যে কারণে এখনো বিশ্বকাপের টাকা পাননি বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা

  • বার্তা ২৪ স্পোর্টস
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

২০২৩ সালের নভেম্বরে শেষ হয়েছে ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপের আসর। স্বাগতিক ভারতকে হারিয়ে সেখানে নিজেদের ষষ্ঠ শিরোপা তুলে ধরেছিল অস্ট্রেলিয়া। এরপর চলতি বছরে হয়ে গিয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও। তবে ৮ মাস কেটে গেলেও এখন পর্যন্ত ২০২৩ আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের পাওনা টাকা পাননি বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।

চলতি সপ্তাহে এমনটাই জানিয়েছেন কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল। এছাড়াও আনুসঙ্গিক আরও অনেক বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে তাকে। বিশ্বকাপের টাকা না এখনো বুঝে না পাওয়ার দায়ভারটাও দেবব্রত দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি)।

বিজ্ঞাপন

তার অভিযোগ অনুযায়ী, বিসিবির দায়িত্ব পালনে অবহেলার কারণেই এই সমস্যার সমাধান এখনো পাননি টাইগার ক্রিকেটাররা। কিন্তু এত বড় অভিযোগকে যেন পাত্তাই দেয়নি দেশের ক্রিকেট বোর্ড। এক বিবৃতিতে নিজেদের দায়িত্বে অবহেলার বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছে বিসিবি।

বিবৃতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে, ইচ্ছাকৃতভাবে বা কোনপ্রকার দায়িত্বে অবহেলার কারণে এই বিলম্ব হয়নি। প্রধান আইসিসি ইভেন্টগুলোর (যেমন পুরুষদের ক্রিকেট বিশ্বকাপ) জন্য পুরস্কারের অর্থ, সেসব টুর্নামেন্টে সাধারণত আসর শেষ হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই হাতে পাওয়া যায়। সে লক্ষ্যে ২০২৩ বিশ্বকাপ শেষের পরপরই বিসিবি আইসিসির কাছে প্রয়োজনীয় রশিদ জমা দেয়।

বিসিবি জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়ে ক্রিকেটারদের হাতে টাকা আসেনি মূলত ট্যাক্সের আনুষ্ঠানিকতা এবং সম্মতি সংক্রান্ত জটিলতার কারণে।

‘এই বিলম্বের পেছনে বিসিবির কোনো অবহেলা নেই। সাধারণত টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আইসিসি ইভেন্টের প্রাইজমানি হাতে পাওয়া যায়। ২০২৩ নভেম্বরে শেষ হওয়া বিশ্বকাপের সময় প্রয়োজনীয় সব রশিদ আইসিসিকে দেওয়া হয়েছে। যদিও এরপর ট্যাক্স ও আরও অনেক কারণে টাকা দিতে দেরি হচ্ছে।’

বিষয়টি নিয়ে তীব্র আলোচনা-সমালোচনা হওয়ার পর এবার ভারতের বিখ্যাত আন্তর্জাতিক অ্যাকাউন্টিং ফার্ম ডেলয়েট হাসকিন্স অ্যান্ড সেলস এলএলপিকে এই টাকা আদায় করার দায়িত্ব দিয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ড। খেলোয়াড়দের পাওনা অর্থ আগামী সপ্তাহের মধ্যেই হাতে চলে আসবে, এমনটাই আশা করছে বিসিবি।