বাংলাদেশের কাবাডির সুন্দর ভবিষ্যত দেখছেন নৃত্যশিল্পী নীপা

  • স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

‘প্রথমবারের মতো এখানে আসলাম। জাতীয় এই খেলাটি আমাদের কৃষ্টির সঙ্গে জড়িয়ে আছে। ছোটবেলা থেকেই খেলাটি দেখে আসছি। ঢাকার বাইরে গ্রামে গেলে ছেলেরা কাদার মধ্যে দুই দল হয়ে যেভাবে খেলে, তা দেখে খুব মজা লাগে। এটা তো আমাদের নিজস্ব খেলা। সেক্ষেত্রে খেলাটি গ্রামে দেখেছি। কিন্তু ফর্মাল ভাবে এই প্রথম দেখলাম।’

কথাগুলো শামীম আরা নীপার। বাংলাদেশের জনপ্রিয় ও তারকা নৃত্যশিল্পী। নৃত্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘নৃত্যাঞ্চল’-এর অন্যতম এই প্রতিষ্ঠাতা ঢাকা বিভাগের সেরা নৃত্যশিল্পীর হিসেবে স্বর্ণপদক এবং ২০১৭ সালে একুশে পদক লাভ করেছিলেন।

বিজ্ঞাপন

আজ বুধবার (২৯ মে) মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে এসেছিলেন নীপা। উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গবন্ধু কাপ ২০২৪ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ-ইন্দোনেশিয়া গ্রুপ ম্যাচ উপভোগ করা। সেটা করেছেনও। বাংলাদেশ লোক ফোরাম, জাতীয় যুব পরিষদ এবং অন্যান্য সংস্থাগুলি কর্তৃক সেরা নৃত্যশিল্পীর পুরস্কারে ভূষিত নীপা আরও বলেন, ‘খেলাধুলার সঙ্গে নাচের অনেকটাই মিল আছে। দুটোতেই শারীরিক কসরতের মাধ্যমে কাজটা করতে হয়। আর যখন নিজের দেশের খেলা হয় এবং দেশের দল ভাল খেলে, তখন অন্যরকম অনুভূতি হয়। আজ আমার অনুভূতি ভীষণ ভালো। আজকে নিজেকে লাকি মনে করছি। কারণ আজ মাঠে থেকে নিজ দেশের জয় নিজের চোখে দেখতে পেরেছি। আমি চাইবো আমাদের দেশ লাল-সবুজের পতাকা নিয়ে আরও অনেকদূর এগিয়ে যাবে।’

এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ তিনবারের চ্যাম্পিয়ন শুনে নীপার ভাষ্য, ‘মনেপ্রাণে চাইবো তারা যেন এবারও শিরোপা অক্ষুন্ন রাখতে পারে। খেলাধুলায় আমরা অনেকটাই এগিয়ে গেছি। সঠিক পরিকল্পনা, পর্যাপ্ত পৃষ্ঠপোষকতা ও ভাল খেলোয়াড়দের ঠিকমতো ট্রেনিং দেয়া হলে আমার বিশ্বাস ক্রীড়াঙ্গনে আরও অনেক সাফল্য আসবে। আসলে সংস্কৃতি ও ক্রীড়া আমাদের রক্তের মধ্যে আছে। নিজস্ব একটা শক্তি আছে এই মাটিতে। আমরা যদি সঠিকভাবে তাদের পরিচর্যা করি তাহলে আমাদের সামনে সুন্দর ভবিষ্যত।’

বিজ্ঞাপন

নাচের মানুষ হলেও কখনও খেলাধুলা করেছেন কি না, এই প্রশ্নের জবাবে নীপা বলেন, ‘আমি খেলাধুলা বেশি পারতাম না, ওই পেছনে পেছনে থাকতাম! যেহেতু একটা অঙ্গনের সাথে জড়িত ছিলাম, নাচ করেছি, খেলাধুলার সঙ্গে তেমন জড়িত ছিলাম না। তবে ভালো লাগে খেলাধুলা। সেভাবে মাঠে গিয়ে খেলা দেখা হয় না, তবে টিভিতে খেলা দেখি। যখন বাংলাদেশের সঙ্গে অন্য দলগুলো খেলে, সেগুলো দেখতে বেশি ভালো লাগে। সমর্থন নিজের মধ্যে এমনিতেই চলে আসে।’