কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় আছেন ব্রাজিল কোচ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রেকর্ড ৫ বারের বিশ্বকাপজয়ী দল ব্রাজিল। কোপা আমেরিকায় শিরোপা আছে ৯টি। চলতি কোপা আমেরিকাতেও অন্যতম ফেভারিট তারা। শিরোপার অন্যতম দাবিদার। তবে গ্রুপপর্বে যেই ফুটবল খেলেছে ব্রাজিল; তাতে ব্রাজিলকে বোধয় এখন আর কোপার অন্যতম ফেবারিটের তালিকায় রাখার সুযোগ নেই। বলতে গেলে গ্রুপপর্ব কোনো রকমে পারি দিয়ে কোয়ার্টার নিশ্চিত করেছে ব্রাজিল। তিন ম্যাচের মধ্যে জয় কেবল একটি। বাকি দুটিতেই ড্র।

গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচেও কলম্বিয়ার বিপক্ষে ১-১ গোলে পয়েন্ট ভাগ করতে হয়েছে ব্রাজিলকে। এই গ্রুপ থেকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন কলম্বিয়া। অন্যদিকে ব্রাজিল গ্রুপ রানার্সআপ। যে কারণে কোয়ার্টারে ব্রাজিলকে মুখোমুখি হতে হবে গ্রুপ ‘সি’ এর চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ের বিপক্ষে। যেখানে গ্রুপপর্বে দারুণ ফুটবল খেলেছে উরুগুয়ে। দাপুটে জয় পেয়েছে তিন ম্যাচের তিনটিতেই। যা উরুগুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে ব্রাজিলের অন্যতম বড় চিন্তার কারণ। তাছাড়া এমন কঠিন ম্যাচে ব্রাজিল পাচ্ছে না দলের সেরা ফুটবলার ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে। যা ব্রাজিলের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দিচ্ছে আরও।

ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়রকেও দেখা গেল বেশ চিন্তিতই। উরুগুয়ের বিপক্ষে যে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে তাদের তিনি মানছেন সেটিও। কলম্বিয়ার বিপক্ষে ড্র’য়ের পর দরিভাল বলেন, ‘এটি একটি প্রক্রিয়া, যার অনেকগুলো ধাপ রয়েছে। এর কোনো ধাপ বাদ দিয়ে আপনি পরের ধাপে যেতে পারবেন না। আমরা চমৎকার প্রস্তুতি নিয়েছি। তবে একটি দল হিসেবে সব খুব খুঁটিনাটি বিষয় আওতায় আনার জন্য তা যথেষ্ট না। তাই যেকোনো সময় আমাদের ভোগতে হতে পারে।’

গ্রুপপর্বে দুই ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখায় কোয়ার্টারে মাঠে নামতে পারবেন না ভিনি। উরুগুয়ের বিপক্ষে দলের সেরা তারকাকে ছাড়াই মাঠে নামা কঠিন ব্রাজিলের জন্য। যা মানছেন দরিভাল। তিনি বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে আমরা অনেক দিন ধরেই নেইমারকে পাচ্ছি না। কাজেই আমাদের এটাও মেনে নিতে হবে সব ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের আমরা পাবো না। অন্যদের তাই এগিয়ে আসতে হবে। এটাই একমাত্র উপায়। তবে আমি মনে করি উরুগুয়ের বিপক্ষে আমাদের ম্যাচটি কঠিন হতে যাচ্ছে।’

কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে উরুগুয়ের বিপক্ষে ব্রাজিল মাঠে নামবে আগামী ৭ জুলাই সকাল ৭ টায়।

রোনালদোর শেষ ম্যাচের পর যা বললেন কোচ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পর্তুগালের জার্সিতে হয়তো শেষবারের মতো ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে দেখে ফেললেন তার ভক্ত-সমর্থকরা। প্রিয় ফুটবলারকে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে আর কখনো মাঠে দেখা হবে কিনা এ বিষয়ে আছে অনিশ্চয়তা। শুক্রবার রাতে সেমিফাইনালের লক্ষ্য নিয়ে ফ্রান্সের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল পর্তুগাল, তবে ফুটবল বিশ্ব দেখল রোনালদোর স্বপ্নভঙ্গ হতে।

এটাই যে রোনালদের শেষ ইউরো আসর হতে চলেছে তা শেষ ষোলোতে স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ শেষে নিজেই জানিয়ে দিয়েছিলেন রোনালদো। তবে ফ্রান্সের বিপক্ষে এই ম্যাচটাই কি রোনালদোর শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ কি-না সেটা নিয়েই ফুটবল পাড়ায় শুরু হয়েছে গুঞ্জন।

কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পেনাল্টিতে হারের পর স্বাভাবিকভাবেই হতাশা গ্রাস করে রেখেছিল দলের সবাইকে। সেই তালিকায় ভিন্ন নয় তাদের কোচ রবের্তো মার্তিনেজও। তবে ম্যাচ শেষে ম্যাচের অবস্থা নিয়ে প্রশ্নের আগে মার্তিনেজকে মুখোমুখি হতে হল রোনালদোর প্রসঙ্গে। সেখানে তিনি অনায়াসেই জানালেন, এ নিয়ে রোনালদো এখনও কোনো ইঙ্গিত দেননি।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে রোনালদোকে মার্তিনেজ জানান, ‘ম্যাচ শেষ হওয়ার পরপরই এটা নিয়ে কথা বলাটা একটু আগেভাগেই হয়ে যায় এবং ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’

ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স বিচারে এবারের ইউরো আসরটা ভুলে যেতে চাইবেন মিস্টার সিআরসেভেন। কেননা দলের বিদায়ের আগে পাঁচ ম্যাচের একটিতেও গোলের দেখা পাননি তিনি। যদিও এই পরিসংখ্যান তাই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারতা প্রতিফলিত করে না। কেননা পর্তুগালের হয়ে এখন পর্যন্ত ২১২ ম্যাচ খেলে রেকর্ড ১৩০টি গোল করেছেন রোনালদো।

এমন বড় টুর্নামেন্টে এবারই প্রথম গোলশূন্য থেকে বিদায় নিলেন এই পর্তুগিজ তারকা। শুধু তাই নয়, ইউরোয় এক আসরে সর্বোচ্চসংখ্যক শট নিয়েও গোল না পাওয়ার অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডেও যৌথভাবে ভাগ বসিয়েছেন রোনালদো। পুরো আসরজুড়ে ১০টি শট নিয়ে একটি গোলের দেখাও পাননি তিনি। তবে কী বিদায়টা নেবেন এভাবেই? নাকি তার দেখা মিলবে আসছে ২০২৬ বিশ্বকাপে। যদিও তখন তার বয়সটা দাঁড়াবে ৪১।

তবে সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার এবং সর্বকালেরও সেরাদের মধ্যে একজন, বিশ্বজুড়ে লক্ষ-কোটি ফুটবল ভক্তের আদর্শ ও প্রিয় খেলোয়াড় রোনালদো আবারও মাঠে ফিরবেন। দেশের হয়ে শিরোপা উঁচিয়ে ধরবেন, সেই আশাতেই দিন গুনছে তার সমর্থকরা।

;

মেজর লিগে সাকিবের খরুচে শুরু 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্ব ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে যেই বাংলাদেশি ক্রিকেটারের নামটা সবচেয়ে বেশিবার আসে সেটি সাকিব আল হাসানের। ২০০৬ থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আগমন এই অলরাউন্ডারের। সেখান থেকে ১৮ বছরের দীর্ঘ এই ক্যারিয়ারে জাতীয় দল ছাড়াও ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন এই দেশসেরা অলরাউন্ডার। সদ্য শুরু হওয়া মেজর লিগ ক্রিকেটের দ্বিতীয় আসর নিয়ে আরও এক ফ্রাঞ্চাইজি লিগে না লেখালেন তিনি। সেখানে লস অ্যাঞ্জেলেস নাইট রাইডার্সের হয়ে জয় দিয়েই যাত্রা শুরু করলেন সাকিব। 

টেক্সাস সুপার কিংসের বিপক্ষে আজ (শুক্রবার) নিজেদের প্রথম ম্যাচে ১২ রানের জয় পেয়েছে সুনীল নারাইনের দল। সেখানে ব্যাটে-বলে সাকিবের পারফর্মটা মন্দের ভালো। ব্যাটিং শুরুটা পেয়েছিলেন বেশ  ভালো। তবে থিতু হতে পারেননি পিচে। ফিরেছেন ১৩ বলে ১৮ রান করে। 

এদিকে বল হাতে কিছুটা খরুচেই ছিলেন সাকিব। ৩ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নিয়েছেন একটি উইকেট। তবে ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এনে দেওয়া সেই ব্রেক থ্রু দলের জয়ে ভূমিকা রেখেছে অনেকটাই। 

ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টেক্সাস অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি। সেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে ডেভন কনওয়ের ৫৩, নিতিশ কুমারের ২৬ এবং শেষে কর্ণে ড্রাইয়ের ৪ বলে ১২ রানের ক্যামিওতে ১৬২ রানের লড়াকু পুঁজি পায় লস অ্যাঞ্জেলেস। 

সেই লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই বেশ দেখেশুনে খেলতে থাকে টেক্সাসের ব্যাটাররা। দলীয় ৩০ রানের মাথায় ফাফ ডু প্লেসি ফিরলেও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিল দ্বিতীয় উইকেটে ডেভন কনওয়ে ও অ্যারন হার্ডির জুটি। সেখানেই বল হাতে কিছুটা খরুচে হলেও নবম ওভারে হার্ডিকে ফিরিয়ে দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন সাকিব। পরে ডেভন কনওয়ে ৫৩ রানের দলীয় সর্বোচ্চ ইনিংস খেলে ফেরেন দলীয় ১০২ রানের মাথায়। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের পেসার আলী খানের নৈপুণ্যে ১০২ থেকে ১২০ রান, এই ১৮ রানের মধ্যেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে টেক্সাস। সেখানেই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে তারা। শেষ পর্যন্ত তাদের স্কোরবোর্ডে ওঠে ৮ উইকেটে ১৫০ রান। 

আসরের প্রথম ম্যাচেই জয় তুলে আপাতত তালিকার দুইয়ে আছে লস অ্যাঞ্জেলেস। টুর্নামেন্টের সাকিবদের পরের ম্যাচে সোমবার, সান ফ্রান্সিসকো ইউনিকর্ন্সের বিপক্ষে। 

;

টাইব্রেকারে হেরে পর্তুগাল কোচ বললেন, ‘গর্ব নিয়েই বিদায় নিচ্ছি’ 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পর্তুগালের শিরোপা পুনরুদ্ধারের মিশনটা শেষ হলো কোয়ার্টার ফাইনালেই। এই ফ্রান্সের বিপক্ষেই ১-০ ব্যবধানে ফাইনাল জিতে ২০১৬ আসরের শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছিল রোনালদোরা। ইউরোর পরের ২০২০ আসরে ফ্রান্সের বিপক্ষে গ্রুপপর্বেই লড়েছিল পর্তুগাল। সেই ম্যাচটি শেষ হয়েছিল ২-২ ব্যবধানের ড্রয়ে। আসর ঘুরে এবার দল দুটি মুখোমুখি হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে। সেখানে টাইব্রেকারে ৫-৩ ব্যবধানে জিতে সেমিতে ওঠে ফ্রান্স।

আসরের শুরুটা বেশ দাপুটে হয়েছিল পর্তুগিজদের। চেক রিপাবলিকের পর তুরস্কের বিপক্ষেও দাপুটে জয় পায় রোনালদোরা। তবে গ্রুপপর্বে শেষ ম্যাচে আনাড়ি জর্জিয়ার কাছে খায় ধাক্কা। অবশ্য এই হারের পরও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই শেষ ষোলোতে পৌঁছায় পর্তুগাল। পরে শেষ ষোলোতেও স্লোভেনিয়ার ম্যাচটি টাইব্রেকারে নিয়ে গিয়েছিল রোনালদো-কানসেলোরা। সেখানে ৩-০ ব্যবধানে জেতে রবের্তো মার্তিনেজের দলটি। তবে কোয়ার্টার ফাইনালের টাইব্রেকার ভাগ্যটা আর ঝুলল না তাদের দিকে। এই হারে হতাশা স্বাভাবিকভাবেই গ্রাস করলেও পর্তুগাল কোচের কাছে এমন বিদায়ও অনেক গর্বের। 

ফ্রান্সের বিপক্ষে টাইব্রেকারে হারের পর মার্তিনেজ বলেন, ‘আমরা হেরেছি, তবে গর্ব নিয়েই বিদায় নিচ্ছি। প্রতিটি মুহূর্তে  নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়েছি… এখানেই থামব না আমরা। ভবিষ্যতে নিজেদের আরও বেশি উজাড় করে দেব।’ 

টাইব্রেকারে হারের ব্যবধানটা ছিল ৫-৩। পর্তুগালের কেবল একটি শটই মিস করেছে, যেটি করেছেন জোয়াো ফেলিক্স। এতে হারের দায় অনেকটা তাকে টানা গেলেও এমনটা মোটেও ভাবেন না পর্তুগাল কোচ। ‘পেনাল্টিতে তারাই ব্যর্থ হয় না, যারা কখনও পেনাল্টি নেয় না। মূল ম্যাচে জোয়াও বেশ নিয়ন্ত্রণে ছিল। কঠোর পরিশ্রম করে সে নিজেকে এই জায়গায় এনেছে। পেনাল্টিতে গোল না করতে পারাটা স্রেফ দুভার্গ্য।’ 

;

ইতিহাস গড়ে কোপার সেমিতে কানাডা 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোপায় ২০০১ আসরে মহাদেশীয় এই শ্রেষ্ঠত্বের এই টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমে সেমি-ফাইনালে ওঠার নজির গড়েছিল হন্ডুরাস। সেই কীর্তিতে যোগ হলো আরেক নাম। কোপার এই ২০২৪ আসর দিয়ে প্রথমবারের মতো টুর্নামেন্টটিতে খেলতে আসে কানাডা এবং প্রথমবারেই সেমিতে উঠে গেল তারা। বাংলাদেশ সময় আজ (শনিবার) সকালে সেমিতে ওঠার লড়াইয়ে দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে নেমেছিল ভেনেজুয়েলা ও কানাডা। সেখানে মূল ম্যাচ ১-১ ব্যবধানের ড্রয়ে শেষ হওয়ায় ম্যাচ সরাসরি যায় টাইব্রেকারে। সেখানেই ৪-৩ ব্যবধানে জিতে ইতিহাস গড়ে শেষ চারে জায়গা করে নেয় কানাডা। 

প্রথমবারের মতো খেলতে নেমেই সেমির উঠার উল্লাসে স্বাভাবিকভাবেই মেতে আছে কানাডার ফুটবলাররা। তবে শেষ চারে তাদের আরও একবার কঠিন পরীক্ষার সামনে দাঁড়াতে হচ্ছে। সেমিতে প্রতিপক্ষ হিসেবে তারা পেয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে। যাদের বিপক্ষে ২-০ হেরে আসরটা শুরু করেছিল উত্তর আমেরিকার দলটি। এতেই আরও একবার মেসিদের বিপক্ষেই নামতে যাচ্ছে কানাডা। 

প্রথম সেমিতে প্রথমবারের মতো ফাইনালের ওঠার লড়াইয়ে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে কানাডার ম্যাচটি আগামী ১০ জুলাই। 

টেক্সাসে ভেনেজুয়েলার রক্ষণকে ম্যাচের শুরু থেকেই চাপে রাখে কানাডার আক্রমণভাগের ফুটবলাররা। ফলাফলও হাতেনাতে। ম্যাচের ১৩তম মিনিটেই জ্যাকভ শাফেলবার্গের নৈপুণ্যে এগিয়ে যায় কানাডা। সেই লিড ধরে রেখেই বিরতিতে যায় তারা। 

গ্রুপপর্বে দারুণ ছন্দে থাকা ভেনেজুয়েলা কোয়ার্টার ফাইনালে নামার শুরুতেই ধাক্কা খেয়ে বসে। তবে ম্যাচই তারা ফিরেছে ঠিকই। দ্বিতীয়ার্ধে এসে ৬৪তম মিনিটে পাল্টা এক আক্রমণে বল নিয়ে অনেকদূর দৌড়ে গোলপোস্টের প্রায় ৩৫ গজ দূর থেকে কানাডা গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে শট করে দলকে সমতায় ফেরান সালোমোন রন্ডন। সেখান থেকে ম্যাচের বাকি সময় দল দুটি আর সুযোগ তৈরি করতে না পারলে ম্যাচ চলে যায় সরাসরি টাইব্রেকারে। 

টাইব্রেকারেও প্রথম পাঁচটি শট শেষে থাকে ৩-৩ ব্যবধানের ড্র। পরের ষষ্ঠ শটটি মিস করে বসেন ভেনেজুয়েলার ডিফেন্ডার উইলকার এঞ্জেল। পরে নিজেদের শটে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন কানাডিয়ান মিডফিল্ডার ইসমাইল কোনে এবং পুরো দল মাতে ইতিহাস গড়ার আনন্দে। 

;