অনূর্ধ্ব-১২ এশিয়ান টেনিসে ভারতের কাছে হার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নেপালে এশিয়া অনূর্ধ্ব-১২ দলগত টেনিস প্রতিযোগিতা ২০২৪ ইভেন্টের খেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিযোগিতায় স্বাগতিক নেপালসহ বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ, ভূটান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১২ বছরের বালক ও বালিকা খেলোয়াড় ও ক্যাপ্টেন অংশগ্রহণ করছে। প্রতিযোগিতার তৃতীয় দিনে বাংলাদেশের বালক ও বালিকা উভয় দল শক্তিশালী ভারত দলের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। তবে দুটি দলই ০-৩ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে হেরে যায়।

বালক এককের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের মোহাম্মদ হায়দার ০-৬, ০-৬ গেমে ভারতের মনোহর পুনিথ এর নিকট এবং মো: জোবায়ের ইসলাম ০-৬, ০-৬ গেমে ভারতের ছাল্লানি আরভ অক্ষয়কুমার এর নিকট পরাজিত হয়। দ্বৈতের খেলায় বাংলাদেশের মোহাম্মদ হায়দার ও মো: জোবায়ের জুটি ০-৬, ১-৬ গেমে ভারতের জর্জ যুভান ও মনোহর পুনিথ জুটির নিকট পরাজিত হলে বাংলাদেশ বালক দল ০-৩ ম্যাচে ভারতের নিকট পরাজিত হয়।

বালিকা এককের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের সারা আল জসিম ০-৬, ১-৬ গেমে ভারতের সৃষ্টি কিরন এর নিকট এবং দ্বিতীয় এককে বাংলাদেশের জান্নাত হাওলাদার  ০-৬, ০-৬ গেমে কাদিয়ান খুশির নিকট পরাজিত হয়। দ্বৈতের খেলায় বাংলাদেশ মাসতুরা আফরিন ও সারা আল জসিম জুটি ০-৬, ১-৬ গেমে সৃষ্টি  কিরন ও গালত সেরেনার নিকট পরাজিত হয়। ফলে বাংলাদেশ বালিকা দল ০-৩ ম্যাচে ভারতের নিকট পরাজিত হয়।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বাংলাদেশ বালক দল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এবং বাংলাদেশ বালিকা দল শ্রীলংকার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। বাংলাদেশ বালক দল গ্রুপ-‘এ’ তে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে, ফলে গ্রুপ-‘বি’ এর চ্যাম্পিয়ন দল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। অপরদিকে বালিকা দল রাউন্ড রবীন লীগ পদ্ধতিতে ৩টি ম্যাচ খেলে ২টিতে (মালদ্বীপ ও নেপাল) জয় লাভ করে এবং ১টিতে (ভারত) পরাজিত হয়।

   

বৃষ্টি আইনে শান্তদের ২৮ রানে হারাল অজিরা

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বিতীয় ইনিংসের ১২তম ওভারে নামে তৃতীয় দফার বৃষ্টি। শেষ পর্যন্ত এবার বৃষ্টি জোরালোভাবে এলে আর খেলা মাঠে গড়াল না। বৃষ্টি নামার আগে ডিএলএস আইনে ২৮ রানে এগিয়ে ছিল অস্ট্রেলিয়া। শেষ পর্যন্ত সেই ব্যবধানেই বাংলাদেশের বিপক্ষে সুপার এইটে নিজেদের প্রথম ম্যাচটা জিতল মিচেল মার্শের দল।

অ্যান্টিগায় বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে এটি ছিল তৃতীয় দফার বৃষ্টি। প্রথম দফায় টসের আগে বৃষ্টি নামলে ১৫ মিনিট দেরীতে হয় টস। পরে অজিদের ইনিংসের পাওয়ারপ্লে শেষের পরপরই ফের নামে বৃষ্টি। সেবার ম্যাচ বন্ধ ছিল ২০ মিনিট। এরপর খেলা শুরু হয়ে চলে আরও ৫ ওভার। সেখানে ১১ ওভার ২ বলে অজিদের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ১০০ রান এবং বৃষ্টি আইনে তারা এগিয়ে ছিল ২৮ রানে। পরে তৃতীয় দফার বৃষ্টি না থামলে ম্যাচ জেতে অস্ট্রেলিয়া। 

বিশ্বকাপের শুরুটা জয় দিয়ে হলেও সুপার এইটে যাত্রা শান্ত-সাকিবদের হলো হার দিয়েই। ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক মিচেল মার্শ। সেখানে ব্যাত করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪০ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় বাংলাদেশের। 

জবাবে সেই লক্ষ্য তাড়ায় বৃষ্টি বাঁধা আসার আগে ৬ ওভার ২ বলেই ৬৪ রান তুলে ফেলে অজিরা। পরে বৃষ্টি থামার পর সেই ওভারেই ট্রাভিস হেডকে সাজঘরে ফেরান রিশাদ। ২১ বলে ৩১ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। দলীয় ৬৯ রানের মাথায় লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে মার্শকেও একই রাস্তা মাপান রিশাদ। তবে পিচে থিতু হয়ে আগ্রাসী ভঙ্গিতেই এগোতে থাকেন ওয়ার্নার। ৩৪ বলে তুলে ফেলেন ফিফটি এবং বৃষ্টি নামার আগে ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন এই বাঁহাতি ওপেনার। 

এর আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই শূন্য রানে ফেরেন তানজিদ হাসান তামিম। তবে লিটন-শান্তর দ্বিতীয় উইকেটে ৫৮ রানের জুটি সেই চাপ সামলে নিয়েছিল অনেকখানি। সেখানে ২৫ বলে ১৬ রান করে ফেরেন লিটন। এদিকে রান রেট বাড়াতে ব্যাটিং অর্ডার বদলে ফ্লোটারের ভূমিকায় নামেন রিশাদ। তবে তা কাজে দিল না খুব একটা। কেবল ২ রান করে পরের ওভারেই আরেক স্পিনার ম্যাক্সওয়েলের বলে ফিরলেন তিনি। বিশ্বকাপে আগে যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ থেকেই রান খরা কাটছিল না শান্তর। তবে অজিদের বিপক্ষে শুরু থেকেই হাত খুলে খেলতে থাকেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। এগোচ্ছিলেন ফিফটির দিকেই। তবে সেটি হলো না অ্যাডাম জ্যাম্পার ঘূর্ণিতে। দলীয় ৮৪ রানের মাথায় লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেরেন শান্ত। এর আগে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৩৬ বলে খেলেন দলীয় সর্বোচ্চ ৪১ রানের ইনিংস। 

ডাচদের বিপক্ষে অপরাজিত ৬৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছিলেন সাকিব। তবে অজিদের বিপক্ষে কেবল ৮ রান করেই ফিরতে হলো তাকে। পরে ১৮তম ওভারের শেষ দুই বলে ফিরলেন মাহমুদউল্লাহ (২) ও মেহেদি (০)। শেষ পর্যন্ত হৃদয়ের ২৮ বলে ৪০ এবং ৭ বলে তাসকিনের ১৩ রানের ক্যামিওতে ১৪০ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। অজিদের পক্ষে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন কামিন্স এবং দুটি উইকেট নেন জ্যাম্পা। 

সুপার এইটে বাংলাদেশের পরের ম্যাচ আগামীকাল (শনিবার)। একই মাঠে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে। 

;

থেমেছে দ্বিতীয় দফার বৃষ্টি, রিশাদের জোড়া আঘাত 

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিধ্বংসী অজিদের সামনে ১৪১ রানের লক্ষ্যতা সহজের কাতারেই। দুই ওপেনার ট্রাভিস হেড ও ডেভিড ওয়ার্নার শুরুটাও করেছিলেন তেমনই। পাওয়ারপ্লেতেই চারটি বোলার আনেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে পেস-স্পিনের যুগল ছাপিয়ে শুরুর ৬ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৯ রান তুলে ফেলে অজিরা। এতে উইকেতের খোঁজে সপ্তম ওভারে রিশাদকেও আক্রমণে আনেন শান্ত। তবে সেই ওভারের দুই বল বাদেই নামে বৃষ্টি। এতেই খেলা বন্ধ ছিল প্রায় ২০ মিনিট। 

দ্বিতীয় দফার বৃষ্টি শেষে ম্যাচ শুরুর পরপরই দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন রিশাদ। নিজের পরের ওভারে তুলে নিয়েছেন মার্শের উইকেটও। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১০ ওভার শেষে ২ উইকেটে অজিদের সংগ্রহ ৮০। জয়ের জন্য ৬০ বলে প্রয়োজন ৬১ রান। 

এর আগে অ্যান্টিগায় টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। সেখানে ব্যাত করতে নেমে শান্তর ৪১ ও হৃদয়ের ৪০ রানে চড়ে ৮ উইকেটে ১৪০ রানের লড়াকু পুঁজি পায় বাংলাদেশ।

সেই লক্ষ্য তাড়ায় বৃষ্টি বাঁধা আসার আগে ৬ ওভার ২ বলেই ৬৪ রান তুলে ফেলে অজিরা। পরে বৃষ্টি থামার পর সেই ওভারেই ট্রাভিস হেডকে সাজঘরে ফেরান রিশাদ। ২১ বলে ৩১ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। দলীয় ৬৯ রানের মাথায় লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে মার্শকেও একই রাস্তা মাপান রিশাদ। তবে পিচে থিতু হয়ে আগ্রাসী ভঙ্গিতেই এগোচ্ছেন ওয়ার্নার। অপরাজিত আছেন ৪১ রানে।  

;

জয় দিয়েই কোপা মিশন শুরু আর্জেন্টিনার



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অবশেষে সবশেষ অর্ধ-যুগে বৈশ্বিক বা মহাদেশীয় কোনো টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচে জয় না পাওয়ার অভিশাপ থেকে মুক্তি পেল আর্জেন্টিনা। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের পর ২০১৯ ও ২০২১ কোপার আসর এবং ফের ২০২২ বিশ্বকাপ, এই চার টুর্নামেন্টে নিজেদের শুরু ম্যাচের একটিতেও জয়ের দেখা পায়নি আলবিসেলেস্তেরা। তবে অর্ধযুগ পর এবারের কোপায় এসে কাটল সেই খরা। কানাডার বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানের জয় দিয়েই শিরোপা ধরে রাখার মিশন শুরু করল মেসি-ডি মারিয়ারা। 

জর্জিয়ার মার্সিডিজ-বেনজ স্টেডিয়ামে গোল দুটিই এসেছে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে। গোলের স্কোরশিটে নাম দুটি হুলিয়ান আলভারে ও লতারো মার্তিনেসের। এদিকে তাদের সবচেয়ে বড় তারকা লিওনেল মেসি কোনো গোলের দেখা না পেলেও গোল দুটিতেই অবদান ছিল তার। তবে বেশ কয়েকটি গোলের দারুণ সব সুযোগ মিস করেছেন এই ইন্টার মায়ামি তারকা। 

এদিকে ম্যাচটিতে মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গেই রেকর্ড বইয়ে নাম লেখান মেসি। কোপা আমেরিকায় এটি ছিল তার ৩৫তম ম্যাচ, যা টুর্নামেন্টের ইতিহাসে কোনো ফুটবলারের সর্বোচ্চ। 

শক্তি, সামর্থ্য, পরিসংখ্যান সবের বিচারে আর্জেন্টিনার থেকে কানাডা ঢের পিছিয়ে। ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে মেসিরা যখন শীর্ষে সেখানে আলফনসো ডেভিসরা আছে ৪৮তম অবস্থানে। এছাড়া কোপার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা এবং এই ২০২৪ আসর দিয়ে এই মহাদেশীয় টুর্নামেন্টে অভিষেক কানাডার। তবে সব ছাপিয়ে প্রথমার্ধে চ্যাম্পিয়নদের বেশ কঠিন চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে কানাডিয়ানরা। প্রথমার্ধ শেষ হয়েছে তাই গোলশূন্য ড্রয়ে। 

তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ভাঙ্গে ডেডলক। ৪৯তম মিনিটে মেসির নিখুঁত এক পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন আলেক্সিস মাক আলিস্টার। সেখানে প্রতিপক্ষ দলের গোলরক্ষক বাঁধা সৃষ্টি করতে এগিয়ে এলে এই লিভারপুল মিডফিল্ডার বল বাড়িয়ে দেন আলভারেসের উদ্দেশ্যে এবং সেটি সহজেই জালের ঠিকানায় পৌঁছে দেন তিনি। 

এদিকে মিনিট নয়েক পর ব্যবধান দ্বিগুণের দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিলেন মেসি। তবে ডিফেন্ডার কর্ণেলিয়াসের নৈপুণ্যে সেখানে জালের দেখা পাননি এই আর্জেন্টাইন মহাতারকা। ৬৬তম মিনিটের সুযোগটা ছিল আরও সোনালি। ড্রিবল করে ডি-বক্সে ঢুকে পড়া মেসির সামনে তখন কেবল কানাডা গোলরক্ষক ম্যাক্সিমে ক্রেপিয়াও। সেখানে মেসির প্রথম শট ঠেকিয়ে দেন তিনি। তবে ফিরতি বল যায় মেসির কাছেই। ততক্ষণে রক্ষণে হাজির সেই কর্ণেলিয়াস এবং মেসির এবারের শট ফেরে তার গায়ে লেগেই। 

তবে ম্যাচের শেষ দিকে এবার সরাসরি মেসির অবদানেই গোলের দেখা পায় টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ৮৮তম মিনিটে মেসির পাস থেকে কোনো ভুল না করে বল জালের ঠিকানায় পৌঁছে দেন লতারো এবং শেষ পর্যন্ত ২-০ ব্যবধানে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে লিওনেল স্কালোনির দল। 

কোপায় মেসিদের পরের ম্যাচ আগামী ২৬ জুন, চিলির বিপক্ষে। নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায়। 

;

অজিদের সামনে শান্তদের ১৪১ রানের চ্যালেঞ্জ 

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তানজিদ ফিরলেন খালি হাতে, অস্বস্তির শুরু নিয়ে লিটন ফিরলেন ৬৪ স্ট্রাইক রেটের ধীরগতির এক ইনিংস খেলে এবং রিশাদ ব্যর্থ ফ্লোটারের ভূমিকায়। এদিকে ব্যাটে-বলে বিশ্বকাপে বিবর্ণ শুরুর পর এর আগে ম্যাচে ডাচদের বিপক্ষে দুই বিভাগেই দারুণ ছন্দে ফেরেন সাকিব আল হাসান। তবে সেই ছন্দ ধরে রাখতে পারলেন না অজিদের বিপক্ষে। সেই রাস্তা দ্রুতই মাপলেন মাহমুদউল্লাহ ও আসরের দলের একাদশে প্রথমবারের মতো সুযোগ পাওয়া মেহেদি হাসান। তবে মান বাঁচল কেবল অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাটে চড়ে। চাপ সামলে রানে ফেরার দিনে ৪১ রান করেন শান্ত, এদিকে ছন্দে থাকা হৃদয়ও ফিরেছেন ৪০ রান করে। এতে সুপার এইটে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অজিদের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ১৪০ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পেল বাংলাদেশ। 

এদিকে একাদশে ফিরেই বল হাতে দারুণ পারফর্ম করলেন প্যাট কামিন্স। তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহদের মতো গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তার ঝুলিতেই। সঙ্গে করেছেন হ্যাটট্রিকও। 

অ্যান্টিগার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুতে বৃষ্টি নামায় টস হয়েছে ১৫ মিনিট দেরিতে। এদিনও টস ভাগ্য ছিল না বাংলাদেশের পক্ষে। টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক মিচেল মার্শ। 

বাংলাদেশের ইনিংসে শুরুটা হলো ধাক্কা দিয়েই। ডাচদের বিপক্ষে রানে ফিরলেও নেপালের পর এই ম্যাচেও শূন্য রানে ফিরলেন তানজিদ হাসান তামিম। তবে লিটন-শান্তর দ্বিতীয় উইকেটে ৫৮ রানের জুটি সেই চাপ সামলে নিয়েছিল অনেকখানি। সেখানে ২৫ বলে ১৬ রান করে ফেরেন লিটন। এদিকে রান রেট বাড়াতে ব্যাটিং অর্ডার বদলে ফ্লোটারের ভূমিকায় নামেন রিশাদ। তবে তা কাজে দিল না খুব একটা। কেবল ২ রান করে পরের ওভারেই আরেক স্পিনার ম্যাক্সওয়েলের বলে ফিরলেন তিনি। 

বিশ্বকাপে আগে যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ থেকেই রান খরা কাতছিল না শান্তর। তবে অজিদের বিপক্ষে শুরু থেকেই হাত খুলে খেলতে থাকেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। এগোচ্ছিলেন ফিফটির দিকেই। তবে সেটি হলো না অ্যাডাম জ্যাম্পার ঘূর্ণিতে। দলীয় ৮৪ রানের মাথায় লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেরেন শান্ত। এর আগে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৩৬ বলে খেলেন দলীয় সর্বোচ্চ ৪১ রানের ইনিংস। 

ডাচদের বিপক্ষে অপরাজিত ৬৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছিলেন সাকিব। তবে অজিদের বিপক্ষে কেবল ৮ রান করেই ফিরতে হলো তাকে। পরে ১৮তম ওভারের শেষ দুই বলে ফিরলেন মাহমুদউল্লাহ (২) ও মেহেদি (০)। শেষ পর্যন্ত হৃদয়ের ২৮ বলে ৪০ এবং ৭ বলে তাসকিনের ১৩ রানের ক্যামিওতে ১৪০ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। অজিদের পক্ষে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন কামিন্স এবং দুটি উইকেট নেন জ্যাম্পা। 

;