টানা চার ম্যাচেই হারল রাজস্থান
আসরের শুরু নয় ম্যাচে হার কেবল একটি। নয় ম্যাচ শেষে পয়েন্ট ছিল ১৬। সবার আগে শেষ চারীর টিকিট নিশ্চিতসহ অনায়াসেই শীর্ষে দুইয়ে থেকে প্লে-অফে যাওয়ার দৌড়েই ছিল রাজস্থান রয়্যালস। তবে আসরের গ্রুপপর্বের শেষ দিকে এসে মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখল ২০০৮ আসরের চ্যাম্পিয়ন দলটি। গত মঙ্গলবার দিল্লির কাছে লক্ষ্ণৌয়ের হারের পরই অবশ্য নিশ্চিত হয়েছে রাজস্থানের প্লে-অফের জায়গা। তবে এ নিয়ে টানা ম্যাচেই হারের মুখ দেখল সঞ্জু স্যামসনের দলটি।
প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়ক অলরাউন্ড পারফর্মে গতকালের একমাত্র ম্যাচটিতে পাঞ্জাব কিংসের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে রাজস্থান। এতে ১৩ ম্যাচ শেষের পয়েন্টটা আটকে থাকলো ১৬-তেই। এবং শেষ চারের টিকিট কনফার্ম থাকলেও শীর্ষ দুইয়ে থেকে গ্রুপপর্ব শেষ করে প্রথম কোয়ালিফায়ারের রাজস্থানের খেলা দাঁড়িয়েছে শঙ্কায়।
এদিকে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের পর আসরের দ্বিতীয় দল হিসেবে আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে পাঞ্জাবের। এতেই প্রথম পর্বের বাকি ম্যাচগুলো তাদের জন্য কেবলই নিয়মরক্ষার। গত রাতের ম্যাচটি অধিনায়ক কারেনের ছিল এই আসরের শেষ ম্যাচ। কেননা জাতীয় দলের দায়িত্বে ফিরতে হবে এই ইংলিশ তারকা অলরাউন্ডার। আসরের শেষ ম্যাচে তাই খেলে গেলেন গুরুত্বপূর্ণ এক ক্যাপ্টেনস নক। বল হাতে ২ উইকেটের পর ব্যাট হাতেও অপরাজিত ৬৩ রান করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েই মাঠ ছাড়েন কারেন।
গৌহাটির ম্যাচটিতে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিধান্ত নেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। সেখানে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৪ রানের লড়াকু পুঁজি পায় তারা।
লক্ষ্যটা ছিল সহজের কাতারেই। তবে আভেশ-বোল্টদের পেস তোপে শুরুতেই তা কঠিন হয়ে পড়ে পাঞ্জাবের জন্য। ৪৮ রানেওই হারিয়ে বসে শুরুর চার উইকেট। তবে পঞ্চম উইকেটে জিতেশ শর্মাকে নিয়ে ৬৩ রানের জুটি গড়েন কারেন। জিতেশ ২২ রান করে ফিরলেও কারেন টিকে ছিলেন শেষ পর্যন্ত। ৪১ বলে তার ব্যাট থেকেই আসে দলীয় সর্বোচ্চ ৬৩ রান। এদিকে ১১ বলে ১৭ রানের এক ক্যামিও খেলেন আশুতোশ শর্মা। এতে ৫ উইকেট হাতে রেখে ১৮ ওভার ৫ বলেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাঞ্জাব। রাজস্থানের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন আভেশ ও চাহাল, একটি পান বোল্ট।
আসরের ১৩ ম্যাচে এটি ছিল পাঞ্জাবের পঞ্চম জয়। আগের দুটি ম্যাচে হারের পর জয়ের দেখা পেল তারা।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থানের শুরুটাও ছিল নিষ্প্রভ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ফেরেন যশস্বী জয়সওয়াল। জশ বাটলার ইংল্যান্ডে ফিরে গেলে এদিন ওপেনিংয়ে নামেন আরেক ইংলিশ ব্যাটার টম কোলার-ক্যাডমোর। এটি ছিল তার আইপিএলের অভিষেক ম্যাচ। তবে তা মোটেও সুখকর হলো না। ২৩ বলে ফিরেছেন স্রেফ ১৮ রান করে। জয়সওয়াল ফেরার পর পাওয়ার প্লেতে আর কোনো উইকেট না হারালেও স্কোরবোর্ডে স্রেফ ৩৮ রান উঠে রাজস্থানের। পরে ৪ বলের ব্যবধানে ফেরেন ক্যাডমোর-স্যামসন দুজনেই। পরে অর্ডার বদলে পাঁচে নামেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এবং রিয়ান পরাগের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ৫০ রানের জুটিতে চাপ কিছুটা হলেও সামলান। পরে ২৮ রান বলে অশ্বিন ফেরার পর বাকি ব্যাটাররা ছিলেন যাওয়া আসার মধ্যেই। কেবল রিয়ানের ৪৮ রানে ইনিংসে চড়ে লড়াকু পুঁজিতে পৌঁছায় তারা।
আসরের শুরু থেকে দাপুটে পারফর্মে লম্বা সময় ধরে শীর্ষস্থান ধরে ছিল রাজস্থান। তবে একের পর এক হারে এবার শীর্ষে দুইয়ে জায়গা নিয়ে জেঁকেছে সংশয়।