টিনেজে অভিষেক। আর সব জায়গায় এমন কিছু স্বাভাবিক বিষয় হলেও অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টেস্টে এমন কিছুর দেখা কালেভদ্রেই মেলে। তাই অভিষেকের আগে থেকেই আলোচনায় ছিলেন স্যাম কন্সটাস। সে আলোচনার তোড় আজ বেড়েছেই। দারুণ এক ফিফটিতে বক্সিং ডে টেস্টের প্রথম দিনটায় নিজের নাম বাধাই করে রেখে ফেলেছেন তিনি।
শুধু কি কন্সটাস? সঙ্গে উসমান খাজা, স্টিভেন স্মিথ আর মারনাস লাবুশেনও পেয়ে গেছেন ফিফটির দেখা। তবে এরপরও দিনটা এককভাবে অস্ট্রেলিয়ার নয়। তার কারণ যশপ্রীত বুমরাহ। ২৩৭ রানে ২ উইকেট নিয়ে অজিরা যখন বড় রানের দিকে ছুটছে, ঠিক তখনই তার আঘাত। এরপরই অস্ট্রেলিয়া ফিরে এসেছে ম্যাচে। ৬ উইকেট খুইয়ে ৩১১ রান নিয়ে স্বাগতিকরা প্রথম দিন শেষ করেছে, এই সময়ে ভারতকে যে খুব একটা পিছিয়ে রাখা যাচ্ছে না, তার কৃতিত্ব ওই বুমরাহরই।
অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থ কনিষ্ঠ পুরুষ ক্রিকেটার হিসেবে আজ অভিষেক হয় কন্সটাসের। নিজের প্রথম টেস্ট ইনিংসের এক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি ম্যাচের অন্যতম আলোচিত ব্যক্তিতে পরিণত হন। তিনি বুমরাহর দুই ওভারে ৩২ রান তোলেন। তার মধ্যে এক স্কুপে তিনি মারেন চার, এর পরের বলে রিভার্স স্কুপে হাঁকান ছক্কাও।
এখানেই শেষ নয়। এরপর বিরাট কোহলি তার সঙ্গে ধাক্কা লাগিয়ে দিলে এরপর বেশ কিছু উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় দুই পক্ষের। উসমান খাজা আর আম্পায়ারের হস্তক্ষেপে পরে বিষয়টার মীমাংসা হয়। কন্সটাস এরপর ৬৫ বলে ৬০ রান করে থেমেছেন; তবে তার আগে যা করেছেন তিনি, তাতে তার অভিষেক ইনিংসকে স্মরণীয়ই হয়ে গেছে।
কন্সটাসের পর উসমান খাজা, স্মিথ আর লাবুশেনও ফিফটি তুলে নেন। তাতে মনে হচ্ছিল বড় রানের দিকেই ছুটছে অস্ট্রেলিয়া। পরিস্থিতিটা বদলে যায় তৃতীয় সেশনে। বুমরাহর তোপে পড়ে উসমান খাজা, ট্রাভিস হেড এবং মিচেল মার্শের ৯ রানের এদিক ওদিকে খুইয়ে বসে স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় নতুন বলে আকাশ দীপ অ্যালেক্স ক্যারির উইকেট তুলে নেন, যা ইনিংসের চতুর্থ গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপের সমাপ্তি ঘটায়।
খাজা, স্মিথ এবং মার্নাস লাবুশেন কন্সটাসের চেয়ে ধীর গতিতে হাফ-সেঞ্চুরি করেন। ২০২২ সালের রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের পর প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ চার ব্যাটসম্যান একই ইনিংসে পঞ্চাশোর্ধ রান করেন।
দিন শেষে স্মিথ অপরাজিত আছেন ৬৮ রান নিয়ে। অস্ট্রেলিয়া কাল কতদূর যাবে, তা নির্ভর করবে তার এই ইনিংসের ওপরই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর–
অস্ট্রেলিয়া ৩১১/৬, ৮৬ ওভার (কন্সটাস ৬০, খাজা ৫৭, লাবুশেন ৭২, স্মিথ ৬৮*; বুমরাহ ৩-৭৫)