পরিণত ব্যাটিংয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিরিজ টিকে থাকতে জিততেই হতো বাংলাদেশকে। হারলে শেষ ম্যাচটা পরিণত হতো শুধুই আনুষ্ঠানিকতার। বাংলাদেশ তা হতে দেয়নি। বলে-ব্যাটে লঙ্কানদের ধরাশায়ী করে ৮ উইকেটের জয়ে সিরিজে ১-১ সমতা পেয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। শ্রীলঙ্কাকে ১৬৫ রানে আটকে দেয়ার পর সে রান ১১ বল হাতে রেখেই তাড়া করেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

১৬৬ রানের লক্ষ্যে শুরু থেকেই লঙ্কান বোলারদের উপর চড়াও হন বাংলাদেশের দুই ওপেনার লিটন দাস এবং সৌম্য সরকার। তাদের বেদম প্রহারে পাওয়ার প্লে’তেই বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে জমা হয় ৬৩ রান। মাঝে অবশ্য একবার সৌম্য সরকারের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছিলেন আম্পায়ার। 

বিনুরা ফার্নান্দোর করা চতুর্থ ওভারের প্রথম বলটি সৌম্যর ব্যাটে লেগে উইকেটকিপারের হাত ঠাঁই পেয়েছে বলে সিদ্ধান্ত দেন আম্পায়ার। চ্যালেঞ্জ করেন সৌম্য। স্নিকোমিটারে বল ব্যাট পার করার সময় কিছুটা স্পাইক দেখা যায়। তবে থার্ড আম্পায়ার নট আউটের সিদ্ধান্ত দিলে আম্পায়ারকে ঘিরে ধরেন লঙ্কান ফিল্ডাররা। বেশ কয়েক মিনিট বিষয়টি নিয়ে আম্পায়ার শরফুদ্দৌলার সঙ্গে বচসা চলে তাদের। সাম্প্রতিক সময় বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ মানেই উত্তেজনার রসদে ভরপুর। সে ধারাতেই যেন হাজির হল উত্তাপের এই দৃশ্য।

প্রথম ৬ ওভারে দারুণ প্রতাপে ব্যাট চালানো সৌম্য সরকার ফিরেছেন পাওয়ার প্লে শেষ হতেই। মাথিশা পাথিরানার বল পুল করতে গিয়ে টাইমিং করতে পারেননি। মিডউইকেটে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস সহজেই সে ক্যাচ হাতে জমিয়ে ২৬ রানেই থামিয়ে দেন সৌম্যকে।

একইভাবে পাথিরানাকে পুল করতে গিয়ে আসালাঙ্কার হয়ে ফিরেছেন অন্য ওপেনার লিটন দাসও (৩৬)। দুই ওপেনারকে হারিয়ে কিছুটা ‘রয়েসয়ে খেলো’ নীতিতে যায় বাংলাদেশ। নতুন করে বাংলাদেশের রান তাড়ায় প্রাণ সঞ্চার করার চেষ্টা করেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এবং তাওহিদ হৃদয়। লিটন-সৌম্যর গড়ে দেয়া ভিত কাজে লাগিয়ে তাদের ব্যাটে জয়ের পথে অনেকটা এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।

তৃতীয় উইকেটে শান্ত-হৃদয়ের জুটিতে আসে রান। তাদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। অধিনায়ক শান্ত ক্যাপ্টেনস নক খেলেন, ছক্কা মেরে দলকে এনে দেন জয়, ছুঁয়ে ফেলেন নিজের ফিফটিও। তার ৫৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও দুটি ছক্কার মার। অন্যপ্রান্তে থাকা হৃদয়ও কম যাননি, ২ চার ও ১ ছক্কায় খেলেছেন ৩২ রানের কার্যকরী ইনিংস।

এর আগে টসে হারা লঙ্কানরা আগের ব্যাট করে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৫ রানে থামে। সর্বোচ্চ ৩৭ রান আসে কামিন্দু মেন্ডিসের ব্যাটে, ৩৬ রান করেন ওপেনার কুশল মেন্ডিস। বাংলাদেশের পক্ষে একটি করে উইকেট পান তাসকিন, শেখ মেহেদী, মুস্তাফিজ এবং সৌম্য।

বাংলাদেশের জয়ে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি এখন সিরিজ-নির্ধারণী। আগামী ৯ মার্চ (শনিবার) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দুপুর ৩টায় শুরু হবে সে ম্যাচ।

   

লিভারপুলের হতাশার ড্রয়ে উত্তাপ ছড়াল ক্লপ-সালাহর ঝগড়া



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মোহাম্মদ সালাহ মাঠে নামার ঠিক আগে লিভারপুলের ডাগআউটে দেখা গেল এক বিচিত্র দৃশ্য। বিদায়ী কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের সঙ্গে বচসায় লিপ্ত সালাহ। বাকবিতণ্ডা এতটাই চরমে পৌঁছে যে এক পর্যায়ে ডারউইন নুনিয়েজ এবং জো গোমেজ সালাহকে নিবৃত্ত করেন। লিভারপুলের মাঠের দুর্যোগের একটা প্রতীকী দৃশ্য হিসেবেই ধরা দেয় সালাহ-ক্লপের এই বচসার ঘটনা। শিরোপার দৌড় থেকে ক্রমেই ছিটকে পড়া লিভারপুল আজ ড্র করেছে ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে, ২-২ গোলে।

ওয়েস্ট হ্যামের মাঠে প্রথমার্ধটা পিছিয়ে থেকেই শেষ করতে হয়েছিল লিভারপুলকে। ৪০ মিনিটে লুইস দিয়াজ ওয়েস্ট হ্যামের পোস্ট কাঁপানোর মিনিট তিনেক পরেই গোল পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। লুকাস পাকেতার নেয়া শর্ট কর্নার থেকে বল আয়ত্তে নিয়ে বক্সের ভেতর ক্রস বাড়ান মোহাম্মদ কুদুস। সে ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে ওয়েস্ট হ্যামকে এগিয়ে দেন জ্যারড বোয়েন।

সে গোলে পিছিয়ে থাকা লিভারপুল বিরতির পরপরই সমতা ফেরায়। দারুণ একটা আক্রমণ থেকে রবার্টসনের উদ্দেশে বল বাড়ান দিয়াজ। দ্রুততার সঙ্গে শট নিয়ে লিভারপুলকে ম্যাচে ফেরান স্কটিশ ফুলব্যাক রবার্টসন।

৬৫ মিনিটে লন্ডন স্টেডিয়ামকে স্তব্ধ করে দিয়ে এগিয়ে যায় লিভারপুল। কোডি গাকপোর ভলি শট ওয়েস্ট হ্যাম ডিফেন্ডার অ্যাঞ্জেলো ওগবনার গায়ে লেগে গোলের দিকে চলে যায়। গোলকিপার আলফসে আরিওলা সেটা ঠেকাতে গিয়েও পারেননি।

তবে এই লিড ধরে রাখতে পারেনি লিভারপুল। বুদ্ধিদীপ্ত ফ্রি হেডারে ৭৭ মিনিটে ওয়েস্ট হ্যামকে সমতায় ফেরান মিখাইল আন্টোনিও। শেষ বাঁশি পর্যন্ত এই সমতা বজায় থাকলে হতাশা নিয়েই লন্ডন থেকে ফিরতে হয় ক্লপের লিভারপুলকে।

এই ড্রয়ের ফলে শীর্ষে থাকা আর্সেনালের (৭৭) চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলেও ২ পয়েন্ট কম নিয়ে তিনে লিভারপুল (৭৫)। আর দুইয়ে লিভারপুলের চেয়ে দুই ম্যাচ কম খেলা ম্যানচেস্টার সিটি (৭৬)।

;

স্কুল ক্রিকেটের সেরা ১৫ জন পেলেন শিক্ষাবৃত্তি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বছর দুয়েক আগে জাতীয় স্কুল ক্রিকেটের সেরা ১৫ ক্রিকেটারকে শিক্ষাবৃত্তি দেয়ার উদ্যোগ নেয় প্রাইম ব্যাংক। সে ধারাবাহিকতায় এবারও বিসিবির স্কুল ক্রিকেটের সবচেয়ে প্রতিভাবান ১৫ ক্রিকেটারের হাতে শিক্ষাবৃত্তি তুলে দিয়েছে তারা।

আজ (শনিবার) ২০২২-২৩ মৌসুমের সেরা ১৫ ক্রিকেটারকে শিক্ষাবৃত্তি হিসেবে ৬০ হাজার টাকা তুলে দেন প্রাইম ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজিম এ. চৌধুরী। বৃত্ত প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিসিবির পরিচালক ও গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন ও পরিচালক ফাহিম সিনহা।

স্কুল ক্রিকেটের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য প্রাইম ব্যাংককে ধন্যবাদ জানিয়ে খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘স্কুল ক্রিকেটে অনেক প্রতিভা আছে। আমরা তাদেরকে তুলে এনে পরিচর্যা করি। তাদের মধ্যে থেকে কয়েকজনকে বয়সভিত্তিক দলে পাচ্ছি। এছাড়া বাকিরা কিন্তু বিভাগীয় দলগুলোতে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে খেলছে।' 

দেশের ক্রিকেটের অন্যতম বড় পরিসরের আয়োজন স্কুল ক্রিকেটের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ২০১৫ সাল থেকে যুক্ত হয়েছে প্রাইম ব্যাংক। দেশের প্রায় ১২ হাজার শিশু-কিশোর ক্রিকেটারকে নিয়ে আয়োজিত হয় স্কুল ক্রিকেট।

;

বুমরাদের ধুলায় মিশিয়ে রানপাহাড়ে দিল্লি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলে রানের ফোয়ারা ছুটছে। টি-টোয়েন্টিতে যেখানে কিছুদিন আগেও দুইশ রানকে বড়সড় সংগ্রহ ভাবা হত, সেই দুইশ রান বা তারও বেশি আড়াইশ ছাড়ানো স্কোরও এখন হাতে মোয়া। গত রাতেই যেমন টি-টোয়েন্টিতে ২৬২ রানের বিশ্বরেকর্ড রানতাড়ার কীর্তি দেখাল পাঞ্জাব কিংস। এবার নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়ল দিল্লি। ঘরের মাঠে বুমরাদের ধুলায় মিশিয়ে ৪ উইকেটে ২৫৭ রানের পাহাড় গড়েছে তারা।

দিল্লীর অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টসে জিতে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় মুম্বাই। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই ঝড় তোলে দিল্লীর দুই ওপেনার জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাগার্ক ও অভিষেক পোরেল। দুজনের মধ্যে মুম্বাইয়ের বোলারদের উপর বেশি চড়াও হন ফ্রেজার-ম্যাগার্ক। ইনিংসের প্রথম ওভারেই লুক উডকেই ছাতু বানিয়ে ১৯ রান তোলেন তিনি।

মাত্র ১৫ বলেই অর্ধশত রানের মাইলফলকে পৌঁছান। তার তাণ্ডবে পাওয়ার প্লে’তে বিনা উইকেটে ৯২ রান স্কোরবোর্ডে জমা করে দিল্লি।

ফ্রেজার-ম্যাগার্ক যখন দুর্দান্ত গতিতে ছুটছেন তিন অঙ্কের দিকে, তখন তার সামনে অভিজ্ঞ স্পিনার পীযুষ চাওলা। তার গুগলিতে ডিপ মিডউইকেটে থাকা মোহাম্মদ নবীর হাতে ধরা পড়েন ফ্রেজার-ম্যাগার্ক। ফেরার আগে ২৭ বলে ১১ চার এবং ৬ ছক্কায় ৮৪ রান আসে তার ব্যাটে।

ফ্রেজার-ম্যাগার্ক সাজঘরের পথ ধরার পর কিছুটা শ্লথ হয় দিল্লীর রান তোলার গতি। নবীর করা দশম ওভারের চতুর্থ বলে স্টাম্পড হন অন্য ওপেনার অভিষেক (৩৬)।

তবে তিনে নামা ক্যারিবিয়ান ব্যাটার শাই হোপের ব্যাটে আবার ছন্দ খুঁজে পায় তারা। ১৭ বলে ৫ ছক্কায় ৪১ রান করেন তিনি। শেষদিকে ট্রিস্টান স্টাবসের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে আড়াইশ ছাড়িয়ে যায় দিল্লীর সংগ্রহ। ২৫ বলে ৬ চার এবং ২ ছয়ে ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন স্টাবস।

মুম্বাইয়ের বোলারদের মধ্যে ৪ উইকেট ভাগাভাগি করে নিয়েছেন নবী, জশপ্রীত বুমরা, পীযুষ এবং লুক উড।

;

বেয়ারস্টো-নারাইনদের মহাকাব্যিক দ্বৈরথে যত রেকর্ড



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলটা রীতিমত রান উৎসবের খেলায় পরিণত হয়েছে। দিনকে দিন ছাড়িয়ে যাচ্ছে সব রেকর্ড। ২৬০ এর বেশি রান হচ্ছে নিয়মিতই। এবার শুরু হয়েছে আড়াইশর বেশি রান তাড়ার মহড়া। পাঞ্জাব দেখালো ২৬১ রানও তাড়া করা সম্ভব। তাও আবার ৮ বল হাতে রেখে। কলকাতার বিপক্ষে পাঞ্জাবের এই রান তাড়ার ঘটনা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেই সর্বোচ্চ রান তাড়ার মাইলফলক।

কলকাতা এবং পাঞ্জাব দুই দল মিলে ছক্কা হাঁকিয়েছে ৪২টা। যেটা টি-টোয়েন্টি একম্যাচে দুই দল মিলিয়ে সর্বোচ্চ। আগে ছিলো ৩৮টা।

এই রান তাড়ার পথে পাঞ্জাব ছক্কা মেরেছে ২৪ টা। যেটা টি-টোয়েন্টি এক ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ২৬ ছক্কা মেরে এক নম্বরে রয়েছে নেপাল।

মজার ব্যাপার হচ্ছে দুই দলের চার ওপেনারের চারজনই পেয়েছেন ফিফটির দেখা। কেকেআরের হয়ে ফিল সল্ট ৭৫ এবং সুনীল নারিন করেন ৭১ রান। পাঞ্জাবের হয়ে প্রভসিমরান করেন ৫৪ আর জনি বেয়ারস্টো অপরাজিত থাকেন ১০৮ রানে।

এই চারজন ছাড়াও ম্যাচে ফিফটির দেখা পেয়েছেন শশাঙ্ক সিং। পাঁচ ব্যাটারের প্রত্যেকেই ফিফটি করেছেন দুইশোর বেশি স্ট্রাইক রেটে। যেটা টি-টোয়েন্টিতে এবারই প্রথম।

এই নিয়ে সপ্তম বারের মতো দুইশো প্লাস স্কোর চেজ করেছে পাঞ্জাব। টি-টোয়েন্টিতে কোনো নির্দিষ্ট দলের হয়ে যেটা সর্বাধিক।

;