মুমিনুলের সেঞ্চুরিতে চতুর্থদিনে বাংলাদেশের হাসি
অবশেষে আড়াইদিন পরে খেলা মাঠে গড়াল। কানপুর টেস্টের চতুর্থদিন সকাল নির্ধারিত সময়ে খেলা শুরু হলো। প্রথমদিনের ৩৫ ওভারের খেলার পর দ্বিতীয় ও তৃতীয়দিন বৃষ্টি এবং মাঠ অনুপোযোগী থাকায় কোনো খেলাই হয়নি। সেই অপেক্ষা শেষ হলো চতুর্থদিনের সকালে। ৬ উইকেটে ২০৫ রান নিয়ে চতুর্থদিন লাঞ্চে গেল বাংলাদেশ দল। মমিনুলের সেঞ্চুরি সকালের সেশনে বাংলাদেশের আনন্দের উপলক্ষ হয়ে রইলো।
এদিন ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। শুরু থেকেই ব্যাটিংয়ে সংগ্রাম করতে থাকা মুশফিক ফিরে যান চটজলদি। লিটন দাস ও সাকিব আল হাসান দুজনেই বাজে কায়দায় আক্রমনাত্মক শট খেলতে গিয়ে আউট হন। অন্য অর্থে বলা যেতে পারে দুজনেই উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এলেন।
তবে একপ্রান্ত আগলে লড়াই ঠিকই চালিয়ে যান মমিনুল হক। শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যেই হাফসেঞ্চুরিতে পৌছান তিনি। হাফসেঞ্চুরির পর তার ইনিংস আরো সুন্দর করে সাজান মমিনুল। লাঞ্চের ঠিক আগেভাগে সেঞ্চুরি তুলে নিলেন। টেস্টে এটি ভারতের মাটিতে তার প্রথম সেঞ্চুরি। ভারতের মাটিতে এর আগের চার টেস্টে মমিুনল ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন। কানপুর টেস্টে এসে ব্যাক্তিগত সেই দুঃখ ঘোঁচান তিনি। ৯৫ রানে অবশ্য দ্বিতীয় স্লিপে একবার ক্যাচ দিয়েছিলেন মমিনুল। কিন্তু ঝাঁপিয়ে পড়ে সেই ক্যাচ হাতে রাখতে পারেননি বিরাট কোহলি। বোলার ছিলেন মোহাম্মদ সিরাজ। ১৭২ বলে তার এই সেঞ্চুরি জানান দিল কানপুরের উইকেটে এখনো চাইলেই বড় রান তোলা যায়। টেস্টে এটি তার ১৩ নম্বর সেঞ্চুরি। আর ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম। ১৩ টি টেস্ট সেঞ্চুরির সবগুলোই তার এশিয়ার মাটিতে।
সকালের সেশনে মুশফিক রহিম ভারতীয় পেসার জাসপ্রিত বুমরার একটা ইনসুইং ডেলিভারিতে উইকেট হারান। মুশফিক হয়তো ভেবেছিলেন বলটা অফস্ট্যাম্পের উপর দিয়ে যাবে। কিন্তু বুমরার সেই ইনসুইং ডেলিভারি তার স্ট্যাম্প উড়িয়ে দেয়।
লিটন দাস অহেতুক আক্রমনাত্মক হতে গিয়ে উইকেট খোয়ান। একই কান্ড ঘটিয়ে সাকিবও উইকেট বিলিয়ে দিলেন।