মুস্তাফিজের পেস তোপে অল্পেই থামল যুক্তরাষ্ট্র



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ওপেনার আন্দ্রেস গুসের ব্যাটিং ঝড়ে শুরুটা বেশ ভালোই পেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে পঞ্চম ওভারের শেষ বলে তাকে ফেরান সাকিব। পরের ওভারে মুস্তাফিজ নেন উইকেট মেইডেন। এরপর মুস্তাফিজের পেস তোপে ভুগেছে পুরো স্বাগতিক দল। গুনে গুনে একাই ছয়টি উইকেট তুলেছেন এই বাঁহাতি পেসার। এতে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১০৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করাতে পেরেছে যুক্তরাষ্ট্র।

হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে আন্দ্রেস গুসের ব্যাটিং ঝড়ে শুরুটা বেশ ভালো পেয়েছিল স্বাগতিকরা। ৪ ওভার ৫ বলে বিনা উইকেটে ৪৬ রান তুলে ফেলে তারা। তবে পরের বলেই শেষ হয় ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে ১৫ বলে ২৭ রান করা গুসকে ফেরান সাকিব।

পরে পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে মুস্তাফিজ নেন উইকেট মেইডেন। সেই শুরু মুস্তাফিজের পেস তোপের। যার সামনে টিকতে পারেননি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ব্যাটারই। শেষ ১৪ ওভারে স্কোরবোর্ডে স্রেফ ৫৪ রান যোগ করে স্বাগতিকরা। যেখানে উইকেটও হারায় সাতটি। এতেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১০৪ রানের মামুলি সংগ্রহ নিয়ে মাঠ ছাড়ে অ্যারন জোন্সের দল।

৪ ওভারে স্রেফ ৯ রান খরচে মুস্তাফিজ নেন ৬ উইকেট। এটি টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে তার দ্বিতীয় ফাইফার এবং প্রথমবারের মতো ছয় উইকেটের কীর্তি।

এদিকে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি কোনো বোলার টি-টোয়েন্টিতে ছয় উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়লেন মুস্তাফিজ। এদিকে রিশাদ ৪ ওভারে দিয়েছেন স্রেফ ৭ রান, নিয়েছেন একটি উইকেটও। যেটি বাংলাদেশি কোনো বোলারের সবচেয়ে ইকোনমিকাল বোলিংয়ের রেকর্ড। 

   

চলে গেলেন ডিএলএসের জনক ডাকওয়ার্থ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই যুগ আগে ক্রিকেটে ম্যাচের মধ্যে বৃষ্টি এলে পরিসংখ্যান মেলাতে লেগে যেত গোলযোগ। সেখানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) যেই পদ্ধতি ব্যবহার করত তা নিয়ে অনেকেরই ছিল অসন্তোষ। এতেই টনি লুইসকে নিয়ে বৃষ্টি বাঁধায় ম্যাচের পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ শুরু করেন ফ্র্যাঙ্ক ডাকওয়ার্থ। এবং তাদের সেই পদ্ধতি ১৯৯৯ সাল থেকে মেনে নেয় আইসিসি। পরবর্তীতে  বেশ কিছু দিন আগে আরও কিছু পরিবর্তন এনেছেন অস্ট্রেলিয়ান পরিসংখ্যানবিদ স্টিভেন স্টার্ন। যার ফলে এটিকে এখন বল হয় ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতি বা সংক্ষেপে ডিএলএস। 

ডিএলএস পদ্ধতির গোড়াপত্তন অবশ্য ডাকওয়ার্থের হাতেই। ডাকওয়ার্থ ১৯৯২ সালে রয়্যাল স্ট্যাটিস্টিকাল সোসাইটির এক কনফারেন্সে একটি গবেষণাপত্র ছাপান, তার নাম ছিল ‘অ্যা ফেয়ার রেজাল্ট ইন ফাউল ওয়েদার’। সেখান থেকেই এটির শুরু। ডিএলএসে এই সহ-উদ্ভাবক ডাকওয়ার্থ আর নেই। গত শুক্রবার মারা গেছেন ৮৪ বছর বয়সে। 

তার মৃত্যুতে এক বিবৃতিতে শোক জানিয়েছে রয়্যাল স্ট্যাটিস্টিকাল সোসাইটি। সেখানে তারা লিখেছে, ‘ফ্র্যাঙ্ককে আমরা আমাদের এই পরিমণ্ডলে আরএসএস নিউজের সম্পাদক হিসেবে তার অবদানের জন্য মনে রাখব। আর ক্রিকেট তাকে মনে রাখবে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতির সহ-উদ্ভাবক হিসেবে।’

বৃষ্টি আইন নিয়ে ডাকওয়ার্থের আগ্রহ ১৯৯২ বিশ্বকাপের দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার সেমিফাইনাল ম্যাচের পর থকে। সে ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে ১৩ বলে ২২ রানের লক্ষ্য ছিল শেষ দিকে। এরপর বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ায় ১ বলে ২২ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়। তা দেখেই একটা ন্যায্য ফলাফলের জন্য কাজ করতে থাকেন ডাকওয়ার্থ। এই গবেষণার পর টনি লুইসের সঙ্গে মিলে পদ্ধতিটায় আরও কিছু পরিবর্তন আনা হয়। এই পদ্ধতিটা ১৯৯৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে প্রয়োগ করা হয়। সে বছরই আইসিসি এই পদ্ধতি মেনে নেয়।

;

দেশের উদ্দেশ্যে আজ রওনা দিবেন শান্তরা, পৌঁছাবেন শুক্রবার সকালে

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে খেলার অনেকটাই কাছে ছিল বাংলাদেশ। সুপার এইটে নিজেদের শুরুর দুই ম্যাচ হারলেও তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে আফগানদের বিপক্ষে ম্যাচে এই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল নাজমুল হোসেন শান্তর দলের। আসরের শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে থাকা আফগানদের ১১৫ রানেই আটকে দেয় মুস্তাফিজ-রিশাদরা। পরের সেমিতে যেতে সেই লক্ষ্যে ১২ ওভার ১ বলে পৌঁছাতে হতো লিটন-সাকিবদের। পরের সেটি করতে ব্যর্থ হন ব্যাটাররা এবং শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি আইনে ম্যাচটাও ৮ রানে হেরে যায় তারা। 

এই হার দিয়েই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম এই আসর থেকে বিদায় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। বিশ্বকাপের ঠিক আগে যুক্তরাষ্ট্র সিরিজসহ লম্বা এই সফর শেষে আজ (বুধবার) দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিবে বাংলাদেশ দল। শুক্রবার সকাল আটটায় বাংলাদেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে তাদের।  

বার্তা২৪-কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশে ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ডেপুটি মিডিয়া ম্যানেজার জাহিদ চৌধুরী। 

চলতি আসরে গ্রুপপর্ব ও সুপার এইট মিলিয়ে সাত ম্যাচে তিনটিতে জয় পায় বাংলাদেশ, যার সবগুলোই গ্রুপপর্বে। ব্যাট হাতে ৭ ম্যাচে ২২ ছুঁইছুঁই গড় ১২৮.৫৭ স্ট্রাইক রেটে সর্বোচ্চ ১৫৩ রান করেছেন তাওহিদ হৃদয়। দলের বাকি ব্যাটারদের পারফর্ম ছিল পুরোদস্তুর ছন্নছাড়া। তবে শুরু থেকেই হতাশ করেনি দলের বোলিং বিভাগ। ৭ ম্যাচে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৪টি উইকেট নিয়েছেন রিশাদ হোসেন, যা এখন পর্যন্ত আসরের চতুর্থ সর্বোচ্চ। 

;

অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে হারের পুরো দায় নিলেন ডাচ কোচ 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পোলিশদের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়িয়ে ২-১ ব্যবধানের দারুণ জয় ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের এবারের আসর শুরু করেছিল নেদারল্যান্ডস। পরের ম্যাচে শক্তিশালী ফান্সের বিপক্ষে করেছিল গোলশূন্য ড্র। এতেই গ্রুপপর্বে শেষ ম্যাচ জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই শেষ ষোলোতে ওঠার সম্ভাবনা ছিল ১৯৮৮ আসরের চ্যাম্পিয়নদের। তবে গতরাতের ম্যাচটিতে দাপট দেখাল অস্ট্রিয়া। ডাচদের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর ম্যাচে ৩-২ ব্যবধানের জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলোতে পৌঁছায় সেন্ট্রাল ইউরোপের দেশটি। 

এদিকে এই হারে অবশ্য শেষ ষোলোতে ওঠা নিয়ে কোনো বাঁধার সামনে পড়েনি ডাচরা। গ্রুপে তৃতীয় স্থানে থাকলেও চার তৃতীয় সেরা দলের একটি হিসেবে আগেই শেষ ষোলোর টিকিট কেটেছিল তারা। তবে অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে এমন হারে বেশ হতাশ ডাচ কোচ রোনাল্ড কোম্যান। হারের পুরো দায়  নিয়েছেন নিজের কাঁধেই। 

বার্লিনে গতরাতে ম্যাচের শুরুতেই ডাচ ফরোয়ার্ড মালেনের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় অস্ট্রিয়া। পরে দ্বিতীয়ার্ধে দুবার সমতায় ফেরালেও শেষে ৮০তম মিনিটে মারসেল সাবিতজারের গোলে ৩-২ ব্যবধানের জয় পায় অস্ট্রিয়া। 

ম্যাচ শেষে দায় নিজের দিকে নিয়ে কোম্যান বলেন, আমিই দায়ী (হারের জন্য)। এই দল আমি গড়েছি, ভেবেছিলাম একসঙ্গে এটাই সেরা। তবে তা হয়নি। আমি নিজেও হতাশ যে, আমরা এভাবে ম্যাচ শুরু করছি। আমার মতে, আমাদের শুরুর পারফরম্যান্স অনেক বাজে ছিল, তবে পুরো ম্যাচের নয়।’

গ্রুপ ‘ডি’-তে তিন ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে ডাচরা গ্রুপপর্ব শেষ করলো তিনে থেকে। এদিকে রাতের আরেক ম্যাচে পোল্যান্ডের সঙ্গে ১-১ ব্যবধানের ড্রয়ে ফ্রান্স স্থান থামে দুইয়ে। এদিকে গ্রুপপর্বে কোনো ম্যাচ না জিতেই আসর থেকে বিদায় নিল পোলিশরা। এবং ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকে গ্রুপপর্ব শেষ করল অস্ট্রিয়া। 

;

লাওতারোর শেষ মুহূর্তের গোলে চিলিকে হারিয়ে শেষ আটে আর্জেন্টিনা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্ব ও মহাদেশীয় ফুটবল, দুই অঙ্গনেই বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। শিরোপা ধরে রাখার মিশনে কোপার এবারের আসরের শুরুটাও তেমনই দাপুটে হয়েছিল আলবিসেলেস্তেদের। আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে গত ২১ জুন কানাডাকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল মেসি-আলভারেসরা। গ্রুপপর্বে লিওনেল স্কালোনির দলের এবারের প্রতিপক্ষ ছিল সেই চিলি, যাদের কাছে ২০১৫ ও ২০১৬ কোপায় পরপর দুই আসরেই শিরোপা খুইয়ে আর্জেন্টিনা। তবে কোপার বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের এবার আর থামাতে পারল না লা রোজারা। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে লাওতারো মার্তিনেজের গোলে ১-০ ব্যবধানে চিলিকে হারাল আর্জেন্টিনা। 

এই জয়েই আসরের প্রথম দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট কাটল আর্জেন্টিনা। গ্রুপ ‘এ’-তে শুরু দুই ম্যাচেই জিতে শীর্ষে থাকা মেসির পয়েন্ট ৬। দুইয়ে থাকা কানাডার পয়েন্ট ৩ এবং সমান ১ পয়েন্ট নিয়ে শেষের দুই স্থানে যথাক্রমে চিলি ও পেরু। 

কোপার এই যুক্তরাষ্ট্র আসরের গ্রুপপর্বে আর্জেন্টিনার শেষ ম্যাচ পেরুর বিপক্ষে, আগামী ৩০জুন। বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় শুরু হবে ম্যাচটি। 

চিলির বিপক্ষে মেসিদের এই ম্যাচটি ছিল নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে। যেই মাঠেই ২০১৬ কোপার ফাইনালে এই চিলির কাছে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা খুইয়েছিল আর্জেন্টিনা। সেই হতাশা থেকে মেসি গিয়েছিলেন অবসরে। এতে আট বছর আগে ২৭ জুনের সেই দুঃস্মৃতি যেন এখনো তাড়া করে সমর্থকরা। আট বছর পর এবার আজকের (২৬ জুন) ম্যাচের ৮৭তম মিনিট পর্যন্ত সেই দুঃস্মৃতিই যেন তাড়া করছিল আলবিসেলেস্তেদের। সঙ্গে এটিও মনে করাচ্ছিল আগের দিন কোস্টা রিকার বিপক্ষে ১৯টি শট নিয়েও জিততে পারেনি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল। ম্যাচের ৮৭তম মিনিট পর্যন্ত আর্জেন্টিনা নিয়ে ফেলেছিল ২০টি শট। পরে ২১তম শটে বদলি নামা লাওতারো মার্তিনেজে হলো শেষ রক্ষা। মেসির কর্নার কিক থেকে জটলা পাকানো অবস্থায় গোল করে দলকে জয় এনে দেন এই ইন্টার মিলানের তারকা ফরোয়ার্ড। 

এদিকে ম্যাচের ৩৭তম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। তবে মেসির দূরপাল্লার এক শট পোস্টে লেগে চলে যায় মাঠের বাইরে। পরে প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য ব্যবধানে। দ্বিতীয়ার্ধেই শুরতেও দারুণ সম্ভাবনা তৈরি করেছিল আর্জেন্টিনা। ৫০তম মিনিটে ছোট ডি-বক্সের প্রান্তে মেসির পাস থেকে মলিনায় নেওয়া বুলেট গতির এক শট রুখে দেন চিলির ৪১ বছর বয়সী গোলরক্ষক ক্লদিও ব্রাভো। 

পরের ম্যাচে শেষ চতুর্থাংশে গোলের জোড়া সম্ভাবনা জাগিয়েছিল চিলি। তবে পরপর দুটি শটই ফিরিয়ে দেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। ম্যাচের ৭২তম মিনিটে গোল পেতে মরিয়া আর্জেন্টিনা কোচ স্কালোনি গনজালেজ ও আলভারেসকে তুলে নামান ডি মারিয়া ও লাওতারোকে। এবং শেষ পর্যন্ত তাতেই বাজিমাত। ৮৮তম মিনিটে লতারো সেই গোলেই শেষ আটে পৌঁছে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। 

;