তামিমের ‘ক্যাপ্টেনস নকে’ প্লে-অফে বরিশাল
অধিনায়ক হিসেবে দলের রান তাড়ায় নেতৃত্ব দিলেন তামিম ইকবাল। ফরচুন বরিশালের সামনে আহামরি কোনো লক্ষ্য দাঁড় করাতে পারেনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তামিমের ফিফটিতে কুমিল্লার দেয়া ১৪১ রানের লক্ষ্য ৬ উইকেট হাতে রেখেই পেরিয়ে গেছে বরিশাল। এই জয়ে নিজেদের প্লে-অফে খেলা নিশ্চিত করেছে তারা, আর শেষ ম্যাচে মাঠে নামার আগেই প্লে-অফে খেলার সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেছে খুলনা টাইগার্সের।
মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে টসে জিতে আগে কুমিল্লাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বরিশাল। শুরু থেকেই ধীরগতিতে ইনিংস গড়ে তোলার চেষ্টা করেন কুমিল্লার ব্যাটাররা। তবে সে ফর্মুলা কাজে দেয়নি মোটেও। উইকেটে কিছুটা থিতু হয়েও উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে এসেছেন তারা।
দলটির প্রথম পাঁচ ব্যাটারের মধ্যে মাত্র দুইজন ১০০-র বেশি স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছেন। তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১০৯ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করে ২২ বলে ২৪ রান করেন ইংলিশ ব্যাটার মঈন আলি। দলীয় সর্বোচ্চ ২৫ রান আসে তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাটে।
শেষদিকে জাকের আলি অনিকের দুই চার এবং চার ছক্কায় ৩৮* রানের ক্যামিওতে ১৪০ পর্যন্ত পৌঁছায় কুমিল্লার রান।
১৪১ রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং করেন তামিম ইকবাল। ওপেনিং সঙ্গী আহমেদ শেহজাদ (১) এবং তিনে নানা কাইল মায়ার্স (২৫) খুব একটা সমর্থন জোগাতে না পারলেও আপন ছন্দে এগোতে থাকেন বরিশাল অধিনায়ক। ৪০ বলে ম্যাথু ফোর্ডকে ছক্কা হাঁকিয়ে ফিফটি স্পর্শ করেন দেশসেরা এই ওপেনার।
তামিমের ঝোড়ো ফিফটির পরও অন্য ব্যাটাররা ধীরগতিতে খেলায় শেষদিকে চাপে পড়ে বরিশাল। শেষ ৩ ওভারে যখন ২৮ রান প্রয়োজন তখন আন্দ্রে রাসেলকে ছক্কা হাঁকানোর পরের বলেই বাউন্ডারিতে ক্যাচ হন তামিম। ৪৮ বলে ৬ চার এবং ৩ ছয়ে ৬৬ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন বরিশাল অধিনায়ক।
তামিম ফিরলেও মাহমুদউল্লাহ এবং সৌম্য সরকারের নিয়ন্ত্রিত আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ২ বল হাতে রেখেই চতুর্থ এবং শেষ দল হিসেবে প্লে-অফের টিকিট পায় বরিশাল।