ম্যাচ শুরু হতে না হতেই গোল হজম করে বসেছিল মোহামেডান। শঙ্কার কালোমেঘ ঘিরে ধরেছিল আলফাজ আহমেদের শিষ্যদের। কিন্তু দারুণ এক প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে শেষ হাসি হেসেছে তারাই। ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে শেখ রাসেলকে ২-১ গোলে হারিয়ে শেষ চারে পৌঁছে গেছে মোহামেডান।
ম্যাচের বয়স তখন এক মিনিটও হয়নি। অথচ গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে তখনই দেখা গেল চমক! ২৬ সেকেন্ডে মাঝমাঠ থেকে ভেসে আসা বলে মাথা ছুঁইয়ে শেখ রাসেলকে এগিয়ে দেন সেকু সিল্লা।
সে গোল শোধ করার ভুরি ভুরি সুযোগ পেলেও একের পর এক সুযোগ হেলায় নষ্ট করেন সুলেমান দিয়াবাতেরা। ষষ্ঠ মিনিটে পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে মোহামেডানকে সমতায় ফেরাতে ব্যর্থ হন ইমানুয়েল সানডে।
১-০ গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যেতে হয় সাদাকালোদের। সমতাসূচক গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয় ৭১ মিনিট পর্যন্ত। দিয়াবাতের লে অফে ডান পায়ের জোরালো শটে বক্সের বাইরে থেকে বল জালে পাঠিয়ে মোহামেডানকে সমতায় নিয়ে আসেন মিডফিল্ডার মোজাফফর মোজাফফরভ। সেই এক গোলের পর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি মোহামেডানকে। সুযোগ তো ম্যাচের শুরু থেকেই এসেছে, তবে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতিতে গোলটা হচ্ছিল না।
নির্ধারিত সময় শেষে যোগ করা সময়ে মোহামেডান যে জয়সূচক গোল করেছে, তা আত্মবিশ্বাসের এক নিদর্শন ছিল বটে! ডান পাশ দিয়ে উইংয়ে থাকা আরিফ হোসেনের নিচু ক্রস গেল মাঝে থাকা জাফর ইকবালকে খুঁজে পায়। জাফর প্রথম শটে গোল না পেলেও ফিরতি চেষ্টায় গোলরক্ষক মিতুল মারমাসহ পুরো শেখ রাসেল রক্ষণকে ঘোল খাইয়ে দলকে এনে দেন জয়সূচক গোল।