টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন অ্যান্ডারসন

  • বার্তা ২৪ স্পোর্টস
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের হয়ে নিজের বিদায়ী টেস্ট ম্যাচটি খেলে ফেলেছেন জেমস অ্যান্ডারসন। লাল বলের ক্রিকেটে তার ইতিহাস এবং সাফল্য কোন পর্যায়ে সে বিষয়ে ক্রিকেট প্রেমীদের আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই। ক্রিকেটের এই ফরম্যাটে সর্বকালের সেরা পেসারদের মধ্যে উপরের দিকেই আছে জিমির নাম।

চলতি বছরের জুলাইয়ের টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন অ্যান্ডারসন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তো শেষবার মাঠে নেমেছিলেন প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় আগে। ২০১৪ সালে নিজের শেষ ২০ ওভারের ক্রিকেট ম্যাচটি খেলেছিলেন এই কিংবদন্তি ইংলিশ বোলার। এত বছর পর এসে আবারও সাদা বলের এই স্বল্প ফরম্যাটে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করলেন জিমি!

বিজ্ঞাপন

ইংল্যান্ড জাতীয় দলের পেস বোলিং ইউনিটে পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন ৪২ বছর বয়সী এই পেসার। এই বয়সে এসে টি-টোয়েন্টির মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে তাই তার খেলতে চাওয়াটা অবাক করেছে বেশিরভাগ ক্রিকেট দর্শকদেরই।

চলমান ‘দ্য হানড্রেড’ টুর্নামন্টটি দেখেই মূলত অ্যান্ডারসনের আবারও সাদা বলের ক্রিকেটে খেলার আগ্রহ জন্মেছে। দ্য ফাইনাল ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট নামক পডকাস্টে নিজের ইচ্ছার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বছরের শেষভাগেই সবকিছু পরিষ্কার হতে পারে। এই শীতে টেস্ট দলের দুটি সফর আছে, আমি জানি না ওই দুই সফরে এই পরামর্শকের ভূমিকা পালন করতে পারব কি না। আমি হানড্রেড দেখেছি, সেখানে দেখলাম প্রথম ২০ বলে বল অনেক সুইং করে। আমি মনে করি, আমি তো এটা করতে পারিই।’

ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলার আগ্রহ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘জানি না এটা ঠিক কাজ হবে কি না। তবু দেখি সাদা বলের ক্রিকেটে কিছু করতে পারি কি না। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে তো কখনো খেলিনি।’

তবে একজন পেস বোলারের জন্য বয়সের সঙ্গে ফিটনেস এবং ফর্ম ধরে রাখাটা বেশ কঠিন। শরীরের ওপর, বিশেষ করে হাত এবং কাঁধে অতিরিক্ত চাপের ফলে বড় রকমের চোটের শঙ্কাও থেকেই যায়। তারপরও নিজেকে নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী এই ইংলিশ তারকা বোলার।

‘আমার শরীর তো এখনো নিজেকে ৪২ বছর বয়সী মনে করতে শুরু করেনি। আমি টেনিস কোর্ট দাবড়ে বেড়াব, আশা করছি পরের পাঁচ বছরও মাঠে দৌড়ঝাঁপ করব। শরীরটা একদম নিশ্চল হওয়া পর্যন্ত থামাথামি নেই। আমি চালিয়ে যেতে চাই। আমি মনে করি জোরে বল করার ক্ষমতা আমার আছে। এই সক্ষমতা যত দিন থাকবে, কেন ব্যবহার করব না!’