সেমির পথে বাংলাদেশ
টানা তিনবারের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, শক্তি-সামর্থ্যে অন্য দলগুলোর চেয়েও এগিয়ে স্বাগতিকরা। ফলে প্রত্যাশা মতোই জিতে চলেছে লাল-সবুজ দল। মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে আজ বুধবার (২৯ মে) ইন্দোনেশিয়াকে ৫টি লোনাসহ ৫৯-১৯ পয়েন্টে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালের সম্ভাবনা উজ্জল করেছে কোচ আবদুল জলিলের দল।
শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে আরদুজ্জামান, মিজানুর, আল-আমিনরা প্রথমার্ধেই ৩৫-২ পয়েন্টে এগিয়ে যায়। প্রথম ম্যাচের নৈপূণ্যের ধারাবাহিকতা রেখে আজও ম্যাচসেরা হয়েছেন বাংলাদেশের রেইডার মিজানুর রহমান। তরুণ এই রেইডার প্রতিপক্ষের কাছ থেকে আনেন ১৮ পয়েন্ট।
শুরু থেকেই ইন্দোনেশিয়াকে চেপে ধরেন স্বাগতিক খেলোয়াড়রা। ষষ্ঠ মিনিটেই প্রথম লোনা তুলে নেয় তারা। ম্যাচ জুড়ে বাংলাদেশ এতটাই প্রভাব বিস্তার করে খেলেছে যে বাংলাদেশের পয়েন্ট যখন ২৫, তখন মাত্র ১ পয়েন্ট পায় আসিয়ান দেশটি। স্বাগতিকরা প্রথমার্ধে লোনা পায় তিনটি, দ্বিতীয়ার্ধে আরো ২টি। এর আগে দক্ষিণ কোরিয়া ও মালয়েশিয়াকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ, তাতে ৩ ম্যাচে স্বাগতিকদের পয়েন্ট ৬, আর টানা দুই জয়ের পর নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে প্রথম হারের মুখ দেখল ইন্দোনেশিয়া, তাতে ৩ ম্যাচে পয়েন্ট দাঁড়াল ৪।
টানা তিন ম্যাচ জিতে দারুণ খুশি বাংলাদেশের কোচ আব্দুল জলিল। ম্যাচ শেষে কোচ জানান, ‘আমরা পরিকল্পনামাফিক টুর্নামেন্টে খেলছি। তিন ম্যাচ জিতলেও সেমিফাইনাল এখনো নিশ্চিত হয়নি। তবে আমরা আশাবাদী গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই শেষ চারে পা রাখব। দল যেভাবে খেলছে পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই এটা অব্যাহত রাখবে দল।’
টানা তিন ম্যাচে সহজ জয়ে আত্মবিশ্বাসী জলিল অবশ্য পা মাটিতেই রাখছেন, ‘টানা তিন ম্যাচে সহজ জয় পেলেও গত দুই ম্যাচের চেয়ে ইন্দোনেশিয়ার বিরুদ্ধে আরেকটু প্রতিদ্বন্দ্বীতা আশা করেছিলাম। সামনে আরো ম্যাচ এখনো বাকি আছে। দলকে অতি আত্মবিশ্বাসী হলেও চলবে না। আমরা স্বাগতিক শিবির। টানা তিনবারের চ্যাম্পিয়ন। চতুর্থবারও আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করতে চাই।’
ইন্দোনেশিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচসেরা রেইডার মিজানুর রহমান বলেন, ‘তিন ম্যাচে দ্বিতীয়বার ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতলাম। আমি নিজের পারফরম্যান্সে খুশি। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে নিজের সেরাটা দিয়ে দলকে জেতাতে চাই। দলকে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি এনে দিতে চাই।’