শ মিলে ৮ ওভারে ৫০ রান তুলে ফেলেছিলেন। এরপরই যশপ্রীত বুমরাহ ফিরে এসে ফেরান হেডকে। তিনি ৮৯ রানে ফিরলে ৮২ রানের ষষ্ঠ উইকেট জুটি ভেঙে যায় অস্ট্রেলিয়ার।
তার বিদায়ের পর মিচেল মার্শ, মিচেল স্টার্করা মিলে লড়েছেন বেশ কিছুক্ষণ। তবে চা বিরতির আগে দুজনই বিদায় নেন। দিনের শেষ সেশনে বাকি দুই উইকেট নিয়ে নিজেদের কাজটা সেরে ফেলে ভারত। বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির প্রথম ম্যাচে জয় নিয়ে সিরিজে এগিয়ে যায় ১-০ ব্যবধানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
ভারত ১৫০ ও ৪৮৭/৬ (জয়সওয়াল ১৬১, কোহলি ১০০*; লায়ন ২/৯৬)।
অস্ট্রেলিয়া ১০৪ ও ২৩৮ (হেড ৮৯, মার্শ ৪৭; বুমরাহ ৩/৪২, সিরাজ ৩/৫১, সুন্দর ২/৪৮)
ফল ভারত ২৯৫ রানে জয়ী।