মাশরাফি বনাম সাকিব; হেভিওয়েট ম্যাচ!



এম. এম. কায়সার স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
বিপিএলে মুখোমুখি মাশরাফি-সাকিব

বিপিএলে মুখোমুখি মাশরাফি-সাকিব

  • Font increase
  • Font Decrease

এই ম্যাচকে বলা হচ্ছে হেভিওয়েট ম্যাচ। ঢাকা ডায়নামাইটস বনাম রংপুর রাইডার্স। তবে দল ছাপিয়ে এই ম্যাচের লড়াইয়ে মুলত দুটো নামই ফোকাসে; সাকিব বনাম মাশরাফি। দুজনেই দুই দলের অধিনায়ক। গেল বিপিএলের ফাইনালে এই দুই অধিনায়ক মুখোমুখি হওয়ার পর ২২ গজের লড়াইয়ে ফের নামছেন; একে অন্যের প্রতিপক্ষ হয়ে। মিরপুরে এই ম্যাচটি শুরু হবে শুক্রবার ১১ জানুয়ারি দুপুর ২টায়। সেই ম্যাচের আগে উভয় দলের শক্তিমত্তায় অনেক মিল খুঁজে পাওয়া গেল!

দুই দলের একাদশে বিদেশিদের আগে দেখে নেই।

হযরতউল্লাহ জাজাই। সুনিল নারিন। আন্দ্রে রাসেল। কাইরন পোলার্ড। দলের নাম ঢাকা ডায়নামাইটস। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

এবার অন্য দল। ক্রিস গেইল। রাইলি রুশো। রবি বোপারা। বেনি হাওয়েল। দলের নাম রংপুর রাইডার্স। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।

বর্তমান ফর্ম:
টুর্নামেন্টে তিনটি ম্যাচ খেলেছে রংপুর রাইডার্স। প্রথম ম্যাচে হারে। পরের দুই ম্যাচে জয় পেয়েছে। তিন ম্যাচে ২ জয় ও এক হার নিয়ে পয়েন্ট তালিকার টপে। প্রথম ম্যাচে ঠিক যাকে বলে গুছিয়ে উঠা, সেটা করতে পারেনি রংপুর। পরের দুই ম্যাচে ব্যাটে-বলে পারফরমেন্স করে ঠিকই ফর্ম দেখিয়েছে রংপুর।

ঢাকা ডায়মাইটস এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে শতভাগ জয়ী দল। দুই ম্যাচের দুটোতেই জয়। এবং বড় জয়। প্রায় একতরফা ভঙ্গিতেই দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিয়েছে ঢাকা। দুই ম্যাচেই একেবারে বিষ্ফোরক ব্যাটিং। প্রথম ম্যাচে ১৮৯। দ্বিতীয় ম্যাচে আরেকটু বেশি ১৯২। টুর্নামেন্টের এক ম্যাচের সর্বোচ্চ রান এখনো ঢাকার। সবচেয়ে বড় দুটি জয়ও তাদেরই। ৮৩ ও ১০৫ রানের।

দুই অধিনায়ক:
এই তালিকায় রংপুর এবং ঢাকা প্রায় সমানে সমান।

তিন ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক মাশরাফির শিকার ৭ উইকেট। সেরা বোলিং ১১ রানে ৪ উইকেট। তাও আবার সর্বশেষ ম্যাচে। এবারের টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত এক ম্যাচে কোন বোলারের এটাই সেরা বোলিং পারফরমেন্স। বল হাতে ঠিক যাকে বলে সামনে থেকে দাড়িয়ে নেতৃত্ব দেয়া, সেটাই করে দেখাচ্ছেন মাশরাফি।

ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে সাকিবও ঠিক তাই। দুই ম্যাচে তার শিকার ৪ উইকেট। খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে তুলে নেন ১৮ রানে ৩ উইকেট। সেই ম্যাচের এটাই ছিলো কোন বোলারের সেরা বোলিং পারফরমেন্স। ব্যাট হাতে সাকিব দুই ম্যাচে সুযোগ পেয়েছেন কিন্তু রান করতে পারেননি। তবে তার দলের বাকিরা ব্যাটিংয়ে যে দাপট দেখাচ্ছে তাকে ব্যাটিংয়ে তার কিছু না করাটাও তেমন কোন সমস্যা তৈরি করছে না।

ওপেনিংয়ে ঝড়:
ঢাকার ব্যাটিংয়ের মুল কাজটাই করে দিচ্ছেন ওপেনার হযরতউল্লাহ জাজাই। দুই ম্যাচের দুটোতেই ঝড়ো হাফসেঞ্চুরি তার। দু’বারই ম্যান অব দ্য ম্যাচ। প্রথম ম্যাচে জাজাই-সুনিল নারিনের ওপেনিং জুটিতে ঢাকা পায় ৫.১ ওভারে ৬৭ রান। দ্বিতীয় ম্যাচে ওপেনিং জুটিতে সেঞ্চুরি স্ট্যান্ড; ১১৬ রান! শুরুর ব্যাটিংটা দাপুটে হওয়ায় ঢাকা ডায়নামাইটসের মাঝের এবং শেষের ব্যাটসম্যানরাও পেশি ফোলানোর সুযোগ পাচ্ছেন। আন্দ্রে রাসেল ও কাইরন পোলার্ড এখনো তেমন বড় ইনিংস খেলেননি। কিন্তু ব্যাটিংয়ে ঠিকই কার্যকারিতা দেখাচ্ছেন।

প্রথম ম্যাচের ব্যাটিং রংপুর দ্রতই ভুলে যেতে চাইবে। ৯৮ অলআউটকে কে মনে রাখতে চায়? দ্বিতীয় ম্যাচেই ভুলটা শুধরে নেয় তারা। খুলনা টাইটাইনসের বোলিংয়ে মামুলি বানিয়ে ২০ ওভারে ৩ উইকেটে তুলে নেয় ১৬৯ রান। ওপেনার রাইলি রুশো ৫২ বলে ৭৬ রান নিয়ে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন। তিন ম্যাচে সবমিলিয়ে ১০৪ রান করে রুশো এখন বিপিএলের সর্বোচ্চ রানের তালিকায় দ্বিতীয় নম্বরে।

প্রথমে কে? ২ ম্যাচে ১৩৫ রান নিয়ে ঢাকার হযরতউল্লাহ জাজাই। দুজনেই বাঁহাতি। দুজনেই দলের বিদেশি। সবচেয়ে বড় মিল, দুজনেই ওপেনার! শুরুতেই দুজনেই ঝড় তুলছেন ব্যাট হাতে।

দু’দলের শক্তিমত্তায় অনেক মিল থাকলেও শুক্রবারে ম্যাচের পরেই একটা অমিল ঠিকই তৈরি হচ্ছে। জিতবে যে মাত্র কোন একদল

   

বড় জয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়বে, বিশ্বাস শান্তর



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিরিজটা হাত ফসকে বেরিয়ে গিয়েছিল আগের ম্যাচে। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে শঙ্কা ছিল বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ের ১৯তম অবস্থানে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরে যাওয়ার।

তবে সে শঙ্কাটা বাংলাদেশ উড়িয়ে দিয়েছে ১০ উইকেটের দাপুটে জয়ে। এই জয়ের পর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত জানালেন, এর আত্মবিশ্বাস দলকে ভবিষ্যতে সাহায্য করবে। 

শুরুতে বোলিং করে বাংলাদেশ মুস্তাফিজুর রহমানের দারুণ বোলিংয়ে ভর করে যুক্তরাষ্ট্রকে বেধে রাখে ১০৪ রানে। এরপর তানজিদ তামিম ও সৌম্য সরকারের দাপুটে ব্যাটিংয়ে ভর করে ৫০ বল হাতে রেখেই ১০ উইকেটের বিশাল জয় তুলে নেয় দল। 

এমন জয়ের পর প্রতিক্রিয়ায় শান্ত বলেন, ‘আমি মনে করি ছেলেরা আজ তাদের চারিত্রিক দৃঢ়তা দেখিয়েছে। যে পরিকল্পনাটা করেছিলাম এই ম্যাচকে সামনে রেখে, সবাই তা বাস্তবায়ন করতে পেরেছে।’

সিরিজ হারাটা হতাশারই। তবে শেষ ম্যাচের এমন জয় দলকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস দেবে, বিশ্বাস শান্তর। তিনি বলেন, ‘আমাদের জন্য বিষয়টা হতাশার। সত্যি বলতে আমরা মোটেও ভালো খেলিনি। তবে আমরা সিরিজটা ভালোভাবেই শেষ করেছি। আর আমার মনে হয় বিশ্বকাপের আগে এটা আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করবে।‘

‘এখন আমরা কন্ডিশন ও আরও অনেক কিছু জানি। তো সব কিছু মিলিয়ে আমরা এখন অভিজ্ঞ। যদি বিশ্বকাপে এই অভিজ্ঞতাগুলো কাজে লাগাতে পারি, তাহলে বিষয়টা দলকে সাহায্য করবে।’

;

টিভিতে আজ যেসব খেলা দেখবেন



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্রিকেট
আইপিএল : ফাইনাল
কলকাতা-হায়দরাবাদ
রাত ৮টা, টি স্পোর্টস ও গাজী টিভি

ফুটবল
লা লিগা
সেল্তা ভিগো-ভ্যালেন্সিয়া
রাত ৮-১৫ মি., র‍্যাবিটহোল
সেভিয়া-বার্সেলোনা
রাত ১টা, র‍্যাবিটহোল

সিরি আ
নাপোলি-লেচ্চে
রাত ১০টা, র‍্যাবিটহোল
ভেরোনা-ইন্টার মিলান
রাত ১২-৪৫ মি., র‍্যাবিটহোল

টেনিস
ফ্রেঞ্চ ওপেন
১ম রাউন্ড
বেলা ৩টা, সনি স্পোর্টস ২ ও ৫

;

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের 'প্রথম' ১০ উইকেটের জয়



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুরুর দুই ম্যাচ হেরে সিরিজটা আগেই খুইয়ে বাংলাদেশের এবারের লড়াই ছিল সিরিজ হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে এমন সমীকরণের দিনে ব্যাটে বলে দারুণ পারফর্ম করলো নাজমুল হোসেন শান্তর দল। শুরুটা ছিল মুস্তাফিজের রেকর্ড উইকেটের স্পেল ও রিশাদের রেকর্ড ইকোনমিকাল বোলিংয়ের স্পেল দিয়ে। পরে ব্যাটিংয় নেমে তামিম-সৌম্যর ওপেনিং জুটিতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

১০ উইকেটের রেকর্ড এই জয়ে সিরিজটা ২-১ ব্যবধানে শেষ করলো শান্ত-সাকিবরা।

আগের দুই ম্যাচের ভেন্যু হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে এদিনও টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১০৪ রানের মামুলি সংগ্রহ পায় স্বাগতিক দলটি।

জিম্বাবুয়ে সিরিজ এবং যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের দুই ম্যাচ হারের পর অবশেষে টপ-অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠলো বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকারের সাবলীল ব্যাটিংয়ে ১১ ওভার ৪ বলেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ৪২ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন তামিম। এদিকে সৌম্য অপরাজিত ছিলেন ২৮ বলে ৪৩ রান করে।

এর আগে আদ্রেস গুসের ব্যাটিং ঝড়ে শুরুটা বেশ ভালো পেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে পঞ্চম ওভারের শেষ বলে তাকে ফেরান সাকিব। পরের ওভারে মুস্তাফিজ নেন উইকেট মেইডেন। এরপর মুস্তাফিজের পেস তোপে ভুগেছে পুরো স্বাগতিক দল। গুনে গুনে একাই ছয়টি উইকেট তুলেছেন এই বাঁহাতি পেসার। এতে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১০৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করাতে পেরেছিল যুক্তরাষ্ট্র।

সেখানে বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভারে ৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ৬ উইকেট নেন মুস্তাফিজ। এতে জেতেন ম্যাচসেরার খেতাবও। এই প্রথম কোনো বাংলাদেশি বোলার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৬ উইকেট পেলেন। এদিকে ৪ ওভারে ১ উইকেট পাওয়া রিশাদ হোসেন দিয়েছেন স্রেফ ৭ রান, যা এই ফরম্যাটে সবচেয়ে ইকোনমিকাল বোলিং।

এছাড়া এই প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০ উইকেটের ব্যবধানে ম্যাচ জিতল বাংলাদেশ। এর আগে ২০১৪ ও ২০২০ সালে যথাক্রমে আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৯ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচ দুটিই ছিল মিরপুরে। এদিকে এটি ছিল আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৫৫তম ১০ উইকেটের জয়।

 

;

মুস্তাফিজের পেস তোপে অল্পেই থামল যুক্তরাষ্ট্র



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ওপেনার আন্দ্রেস গুসের ব্যাটিং ঝড়ে শুরুটা বেশ ভালোই পেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে পঞ্চম ওভারের শেষ বলে তাকে ফেরান সাকিব। পরের ওভারে মুস্তাফিজ নেন উইকেট মেইডেন। এরপর মুস্তাফিজের পেস তোপে ভুগেছে পুরো স্বাগতিক দল। গুনে গুনে একাই ছয়টি উইকেট তুলেছেন এই বাঁহাতি পেসার। এতে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১০৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করাতে পেরেছে যুক্তরাষ্ট্র।

হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে আন্দ্রেস গুসের ব্যাটিং ঝড়ে শুরুটা বেশ ভালো পেয়েছিল স্বাগতিকরা। ৪ ওভার ৫ বলে বিনা উইকেটে ৪৬ রান তুলে ফেলে তারা। তবে পরের বলেই শেষ হয় ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে ১৫ বলে ২৭ রান করা গুসকে ফেরান সাকিব।

পরে পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে মুস্তাফিজ নেন উইকেট মেইডেন। সেই শুরু মুস্তাফিজের পেস তোপের। যার সামনে টিকতে পারেননি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ব্যাটারই। শেষ ১৪ ওভারে স্কোরবোর্ডে স্রেফ ৫৪ রান যোগ করে স্বাগতিকরা। যেখানে উইকেটও হারায় সাতটি। এতেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১০৪ রানের মামুলি সংগ্রহ নিয়ে মাঠ ছাড়ে অ্যারন জোন্সের দল।

৪ ওভারে স্রেফ ৯ রান খরচে মুস্তাফিজ নেন ৬ উইকেট। এটি টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে তার দ্বিতীয় ফাইফার এবং প্রথমবারের মতো ছয় উইকেটের কীর্তি।

এদিকে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি কোনো বোলার টি-টোয়েন্টিতে ছয় উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়লেন মুস্তাফিজ। এদিকে রিশাদ ৪ ওভারে দিয়েছেন স্রেফ ৭ রান, নিয়েছেন একটি উইকেটও। যেটি বাংলাদেশি কোনো বোলারের সবচেয়ে ইকোনমিকাল বোলিংয়ের রেকর্ড। 

;