১০০ বছর বয়সে ডাইভিং!



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শক্ত কিছুর ওপর দাঁড়িয়ে শূন্যে লাফ দিয়ে পানির ওপর ঝাঁপ। তবে ঝাঁপ দিলেই হবে না, লাফ দেওয়া অবস্থায় শরীরকে বিভিন্ন রকমভাবে চরকির আদলে ঘুরাতে হবে। বিশেষ এই খেলাটিকে বলা হয় ডাইভিং। অলিম্পিক গেমস কিংবা এশিয়ান গেমসের অন্যতম ইভেন্ট ধরা হয় যাকে। এই খেলাটিতে অংশগ্রহণকারীদের হতে হয় বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন ও শারীরিকভাবে অত্যন্ত ফিট।

আর কঠিন সেই খেলাটিতেই কিনা নেমে গেছেন ১০০ বছরের এক বৃদ্ধ। যা নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে গেছে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে। শুক্রবার কাতারের দোহায় বিশ্ব অ্যাকুয়াটিকস চ্যাম্পিয়নশিপের ডাইভিং প্ল্যাটফর্মে নেমে সবাইকে অবাক করে দিয়েছেন ইরানের শতবর্ষী তাগি আসকর। যেই বয়সে সোজা হয়ে দাঁড়ানোটাই এক রকম কঠিন; সেই বয়সে কিনা ডাইভিং এর মতো কঠিন প্রতিযোগিতায় নামা! বয়স যেন নিছক একটি সংখ্যা মাত্র তার কাছে।

মানুষ নাকি ভালোবাসার জন্য সব জয় করতে পারে। ভালোবাসা ও লড়াইয়ের তীব্র মানুষিকতার কাছে পরাজিত হয় সবকিছু। যেন তারই এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেলেন আসকর। ১৯৫১ সালে ডাইভিংয়ে পা রাখা আসকর খেলতে নামলেন ২০২৪ সালে এসেও। ৭৩ বছর পর ১০০-তে পা দিয়ে ডাইভিং পুলে নামার এই অনুপ্রেরণা কি? সেটাও জানিয়েছেন আসকর।

‘কিশোর বয়সে ডাইভিংয়ের প্রেমে পড়লাম, সেই প্রেম এখনো আছে। ১৯৫১ ও বর্তমানের মধ্যে পারফরম্যান্স ছাড়া আর কোনো পার্থক্য দেখি না আমি। খেলাটির প্রতি ভালোবাসা ও নিজের স্বাস্থ্য ঠিক রাখা জরুরী।’

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে রূপ্য, ব্রোঞ্জ ও সোনা; সব পদকই জিতেছেন আসকর। এরপরও জীবনের পড়ন্ত বেলায় এসে পানিতে ঝাঁপ দেওয়ার লোভ সামলাতে পারেন না তিনি। সেই লোভেই মাস্টার্স চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেবেন এই ১০০ বছর বয়সী এই অ্যাথলেট। যেখানে কোনো পদক নয়; বরং মানুষের ভালোবাসা ও ইভেন্টটির প্রতি নিবেদনকে আরও একবার জানিয়ে যেতে চান তিনি।

   

এমএলএসের এপ্রিল মাসসেরা মেসি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউরোপের পাট চুকিয়ে গত বছরের জুলাইয়ে আমেরিকান ক্লাব ফুটবলের শীর্ষ লিগ, মেজর লিগ সকারে পাড়ি জমান লিওনেল মেসি। ফুটবল বিশ্বের অন্যতম এই মহাতারকার দলে আসার পরই যেন বদলাতে শুরু করে ক্লাবটির ভাগ্য। মেসি আসার পরপরই তারা জেতে তাদের ক্লাব ইতিহাসের প্রথম শিরোপা (লিগস কাপ)। 

ফ্লোরিডার ক্লাবটি এমএলএসের গত মৌসুম শেষ করেছিল তলানির দল হিসেবে। তবে চলতি মৌসুমে শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে আছে তারা। মাঝে চোটের কারণে বেশ কয়েকটি ম্যাচ মিস করার পর এপ্রিলে ক্লাবের হয়ে দারুণ সময় পার করেছেন এই আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ী তারকা। এবার প্রথমবারের মতো হলেন মাসসেরা। 

লিগে মৌসুমের এই পর্যায়ে ইস্ট্রান কনফারেন্সে ১১ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে মায়ামি। গত মাসের পুরো সময় অপরাজিত ছিল মায়ামি। চার ম্যাচে জিতেছে তিনটিতেই, ড্র একটি। এই চার ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ১২ বার বল জড়িয়েছে মায়ামি। যার মধ্যে ১০ গোলেই সরাসরি অবদান মেসির। ৬টি করেছেন নিজে, ৪টিতে করেছেন অ্যাসিস্ট। এতেই এমএলএসের এপ্রিল মাসসেরার খেতাব জিতলেন সাবেক বার্সা ও পিএসজির এই তারকা ফরোয়ার্ড। 

এর আগে মার্চ মাসসেরার খেতাবও গিয়েছিল মায়ামির ঝুলিতে। সেবার এই খেতাব জিতেছিলেন মেসির সাবেক বার্সা সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ। 

মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৯টি গোল করেছেন মেসি। এতে আছেন মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকার শীর্ষে। 

 

;

৭ ছক্কা ও ৯ চারে সেঞ্চুরি তুলে থামলেন সাকিব



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে আগের ম্যাচেই ৪৯ রান করেছিলেন তিনি। এবার শতরান তুলে নিলেন সাকিব। বুঝিয়ে দিলেন তিনি কেন সেরাদের সেরা। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএলে) শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে আজ শুক্রবার সেঞ্চুরি করলেন তিনি।

ছুটির দিনে বিকেএসপিতে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ৭৩ বলে সেঞ্চুরি তুলেন সাকিব। ৭ ছক্কা ও ৯ চারে সাকিব আউট হয়েছেন ৭৯ বলে ১০৭ রানে। ৫০ ওভারের ফরম্যাটে প্রায় ৫ বছর পর শতক পেলেন এই তারকা ব্যাটার।

২০১৯ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন এ বাঁহাতি অলরাউন্ডার। এবার লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে এসে সেঞ্চুরি তুললেন। লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে এটি সাকিবের দশম সেঞ্চুরি।

এদিকে তার দল শেখ জামাল সুপার লিগের এই ম্যাচটিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ২৮০ রান। 

মাঠের খেলায় ফিরলেও এখনই জাতীয় দলে ফিরছেন না সাকিব। আজ থেকেই শুরু হচ্ছে ঘরের মাটিতে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সেখানে শুরু তিন ম্যাচের দলে না থাকলেও শেষ দুই ম্যাচে দেখা মিলতে পারে এই তারকা অলরাউন্ডারের। 

ডিপিএলের এবারের মৌসুমে এ নিয়ে মোট পাঁচ ম্যাচে ব্যাট হাতে ২৬২ রান করেছেন সাকিব। যেখানে একটি সেঞ্চুরি ছাড়াও আছেন একটি ফিফটি পেরোনো ইনিংস। 

;

প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখেও শেষ বলে হারল রাজস্থান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরু ওভার শেষে রাজস্থান রয়্যালসের স্কোরকার্ডে ২ উইকেটে ১ রান! রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে দলটির দুই তারকা ব্যাটার জশ বাটলার ও সঞ্জু স্যামসন। সেখান থেকে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে রিয়ান পরাগ ও যশস্বী জয়সওয়ালের ১৩৪ রানের দারুণ জুটি। এমনকি ১৫ ওভার শেষে স্কোরবোর্ড দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ১৫৭ রানের। এতে শেষ ৩০ বলের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৪৫ রানের সহজ সমীকরণের। তবে শুরুর বড় ধাক্কা সামলে প্রত্যাবর্তনের দারুণ গল্প লিখেও শেষ পর্যন্ত হারের মুখ দেখল ২০০৮ আসরের চ্যাম্পিয়নরা। 

শেষ বলে জয়ের জন্য দরকার ছিল ২ রান। বোলিং প্রান্তে শুরুর ওভার রাজস্থানকে পেস তোপে ভোগানো সেই ভুবনেশ্বর কুমার। তার ফুলার লেংথের বল সোজা রভম্যান পাওয়েলের প্যাডে। সেখানে লেগ বিফোরে জোরালো আবেদনে আম্পায়ারের সাড়া এবং ১ রানের নাটকীয় জয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। 

এই হারের পরও অবশ্য পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে রাজস্থান। ১০ ম্যাচ এ নিয়ে স্রেফ ২ হারের পর তাদের পয়েন্ট ১৬। এদিকে টানা দুই ম্যাচ হারের পর জয়ে ফিরল হায়দররাবাদ। এতে ১০ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তারা উঠে এসেছে তালিকার চারে।

নিজেদের মাঠে গতকালের ম্যাচটিতে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় হায়দরাবাদ। সেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২০১ রান তোলে অরেঞ্জ আর্মি খ্যাত দলটি। 

সেই লক্ষ্য তাড়ায় শুরু ওভারেই ভুবনেশ্বরের পেস তোপের মুখে পড়ে রাজস্থান। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ইংলিশ তারকা ব্যাটার জশ বাটলারকে ফেরানোর পর একই ওভারের পঞ্চম বলে রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনকে বোল্ড করে ফেরেন এই ডানহাতি পেসার। ১ রানের স্কোরবোর্ডেই নেই ২ উইকেট। 

সেখান থেকে ধাক্কা সামলে এগোতে থাকেন জয়সওয়াল ও পরাগ। হায়দরাবাদের ফিল্ডারদের ব্যর্থতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তৃতীয় উইকেটে ১৩৪ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন দুজন। শুরুতেই লক্ষ্যটা কঠিন হয়ে দাঁড়ালেও এই দুই ব্যাটারের নৈপুণ্যে সহজ জয়ের দিকেই এগোচ্ছিল রাজস্থান। 

তবে ১৪ বলের ব্যবধানে ২২ গজে থিতু হওয়া জয়সওয়াল ও পরাগ ফেরার পর জয়টাও যেন হাতছাড়া হয়ে যায় রাজস্থানের থেকে। ৪৯ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কার দলীয় সর্বোচ্চ ৭৭ রান আসে পরাগের ব্যাটে। এদিকে ৪০ বলে ৬৭ রান করেন জয়সওয়াল। তাদের ফেরার পর শেষ চার ওভারে ৪২ রান প্রয়োজন ছিল দলটির। হাতে তখনো ৬ উইকেট। তবে মিডল অর্ডারের বাকি ব্যাটারদের ব্যর্থতায় শেষ বলে এসে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় রাজস্থানকে। সেই ইনিংসে হায়দরাবাদের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন ভুবনেশ্বর, দুটি করে নেন কামিন্স ও নটরজন। 

এদিকে আগে ব্যাট করতে নেমে বিধ্বংসী ব্যাটিং লাইন-আপ খ্যাত হায়দরাবাদের শুরুটা ছিল ম্যাড়মেড়ে। ৫ ওভার ১ বলে ৩৫ রানেই তারা হারিয়ে বসে ২ উইকেট। এদিন ট্রাভিস হেড শেষ কয়েক ম্যাচে ব্যর্থতা ছাপিয়ে রানে ফিরলেও তা ছিল ধীরগতির। ৪৪ বলে করেন ৫৮ রান। নিতিশ রেড্ডীর ৪২ বলে অপরাজিত ৭৬ রান এবং শেষ দিকে হেন্রিখ ক্লাসেনের ১৯ বলে ৪২ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ভর করে দুইশ পেরোনো লক্ষ্যে পোঁছায় হায়দরাবাদ। 

;

পাঁচ বছর নিষিদ্ধ ক্যারিবীয় ক্রিকেটার ডেভন থমাস



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ডেভন থমাস। ক্যারিবীয় এই ক্রিকেটারকে মনে করতে খানিকটা বেগই পেতে হবে ক্রিকেটবোদ্ধাদের। তেমন পরিচিত নাম না হলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে তিন ফরম্যাট মিলিত ৩৪টি ম্যাচ খেলেছেন এই ডানহাতি ব্যাটার। যেখানে টেস্ট খেলেছেন স্রেফ একটি এবং যেটিই ছিল ক্যারিবীয়দের হয়ে তার খেলা সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। সব ধরণের ক্রিকেট থেকে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন এই ক্যারিবীয় ক্রিকেটার।

শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি), এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) এবং ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) দুর্নীতিবিরোধী সাতটি কোড লঙ্ঘন করায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) এই নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হয়েছে এই ৩৪ বছর বয়সী ক্রিকেটারকে।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) এক বিবৃতিতে ডেভন থমাসের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানায় আইসিসি।

সেই বিবৃতিতে আইসিসির ইন্টিগ্রিটি ইউনিটের আইসিসি মহাব্যবস্থাপক অ্যালেক্স মার্শাল বলেন, ‘আন্তর্জাতিক এবং ঘরোয়া/ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট উভয় জায়গায় খেলার দরুন ডেভন একাধিক দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষা সেশনে অংশ নিয়েছিলেন। এতে তিনি জানতেন দুর্নীতি দমন কোডের বাধ্যবাধকতাগুলি কী ছিল। তবে তিনটি আলাদা ফ্রাঞ্চাইজি লিগে তিনি সেগুলো রক্ষা করতে ব্যর্থ হন।’

গত বছরের ২৩মে তার বিরুদ্ধে আনা হয়েছিল এই অভিযোগগুলো। প্রায় এক বছর তদন্তের পর এবার ডেভন থমাস পেলেন এই শাস্তি। ডেভন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের দুর্নীতিবিরোধী কোডের ২.১.১, ২.৪.৪, ২.৪.৬, ২.৪.৭, আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের ২.৪.৪ এবং শ্রীলঙ্কান প্রিমিয়ার লিগের ২.৪.৪ ও ২.৪.২ নম্বর ধারাগুলো ভঙ্গ করেছেন। 

;