ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নিজের দীর্ঘ ২১ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন জেমস অ্যান্ডারসন। লাল বলের ক্রিকেটে তার উইকেট ৭০৪টি। তিনি টেস্ট ক্রিকেটের তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী বোলার, পেসারদের মধ্যে তার জায়গাটা সবার ওপরে।
ক্রিকেটার হিসেবে সম্মানের চূড়ান্তটাই শেষ দিনে এসে পেয়েছেন অ্যান্ডারসন। দুই দল তাকে গার্ড অফ অনার দিয়েছে। গ্যালারিভরা দর্শক তো ছিলই। অ্যান্ডারসন তাদের সম্মান জানাতে চলে এসেছিলেন লর্ডসের বেলকনিতে।
অ্যান্ডারসন ইংল্যান্ডের হয়ে সবসময় উইকেট নেবার মেশিন হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি ক্রিকেটের অন্যতম সফল খেলোয়াড় এতে কোন সন্দেহ নেই। রেকর্ড বইতে তার সামনে শুধু আছে শ্রীলঙ্কার স্পিনার মুত্তিয়া মুরালিধরন এবং অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়ার্ন।
অ্যান্ডারসনকে তার সোনালী দিন গুলি নিয়ে প্রশ্ন করায় তিনি বলেন, ‘আমি সব সময় ভেবেছি কি ভাবে পরের সিরিজে আমি আমার খেলে ভালো করতে পারব।’ এই ব্যাপারটাই অ্যান্ডারসনকে ইংল্যান্ড দলকে দীর্ঘ দিন সফল ভাবে সার্ভিস দিতে সাহায্য করেছে।
এই মাসেই ৪২ এ পা রাখবেন এই ইংল্যান্ডের পেসার। তবে তিনি চাইলে আরো কিছু দিন দলের সাথে থাকতে পারতেন। এই ব্যাপার নিয়ে অ্যান্ডারসনকে প্রশ্ন করায় তিনি বলেন, ফুরফুরে মেজাজ নিয়েই তিনি অবসরে যাচ্ছেন টেস্ট ক্রিকেট ছাড়া নিয়ে তার মনে কোন কষ্ট নেই!
তিন দিনের ম্যাচে পরিণত হওয়া টেস্টটা বাঁচানোর লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। তবে সকালের বর্ধিত সেশনে ৮ উইকেট খুইয়ে বসায় সে সম্ভাবনা ধুলোয় মিশে গেছে। বাংলাদেশ ১৪৬ রান তুলতেই গুটিয়ে গেছে। বোলারদের হাতে পুঁজি আছে মোটে ৯৪ রানের।
পঞ্চম দিনের সকালের সেশনের শুরুতেই মুমিনুল হকের উইকেট খুইয়েছিল দল। এরপর সাদমান ইসলাম আর নাজমুল হোসেন শান্তর ৫৫ রানের জুটিতে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছিল সফরকারীরা।
তবে এরপরই ঘটল বিপত্তিটা। তার মূলে আছে মনোযোগ খুইয়ে বসাটা। মাত্রই আক্রমণে আসা রবীন্দ্র জাদেজাকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন শান্ত।
একটু পর ফিফটি করা সাদমান আকাশ দীপের অনেক বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। এক ওভারের এদিক ওদিকে দুই সেট ব্যাটারের বিদায় বাংলাদেশকে বিপাকে ফেলে দেয়।
তারপর পালা আসে লিটন দাসের। রবীন্দ্র জাদেজার হঠাত লাফিয়ে ওঠা বল কাট করতে গিয়ে ঋষভ পান্তের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। সাকিব আল হাসান এরপর ফিরতি ক্যাচ দেন জাদেজাকে।
এরপর মেহেদি হাসান মিরাজও খুব বেশিক্ষণ টেকেননি। দেয়াল তুলে দাঁড়াতে পারেননি তাইজুল ইসলামও। ৯ উইকেট চলে যাওয়ার ফলে মধ্যাহ্ন বিরতি আরও ৩০ মিনিট পিছিয়ে দেওয়া হয়।
মুশফিকুর রহিম একাই চেষ্টা করেছিলেন বাংলাদেশের ইনিংসটাকে দ্বিতীয় সেশন পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার। তবে তার চেষ্টা আলোর মুখ দেখেনি। বিরতির আগে শেষ বলে তিনি জাসপ্রিত বুমরাহর বলে বোল্ড হন। তাতে বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় ১৪৬ রান তুলে।
ভারতের সামনে এখন অন্তত ৬০ ওভার বাকি। এই সময়ে তুলতে হবে তাদের ৯৫ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২৩৩/১০
ভারত ১ম ইনিংস: ২৮৫/৯ ডিক্লে.
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৪৭ ওভারে ১৪৬/১০
-কানপুর টেস্ট জিততে ভারতের চাই ৯৫ রান
একটু আগেও ৯১ রানে ৩ উইকেট ছিল বাংলাদেশের। তবে আর তিন রান তুলতেই চার চারটি উইকেট খুইয়ে বসেছে দলটা। তাতে টেস্টটা বাঁচানোর সম্ভাবনাটা অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে দলের।
পঞ্চম দিনের সকালের সেশনের শুরুতেই মুমিনুল হকের উইকেট খুইয়েছিল দল। এরপর সাদমান ইসলাম আর নাজমুল হোসেন শান্তর ৫৫ রানের জুটিতে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছিল সফরকারীরা।
তবে এরপরই ঘটল বিপত্তিটা। তার মূলে আছে মনোযোগ খুইয়ে বসাটা। মাত্রই আক্রমণে আসা রবীন্দ্র জাদেজাকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন শান্ত।
একটু পর ফিফটি করা সাদমান আকাশ দীপের অনেক বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। এক ওভারের এদিক ওদিকে দুই সেট ব্যাটারের বিদায় বাংলাদেশকে বিপাকে ফেলে দেয়।
তারপর পালা আসে লিটন দাসের। রবীন্দ্র জাদেজার হঠাত লাফিয়ে ওঠা বল কাট করতে গিয়ে ঋষভ পান্তের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। সাকিব আল হাসান এরপর ফিরতি ক্যাচ দেন জাদেজাকে।
৩ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট খুইয়ে বাংলাদেশ কোণঠাসাই হয়ে পড়েছে এখন। উইকেটে আছেন মুশফিকুর রহিম আর মেহেদি হাসান মিরাজ। তাদের কাঁধেই এখন বাংলাদেশকে তরিয়ে দেওয়ার দায়িত্বটা এসে বর্তেছে।
কথায় আছে, শেষ ভালো যার, সব ভালো তার। বিশ্বকাপের ঠিক আগে প্রস্তুতি পর্বটাকে ভালো তবে বলাই যায়! নিজেদের শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে যে পাকিস্তানকে ২৩ রানে হারিয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল!
৩ অক্টোবর বিশ্বকাপ শুরু হলেও তার আগে দুটো প্রস্তুতি ম্যাচ আছে সবকটি দলের। সে যাত্রাটা বাংলাদেশ শুরু করেছিল গত শনিবার শ্রীলঙ্কার কাছে ৩৩ রানে হেরে।
বাংলাদেশ আগের ম্যাচে পরে ব্যাট করে বিপর্যয়ে পড়েছিল। পড়েছিল এই ম্যাচেও। টপ অর্ডারের সবাই আউট হয়েছেন থিতু হয়েও। ১৬ ওভার শেষে ৬ উইকেট খুইয়ে দলের রান ছিল ৯৪।
এরপরই শুরু হয় স্বর্ণা-জাদুর। স্বর্ণা আক্তার ব্যাট হাতে শেষ দিকে খেলেন ১৭ বলে ২৮ রানের ইনিংস। তাতেই শেষ চার ওভারে বাংলাদেশ তাদের ইনিংসে যোগ করে ৪৬ রান। ৭ উইকেট খুইয়ে বাংলাদেশ ১৪০ রান তুলে ইনিংস শেষ করে।
বল হাতেও স্বর্ণা জাদু দেখিয়েছেন। গুল ফিরোজা আর আলিয়া রিয়াজের উইকেট তুলে নিয়েছেন। তবে পাক ইনিংসে সবচেয়ে বড় ত্রাস হয়ে উঠেছিলেন ওমাইমা সোহেল। তার ব্যাটে চড়েই পাকিস্তান জেতার স্বপ্ন দেখছিল এক সময়।
তবে শেষমেশ ৩৩ রান করা তাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের কাজটা সেরে দেন রাবেয়া খান। ১১৫ রানে ৮ উইকেট খুইয়ে পাকিস্তান পড়ে যায় বিপদে।
শেষ দুই ওভারে দলটার দরকার ছিল ২৬ রান। তবে পাকিস্তান মুখ থুবড়ে পড়ে ২ রান তুলেই। আর তাতেই বাংলাদেশ ২৩ রানের জয় নিয়ে ম্যাচ শেষ করে।
বাংলাদেশ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচটা খেলবে আগামী ৩ অক্টোবর। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সে ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড।
ক্রিকেট
কানপুর টেস্ট–৫ম দিন
বাংলাদেশ–ভারত
সকাল ১০টা, স্পোর্টস ১৮–১, গাজী টিভি ও টি স্পোর্টস
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ
ত্রিনবাগো–বার্বাডোজ
আগামীকাল ভোর ৫টা, স্টার স্পোর্টস ২
ফুটবল
উয়েফা চ্যম্পিয়নস লিগ
স্টুটগার্ট–স্পার্তা প্রাগ
রাত ১০–৪৫ মিনিট, সনি স্পোর্টস টেন ২
সাল্জবুর্গ–ব্রেস
রাত ১০–৪৫ মিনিট, সনি স্পোর্টস টেন ১
বার্সেলোনা–ইয়াং বয়েজ
রাত ১টা, সনি স্পোর্টস টেন ৫
আর্সেনাল–পিএসজি
রাত ১টা, সনি স্পোর্টস টেন ২
লেভারকুসেন–এসি মিলান
রাত ১টা, সনি স্পোর্টস টেন ১
টেনিস
জাপান ওপেন
ফাইনাল
বিকেল ৪টা, ইউরোস্পোর্ট