আবাহনী ছিল, আছে এবং থাকবে

  • বার্তা ২৪ স্পোর্টস
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলীর প্রভাব দেখা যাচ্ছে প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই। পরিবর্তনের হাওয়াটা ক্রীড়াঙ্গনেও বেশ ভালমতোই লেগেছে। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগ করার পরপরই বিকেলের দিকে ধানমন্ডির আবাহনী ক্লাব হামলার শিকার হয়। ভাংচুর ছাড়াও ক্লাবে সংরক্ষিত ট্রফিগুলোও লুটপাট করা হয়।

কে বা কারা এমন ঘটনার সঙ্গে জড়িত সে বিষয়ে নির্দিষ্ট তথ্য ও প্রমাণ না পেলেও, ক্লাবটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই আশাবাদী যে আবারও ঘুরে দাঁড়াবে প্রিয় ক্লাব। আবাহনীর সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড়রা ছাড়াও পরিচালকরাও বিশ্বাস করেন যে, এত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার শিকার হয়ে যাওয়া ক্লাবটি সময়ের গর্ভে বিলীন হবে না।

বিজ্ঞাপন

গেল এক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন সময়ে ক্লাব পরিদর্শনে এসেছেন সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড়রা। এসে তারা ক্লাবটির বর্তমান পরিস্থিতি দেখেছেন। আজ মঙ্গলবার ক্লাবের পরিস্থিতি পরিদর্শন করে পরিচালকরা জানান, ৫২ বছর ধরে আবাহনী ছিল ও আছে, এবং ৫২ বছর পরেও ক্লাবের অস্তিত্ব বজায় থাকবে।

লুট হয়ে যাওয়া শিরোপাগুলো ফেরত পেতে দেশের জনগণের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন ক্লাবের পরিচালক কাজী ইনাম আহমেদ, সাবেক পরিচালক আবদুস সাদেক, কিংবদন্তি ফুটবলার শেখ মোহাম্মদ আসলাম, সাবেক ক্রিকেটার খালেদ মাহমুদ সুজন, গাজী আশরাফ হোসেন লিপুসহ আরও অনেকে।

গত ৫ আগস্ট সব শিরোপাই লুট হয়ে গিয়েছিল ক্লাবটি থেকে। এরপরে খেলোয়াড় আর সাধারণ মানুষের উদ্যোগে বেশ কিছু শিরোপা ফেরত পাওয়া গেলেও বেশিরভাগই এখনো রয়েছে নিখোঁজ।

ক্লাব পরিচালক কাজী ইনাম আহমেদ জানিয়েছেন, সব শিরোপা পুনরুদ্ধারে প্রয়োজনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দ্বারস্থও হবেন তারা। তিনি বলেন, ‘আবাহনী ক্লাবটা আজকের ক্লাব নয়। ৫২ বছর আগে থেকে এই ক্লাব চলছে, আশা করছি ৫২ বছর পরেও এই ক্লাবের অস্তিত্ব থাকবে। আসছে মৌসুমে সব খেলাতেই আবাহনী থাকবে।’

ক্লাবের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে আসছে মৌসুমে আবাহনী আসন্ন ক্রীড়া মৌসুমে নাম লেখাবে কি না তা নিয়ে তৈরি হচ্ছে ধোঁয়াশা। তবে সে ধোঁয়াশা উড়িয়ে দিয়েছেন সবাই। এ প্রসঙ্গে খালেদ মাহমুদ সুজন বলেছেন, ‘এই ক্লাব এত দিন ধরে অনেকগুলো পটপরিবর্তন দেখেছে, তখনও দল গঠন হয়েছে, মাঠের খেলায় অংশ নিয়েছে; এখনও হবে।’

অপ্রত্যাশিত এই ঘটনার কারণে ক্লাব আর্থিক টানাপোড়েনের শিকার হবে, এই শঙ্কা রাখছেন কোচ। তিনি বলেছেন, ‘ক্রিকেটের মৌসুম আগামী মার্চে, সে মৌসুম আসতে অনেক বাকি। দল গঠন হবেই। তবে দল গঠনে টাকা কেমন আসবে তা নিয়ে যদিও শঙ্কা থেকে যায়।’

খালেদ মাহমুদের ভাষ্য, ‘কিছু কিছু খেলোয়াড় তো আমাকে ফোন করে এটাও বলেছে সে স্যাক্রিফাইস করে হলেও তারা এখানে খেলতে চায়। আমি তখন তাদের বুঝালাম যে এই যে পাঁচ লাখ টাকার প্রস্তাব ফেলে দিচ্ছো, এটা ছোট অঙ্ক নয় মোটেও। কেন তোমরা করবে? তবে সেই পাঁচ লাখ কম দিয়েও খেলোয়াড় টানা সম্ভব কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।’

পরিস্থিতি বিরূপ হলেও পরিস্থিতি সামলে আবারও মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে আবাহনী ক্লাব, ক্রীড়াঙ্গনের সবাই আপাতত সেই অপেক্ষাতেই রইলেন।