তৃপ্তি আর চোখের জলে রিয়ালকে নাচোর বিদায়

  • স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়বেন সেটা সবশেষ ইউরো চলাকালীন আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন নাচো ফার্নান্দেজ। ঘোষণা অনুযায়ী এবার ক্যারিয়ারে প্রথম ক্লাব থেকে বিদায় নিলেন রক্ষণভাগের এই ফুটবলার। বিদায় বেলায় তৃপ্তির ঢেকুর ছিল তার কণ্ঠে। সেই সঙ্গে আবেগ ধরে রাখতে না পেরে চোখের জলও ঝরিয়েছেন নাচো।

কাতারের ক্লাব আল কাদসিয়াহ দিয়ে পেশাদার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু করেছেন নাচো। তবে রিয়াল মাদ্রিদ শব্দটি চিরদিন তার রক্তে মিশে থাকবে। ২০০১ সালে মাদ্রিদের ক্লাবটির অ্যাকাডেমিতে যোগ দেন তিনি। ২০১১ সালে প্রথমবারের মতো মূল দলে জায়গা পান। গত ১৩ বছরে হোয়াইট জার্সিধারীদের হয়ে খেলেছেন প্রায় আড়াইশ ম্যাচ। বেশ কয়েকবার ইনজুরিতে না পড়লে এর সংখ্যাটা আরও বেশি হতে পারতো।

বিজ্ঞাপন

রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি শিরোপা জয়ী ফুটবলার নাচো। চারটি স্প্যানিশ লা লিগা, ছয়টি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ, পাঁচটি ক্লাব বিশ্বকাপসহ জিতেছেন মোট ২৬টি শিরোপা। বিদায়ী মৌসুমটা আলাদাভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে নাচোর জন্য। ২০২৩-২৪ মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়নস লিগ, স্প্যানিশ লা লিগা এবং স্প্যানিশ সুপার কাপ জিতেছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।

রিয়াল মাদ্রিদের ক্লাব হাউজে আয়োজিত বিদায়ী অনুষ্ঠানে নাচো বলেন, ‘আমার জন্য এটা সুন্দর সমাপ্তি। আমি হয়ত এর থেকে ভালো বিদায়ের কথা ভাবতেও পারতাম না। রিয়াল মাদ্রিদের অধিনায়ক হিসেবে ১৫তম চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার সম্মান নিয়ে বিদায় নিচ্ছি। ক্যারিয়ারে ভিন্ন একটা অভিজ্ঞতার জন্য আমি চলে যাচ্ছি। আমি বরাবরই নতুন কোনো চ্যালেঞ্জের সোমনে দাঁড়াতে চেয়েছি। সব সময়ই স্মরণীয় হয়ে থাকতে চেয়েছি। আমি যুব দল থেকে উঠে এসে ক্লাবের জন্য সবটুকু উজাড় করে দিয়েছি।’

বিজ্ঞাপন

নাচো আরও বলেন, ‘রিয়াল মাদ্রিদের মতো দুনিয়ার সেরা ক্লাবে প্রায় দুই যুগের মতো থেকেছি। এই ক্লাব থেকে আমি হারা ও জেতা শিখেছি। তার থেকেও বেশি শিখেছি জীবন সম্পর্কে। এই ক্লাবই আমার সবকিছু। আমি এই ক্লাবের জন্য নিজের সর্বস্ব দিয়েছি। তাই এই তৃপ্তি নিয়ে বিদায় নিতে পারছি।’