রনির পাঁচ উইকেটের পরও লড়াকু পুঁজি বরিশালের
আবু হায়দার রনির আগুনে বোলিংয়ে খাবি খেল ফরচুন বরিশাল। প্রথম ১০ ওভারে ১০০ রান করা বরিশাল যখন রেকর্ড সংগ্রহে চোখ রেখে এগোচ্ছিল, তখন রনির এক স্পেলে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় বরিশালের তারকাখচিত ব্যাটিং অর্ডার। আবু হায়দার-ঝড় সামলে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫১ রানে থামতে হয় তামিম ইকবালের দলকে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম। ব্যাটিংয়ে নেমে রংপুরের বোলারদের ঘাম ছুটিয়ে দেন অধিনায়ক নিজেই। ২০ বল খেলেই পৌঁছে যান ৩৩ রান। তার ইনিংসে তিনটি চারের পাশপাশি ছিল দুটি ছক্কাও। তবে তামিম-ঝড় দীর্ঘ হয়নি। বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই তামিমকে মুমিনুল হকের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান সাকিব আল হাসান।
পাওয়ার প্লে’র মধ্যেই তামিমের উইকেট হারালেও পথ হারায়নি বরিশাল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটার কাইল মায়ার্স এবং ইংল্যান্ডের টম ব্যান্টন মিলে সে ধাক্কা সামাল দেন। দ্বিতীয় উইকেটে তাদের জুটি থেকে আসে ৭২ রান। তবে ১২তম ওভারে ব্যান্টন (২৮) জিমি নিশামের বলে শেখ মেহেদীকে ক্যাচ দিয়ে ফিরলে ভাঙে সে জুটি।
বরিশাল তখনও আঁচ করতে পারেনি, পরের ওভারে কী ঝড়টাই না ধেয়ে আসছে তাদের দিকে! ১৩তম ওভারে এক বল পরপর উইকেট নিয়ে ওভার হ্যাটট্রিক করেন আবু হায়দার রনি। ওভারের প্রথম বলে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান এই পেসার। এক বল পরে নাড়িয়ে দেন সৌম্য সরকারের স্টাম্প। ওভারের শেষ বলে ৪৬ রানে ব্যাট করা মায়ার্সের ক্যাচ নিজেই তালুতে জমান।
নিজের পরের দুই ওভারে তুলে নেন আরও দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং মেহেদী হাসান মিরাজের উইকেটও। এই মৌসুমে তৃতীয় বোলার হিসেবে পাঁচ উইকেটের দেখা পেলেন এই পেস বোলিং সেনসেশন। নিজের ৪ ওভারের ১২ রান খরচায় তার নেয়া ৫ উইকেট চলতি মৌসুমের সেরা বোলিং পরিসংখ্যান তো বটেই, এটি বিপিএল ইতিহাসেরই চতুর্থ সেরা বোলিং পরিসংখ্যান।