স্কটল্যান্ডকে উড়িয়ে ইউরো মিশন শুরু জার্মানির 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউরো ২০২৪ আসরের উদ্বোধনী ম্যাচের শুরুর ২০ মিনিটেই স্কটল্যান্ডের জালে দুবার বল জড়ায় স্বাগতিক জার্মানি। এতে চলতি আসরটা যখন নিজেদের মাঠে, সেখানে জার্মানদের দাপট যে অন্য উচ্চতায় থাকতে যাচ্ছে তারই যেন জানান দিল ক্রুস-গুন্দোয়ানরা। প্রথমার্ধেই আরও একটি গোল করে তারা। পরে দ্বিতীয়ার্ধে দুটি। এতে ১০ জনের স্কটল্যান্ডকে ৫-১ ব্যবধানে উড়িয়ে ইউরো মিশনটা ভালোভাবেই শুরু করলো নাগেলসম্যানের দল। 

শক্তি সামর্থ্য, পরিসংখ্যান, অভিজ্ঞতায় সবেই স্কটিশরা জার্মানদের থেকে ঢের পিছিয়ে। জার্মানি যখন তিনবারের ইউরো চ্যাম্পিয়ন, সেখানে এর আগে কেবল তিনবার ইউরোর মূলপর্বে খেলছে স্কটল্যান্ড। 

মিউনিখের আল্লিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের দশম মিনিটে জশোয়া কিমিখের পাস থেকে বল জালে জড়িয়ে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন ফ্লোরিয়ান ভির্টৎস। ম্যাচের দিন তার বয়স ছিল ২১ বছর ৪২ দিন। এতেই বায়ার লেভারকুজেনের এই তরুণ মিডফিল্ডার নাম লিখিয়েছেন রেকর্ডবুকে। ইউরোর মূল আসরে জার্মানির হয়ে তাঁর চেয়ে কম বয়সে আর কেউ গোল করেননি। এর মিনিট আটেক পরেই আরেক তরুণ তারকা জামাল মুসিয়ালার গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে জার্মানি। 

পরের প্রথমার্ধের শেষ দিকে জার্মান অধিনায়ক ইলকায় গুন্দোয়ানকে ডি-বক্সে মারাত্মক করে বসেন রায়ান পোটিয়াস। পরে ভিএআর দেখে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন এই স্কটিশ ডিফেন্ডার এবং ১০ জনের দলে পরিণত হয় স্কটল্যান্ড। সেখানে সফল স্পট-কিকে প্রথমার্ধেই স্কোরলাইন ৩-০ তে আনেন কাই হাভার্টজ। 

দ্বিতীয়ার্ধে দুর্দান্ত জার্মানির বিপক্ষে কোনো বাঁধাই তৈরি করতে পারেনি স্কটল্যান্ড। ৬৮তম মিনিটে চতুর্থ গোলটি করেন নিকলাস ফুলক্রুগ এবং যোগ করা সময়ে শেষ গোলটি করেন এমরে কান। এদিকে ম্যাচের ৮৭তম মিনিটে একমাত্র গোলটি পায় স্কটল্যান্ড। সেটিও আবার জার্মানদের সুবাদেই। নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে বসেন জার্মান ডিফেন্ডার রুডিগার। 

   

এইচপির কোচ এহসানের মৃত্যুতে বিসিবির শোক



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকেই অ্যাকিউট মাইলয়েড লিউকেমিয়া নামক রোগে ভুগছিলেন বাংলাদেশ হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) দলের কোচ জাফরুল এহসান। সেই রোগেই অবশেষে মঙ্গলবার সকালে ৬০ বছর বয়সে ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। তার মৃত্যুতে সমবেদনা জানিয়ে শোক বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

জাফরুল এহসান ২০০৬ সালে বিসিবিতে যোগদান করেন। দীর্ঘ কোচিং ক্যারিয়ারে বিভিন্ন পর্যায়ে বাংলাদেশ বয়সভিত্তিক ও ডেভেলপমেন্ট পর্যায়ে কাজ করেছেন তিনি। ২০১৫-২০২২ সাল পর্যন্ত এইচপির প্রধান কোচ ও ব্যাটিং কোচ ছিলেন এহসান। কাজ করেছেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সঙ্গেও।

২০১০-২০১৩ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব সামলেছেন এহসান। তার আগে ২০০৭-০৮ সালে জাতীয় নারী দলের প্রধান কোচের ভূমিকাতেও দেখা গিয়েছে এহসানকে। সে সময় নারী দলের ব্যাটিং কোচ ছিলেন তিনিই। বাংলাদেশি কোচদের মধ্যে লেভেল ৩ কোচিং ডিগ্রি ছিল তার।

বিসিবির বাইরে ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগ (এনসিএল), বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল) এবং বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল) কোচের ভূমিকায় দেখা গেছে এহসানকে। তার মৃত্যুতে তাই শোক নেমে এসেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গনে। এহসানের মৃত্যুতে তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে বিসিবি।

;

রাজার মূল্যায়ন পত্রে ১০-এ ৫ বাবর

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ভরাডুবি দেখতে হয়েছে পাকিস্তানকে। গ্রুপপর্বের বৈতরণী পেরোতে পারেনি দলটি। তাদের হারিয়ে সুপার এইটে জায়গা পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মতো আইসিসি সহযোগী দল। স্বাভাবিকভাবেই তাই বাবর-রিজওয়ানরা পড়েছে ব্যাপক সমালোচনার মুখে।

পাকিস্তান দলের সমালোচনা করতে ছাড়ছেন না দেশটির সাবেক ক্রিকেটাররা। পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ও সাবেক বোর্ড প্রধান রমিজ রাজা তো ক্রিকেটারদের নিয়ে মূল্যায়নও করেছেন। মার্কিং করেছেন ১০ এর মধ্যে কে কত পাবেন। আর সেই মার্কিং করতে গিয়েই অধিনায়ক বাবরকে ৫ এর বেশি দিতে পারেননি তিনি। স্টারস্পোর্টসের আলাপচারিতায় এমনটিই জানিয়েছেন রাজা।

বাবরের নেতৃত্ব নিয়ে রাজা বলেন, ‘ব্যাটিংয়ে সম্ভবত একটি বা দুটি নাম্বার দেওয়া যেতে পারে এবং বোলিং সম্ভবত ছয়। আমি তাকে (বাবরকে) পাঁচ নম্বর দেব কারণ অধিনায়ক হিসেবে সে দলের মতোই করেছে। কেননা, যখন দল বোলিং করে তখনই অধিনায়কত্ব আসে। আর আমার কাছে মনে হয় বোলিং বিভাগে পাকিস্তান, খুব খারাপ করেনি। সে তার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে কিন্তু অন্যদেরও চেষ্টা করতে হয়েছে।’

পাকিস্তানের এই ভরাডুবির পেছনে নির্বাচকদেরও দায় দেখেন রাজা। বলেন, ‘দল নির্বাচনে কোনো ধারাবাহিকতা ছিল না। তাদের প্রস্তুতি ছিল অগোছালো কারণ তারা জানত না কে ইনিংস ওপেন করতে যাচ্ছে। তারা পরীক্ষামূলক মোডে ছিল অনেক দিন। এছাড়াও তাদের অবসর নেওয়া খেলোয়াড়দের ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। যদিও তারা ভাল করেছে। তবে এটা সিস্টেম সম্পর্কে কী বার্তা দেয়?’

;

‘সময় নষ্ট করবেন না গ্যারি, ভারতের কোচ হয়ে ফিরে আসুন’

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে ভারতের সাবেক বিশ্বকাপ জয়ী কোচ গ্যারি কারস্টেনকে নিয়োগ দিয়েছিল পাকিস্তান। প্রত্যাশা করা হচ্ছিল দলকে সেরা সাফল্য এনে দেবেন কারস্টেন। তবে সেটি হয়নি। গত আসরের ফাইনাল খেলা পাকিস্তান দল এবার পেরতে পারেনি গ্রুপপর্বের বৈতরণী। স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপক সমালোচনার মুখে গড়তে হয়েছে দলটির ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফদের। আর এই অবস্থায় কারস্টেনকে নতুন পথ দেখালেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার হরভজন সিং। এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করে পুনরায় ভারতীয় দলের কোচের চেয়ারে বসতে বলেছেন তাকে।

পাকিস্তানের বিশ্বকাপ ভরাডুবির কারণ হিসেবে সংবাদ মাধ্যম পিটিআইয়ের এক প্রতিবেদন ও সিনিয়র সাংবাদিক ফরিদ খান, কারস্টেনের বরাত দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘পাকিস্তান দলে কোনো ঐক্য নেই। তারা দল বললেও আসলে এটি কোনে দল নয়। কেউই একে অপরকে সমর্থন করে না। সবাই আলাদা, বাম এবং ডান। আমি অনেক দলের সঙ্গে কাজ করেছি। কিন্তু কোথাও এমন পরিস্থিতি কখনো দেখিনি।’

ফরিদ খানের এমন পোস্ট নিজের এক্সে শেয়ার করেছেন কারস্টেনের অধীনে ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ী দলের অন্যতম সদস্য হরভজন সিং। নিজের সাবেক কোচের এমন পরিস্থিতি দেখে ভারতের কোচ হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। এক্সে হরভজন বলেন, ‘সেখানে আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করবেন না গ্যারি .. টিম ইন্ডিয়ার কোচ হিসেবে ফিরে আসুন .. গ্যারি কারস্টেন বিরল হিরা। সে সেরা কোচ, মেন্টর ও সৎ; যার সঙ্গে ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ী দলের প্রত্যেক ক্রিকেটারের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। গ্যারি একজন বিশেষ মানুষ।’

হরভজন ঠিক এমন সময়ে এসে কারস্টেনকে কোচ হিসেবে ফিরে আসার প্রস্তাব দিলেন যখন ভারতও তাদের কোচ খুঁজছে। অন্যদিকে পাকিস্তানে বেশ সমালোচিত হতে হচ্ছে কারস্টেনকে। তবে কি, কারস্টেনকে দেখা যেতে পারে ভারতের প্রধান কোচের চেয়ারে? সেই প্রশ্নটা না হয় তোলা থাক সময়ের জন্যই।

;

১ ওভারে ৩৬, পুরান ভাঙলেন যত রেকর্ড

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটাররা বলে বলে চার ছক্কা হাঁকাতে, দর্শক মাতাবে এমনটাই তো প্রত্যাশিত। তবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেখা মিলছিল না তেমনটি। বরং ম্যাড়ম্যাড়ে লো স্কোরিং ম্যাচের সাক্ষী হতে হচ্ছিল সমর্থকদের। তবে অবশেষে দেখা মিলেছে ব্যাটসম্যানদের তাণ্ডব। সবশেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাট হাতে রানের ফোয়ারা ছুটিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটাররা। এমন ম্যাচে ১৭ বছর আগের পুরনো একটা রেকর্ডও নিজের নামের পাশে বসিয়েছেন ক্যারিবীয় ব্যাটার নিকোলাস পুরান। সঙ্গে নিজের করেছেন আরও বেশ কিছু রেকর্ড।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে ইনিংসের ৪র্থ ওভারটি করতে আসেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। তার ওপরই তাণ্ডব চালিয়েছেন পুরান। এক ওভারে তুলেছেন ৩৬ রান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যা সবচেয়ে ব্যয়বহুল ওভারগুলোর মধ্যে একটি। এর আগে ২০০৭ সালে এক ওভারে ৩৬ রান দেখেছিল ক্রিকেট বিশ্ব। সেবার এই রেকর্ড গড়েছিলেন ভারতের সাবেক তারকা যুবরাজ সিং। তিনি অবশ্য ৬ বলে ৬টি ছক্কা হাঁকিয়ে এই কীর্তি গড়েছিলেন।

নিকোলাস পুরান অবশ্য ৬টি ছক্কা হাঁকাননি। প্রথম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে শুরু করলেও পরের বলটি ছিল নো বল। যেখানেও চার হাঁকিয়েছেন পুরান। পরের বল ফ্রি হিট হলে সেটা ওয়াইড হয়। এবং বাউন্ডারি হওয়ায় আরও অতিরিক্ত চার রান আসে। তাই পরের বলটাও ছিল ফ্রি হিট, সেবার বোল্ড হন পুরান। আউট হওয়া থেকে বাঁচার পর পরের দুই বলে চার আর শেষ দুই বলে ছক্কা হাঁকিয়ে বসেন পুরান। সব মিলিয়ে এই ওভার থেকে আসে ৩৬ রান। তবে পুরানের ব্যাট থেকে এসেছে ৩০ রান।

পুরানের এমন ব্যাটিং তাণ্ডবে পাওয়ারপ্লেতে বিশ্বকাপের রেকর্ড ৯২ রান যোগ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এদিন অবশ্য সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপে পুরতে হয়েছে পুরানকে। ৫৩ বলে ৯৮ রানে শেষ পর্যন্ত রান আউটে থামতে হয়েছে তাকে। যদিও ততক্ষণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ২১৮ রান। অবশ্য তার আগে আরও একটি রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন পুরান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টিতে ছক্কা এখন তার। ইনিংসে ৮টি ছক্কা হাঁকিয়ে ক্রিস গেইলের ১২৪ টি ছক্কার রেকর্ডকে ছাড়িয়ে ১২৮ ছক্কা এখন পুরানের।

জবাবে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট খুইয়ে আফগানরা অলআউট হয় ১১৪ রান তুলে। ফলে গ্রুপ পর্বে চার ম্যাচের চারটিতেই জয় তুলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সুপার এইটে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

;