দেখে নিন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোন দলে কারা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুয়ারে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আগামী ১ জুন যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে পর্দা উঠবে এই ক্রিকেট মহাযজ্ঞের। টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ২০ দলের স্কোয়াড এরই মধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে। চলুন বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাওয়া সব দলের স্কোয়াডে একবার চোখ বুলিয়ে নেয়া যাক...

গ্রুপ এ

কানাডা

কোচ: পুবুদু দাসানায়েকে

স্কোয়াড: নাভনীত ধালিওয়াল, অ্যারন জনসন, রাভিন্দেরপাল সিং, কানওয়ারপাল তাথগুর, শ্রেয়াস মোভা, ডিলন হেইলিগার, দিলপ্রীত বাজওয়া, হার্শ ঠাকের, জেরেমি গর্ডন, সাদ জাফর (অধিনায়ক), জুনায়েদ সিদ্দিকী, কালিম সানা, নিকোলাস কিরটন, পারগাত সিং ও রাইয়ান খান পাঠান

ভারত

কোচ: রাহুল দ্রাবিড়

স্কোয়াড: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), হার্দিক পান্ডিয়া, যশস্বী জয়সোয়াল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, রিশাভ পান্ত, সঞ্জু স্যামসন, শিভম দুবে, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, যুজবেন্দ্র চাহাল, আর্শদীপ সিং, যশপ্রীত বুমরা ও মোহাম্মদ সিরাজ

আয়ারল্যান্ড

কোচ: হাইনরিখ মালান

স্কোয়াড: পল স্টার্লিং (অধিনায়ক), মার্ক অ্যাডেয়ার, রস অ্যাডেয়ার, অ্যান্ড্রু বালবির্নি, কার্টিস ক্যাম্ফার, গ্যারেথ ডেলানি, জর্জ ডকরেল, গ্রাহাম হিউম, জশ লিটল, ব্যারি ম্যাকার্থি, নিল রক, হ্যারি টেক্টর, লোরকান টাকার, বেন হোয়াইট ও ক্রেইগ ইয়ং

পাকিস্তান

কোচ: গ্যারি কারস্টেন

স্কোয়াড: বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান, সাইম আইয়ুব, ফখর জামান, উসমান খান, আজম খান, ইফতিখার আহমেদ, ইমাদ ওয়াসিম, শাদাব খান, মোহাম্মদ আমির, শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ, আব্বাস আফ্রিদি, হারিস রউফ ও আবরার আহমেদ

যুক্তরাষ্ট্র

কোচ: স্টুয়ার্ট ল

স্কোয়াড: মোনাঙ্ক প্যাটেল (অধিনায়ক), অ্যারন জোনস, শায়ান জাহাঙ্গীর, আন্দ্রিস গউস, নীতিশ কুমার, স্টিভেন টেইলর, হারমিত সিং, কোরি অ্যান্ডারসন, মিলিন্দ কুমার, নিসর্গ প্যাটেল, শাডলি ফন শকউইক, আলী খান, জেসি সিং, সৌরভ নেত্রভালকার ও নশতুশ কেনজিগে

 

গ্রুপ বি

অস্ট্রেলিয়া

কোচ: অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড

স্কোয়াড: ডেভিড ওয়ার্নার, ট্র্যাভিস হেড, মিচেল মার্শ (অধিনায়ক), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, টিম ডেভিড, মার্কাস স্টয়নিস, ম্যাথু ওয়েড, মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স, অ্যাডাম জ্যাম্পা, জশ হ্যাজেলউড, জশ ইংলিস, অ্যাশটন অ্যাগার, ক্যামেরন গ্রিন ও নাথান এলিস

ইংল্যান্ড

কোচ: ম্যাথু মট

স্কোয়াড: জশ বাটলার (অধিনায়ক), মঈন আলী, জফরা আর্চার, জনি বেয়ারস্টো, হ্যারি ব্রুক, স্যাম কারেন, বেন ডাকেট, টম হার্টলি, উইল জ্যাকস, ক্রিস জর্ডান, লিয়াম লিভিংস্টোন, আদিল রশিদ, ফিল সল্ট, রিস টপলি এবং মার্ক উড

নামিবিয়া

কোচ: পিয়ের দে ব্রুইনা

স্কোয়াড: গেরহার্ড ইরাসমাস (অধিনায়ক), জেন গ্রিন, মাইকেল ফন লিঙ্গেন, ডিলান লেইচার, রুবেন ট্রাম্পেলমান, জ্যাক ব্রাসেল, বেন শিকঙ্গো, টানজেনি লুঙ্গামেনি, নিকো ডাভিন, জেজে স্মিট, ইয়ান ফ্রাইলিঙ্ক, জেপি কোটজে, ডেভিড ভিসা, বার্নার্ড শলটজ, মালান ক্রুগার ও পিডি ব্লিনট

ওমান

কোচ: দুলীপ মেন্ডিস

স্কোয়াড: আকিব ইলয়াস (অধিনায়ক), প্রতীক আথাভালে, মেহরান খান, খালিদ কাইল, নাসিম খুশি, কশ্যপ প্রজাপতি, শোয়েব খান, জিশান মাকসুদ, মোহাম্মদ নাদিম, আয়ান খান, বিলাল খান, ফাইয়াজ বাট, শাকিল আহমেদ, কলিমউল্লাহ ও রাফিউল্লাহ

স্কটল্যান্ড

কোচ: ডগ ওয়াটসন

স্কোয়াড: রিচি বেরিংটন (অধিনায়ক), ম্যাথু ক্রস, ব্র্যাড কারি, ক্রিস গ্রিভস, ওলি হেয়ারস, জ্যাক জারভিস, মাইকেল জোনস, মাইকেল লিস্ক, ব্র্যান্ডন ম্যাকমালেন, জর্জ মানসি, সাফয়ান শারিফ, ক্রিস সোল, চার্লি টিয়ার, মার্ক ওয়াট ও ব্র্যাড হুইল

 

গ্রুপ সি

আফগানিস্তান

কোচ: জোনাথান ট্রট

স্কোয়াড: রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, নাজিবউল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ ইশাক, মোহাম্মদ নবী, গুলবদিন নাইব, রশিদ খান (অধিনায়ক), করিম জানাত, নাঙ্গয়াল খারোটি, মুজিব উর রহমান, নুর আহমেদ, নাভিন-উল-হক, ফজলহক দারুকি ও ফরিদ আহমেদ মালিক

নিউজিল্যান্ড

কোচ: গ্যারি স্টিড

স্কোয়াড: কেইন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), ফিন অ্যালেন, ট্রেন্ট বোল্ট, মাইকেল ব্রেসওয়েল, মার্ক চ্যাপমান, ডেভন কনওয়ে, লকি ফার্গুসন, ম্যাট হেনরি, ড্যারিল মিচেল, জিমি নিশাম, গ্লেন ফিলিপস, রাচিন রবীন্দ্র, মিচেল স্যান্টনার, ইশ সোধি ও টিম সাউদি

পাপুয়া নিউ গিনি

কোচ: তাতেন্দা তাইবু

স্কোয়াড: আসাদোল্লাহ ভালা (অধিনায়ক), সিজে আমিনি, আলেই নাও, চাদ সোপের, হিলা ভারে, হিরি হিরি, জ্যাক গার্ডনার, জন কারিকো, কাবুয়া ভাগি মোরেয়া, কিপলিং ডোরিগা, লেগা সিয়াকা, নরমান ভানুয়া, সেমা কামিয়া, সেসে বাউ ও টনি উরা

উগান্ডা

কোচ: অভয় শর্মা

স্কোয়াড: ব্রায়ান মাসাবা (অধিনায়ক), সাইমন সেসাজি, রজার মুকাসা, কসমাস কেয়ুতা, দীনেশ নাক্রানি, ফ্রেড আচেলাম, কেনেথ ওয়াইসোয়া, অল্পেশ রামজানি, ফ্রাঙ্ক এনসুবুগা, হেনরি সেনয়োন্দো, বিলাল হাসান, রবিনসন ওবুয়া, রিয়াজাত আলী শাহ, জুমা মিয়াজি ও রোনাক প্যাটেল

ওয়েস্ট ইন্ডিজ

কোচ: ড্যারেন স্যামি

স্কোয়াড: রভম্যান পাওয়েল, আলজারি জোসেফ, জনসন চার্লস, রস্টন চেজ, শিমরন হেটমায়ার, জেসন হোল্ডার, শেই হোপ, আকিল হোসেন, শামার জোসেফ, ব্র্যান্ডন কিং, গুডাকেশ মোটি, নিকোলাস পুরান, আন্দ্রে রাসেল, শেরফান রাদারফোর্ড ও রোমারিও শেফার্ড

 

গ্রুপ ডি

বাংলাদেশ

কোচ: চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে

স্কোয়াড: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাসকিন আহমেদ, লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, তানভীর ইসলাম, শেখ মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব

নেপাল

কোচ: মন্টি দেসাই

স্কোয়াড: আসিফ শেখ, দীপেন্দ্র সিং আইরি, কুশল ভুর্তেল, সানদীপ জোরা, রোহিত পদেল (অধিনায়ক), কারান কেসি, কুশল মাল্লা, প্রাতিস জিসি, সোমপাল কামি, অনীল সাহ, অবিনাশ বোহারা, গুলশান ঝা, ললিত রাজবংশী, কমল আইরি ও সাগর ধাকাল

নেদারল্যান্ডস

কোচ: রায়ান কুক

স্কোয়াড: স্কট এডওয়ার্ডস (অধিনায়ক), আর‍য়ান দত্ত, বাস ডে লিড, ড্যানিয়েল ডোরাম, ফ্রেড ক্লাসেন, লোজ্ঞান ফন বাইক, ম্যাক্স ও’ডোড, মাইকেল লেভিট, পল ফন মিকেরেন, সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রাখট, তেজা নিদামানুরু, টিম প্রিঙ্গল, বিক্রম সিং, ভিভ কিংমা ও ওয়েসলি বারেসি

দক্ষিণ আফ্রিকা

কোচ: রব ওয়াল্টার

স্কোয়াড: এইডেন মার্করাম (অধিনায়ক), কুইন্টন ডি কক, রিজা হেনড্রিক্স, হাইনরিখ ক্লাসেন, ডেভিড মিলার, রায়ান রিকেলটন, ট্রিস্টান স্টাবস, মার্কো ইয়ানসেন, ওটনিল বার্টম্যান, জেরাল্ড কোয়েটজি, কেশব মহারাজ, বিয়র্ন ফরটুইন, আনরিখ নরকিয়া, কাগিসো রাবাদা ও তাবরাইজ শামসি

শ্রীলঙ্কা

কোচ: ক্রিস সিলভারউড

স্কোয়াড: ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (অধিনায়ক), চরিথ আসালাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস, পাথুম নিসাঙ্কা, কামিন্দু মেন্ডিস, সাদিরা সামারাবিক্রমা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস, দাসুন শানাকা, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, মহীশ থিকশানা, দুনিথ ওয়েলালাগে, দুশমন্থা চামিরা, নুয়ান থুশারা, মাথিশা পাথিরানা ও দিলশান মাদুশাঙ্কা

   

কোপা আমেরিকায় যত রেকর্ড গড়েছেন মেসি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লিওনেল মেসির নামের পাশে লেখা আছে অগণিত সাফল্য ও কীর্তি। কত রেকর্ড যে মেসির ক্যারিয়ার জুড়ে তিনি গড়েছেন তার সঠিক হিসেব সম্ভবত তিনি নিজেও জানেন না। সবশেষে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ট্রফি তুলে ধরে তো তিনি নিজের ফুটবলীয় ক্যারিয়ারকে পূর্ণতা দিয়েছেন।

বর্তমানে কোপা আমেরিকা আসর চলমান থাকায় আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন মেসি। ইতিমধ্যে গ্রুপপর্বে নিজেদের দুটি ম্যাচ খেলে ফেলেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। জুনের ২০ তারিখে কানাডার বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ের পর আজ (বুধবার) চিলির সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে ১-০ গোলের জয় ছিনিয়ে নিয়েছে আলবিসেলেস্তেরা। এ-গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে ২৯ জুন পেরুর মুখোমুখি হবে লিওনেল স্কালোনির দল।

২০২১ সালে প্রথমবারের মতো কোপা আমেরিকার শিরোপা এবং নিজের ক্যারিয়ারে প্রথম আন্তর্জাতিক ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিলেন মেসি। এবারও শিরোপার জন্যই খেলছে পুরো দল। কোপা আমেরিকার মঞ্চেও লিওনেল মেসির আছে একাধিক রেকর্ড। চলুন সেগুলো জেনে নেওয়া যাক।

সবচেয়ে বেশি ম্যাচে মাঠে নামা

চলতি আসরে কানাডার বিপক্ষে ম্যাচটির মাধ্যমে মেসি তার ক্যারিয়ারের ৩৫তম কোপা আমেরিকার ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন, যা ইতিহাসে যেকোনো ফুটবলার হিসেবে সর্বোচ্চ। এর আগে সর্বোচ্চ ৩৪টি ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন চিলির সের্হিও লিভিংস্টোন।

প্রথম আর্জেন্টাইন হিসেবে সর্বোচ্চ আসর

আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় মেসি যিনি কোপা আমেরিকার সাতটি ভিন্ন আসরে খেলেছেন। ভেনেজুয়েলায় অনুষ্ঠিত ২০০৭ সালের কোপা আমেরিকা টুর্নামেন্টের পর থেকে তিনি প্রতিটি আসরেই জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন। এই টুর্নামেন্টে এবার তার সপ্তমবার উপস্থিত থাকার মাধ্যমে তিনি হেক্টর স্কারোন, মিটন মেলগার এবং কার্লোস বোর্জার সাথে তৃতীয় সর্বোচ্চবার কোপা আসর খেলা আর্জেন্টাইন ফুটবলার। শুধুমাত্র অ্যাঞ্জেল রোমানো এবং অ্যালেক্স আগুইনাগা আটবার করে এই টুর্নামেন্ট খেলেছেন।

এছাড়াও কোপা আমেরিকার মঞ্চে আরও কিছু রেকর্ডের খুব কাছে আছেন মেসি, হয়ত চলতি আসরেই সেগুলোও নিজের ঝুলিতে জমা করে ফেলবেন। যেমন-

চিলিতে ২০১৫ সালে এবং ব্রাজিলে ২০২১ সালের কোপা আসরে টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। এবারও যদি আসরের সেরা হিসেবে নির্বাচিত হন তাহলে তিনটি ভিন্ন আসরে সেরা ফুটবলার হওয়ার বিরল কীর্তি গড়বেন তিনি।

বর্তমানে মেসির মোট আন্তর্জাতিক গোল ১০৮টি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ১৩০টি। আন্তর্জাতিক গোলের রেকর্ডে পৌঁছানোর জন্য যদিও মেসি এখনো রোনালদোর থেকে ২২ গোল পিছিয়ে আছেন, তবে শীঘ্রই এই তালিকার দুইয়ে উঠতে পারেন মেসি। অবসরপ্রাপ্ত ইরানের ফুটবলার আলী দাইয়ের আন্তর্জাতিক গোলসংখ্যা ১০৯টি। চলতি আসরে আর মাত্র দুটি গোল করলে পারলেই মেসি পেছনে ফেলবেন আলীকে।

চলতি কোপা আমেরিকায় মেসি যদি যেকোনো ম্যাচে একটি হ্যাটট্রিক করতে পারেন, তাহলে তালিকাভুক্ত দশ জন ফুটবলারদের সঙ্গে লেখা হবে মেসির নামও, যারা কোপা আমেরিকায় অন্তত দুইবার হ্যাটট্রিক করেছেন।

;

চলে গেলেন ডিএলএসের জনক ডাকওয়ার্থ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই যুগ আগে ক্রিকেটে ম্যাচের মধ্যে বৃষ্টি এলে পরিসংখ্যান মেলাতে লেগে যেত গোলযোগ। সেখানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) যেই পদ্ধতি ব্যবহার করত তা নিয়ে অনেকেরই ছিল অসন্তোষ। এতেই টনি লুইসকে নিয়ে বৃষ্টি বাঁধায় ম্যাচের পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ শুরু করেন ফ্র্যাঙ্ক ডাকওয়ার্থ। এবং তাদের সেই পদ্ধতি ১৯৯৯ সাল থেকে মেনে নেয় আইসিসি। পরবর্তীতে  বেশ কিছু দিন আগে আরও কিছু পরিবর্তন এনেছেন অস্ট্রেলিয়ান পরিসংখ্যানবিদ স্টিভেন স্টার্ন। যার ফলে এটিকে এখন বল হয় ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতি বা সংক্ষেপে ডিএলএস। 

ডিএলএস পদ্ধতির গোড়াপত্তন অবশ্য ডাকওয়ার্থের হাতেই। ডাকওয়ার্থ ১৯৯২ সালে রয়্যাল স্ট্যাটিস্টিকাল সোসাইটির এক কনফারেন্সে একটি গবেষণাপত্র ছাপান, তার নাম ছিল ‘অ্যা ফেয়ার রেজাল্ট ইন ফাউল ওয়েদার’। সেখান থেকেই এটির শুরু। ডিএলএসে এই সহ-উদ্ভাবক ডাকওয়ার্থ আর নেই। গত শুক্রবার মারা গেছেন ৮৪ বছর বয়সে। 

তার মৃত্যুতে এক বিবৃতিতে শোক জানিয়েছে রয়্যাল স্ট্যাটিস্টিকাল সোসাইটি। সেখানে তারা লিখেছে, ‘ফ্র্যাঙ্ককে আমরা আমাদের এই পরিমণ্ডলে আরএসএস নিউজের সম্পাদক হিসেবে তার অবদানের জন্য মনে রাখব। আর ক্রিকেট তাকে মনে রাখবে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতির সহ-উদ্ভাবক হিসেবে।’

বৃষ্টি আইন নিয়ে ডাকওয়ার্থের আগ্রহ ১৯৯২ বিশ্বকাপের দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার সেমিফাইনাল ম্যাচের পর থকে। সে ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে ১৩ বলে ২২ রানের লক্ষ্য ছিল শেষ দিকে। এরপর বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ায় ১ বলে ২২ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়। তা দেখেই একটা ন্যায্য ফলাফলের জন্য কাজ করতে থাকেন ডাকওয়ার্থ। এই গবেষণার পর টনি লুইসের সঙ্গে মিলে পদ্ধতিটায় আরও কিছু পরিবর্তন আনা হয়। এই পদ্ধতিটা ১৯৯৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে প্রয়োগ করা হয়। সে বছরই আইসিসি এই পদ্ধতি মেনে নেয়।

;

দেশের উদ্দেশ্যে আজ রওনা দিবেন শান্তরা, পৌঁছাবেন শুক্রবার সকালে

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে খেলার অনেকটাই কাছে ছিল বাংলাদেশ। সুপার এইটে নিজেদের শুরুর দুই ম্যাচ হারলেও তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে আফগানদের বিপক্ষে ম্যাচে এই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল নাজমুল হোসেন শান্তর দলের। আসরের শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে থাকা আফগানদের ১১৫ রানেই আটকে দেয় মুস্তাফিজ-রিশাদরা। পরের সেমিতে যেতে সেই লক্ষ্যে ১২ ওভার ১ বলে পৌঁছাতে হতো লিটন-সাকিবদের। পরের সেটি করতে ব্যর্থ হন ব্যাটাররা এবং শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি আইনে ম্যাচটাও ৮ রানে হেরে যায় তারা। 

এই হার দিয়েই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম এই আসর থেকে বিদায় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। বিশ্বকাপের ঠিক আগে যুক্তরাষ্ট্র সিরিজসহ লম্বা এই সফর শেষে আজ (বুধবার) দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিবে বাংলাদেশ দল। শুক্রবার সকাল আটটায় বাংলাদেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে তাদের।  

বার্তা২৪-কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশে ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ডেপুটি মিডিয়া ম্যানেজার জাহিদ চৌধুরী। 

চলতি আসরে গ্রুপপর্ব ও সুপার এইট মিলিয়ে সাত ম্যাচে তিনটিতে জয় পায় বাংলাদেশ, যার সবগুলোই গ্রুপপর্বে। ব্যাট হাতে ৭ ম্যাচে ২২ ছুঁইছুঁই গড় ১২৮.৫৭ স্ট্রাইক রেটে সর্বোচ্চ ১৫৩ রান করেছেন তাওহিদ হৃদয়। দলের বাকি ব্যাটারদের পারফর্ম ছিল পুরোদস্তুর ছন্নছাড়া। তবে শুরু থেকেই হতাশ করেনি দলের বোলিং বিভাগ। ৭ ম্যাচে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৪টি উইকেট নিয়েছেন রিশাদ হোসেন, যা এখন পর্যন্ত আসরের চতুর্থ সর্বোচ্চ। 

;

অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে হারের পুরো দায় নিলেন ডাচ কোচ 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পোলিশদের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়িয়ে ২-১ ব্যবধানের দারুণ জয় ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের এবারের আসর শুরু করেছিল নেদারল্যান্ডস। পরের ম্যাচে শক্তিশালী ফান্সের বিপক্ষে করেছিল গোলশূন্য ড্র। এতেই গ্রুপপর্বে শেষ ম্যাচ জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই শেষ ষোলোতে ওঠার সম্ভাবনা ছিল ১৯৮৮ আসরের চ্যাম্পিয়নদের। তবে গতরাতের ম্যাচটিতে দাপট দেখাল অস্ট্রিয়া। ডাচদের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর ম্যাচে ৩-২ ব্যবধানের জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলোতে পৌঁছায় সেন্ট্রাল ইউরোপের দেশটি। 

এদিকে এই হারে অবশ্য শেষ ষোলোতে ওঠা নিয়ে কোনো বাঁধার সামনে পড়েনি ডাচরা। গ্রুপে তৃতীয় স্থানে থাকলেও চার তৃতীয় সেরা দলের একটি হিসেবে আগেই শেষ ষোলোর টিকিট কেটেছিল তারা। তবে অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে এমন হারে বেশ হতাশ ডাচ কোচ রোনাল্ড কোম্যান। হারের পুরো দায়  নিয়েছেন নিজের কাঁধেই। 

বার্লিনে গতরাতে ম্যাচের শুরুতেই ডাচ ফরোয়ার্ড মালেনের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় অস্ট্রিয়া। পরে দ্বিতীয়ার্ধে দুবার সমতায় ফেরালেও শেষে ৮০তম মিনিটে মারসেল সাবিতজারের গোলে ৩-২ ব্যবধানের জয় পায় অস্ট্রিয়া। 

ম্যাচ শেষে দায় নিজের দিকে নিয়ে কোম্যান বলেন, আমিই দায়ী (হারের জন্য)। এই দল আমি গড়েছি, ভেবেছিলাম একসঙ্গে এটাই সেরা। তবে তা হয়নি। আমি নিজেও হতাশ যে, আমরা এভাবে ম্যাচ শুরু করছি। আমার মতে, আমাদের শুরুর পারফরম্যান্স অনেক বাজে ছিল, তবে পুরো ম্যাচের নয়।’

গ্রুপ ‘ডি’-তে তিন ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে ডাচরা গ্রুপপর্ব শেষ করলো তিনে থেকে। এদিকে রাতের আরেক ম্যাচে পোল্যান্ডের সঙ্গে ১-১ ব্যবধানের ড্রয়ে ফ্রান্স স্থান থামে দুইয়ে। এদিকে গ্রুপপর্বে কোনো ম্যাচ না জিতেই আসর থেকে বিদায় নিল পোলিশরা। এবং ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকে গ্রুপপর্ব শেষ করল অস্ট্রিয়া। 

;