২৮০ রানে হারল বাংলাদেশ
‘জয়’ থেকে ৩৫৭ রানের দূরত্বে থেকে দিন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। উইকেটে ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত, সঙ্গ দিচ্ছিলেন সাকিব। সাত সকালে তাদের প্রতিরোধ টিকল এক ঘণ্টার একটু বেশি সময়। এরপরই বিদায় নিলেন সাকিব। বাংলাদেশের ইনিংস ধসে গেছে এরপরই। সেশনটাও পার করতে পারেনি। ২৩৪ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচটা হেরেছে ২৮০ রানের ব্যবধানে।
চতুর্থ দিনের উইকেটে রাফ আছে অনেক। তবে এটুকু বাদ দিকে এখনও বাউন্স ঠিকঠাকই আছে উইকেটের। দেখেশুনে খেললে ব্যাটিংটা অসম্ভব কিছু ছিল না চিপকের এই উইকেটে।
শান্ত আর সাকিব মিলে আজ তা করছিলেনও। সকালের প্রায় একটা ঘণ্টা পড়ে রইলেন উইকেটে। ‘মাটি কামড়ে’ বললে বেশিই বলা হয়ে যায় হয়তো। সাকিব সকালে উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে বল মিস গেলেও ঋষভ পান্তের ভুলে স্টাম্পড হওয়া থেকে রক্ষা পান। ওদিকে শান্ত আক্রমণাত্মক থাকলেও তিনি খেলছিলেন বেশ বুঝে শুনে। একটু একটু করে সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছিলেন তিনি।
তবে দুজনের এই জুটিটাকে ভাঙেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তার বলে ফরোয়ার্ড শর্ট লেগে ব্যাটপ্যাড ক্যাচ দেন সাকিব। এই উইকেটের সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশের ইনিংস ভেঙে পড়ে তাসের ঘরের মতো করে। শেষ পাঁচ উইকেটে দলের স্কোরবোর্ডে আর যোগ হলো মোটে ৪০ রান।
সাকিবের বিদায়ের পর লিটন দাস উইকেটে এসেই একের পর এক শট খেলার চেষ্টা করেই যাচ্ছিলেন। তবে সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয় তার। ১০ বলে ১ রান করে তিনি উইকেট দিয়ে আসেন জাদেজাকে। এরপর মিরাজও এই একই ঢঙে বিদায় নেন অশ্বিনের পঞ্চম শিকার বনে।
জয়টা তখন দূর আকাশের তারা বনে গেছে। চাওয়া ছিল নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরি। তিনিও তা পূরণ করতে পারেননি, ১৮ রান দূরে থাকতে অশ্বিনকে উইকেট দিয়ে ফেরেন। স্বীকৃত ব্যাটারদের এমন দিনে টেল এন্ডাররা আর কীইবা করতে পারতেন? পারেনওনি। ২২২ রানে শান্তকে খোয়ানোর পর বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ২৩৪ রানে। তাতে ভারত সফরের শুরুটা হলো বিশাল এক হার দিয়ে।