নিরাপত্তা নিয়ে ভাবনায় সাকিব

  • Apon tariq
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

টি-টোয়েন্টিতে নিজের অধ্যায়ের ইতি টেনে দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। একই দিনে জানিয়েছেন টেস্ট থেকে অবসর নেওয়ার পরিকল্পনার কথা। সেটা আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে। 

টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষটা দেশের মাটিতেই করার ইচ্ছা সাকিবের। তবে সেটা নানান ধরনের যদি কিন্তুর বেড়াজালে আটকে আছে। মূলত সে কারণেই সাকিব সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন কথাটা, ‘যদি সুযোগ থাকে, আমি যদি খেলতে পারি তাহলে মিরপুর টেস্ট হবে আমার জন্য ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট।’

বিজ্ঞাপন

কেন? গত সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচন করে মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য হয়েছিলেন সাকিব। এরপর গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর তিনিও তার পদ হারিয়েছেন। এর আগেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ ক্রিকেট খেলছিলেন, এরপর আর দেশে ফেরেননি সাকিব। 

এরই মধ্যে গত ২২ আগস্ট তার নামে রাজধানীর একটি থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে। যার ফলে দেশে পা রাখলেই তার গ্রেফতার হওয়ার শঙ্কা আছে। সে বিষয়টা এড়ানো গেলেও জনরোষে পড়ার একটা শঙ্কাও থেকেই যায়।

বিজ্ঞাপন

সবকিছু মিলিয়েই সাকিব তার নিরাপত্তা নিয়ে খানিকটা চিন্তিত। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমি অ্যাভেইলেভল। যেহেতু এখন দেশের যে পরিস্থিতি তাতে সবকিছুই আমার ওপরই নির্ভর করে না। স্বাভাবিকভাবেই আমি এই জিনিসগুলো বিসিবির সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাদের কাছে আমি আমার পরিকল্পনা জানিয়েছি। বিশেষ করে টেস্ট সিরিজ নিয়ে আমার পরিকল্পনা তাদের জানিয়েছি। আমি ফিল করেছি দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সামনের মাসে টেস্ট সিরিজটা আমার শেষ সিরিজ হবে।’ 

‘ওভাবেই আমি ফারুক ভাই (বিসিবি সভাপতি) এবং নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলেছি। যদি সুযোগ থাকে আমি যদি দেশে গিয়ে খেলতে পারি তাহলে মিরপুর টেস্ট হবে আমার জন্য ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট। বোর্ড এই বিষয়টা জানে।’

সাকিব জানালেন, বিসিবি তো বটেই, সংশ্লিষ্ট অন্যরাও বিষয়টা সামলাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘তারা এই বিষয়টা কিভাবে সুন্দর করে অ্যারেঞ্জ করা যায় সেই চেষ্টা করছে। যাতে করে আমি দেশে গিয়ে খেলতেও পারি এবং নিরাপদও বোধ করি। আবার একই সঙ্গে যখন দেশের বাইরে আসার দরকার হবে এবং দেশের বাইরে বের হতেও আমার যেন কোনো সমস্যা না হয় এই বিষয়টা বোর্ড খেয়াল করছে এবং এই বিষয়ের সঙ্গে সর্ম্পকিত যারা আছেন, তারাও এটা দেখছেন।’ 

সাকিব এখন অপেক্ষায় আছেন ইতিবাচক কিছুর, ‘আমি অপেক্ষায় আছি তারা আমাকে একটা সিদ্ধান্ত দেবেন। যে সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে আমি হয়তো খুব ভালোভাবে অন্তত টেস্ট ক্রিকেটটা ছাড়তে পারি।’

সাকিবের এই অপেক্ষার ফল মিঠে হয়, নাকি তিতকুটে, আপাতত সে বিষয়টাতেই ঝুলে আছে তার দেশের মাটিতে বিদায়ী টেস্টটা খেলার স্বপ্ন।